![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হাসতে পছন্দ করি হাসাতে পছন্দ করি। খুব সাধারন একজন মানুষ কোন বিশেষত্ব নেই এটাই আমার পরিচয়।
কাদের সাহেব হচ্ছেন আমাদের পাড়ার সবচেয়ে সৌখিন পুরুষ। কাদের সাহেবকে কেউ কোন দিন ভাজ পরা পাঞ্জাবি পরতে দেখেনি। খুব পরিচিত দৃশ্য হচ্ছে কাদের সাহেব ধবধবে সাদা পাঙ্গাবি পরে বাসার ছোট গেট খুলে বেরোচ্ছেন হাতে খুব সুন্দর ভাবে ভাজ করা বাজারের ব্যাগ। বাজারে যাবার সময় পরেন সাদা চেক লুঙ্গি, পায়ে থাকে কালি করা ঝকঝকে সেন্ডেল। মোটামুটি সবার জানা ওনার মত পরিচ্ছন্ন ব্যাক্তি এই এলাকাতেই নেই। যেমন তার পোশাক ঠিক তেমনি তার আচরন। কারো মনে পরেনা তাকে কখনো উচু গলায় কথা বলতে শোনেনি, কখনো বাজে শব্দ তার মুখে শুনেনি কখনো। এমনকি কারো সাথে তর্ক করতে দেখেনি কাদের সাহেবকে। সবাই পেছনে না সামনেই বলেন ভাই আপনার মতো মানুষ এ যুগে খুজে পাওয়া যাবে না।
কাদের সাহেবের স্ত্রী ফাতিমা আরেক প্রিয় মুখ এলাকায়। আশে পাশের ভাবীদের মুখে শোনা, উনি কখনো না বলতে পারেন না। অথবা না বলতে শেখেন নি। যার যখন যা প্রয়োজন ফাতিমা ভাবিকে জানালেই ব্যাস। বাসায় থাকলে এনে দিবেন আর না থাকলে কাজের ছেলে আজিজ কে তক্ষণই পাঠিয়ে দেবেন দোকানে। এনে পৌঁছে দেবেন নিজেই। তার মুখে হাসি দেখেনি এমন কাউকে খুজে পাওয়া যাবেনা অত্র এলাকায়। মোটামুটি প্রচলিত হয়ে গেছে, প্রত্যেকেই তাদের সন্তানদের বড় হবার উদাহরণ দিতে গিয়ে কোন না কোন ভাবে কাদের সাহেব আর ফাতিমা ভাবীর কথা বলবেনই। কাদের সাহেবের দুই মেয়ে এক ছেলে। প্রত্যেকেই যেন এক একটা রত্ন আর বাবা-মায়ের কার্বন কপি। যেমন মেধাবী ঠিক তেমনি দেখতেও সুন্দর। পাড়ার অনেকেই পেছন থেকে হিংসা করেনা বললে ভুল বলা হবে। এত পরিপাটি সংসার কে না আশা করে? বড় মেয়ে ডাক্তারী পাশ করে সরকারী চাকুরী করছে তার স্বামীও ডাক্তার। একমাত্র ছেলে বুয়েট থেকে পাশ করেছে, এখন একটা বিদেশি কোম্পানীতে চাকুরী করছে। আর ছোট মেয়ে নদী? এসএসসিতে আর এইচএসসিতে স্ট্যান্ড করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে পাশ করে এখন দেশের নাম করা ওষুধ কোম্পানীতে জয়েণ করেছে কয়েক মাস আগে। রুপে গুনে অনন্যা। এই মেয়ের জন্যে প্রতিদিন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে শুধু ঘটকরাই না আত্মীয়স্বজন ছাড়াও এলাকার লোকজনও আসে। হাসিমুখে সবাইকে আপ্যায়ন করে যান কাদের দম্পতি।
আজ এই প্রথম কাদের সাহেবের পাঙ্গাবীতে কাল দাগ! বিশ্রী ভাবে কাল দাগ পরেছে বুকের কাছে। দেখে মনে হচ্ছে কেউ পাঞ্জাবীটাতে ধরে কালো দাগ বসিয়ে দিয়েছে। সবাই কাদের সাহেবের গায়ে দাগ দেখে খুব অস্বস্তিবোধ করছে কিন্তু কাদের সাহেবের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। উনি এই কাল দাগ লেগে থাকা পাঞ্জাবী পরেই সবার সাথে কথা বলছেন!
একটু আগেই নদী যখন বাবার বুকে ঝাপিয়ে পরে কাদতে লাগলো, চোখের পানির সাথে চোখের কাজল ধুয়ে গাল বেয়ে নেমে বাবার ধবধবে পাঞ্জাবীতে কালো দাগ ভরিয়ে দিলো। এত কান্নার মাঝেও নদী বলে উঠলো বাবা তোমার পাঞ্জাবীটা আমি ময়লা করে দিলাম। আরেকটা পাঞ্জাবী এনে দিবো? বাবা খুব শান্ত ভরাট গলায় বললো, "নারে মা তোমার এই চোখের পানির দাগ আজ আমার পাঞ্জাবীকে ময়লা করতে পারছে না-- আজ আমার মনটাই কষ্টে কালো হয়ে আছে। আমার প্রানের পাখিটা যে আজ আমায় ছেড়ে তার বাড়িতে চলে যাচ্ছে!!
চারদিকের হট্টগোলের মাঝেও কোথায় যেন একটা করুন সানাই এর সুর বেজেই চলছে অবিরাম------
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:২৩
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সামনে আরো চেষ্টা করবো।
২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩০
বিজন রয় বলেছেন: সুন্দর আর করুণ।
+++
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০
আমিই মিসির আলী বলেছেন: শিরোনাম দেইখ্যা যেমন ভাবছিলাম তেমন হয় নাই।
তবে ভালো হইছে লেখা।
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
সুমন কর বলেছেন: ভালো হয়েছে।
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২
কালীদাস বলেছেন: আমি পুরা অন্য জিনিষ ভাবছিলাম শিরোনাম থেকে, লেখাটার ডেপথ কম গ্রুভি টাইটেলের তুলনায়। নেক্সট টাইম রিডারদের সুবিধার জন্য কয়েকটা এন্টার দিয়েন প্লিজ প্যারার মধ্যে।
কিপিটাপ
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। পরের লেখার সময় আরো বেশী সচেতন হবো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা সাবলীল তবে কাহিনি আরেকটু ভাল হলে ভাল হত।মানে গল্পের গভীরতা কম মনে হল ।ধন্যবাদ