নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারন মানুষ হবার জন্য অবিরাম চেষ্টা করেই যাচ্ছি।

রাকিব সামছ

আমি হাসতে পছন্দ করি হাসাতে পছন্দ করি। খুব সাধারন একজন মানুষ কোন বিশেষত্ব নেই এটাই আমার পরিচয়।

রাকিব সামছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসায় বিশ্বাস করি। কিন্তু ভালবাসা দিবসে বিশ্বাস করি না।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫

আমি ভালবাসায় বিশ্বাস করি। কিন্তু ভালবাসা দিবসে বিশ্বাস করি না।
ভালবাসাতো ৩৬৫ দিনের জন্য একদিনের জন্যে কি? যাকে ভালবাসি তাকে প্রতিদিনই ভালবাসি, শুধু একদিন বলতে হবে কিম্বা একদিন আয়োজন করে পালন করতে হবে কেন? আসলে এই বিশ্বায়নের যুগে সব কিছুকেই আমরা মিলিয়ে ফেলি। এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা ফ্রেন্ডস ডে অথবা মাদার্স ডে কিম্বা টিচার্স ডে এসবই পশ্চিমা কালচার আর তাদের ব্যবসায়ী বুদ্ধি। আমাদের দেশে ভালবাসা দিবস কিম্বা অন্যান্য দিবস যখন ছিলো না, তখন কি আমরা ভালবাসতে পারতাম না? নাকি ভালবাসা প্রকাশ করতাম না? আমাদের সামাজিক রীতিনীতিই ভিন্ন ঘরনার। আমরা মা-বাবা কে ছেড়ে ১৮ বছরে চলে যাই না। যে, আমাদের বিশেষ দিন ঠিক করে তাদের কাছে উপহার, কার্ড, ফুল নিয়ে এসে জানাতে হবে আমরা তোমাদের এত্ত এত্ত! ভালবাসি।
আবার আমরা পশ্চিমাদের মত স্কুল ছেড়ে চলে এলেই আমাদের স্যার-ম্যাডামদের ভুলে যাই না কিম্বা অসম্মান করিনা। তাদের বিশেষ দিন না প্রতিদিনই শ্রদ্ধা করি, মনে রাখি। হ্যা এটা বলতেই পারেন, তাদের মনে করেও তো মুখে কিছু বলিনা। একটা কার্ড দিলেই কি অনেক কিছু বলা হয়ে যায়? স্কুল ছেড়ে আসার ২৪ বছর পর যখন স্যারদের দেখে লাফিয়ে উঠি চেয়ার ছেড়ে কিম্বা রাস্তায় দেখা হলে দৌড়ে গিয়ে সালাম করি আর বলি স্যার আমি আপনার ৯২ ব্যাচের ছাত্র ছিলাম। স্যারের চোখে তাকিয়ে দেখবেন আনন্দ চিকচিক করছে, আর যদি আপনার নাম ধরে ডেকে ফেলেন তো, আপনি অশ্রু কোথায় লুকাবেন!!
বন্ধুদের মনে করতেও রোবোটিক লাইফে অভ্যস্ত, ওদের হয়তাও বিশেষ দিন লাগে, আমাদের বাংগালীদের আবার বন্ধুকেও মনে করতে বিশেষ দিন লাগে নাকি? আমরা আড্ডাপ্রিয় জাতী। আমাদের বন্ধু ছাড়া একদিন ও চলে না আর বছরে একদিন!! আমরাতো পাগল হয়ে যাবো বন্ধু ছাড়া ৩৬৪ দিন?? ভাবাই যায় না।
ওদের মা-বাবা, শিক্ষক, বন্ধু, ভাই, বোন, এমনকি ভালবাসার মানুষ কেও বিশেষ দিনেই মনে করতে হয়!! বাকি দিনগুলোতে এদের কি হবে? কেউ ওল্ড হোমে কিম্বা মা-বাবা একা একা থাকবে দূর কোন কিম্বা একই শহরে? ভাই বোন কে কোথায় চলে যাবে, খবর নেয়ার সময়ও হবেনা। আর শিক্ষক! তারাতো হারিয়ে যাবে যে যার মতো। মা-বাবাকেও বিশেষ দিনের অপেক্ষায় কাটাতে হবে দীর্ঘ সময়, কখন ছেলে মেয়েরা কেক, কার্ড আর উপহার নিয়ে এসে বলবে I love u...!!
বছরের এই একটা দিন অনেক ফুল, উপহার, একসাথে আয়োজন করে ঘোরা, খাওয়া দাওয়া করাই কি ভালবাসা!! যদি প্রতিদিন প্রতিক্ষন মনে না হয়, তাহলে এর প্রয়োজন আসলেই আছে কি?
গত দুই দিন ধরে ভ্যালেন্টাইন অফারের এসএমএস আর মেইল পেয়ে মনে হচ্ছিলো...
আমিতো প্রেমে পড়িনি, প্রেম আমার উপরে পরেছে!! জোর করেই ভালবাসার প্রমান দিতেই হবে গিফট দিয়ে, খাইয়ে, উপহার কিনে দিয়ে!! ব্যবসা যেখানে মূল উদ্দেশ্য সেখানে আমরা হচ্ছি সম্ভাব্য ক্রেতা, তাই আমাদের প্রলুব্ধ করেই এগুচ্ছে পশ্চিমাদের ব্যবসায়ী বুদ্ধি। আরে ভাই একসাথে পঞ্চাশটা গোলাপ না দিয়ে প্রতিবার দেখা হলে একটা দুটো গোলাপ দিন না, অন্তত আপনার প্রিয়জনের হাতে সারা বছর ফুলের ছোঁয়া থাকবে.. একদিন ঘটা করে আয়োজন না করে, নিজেদের বিশেষ দিনগূলোকে মনে করে নিজেরা আয়োজন চালিয়েই যান না, সারাবছর।
মা-বাবা, শিক্ষক, ভাই, বোন কিম্বা ভালবাসার মানুষ সবাই কে একদিন নির্দিষ্ট করে নয়, প্রতিদিন ভালবাসি আর তার প্রকাশ করে যাওয়াই ভাল নয় কি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২১

বিজন রয় বলেছেন: ভাল কথা।
++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩

রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.