![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হাসতে পছন্দ করি হাসাতে পছন্দ করি। খুব সাধারন একজন মানুষ কোন বিশেষত্ব নেই এটাই আমার পরিচয়।
রাস্তায় চলতে গিয়ে শুধু আজকেই না প্রতিদিন, প্রতিক্ষন আমরা যে সব সমস্যার সম্মুখীন হই তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকায় পাবলিক টয়লেট এর অভাব। ঢাকায় বসবাসকারীদের নাগরিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে সবসময়। এটা নিয়ে হাজারো লিখা ছাপা হচ্ছে কিন্তু খুব কি পরিবর্তন এসেছে বা আসছে? আমাদের সম্মানিত মেয়র সাহেবগন চেষ্টা করেও যাচ্ছেন কিন্তু তবে সফলতা পরিমাপ করার মতো অবস্থা এখনো পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
শুধুই কি টয়লেটের অভাব?? হাটতে চলতে আমরা প্রায়ই দেখি রাস্তার পাশে যেখানে সেখানে গাড়ী পার্কিং করে রাখা, ফুটপাথ দখল করে ফেরীওয়ালাদের বেচাকিনি করা, নির্মানাধীন বাড়ির সামনে রড-বালু ফেলে রাখা। এসব উঠিয়ে দেয়া হয় আবারো শুরু হয়। আমরা সাধারন জনগন দেখি আর সামলে চলার চেষ্টা করি।
নীচের ছবিতে দেখা যাচ্ছে খুব স্বাভাবিক দৃশ্য!! পাবলিক টয়লেটের অভাবে বাসের স্টাফরা রাস্তার পাশে মুত্র ত্যাগ করছে। ঢাকার রাস্তায় চলাচল করে আর এই দৃশ্য দেখেনি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।
আমি জানিনা অন্যদের কি রকম মনে হয়? আমার কিন্তু ভিষন অস্বস্তি লাগে পাশ দিয়ে হেটে যেতে। এবং আমি এটাও বোধ করি, যিনি রাস্তার পাশে এই কাজ সাড়ছেন তারও নিশ্চয়ই একই রকম অস্বস্তি বোধ হয়! আর আমার জায়গায় যদি কোন আপু থাকেন তবে তার জন্য এই পরিস্থিতি কতটা অস্বস্তির হতে পারে? আমি খেয়াল করে দেখেছি অনেক মেয়ে এধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে রাস্তার দিক পরিবর্তন করে অন্য প্রান্ত দিয়ে যাবার চেষ্টা করে। আবার অবাক হলেও সত্যি হচ্ছে, অনেক ছেলেকে দেখি ইচ্ছে করে এই সময় দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে যায়। আমরা এমনিতেই মেয়েদের প্রতি সঠিকভাবে সম্মান দেখাতে পারি না, আর এক্ষেত্রে তাদের ফেলে দেই আরো বিরূপ পরিস্থিতিতে।
আমাদের ছেলেদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনা খুব কঠিন কাজ। বরং আমরা রাস্তায় পাবলিক টয়লেট বানিয়ে পরিবেশ ভাল রাখতে পারি কিম্বা অন্তত এটুকুতো করতেই পারি? যেখানে রাস্তার পাশে এভাবে মুত্রত্যাগ করছে সেখানে একটু বেড়া দিয়ে বা একটু ঢাকার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে (গ্রাম দেশে যেমন ছিলো বা এখনো আছে)। অন্তত সরাসরি এই দৃশ্য অবলোকন করা লাগবে না!!
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৭
রাকিব সামছ বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা ভাই। নিজের টয়লেট ব্যবহারেরপর দুর্গন্ধ ছড়ালে বিরক্ত হই, সেখানে অন্যের ছড়ানো গন্ধ সহ্য করার প্রশ্নই আসেনা। ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৩১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পাবলিক টয়লেটের অভাবে না - স্বাভাবিক বোধশক্তির অভাবের কারণে এটা হচ্ছে। সাথে আবার এটা নিয়েও শুরু হয়েছে ব্যবসা। প্রসাব করলেও পাঁচ টাকা করে দেওয়া লাগে। ড্রেনের পাশে - বেড়া দেওয়া জায়গায় করলে - পাঁচ টাকা দিতে হবে - এটা কোন জাতের নিয়মরে ভাই।
এটার জন্যই বাইরে থাকলে মানুষ পাবলিক টয়লেট বা বেড়া দেওয়া জায়গার কাছেও যায় না।
দ্বিতীয়ত, অনেকের শখই বাইরে প্রাকৃতিক কর্মের ডাকে সাড়া দেওয়া। তাদেরকে নিয়ে কিছুই বলার নাই।
মূল্যবোধ, বোধ শক্তি - দুই জায়গায়ই সংস্কার দরকার। এটা মাঝে মাঝে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিরও সৃষ্টি করে, সেই সাথে দুর্গন্ধেরও।