নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারন মানুষ হবার জন্য অবিরাম চেষ্টা করেই যাচ্ছি।

রাকিব সামছ

আমি হাসতে পছন্দ করি হাসাতে পছন্দ করি। খুব সাধারন একজন মানুষ কোন বিশেষত্ব নেই এটাই আমার পরিচয়।

রাকিব সামছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পোস্ট পড়ার চেয়ে কমেন্টস বেশী পড়ি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

খুব বেশী দিন হয়নি এখানে বিচরন। আগে ব্লগ কি কিভাবে লিখে এবং কারা লিখে তা নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিলো। আসলে সবসময়ই লেখকদের বিশেষ সম্মানের স্থানেই দেখি। আর কবিদেরকে তো হিংসা করি সবসময়। কিভাবে এত ছন্দ খুঁজে পান? এত শব্দ কিভাবে ব্যবহার করেন তারা?

এখানে এসে সবার লেখা পড়ে, মাঝে মাঝেই আমারো লিখতে ইচ্ছে করতো। সাহস করে একদিন লিখে ফেললাম এবং দুঃসাহস দেখিয়ে পোস্ট করে দিলাম। ভয়ে ছিলাম আদৌ ব্লগে প্রকাশিত হবে কিনা? আমাকে অবাক করে দিয়ে দুদিন অপেক্ষা করিয়ে ব্লগে প্রকাশিত হলো। যারপরনাই অবাক হলাম আবার আনন্দিতও হলাম। এরপর থেকে মাঝে মাঝেই টুকটাক লিখতে লাগলাম। যখন দেখতাম লেখার নীচে কমেন্ট! দারুন লাগতো। অন্যের লেখা পড়ে কমেন্ট লিখতেও ভালই লাগে। আসলে এখানে সবাই সবাই কে উৎসাহ যোগায়, এটা ভালোলাগার বিষয়। আমি নিজেও জানি আমার লেখার মান খুবই নিম্নমানের। তারপরেও নিজের কাছে নিজের লেখা সবসময়ই ভাল লাগার। অনেকটা সন্তানের মতো! কালো হোক কিম্বা সাদা, দেখতে যেমনই হোক, নিজের সন্তানই সবার সেরা।।

মাঝে মাঝে একটু খারাপ লাগে যখন দেখি, কোন কোন লেখার নীচে মন্তব্যগুলো খুব আক্রমণাত্মক। আসলে সবাই ভাল লিখতে পারি না, কিন্তু সবাই ভাল মানুষ হতে দোষ কি? খারাপ ভাবে খোঁচা না দিয়েওতো আমাদের সীমাব্ধতা কিম্বা অসম্পুর্নতা বুঝিয়ে দেয়া যেতে পারে। আমরা শিখে নিবো ভাল লিখা লিখতে গেলে কি করা উচিত আর কি করা উচিত না। ভাল লিখাগুলো যেমন খুব আকর্ষন করে তেমনি আপনাদের উৎসাহ পেয়ে হয়তো আমাদের মধ্য থেকে বেড় হয়ে আসবে নতুন লেখক, তার নতুন ধরন আর নতুন ভাবনা নিয়ে!

একটা কথা না বলে যেতে পারছিনা। অনেক গুলো আজে বাজে লেখার মধ্যে হুট করেই একদিন দেখি আমার একটা লেখা নির্বাচিত পোস্ট হিসেবে স্থান পেয়েছে! সেদিন অন্যরকম আনন্দ উপভোগ করলাম। অনেকে আমার লেখা পড়ছে ভাবতেই কেমন পুলকিত বোধ করেছি। তখন ভেবেছি যাদের লেখা হাজার না, লাখো পাঠক পড়ে তাদের কেমন লাগতে পারে? আসলে পাঠকের ফিডব্যাক না পেলে তারা জানতেই পারতেন না তাদের লেখার শক্তিটুকুন।

এখানে লেখা পড়ি, কিন্তু তারচেয়েও বেশী আগ্রহ নিয়ে পড়ি নীচের কমেন্টস। অনেক রকম মানুষের দেখা পাওয়া যায় এই ছোট্ট পরিসরে। একই লেখা পড়ে কেউ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে আবার কেউ সমালোচনার তীর ছুড়ে মারছে। কারো মন্তব্যে দেখি "খুব ভাল হয়েছে" আর কারো মন্তব্যে দেখি "ভাল হয় নি"। মজা পাই লেখকের নিজেকে সামলানোর চেষ্টাটুকুন দেখতে!

পাঠকের চিন্তা আর ভাবনার মাঝেই আসলে লেখকের বসবাস এবং তাদের স্থায়িত্ব। ভালো পাঠক হতে চাই ভাল লেখক পাবার আশায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



"আসলে সবাই ভাল লিখতে পারি না, কিন্তু সবাই ভাল মানুষ হতে দোষ কি? "

-এটা ব্লগ, এটা ফুলসরাত পার হওয়ার জন্য লাইন নয়।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

রাকিব সামছ বলেছেন: ঠিক কথা ভাই।

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩

সেলিম৮৩ বলেছেন: কারো লেখায় শুধু জ্বি বস, হ্যা বস করলে খুশি হওয়া উচিত নয়। একজনের ধারণা বা মতামত অন্যজনের নিকট নাও ভালো লাগতে পারে। সে উক্ত বিষয়ের উপর নেগেটিভ কিছু লিখতেই পারে। এটা সাদরে গ্রহণ করার ক্ষমতা না থাকলে ব্লগে লেখার অাগ্রহ হারিয়ে যাবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২০

রাকিব সামছ বলেছেন: আমরা বাংলাদেশীরা সমালোচনা করতে যতটা ভালবাসি, সমালোচনা সহ্য করতে ততটাই বিরক্ত হই। তবে এর থেকে বেড় হবার চেষ্টা করেই যাচ্ছি। ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
প্রথমেই বলি, লেখক হতে হলে - কখনো কতজন পাঠক লেখাটা পড়বে তা নিয়ে ভাবা ঠিক নয়। কতজন পড়লো তা নিয়ে অতি আনন্দিত হওয়াও ঠিক নয়।
লেখকের কাজ শুধু লিখে যাওয়া। নিজের মত করে লেখা সাজানো। হোক সেইটা যে বিষয়ের উপরই। পাঠক খাবে কিনা সেটা বিবেচনা করলে লেখালেখি থেমে যেতেও দেরি লাগবে না।

সত্যটা হল - সৃজনশীল কাজে আত্নতুষ্টি আনা ঠিক না। আত্নতুষ্টি এসে গেলে নিজের আগ্রহটা কমে যায়। সবসময়ই মনে একটা ক্ষুধা রাখতে হবে। পেটে টান পড়লে যেমন মানুষ খাবার সংগ্রহের জন্য নেমে পড়ে, তেমনি মনে ক্ষুধা থাকলে কাজটার আগ্রহও প্রবল মাত্রার থাকে।

দ্বিতীয়ত, লেখার পর সমালোচনা হজম করার শক্তি থাকতে হবে। কেউ লেখার সমালোচনা করলেই তাকে আক্রমণ করে বসব - এমন মানসিকতা থাকলে পাঠকের বিরূপতা আসতে দেরি লাগবে না। তখন কিন্তু লিখেও আর কোন লাভ নেই। সব সময়ই প্রশংসা আসবে না। একটা লেখায় সবাই ই প্রশংসা করবে না। এই মানসিকতা থাকা লাগবে।
ব্লগে অনেকেই আছে যারা প্রশংসা ছাড়া অন্য কিছু শুনতে চায় না। সিনিয়র ব্লগারদের কয়েকজনও আছে এই কাতারে। মতের অমিল বলে যে কিছু আছে - তা তারা বুঝতেই চায় না। এসবের জন্যই কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত পাঠক কমে গেছে ব্লগে।
এই যেমন - আমি গতকাল একটা ছবি ব্লগে মন্তব্য করেছিলাম - ছবিগুলো ঝাপসা। (আসলেই ঝাপসা ছিল। লাইটিং-এর কারণে পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছিল না।) সাধারণ একটা কথা, সত্যটাই বলেছি। ঐ ব্যক্তি আমাকে প্রতি উত্তরে চোখের ডাক্তার দেখাতে বলেছে। উনার সত্যটা পছন্দ হয়নি। এই ধরণের লেখকদের লেখায় আক্রমণাত্নক মন্তব্য করাটা খুব দোষের কিছু হবে না।

আর, ভুল গুলো ভাল ভাবে ধরিয়ে দেওয়ার কথা বললেন?
এটা লেখকরাই মানতে পারেনা।
কিছুদিন আগে এক ব্লগারের গল্প পড়ে তাকে বলেছিলাম - আপনার লেখায় জোর আছে, কিন্তু ত্রুটি রয়ে যাচ্ছে ঠিকই। ত্রুটিগুলোর কারণে লেখাটা ঠিকমত ভাব প্রকাশ করতে পারছে না। আপনি হালকা একটূ পরিবর্তন করলেই আপনার লেখাগুলো পড়া বেশ আনন্দদায়ক হবে।
উত্তরে আমাকে বলেছিল - এটাই আমার ধারা। আমি এটাকে পরিবর্তন করবো না।

সহজ সাপ্টা উত্তর। কিন্তু, আমার প্রশ্ন হল - ভুলগুলো কীভাবে নিজস্ব ধারা হয়? ভুল তো ভুলই। সঠিকটায় একটা ধারা তৈরি হবে - ভুল দিয়ে কোন ধারা তৈরি করা যায় না। নিজের ধারায় কোন খুঁত থাকলে তা শুধরে নিয়ে সেটাকে আরো শক্তিশালী করা যায়।
কিন্তু উনি মানতে নারাজ। উনি উনার ভুল ধারাতেই থাকবেন। সবাই উনাকেই সাপোর্ট দিল। এবং উনি ভুল করেই যাচ্ছেন। আস্তে আস্তে ভুলের কারণে লেখার আকর্ষণও কমে আসছে।

ব্যাপারটা হল - আমাদের পাঠক-লেখক এদের অনেকেই আসলে ভালভাবে বুঝে না যে কীভাবে কোন মানসিকতা নিয়ে লিখতে হবে বা লেখাটা পড়ে মন্তব্য করতে হবে। খুব তো কঠিন কিছু না। লেখায় অযৌক্তিক আক্রমণাত্নক মন্তব্য আসলে - আপনি যৌক্তিকভাবে আক্রমণাত্নক প্রতিউত্তর দিবেন। যৌক্তিক সমালোচনা আসলে - আপনি মাথা পেতে সেটা মেনে নিবেন এবং সেটা আপনার থেকে দূর করে আপনাকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:২৭

রাকিব সামছ বলেছেন: ভাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য।
আমরা সবাই খুব সহজেই রেগে যাই, বিরক্ত হই। আসলে সবাই প্রকারান্তে উপকার করছে ভাবতেই পারিনা। নিজেকে শুধরানোর চেয়ে ভুল টাকেই ধরে রাখতে চাই। চেষ্টা করবো ভুল কম করতে আর করে ফেললেও সবার কথা মেনে চেঞ্জ করবো নিজেকে।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যথাযথ বলেছেন। রক্তিম দিগন্তের কমেন্ট এই পোস্ট এর সৌন্দর্য।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

পুলহ বলেছেন: আপনার লেখা যথেষ্টই গোছানো। কিছু কিছু কথা তো খুবই সুন্দর এবং কোমলভাবে বলেছেন -
আসলে সবাই ভাল লিখতে পারি না, কিন্তু সবাই ভাল মানুষ হতে দোষ কি?
খারাপ ভাবে খোঁচা না দিয়েওতো আমাদের সীমাব্ধতা কিম্বা অসম্পুর্নতা বুঝিয়ে দেয়া যেতে পারে।


আপনার পঠন আগ্রহের প্রতিও শ্রদ্ধা রইলো।
শুভকামনা ভাই আপনার জন্য।

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

সুমন কর বলেছেন: পাঠকের চিন্তা আর ভাবনার মাঝেই আসলে লেখকের বসবাস এবং তাদের স্থায়িত্ব। ভালো পাঠক হতে চাই ভাল লেখক পাবার আশায়। -- চমৎকার লিখেছেন।

আসলে কেউ কেউ পজিটিভ সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। কিংবা ভুল ধরিয়ে দিলেও স্বীকার করতে বা ঠিক করতে চায় না। এটা খুব খারাপ।

লেখায় প্লাস রইলো।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:১০

রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভুল ধরিয়ে দিবেন, শুধরানোর সুযোগ করে দিতে।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পোস্টের লিখা ও পাঠকের মুল্যবান
মন্তব্যের কথাগুলো আমাকে উপকৃত করবে অনেকভাবে ।
ধন্যবাদ সাথে শুভেচ্ছা রইল ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬

রাকিব সামছ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.