নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপনের রাফখাতা

পিছন ফিরে তাকানোর বদলে সামনে তাকানোই বেশি সহজ

ট্রিপল এ

নিজেকে জানার একটা মাধ্যম হচ্ছে লিখে যাওয়া।লেখালেখি করার অভ্যাস নেই বললেই চলে,মাঝে মাঝে "আউল ফাউল"লেখার চেষ্টা করি একটু.....

ট্রিপল এ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্যা মঙ্গোল ফিলোসফি

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৩০

হিস্ট্রি ক্লাসগুলো মনোযোগ দিয়ে করে আসা বা হিউম্যান হিস্ট্রিতে আগ্রহ রাখা যেকোন মানুষকে যদি জিগ্যেস করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ওয়ারলর্ড বা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে, প্রায় সবাই চেঙ্গিস খানের কথাই প্রথমে মনে করবে।যদিও দিগ্বিজয়ী সম্রাট বলতে সবাই শুধু অ্যালেক্সান্ডারকেই চিনে এসেছে, কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি ছিলো আসলে চেঙ্গিস খান এবং অল্প কিছু সময়ের জন্য ওগতাই খান। থিয়োরিটিক্যালি সেই সময় থেকে বিশ্বের সকল মিলিটারি লিডারের ইন্সপিরেশন ছিলো চেঙ্গিস খান কারন পৃথিবীতে আর কোন মানুষ বাল্টিক থেকে নর্থ সি, আটলান্টিক থেকে প্যাসিফিক পর্যন্ত সব কিছু জয় করতে পারে নাই। ওয়ার স্ট্র্যাটেজির চমৎকারতম নমুনা ছিলো চেঙ্গিস খানের কংকুয়েস্ট এবং এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতি আনবিটেবল, আনইক্যুয়াল। তবে এই সমস্ত বিষয়টা দুইটা কারনে নিখুঁত না। প্রথমত চেঙ্গিস খান তার বিশ্বজয়ের পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিজে আবিষ্কার করে নাই, সে বেশ পুরনো একটা পদ্ধতিকে একটু মডিফাই করে ব্যবহার করেছে। দ্বিতীয়ত, এই পদ্ধতিটা একবার শুরু করলে থামানো সম্ভব ছিলো না, একবার থেমে গেলেই সমস্ত প্রক্রিয়াটা নষ্ট হয়ে যায়.....

মঙ্গোল এম্পায়ার এতো বিশাল হয়েছে কিভাবে, সেটা বুঝার আগে চেঙ্গিস খান আসলে কি, সেটা রিয়েলাইজ করাটা বেশি জরুরি যেটা অনেকেই করে না। মিথোলজি থেকে যদি কোন বিখ্যাত যোদ্ধাকে আনা হয়, একিলিসের মতো যোদ্ধা খুজে পাওয়া খুবই কঠিন হবে। জন্মের পর থেকে মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একিলিস ছিলো ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা, হারকিউলিসও হয়তো তার সামনে যাওয়ার আগে একবার ভেবে নিতে চাইতো। ট্রয়ের যুদ্ধ, হেক্টরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, একিলিসের মারমিডন আর্মি- সব কিছু যদি সরিয়ে দেই, একিলিস আসলে কি? সে পৃথিবীতে থাকা অসংখ্য ডেমিগডদের একজন, যার কোন হিস্ট্রিক্যাল ইম্পরট্যান্স নাই। কিন্তু একিলিসের হাতে একটা সোর্ড আর শিল্ড দিয়ে দেয়া হোক, মানবসভ্যতার শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটা মানুষ একিলিসকে চিনবে মিথোলজির সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধাদের একজন হিসেবে। আর ঠিক এই কারনেই একিলিসকে যুদ্ধ করতে হতো প্রত্যেকটা মুহূর্ত। সব দেবতা মানুষের কাছে অমর না, অমরত্বের একটাই উপায়, ফেইম। একিলিসের অমর হওয়ার একটাই উপায় ছিলো, তার স্কিল কাজে লাগানো এবং তার স্কিল একটাই- একজন আনবিটেবল, আনডিসপিউটেড যোদ্ধা হওয়া। চেঙ্গিস খান কোন মিথোলজি থেকে উঠে আসা চরিত্র না, সে হচ্ছে বাস্তবের একিলিস। শুষ্ক একটা মালভূমিতে সামান্য কিছু ঘাস আর পানির অধিকার নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে থাকা ছোট ছোট গোত্র যারা পরস্পরের শত্রু ছাড়া কিছুই না, তাদের সামনে চেঙ্গিস খান আসলেই একিলিস ছিলো। চেঙ্গিস খানের খুব যে একটা কষ্ট করতে হয়েছে, সেটা কিন্তু না। তার শুধু সকল গোত্রের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হয়েছে, " সামান্য রুটি আর পেঁয়াজের জন্য আজকে আমরা একে অপরকে মেরে ফেলছি, ঘোড়ার জন্য বরাদ্দ অল্প একটু ঘাসের জন্য গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ করছি। এমনটা হওয়ার কথা না। আজকে নাহয় আমরা কষ্ট করছি কিন্তু আমাদের সন্তান এবং তাদের সন্তানদের গায়ে থাকবে চাইনিজ সিল্ক, পার্সিয়ান স্বর্ণের অলংকারে তারা ডুবে থাকবে, মেডিটোরিয়ান ফলের রসে তারা দিন শুরু করবে। আজ থেকে আমরা যুদ্ধ করবো নিজেদের জন্য না, মঙ্গোলিয়ার জন্য। আমাদের পশ্চিমে আছে অমরত্ব। আমার সাথে যুদ্ধ করো মঙ্গোলিয়ার হয়ে, কেড়ে নাও তোমাদের অমরত্ব"...............

প্ল্যানটা চমৎকার ছিলো। এর আগেও অনেক শাসক বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখেছে, অশ্বমেধ যজ্ঞ তো অধিকাংশ আর্য রাজার পছন্দের কাজ ছিলো। এমনকি অ্যালেক্সান্ডারও ইয়োরোপের অধিকাংশ রাজ্য জয় করার সময় কাছাকাছি ধরনের মেথড ব্যবহার করেছে। কিন্তু চেঙ্গিস খানের সাথে এদের সবার একটা বড় পার্থক্য ছিলো। অ্যালেক্সান্ডার বা অন্য আর্য রাজারা সৈন্যদের বেতনভুক্ত কর্মচারীর মতো ব্যবহার করতো, সৈন্যরা যুদ্ধ করতো রাজার আদেশের জন্য, বেতনের জন্য। চেঙ্গিস খানের সেনাবাহিনী বেতনের জন্য অথবা প্রমোশনের জন্য যুদ্ধ করে নাই। চিন বা রাশিয়া বা পার্সিয়া বিজয় তাদের জন্য কোন অফিশিয়াল ডিউটি ছিলো না। যুদ্ধ ছিলো তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। চেঙ্গিস খান মূলত তাদের একটা স্বপ্ন দেখিয়েছিলো, অমরত্বের স্বপ্ন। অমর হতে চাইলে যুদ্ধ করতে হবে, জয় করতে হবে। পুরো পৃথিবী জয় করতে পারলেই তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের কথা মনে রাখতে পারবে, তাদের কীর্তি পুরো পৃথিবীতে টিকিয়ে রাখতে পারবে। চেঙ্গিস খান শুধু একটা সেনাবাহিনী তৈরি করে নাই, সেটা ছিলো একই সাথে একটা ফ্যানাটিক কাল্ট, যাদের নিশ্বাসে, ঘোড়ার খুরের শব্দের সাথে শুধু মাত্র যুদ্ধ মিশে ছিলো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চেঙ্গিস খান শুধু পশ্চিমই জয় করতে চেয়েছিলো, সূর্যের সাথে সাথে পুরো মঙ্গোলিয়াকে সে পশ্চিমে নিতে চাচ্ছিলো যেন আর কোনদিন মঙ্গোলিয়াতে কোন শৈত্যপ্রবাহের রাত না দেখতে হয় তাকে। এমনকি তার মৃত্যুর পর সৈন্যরা আরও বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে যায়, তেমুজিন, দ্যা গ্রেট খানের স্বপ্ন পূরণ করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে তারা পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া জয় করে। মঙ্গোলরা আটলান্টিক থেকে প্যাসিফিক- পুরোটা না দেখে থামে নাই.........


স্বপ্নটা চমৎকার ছিলো, যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি নিখুঁত ছিলো, ইচ্ছাটা অদ্বিতীয় ছিলো। তাহলে পুরো বিশ্বকে এখন মঙ্গোলিয়ানরা শাসন করছে না কেন? কেন মঙ্গোলিয়া এখন তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ? প্রথমেই বলেছিলাম সমস্যা দুইটা। চেঙ্গিস খান যার টেকনিক ফলো করে এই বিশ্বজয় শুরু করেছিলো, সেই টেকনিকের অসারতা সে বুঝতে পারে নাই বা পারলেও সাধারন মঙ্গোলিয়ানদের বুঝতে দেয় নাই। তার বিশ্বজয় মূলত একটা পলিটিক্যাল ডমিনিয়েন্স ছিলো, আক্ষরিক বা তাত্ত্বিক অর্থে অমরত্ব ছিলো না।তার পুরো লাইফ যদি ভালো মতো পর্যবেক্ষণ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে যে সে আসলে নিখুঁত একটা ওয়ার মুভমেন্ট চাচ্ছিলো, একটা সমৃদ্ধ মঙ্গোলিয়া প্রতিষ্ঠা তার লক্ষ ছিলো না। সে পুরো মঙ্গোলিয়াকে একটা রাইটিং সিস্টেমে আনার অর্ডার দিয়েছে, ইন্টার-ট্রাইব ওয়ার নিষিদ্ধ করেছে,ডিপ্লোমেটিক ইমিউনিটি চালু করেছে, দাস কেনাবেচা বন্ধ করেছে, নারীহত্যা, অপহরণ, আন্তগোত্রীয় পরকিয়া নিষিদ্ধ করেছে। সে শুধু তার সাবজেক্টদের একটাই অবজেক্টিভ দিয়েছে, যুদ্ধ। তার বানানো আইনগুলো খেয়াল করলে সেটা আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। যুদ্ধবন্দীদের সাথে আচরন, শহর অবরুদ্ধ করার সিস্টেম, সাইকোলজিক্যাল ওয়্যারফেয়ার, জেনোসাইডের নিয়ম সহ যুদ্ধের মধ্যে মানসিক নৃশংসতার অভাবনীয় সব এক্সাম্পল তৈরি করেছে সে.........


এই জিনিশগুলো কিন্তু আসলেই কাজে দেয় যখন কোন শাসক শুধু মাত্র যুদ্ধ করে বা রাজ্য জয় করে। কিন্তু একটা সমৃদ্ধ,সুখে-শান্তিতে থাকা রাজ্য এইসমস্ত নিয়ম দিয়ে চলতে পারে না। একজন ওয়ারলর্ড বা শাসক চেঙ্গিস খানের লাইফস্টাইলকে তখনই সাফল্যের সাথে মানতে পারবে যখন সে তার রাজ্য বড় করবে, লুটপাট চালাবে পাশের রাজ্যে, যুদ্ধ করবে, প্রজাদের সৈন্য হওয়ার মোটিভেশন দিবে এবং অন্য রাজ্যগুলোকে নিজের দাস বানিয়ে ফেলবে। কিন্তু একসময় যখন এই সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে যাবে, তখন এই আইডিওলজিটা আর ভ্যালিড থাকবে না। আধুনিক যুগে এই আইডিওলজির জায়গা নেই কারন আমরা এখন আর সেই ট্রাইবাল সিস্টেমে নেই। আমরা নিজেদের অস্তিত্ব নিয়েই ব্যস্ত, অন্যের অস্তিত্ব দখলে আমাদের আগ্রহ নেই। মঙ্গোল আইডিওলজি টিকে থাকে শুধু মাত্র শাসক-শাসিতের মধ্যে, বিজয়ী-পরাজিতের মধ্যে। এক পক্ষ যখন শুধু অন্য পক্ষকে শোষণ করে টিকে থাকে, তখন সেই শোষণের নিয়ম বুঝতে মোঙ্গল আইডিওলজি অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু একটা সময় আসে যখন পরাজিতের বা শোষিতের আর কিছুই দেয়ার মতো থাকে না, আর ঠিক সেই সময়ে এই সিস্টেমটা ধ্বসে পড়ে। অবশ্যই সাথে সাথে সমস্ত শাসক এবং শোষকের অবসান ঘটে না, কারন তাদের কাছে জমানো মুলধন অনেক। তারা সেই মুলধন, সম্পদ, লুটের মাল দিয়ে তাদের প্রজাদের লয়ালিটি কিনে। কিন্তু অন্য সব কিছুর মতো একসময় মুলধন শেষ হয়, মানুষের লয়ালিটি কেনার অর্থও তখন শেষ হয়ে যায়। মঙ্গোল ক্যাম্পেইনিং, যা ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে সফল অভিযান- পুরোটাই মানুষের লোভ এবং আয়রনির উপরে টিকে ছিলো। সমস্যা হচ্ছে যখন বাস্তব জীবনে ফিরে আসতে হয়, একটা স্থির সমাজ তৈরি করতে হয়, একটা পরিবারকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে হয়, তখন এই মঙ্গোল আইডিওলজি আসলে তেমন কোন কাজই করে না। এই আইডিওলজিটা টিকে ছিলো একটা মানুষের ব্যক্তিগত ইচ্ছা, ডগমা, গোত্রভিত্তিক কিছু রিচুয়ালের উপরে। মঙ্গোলরা যুদ্ধপ্রিয় গোত্র, সামান্য একটু মোটিভেট করে তাদের অসম্ভব শক্তিশালী একটা যোদ্ধাজাতি বানিয়ে ফেলা হয়েছিলো। কিন্তু যখন আর জয় করার মতো কিছুই রইলো না? যখন যুদ্ধ শেষ করে যোদ্ধারা ঘরে ফিরতে চাইলো? মঙ্গোল সাম্রাজ্য এক মুহূর্তের মধ্যে হারিয়ে গেলো। কারন দিন শেষে একসময় যুদ্ধ শেষ হয়, যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মঙ্গোল আইডিওলজি মরে যায়। কোন দেশ আক্রমনের জন্য চেঙ্গিস খানের স্বপ্নকে আইডিওলজি মানাটা হয়তো অনেক এফেক্টিভ, কিন্তু ডেইলি লাইফে নিজের সন্তানকে বড় করা, নিজের পরিবারের সাথে একটা বন্ধন তৈরি করার জন্য এই স্বপ্ন তেমন কোন কাজে আসে না। এমনকি সমাজকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রবৃদ্ধি, সমৃদ্ধি এবং সাম্যাবস্থা তৈরি করতে গেলেই মঙ্গোল আইডিওলজির অসারতা চোখে বাঁধে।এই আইডিওলজির মধ্যে স্বপ্ন এবং বিজয়ের অংশটা সরিয়ে নিলেই দেখা যাবে পুরো মঙ্গোল সেনা, পুরো মঙ্গোল জাতি একে অন্যের উপর ঝাপিয়ে পড়ছে, আদিমকালের গুহামানবদের মতো দিন এনে দিন খায় ধরনের সমাজ টিকিয়ে রাখছে তারা। এই বর্বরতাকে সুগারকোট করার চমৎকার একটা উপায় হচ্ছে সেটাকে চেঙ্গিস খানের স্বপ্ন বলে চালিয়ে দেয়া। তেমুজিনের যুদ্ধের নেশাকে একটা স্বর্গীয় আদেশে ভেবে অন্য সমস্ত গোত্র,জাতির উপর সুপিরিয়রিটি দেখানোর একটা ভ্রান্ত ধারনা আজ মঙ্গোলিয়াকে বিশ্বের পিছিয়ে থাকা দেশের কাতারে রেখেছে............


যখন মানুষ বিশ্বাস করে তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের প্রশান্তির জন্য অন্য মানুষের জীবন নিয়ে নেয়া জায়েজ, যখন মানুষ মনে করে বিজয়ের জন্য মানবতা এবং প্রশান্তিকে দূরে সরিয়ে রাখা যৌক্তিক, তখন মানুষ একটা ফাঁপা আইডিওলজির দাস হয়ে যায়। একটা মন থেকে দাস হয়ে থাকা জাতি কখনোই সামনে এগিয়ে যেতে পারে না, প্রায় পুরো দুনিয়া জয় করা মঙ্গোলরাও পারে নাই............


অবশ্যই এইটা একটা মেটাফোর, একটা এনালজি মাত্র। এর বেশি মঙ্গোলদের নিয়ে লেখা বা কেন লিখেছি, তা এক্সপ্লেইন করা সম্ভব না, উচিতও না। এটা একটা গেসিং গেম, আর কিছুই না!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: সাম্রাজ্য সামন্তবাদী চিন্তার ফসল।বতর্মান পুজিবাদী সমাজে অচল।

০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৩৬

ট্রিপল এ বলেছেন: সাম্রাজ্য ব্যাপারটা আসলে হিউম্যান গ্রিড আর সাবকনশাসলি নিজেকে বা নিজের আইডিয়া, ইন্টেলেক্টকে প্রিজার্ভ করার একটা পদ্ধতি। আর এই প্রিজার্ভেশন যুগে যুগে একেকভাবে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। এটা বুদ্ধিমত্তারই একটা বৈশিষ্ট্য.........

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৫৪

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



সামন্তবাদের সময়ের মানুষ, বিশেষ করে রাজাদের বাহিনীতে কোন মানুষ ছিলো না, ছিলো "কিলিং মেশিন"। ইতিহাস ঠিকই আছে, আপনার বুঝার জ্ঞান কম।

০৬ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৩৩

ট্রিপল এ বলেছেন: এটা একটা মেটাফোর, সেটা মেশানো পয়েন্ট অফ ভিউ। যে আইডিওলজি বা আইডিওলজির পেছনের পারসেপশন নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটা না ধরে বুঝার জ্ঞান কম না বেশি, সেটা যাচাই করে ফেলতে চাইলে তো মুশকিল! অবশ্য যার যেমনটা ভাবতে ইচ্ছে করে, এতে কোন আপত্তি নেই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.