নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! ব্যাটা নিয়াজী বলেছিলো, “বাঙালী মার্শাল রেস না”। ২৫শে মার্চের পরপরই যখন লক্ষ লক্ষ তরুণ লুঙ্গি পরে হাটু কাদায় দাঁড়িয়ে অস্র হাতে প্রশিক্ষন নিতে শুরু করল, বাঙালীর এই রাতারাতি মার্শাল রেস হয়ে যাওয়া দেখে পাকিস্তানি শাসক চক্র রিতিমত আহাম্মক বনে যায়। সেই অসম সাহস সেই পর্বত প্রমাণ মনোবল আবার ফিরে আসুক বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে। দূর হোক দুর্নীতি, হতাশা, গ্লানি, অমঙ্গল। আর একবার জয় হোক বাংলার অপরাজেয় তারুণ্যের।
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে
এরশাদের বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন তার অনেক বছরের পথ চলার সঙ্গী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কাজী জাফর। একসময় তিনি বামপন্থী রাজনীতি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় অর্গানাইজার ছিলেন। বীর উত্তম জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮২ সালের পর হঠাৎ করেই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী এরশাদের সাথে যোগ দিলেন। দেশের জনগণ যখন এরশাদের বিরুদ্ধে উত্তাল আন্দোলন করছে, কাজী জাফর তখন এরশাদ সরকারের প্রধান মন্ত্রী।
কয়েকদিন আগে এরশাদের ডিগবাজীর রাজনীতির ব্যাপক সমালোচনা করলেন তিনি। এরশাদকে উদ্দেশ্য করে কাজী জাফর বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি বলেছেন, “হু ইজ কাজী জাফর? আই এম দি ফাদার অফ দ্য জাতীয় পার্টি।” আমি তাঁকে প্রশ্ন করতে চাই, হু ইজ এরশাদ? এরশাদ সবকিছুর পিতৃত্ব দাবি করতে পারেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির পিতৃত্ব তিনি দাবি করতে পারেন না।’ কাজী জাফর এরশাদকে ভদ্র ভাষায় কথা বলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলাম বলেই এরশাদ চীফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ও পরে রাষ্ট্রপতি হতে পেরেছিলেন। জাতীয় পার্টি যখন গঠন করা হয়, তখনও এরশাদ চীফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। তিনি আরও বলেন আমরা এরশাদকে সাধারণ সদস্য থেকে পার্টির চেয়ারম্যান করেছিলাম।'
যদিও এরশাদের রাজনীতির অনেক দায়ভার কাজী জাফরেরও, তারপরেও জীবন সায়াহ্নে এসে তিনি হয়তো কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইছেন। এরশাদের প্যান্ডোরার বাক্স তিনি জাতির সামনে খুলে দেবেন বলেছেন। এরশাদের যাবতীয় অপকীর্তির প্যান্ডোরার বাক্স আনঅফিসিয়ালী অনেক আগেই খোলা হয়ে গিয়েছে। এখন অফিসিয়ালী যদি কাজী জাফর তা খোলেন তাহলে তো ভালোই হয়।
আমরা একজন কাজী জাফরকে চিনতাম যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন, আমরা একজন কাজী জাফরকে চিনতাম যিনি একদলীয় শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধাচারণ করেছিলেন, আমরা একজন কাজী জাফরকে চিনতাম যিনি ছিলেন টঙ্গীর লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের নয়নের মনি।
আজ তার জীবনের শেষ বেলায় এসে তিনি অনৈতিক স্বৈরাচারী শাসকের প্রতি সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে !!!
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১
রমিত বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের কাজী জাফরকেও চিনি, এরশাদের চিনি জাফর কাজী জাফরকেও চিনি। হঠাৎ করেই তিনি সোচ্চার হয়ে উঠেছেন স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে। মূল খল নায়ক তো এরশাদই। জীবন সায়াহ্নে এসে কাজী জাফর হয়তো কিছুটা প্রায়শ্চিত্ত করতে চাইছেন।
২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: এই এরশাদ সেই এরশাদ গোমড় ফাঁসের সংবাদে গোসসা করেছেন !
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
রমিত বলেছেন: গোমড় ফাঁস হলেই ভালো হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯
এই আমি সেই আমি বলেছেন: আমরা এক কাজী জাফরকে জানি যিনি ন্যাপ , পিপিপি , বিএনপি ,জাপা হয়ে
এখন আবার বিএনপির সাথে গাঁটছড়া বাধার পায়তারা করছে ।
আমরা এক কাজী জাফরকে জানি যিনি চিনি জাফর নামে সমধিক পরিচিত । এক সময় লোকে দোকানে গিয়ে বলত এক পোয়া জাফর দেন ।
নষ্ট পীরের ভ্রষ্ট মুরিদ কে নানা বিশেষণে বিশেষিত করে তার চামচামি করে ফায়দা কি ?