![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
# ধনুরাসন (Dhanurasana):
আসন অবস্থায় দেহটা অনেকটা ধনুকের মতো দেখায় বলে আসনটির নাম ধনুরাসন (Dhanurasana)|
পদ্ধতি:
সটান উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টো হাঁটুর কাছ থেকে ভেঙে পায়ের পাতা যতদূর সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এবার হাত দু’টো পেছনদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে দু’হাত দিয়ে দু’পায়ের ঠিক গোড়ালির উপরে শক্ত করে ধরুন এবং পা দু’টো যতদূর সম্ভব মাথার দিকে টেনে আনুন। বুক, হাঁটু ও উরু মেঝে থেকে উঠে আসবে। শুধু পেট ও তলপেট মেঝেতে থাকবে। এবার উপরদিকে তাকান। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে এবং ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ এই অবস্থায় থাকুন। এরপর হাত-পা আলগা করে আস্তে আস্তে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। একটু বিশ্রাম নিয়ে আসনটি ২/৩ বার করুন। প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা:
এ আসন মেরুদণ্ডের হাড়ের জোড় নমনীয় রাখে। মেরুদণ্ড-সংলগ্ন স্নায়ুমণ্ডলী ও তার পাশের পেশী সতেজ ও সক্রিয় রাখে। বুকের পেশী ও পাঁজরের হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং বুক সুগঠিত করে। হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তলপেটের উপর দেহের সমস্ত ভার পড়ে বলে ঐ অঞ্চলের পেশী, স্নায়ুজাল সবল ও সক্রিয় থাকে এবং পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত্র, বৃহদন্ত্র, প্লীহা, যকৃৎ খুব ভালো কাজ করে। যাদের বুক বয়স অনুযায়ী সরু ও অপরিণত, তাদের এ আসনটি অবশ্য করা উচিৎ। আসনটি অভ্যাসে দেহের মধ্যভাগের অপ্রয়োজনীয় মেদ দূর হয়, মনের চঞ্চলতা দূর করে এবং স্বভাবে ধৈর্য্য বৃদ্ধি করে। কোন স্ত্রী-রোগ বা পেটের রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
ধনুরাসনের সঙ্গে পদহস্তাসন ও শশঙ্গাসন অভ্যাস রাখলে কোনদিন লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বা স্লীপড্ ডিস্ক জাতীয় কোন রোগ হতে পারে না।
নিষেধ:
যাদের হৃদযন্ত্রে বা গলদেশের ভেতরে কোন রোগ আছে, রোগ নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই আসনটি করা উচিৎ নয়।
# পূর্ণ-ধনুরাসন (Purna-Dhanurasana)
পদ্ধতি:
প্রথমে ধনুরাসন ভঙ্গিমায় বসুন। এবার হাত দু’টো আস্তে আস্তে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে দু’হাত দিয়ে দু’পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। এখন পায়ের পাতা দু’টো টেনে এনে মাথার ব্রম্হতালুর উপর রাখুন। কনুই ভেঙে সামনের দিকে আসবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ এই অবস্থায় থাকুন। এরপর আস্তে আস্তে হাত-পা আলগা করে, শুয়ে বিশ্রাম নিয়ে আসনটি ২/৩ বার করুন। শেষে প্রয়োজন মতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা:
আসনটিতে ধনুরাসনের সব উপকার আরো ভালো ও কম সময়ে পাওয়া যায়।
নিষেধ:
ধনুরাসনের নিষিদ্ধতা এ আসনটিতেও মেনে চলতে হবে।
# আকর্ণ-ধনুরাসন (Akarna-Dhanurasana)
পদ্ধতি:
সামনে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। বাঁ পা হাঁটু থেকে ভেঙে ডান উরুর উপর রাখুন। এবার বাঁ হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন এবং বাঁ পায়ের পাতাটি বাঁ কানের কাছে টেনে নিয়ে আসুন। এখন ডান হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে এবং এ অবস্থায় ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ থাকুন। এরপর হাত-পা ছেড়ে দিয়ে বসে বিশ্রাম নিন। এভাবে হাত পা বদল করে আসনটি কয়েকবার (চারবার) করুন। প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
এ আসনকেই একটু ভিন্নভাবেও করা যেতে পারে। সামনে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসে বাঁ পা হাঁটু থেকে ভেঙে ডান উরুর উপর রাখুন। এবার ডান হাত দিয়ে বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন এবং বাঁ পায়ের পাতাটি ডান কানের কাছে টেনে নিয়ে আসুন। এখন বাঁ হাত দিয়ে ডান পায়ের বুড়ো আঙুল স্পর্শ করুন এবং কোমর থেকে শরীরের উপরাংশ একটু বাঁকিয়ে মোচড় দিয়ে ২০ সেঃ থেকে ৩০ সেঃ এই অবস্থায় থাকুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে। এভাবে হাত-পা বদল করে আসনটি কয়েকবার করুন। প্রয়োজনমতো শবাসনে বিশ্রাম নিন।
উপকারিতা:
আসনটি বিশেষ করে হাত, পা ও পিঠের দু’পাশের পেশী এবং স্নায়ুজাল সতেজ ও সক্রিয় রাখে। উরু ও কোমরের সন্ধিস্থলের নমনীয়তা অক্ষুণ্ন রাখে, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আসনটি অভ্যাস রাখলে বাত বা সায়টিকা কোনদিন হয় না, আর থাকলেও অল্পদিন অভ্যাসে ভালো হয়ে যায়।
এ আসন মেয়েদের জন্য বিশেষ উপকারী। আসনটি বস্তিপ্রদেশের ও উরুর সন্ধিস্থলের পেশী ও স্নায়ুজাল সুস্থ ও সক্রিয় রাখে। ফলে কোন স্ত্রী-রোগ হতে পারে না এবং সন্তান প্রসবের সময় দৈহিক কোন বাধার সৃষ্টি হয় না।
# ধনুরাসনের বৈচিত্র্য:
এই ধনুরাসনটি আসলেই একটি বিচিত্র আসন। এর মূলানুগ চর্চা ছাড়াও প্রায়োগিক চর্চায় এ আসনের বহু বিচিত্র রূপ দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু আসন নিচে দেখানো হলো।
@ এক পদ ধনুরাসন (Eka Pada-Dhanurasana)
@ উর্ধ্ব-ধনুরাসন (Urdhva-Dhanurasana)
@ এক পদ উর্ধ্ব-ধনুরাসন (Eka Pada Urdhva-Dhanurasana)
@ এক হস্ত উর্ধ্ব-ধনুরাসন (Eka Hasta Urdhva-Dhanurasana)
@ পদাঙ্গুষ্ঠ ধনুরাসন (Padangustha-Dhanurasana)
@ দণ্ডায়মান ধনুরাসন (Dandayamana-Dhanurasana)
@ অর্ধ-ধনুরাসন (Ardha-Dhanurasana)
[Images: from internet]
(চলবে...)
পর্ব:[১৫] [**][১৭]
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:০১
রণদীপম বসু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৫:০৭
চক বলেছেন: ভাই আপনি আগে কোথায় ছিলেন। আপনারেই তো আমার দরকার।
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২৩
রণদীপম বসু বলেছেন: আমি আপনার কোন কাজে লাগবো বলে তো মনে হয় না ! তবে ইয়োগা আপনার কাজে লাগতেও পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:১৫
চাঙ্কু বলেছেন: ভুই পাইলাম
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৪৫
রণদীপম বসু বলেছেন: আপনি কী পাইলেন সেটা আপনিই জানেন। তয় আমি কী দিলাম, সেইটা আমি ঠিকই বুঝি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:১০
মনজুরুল হক বলেছেন:
দাদা, ইয়োগা না বলে "যোগাসন" বললে ভাল শোনায় না ? এটা একান্তই আমার নিজস্ব মত।
আমার তো মনে হয় ধর্য্য ধারণ শেখার জন্য যোগাসনের বিকল্প নেই।
নীলমনিকান্ত দাশ পুরোটা শেষ করবেন তো ? চলুক।
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২৪
রণদীপম বসু বলেছেন: মনজু ভাই, যোগাসন বললে যে শুধুমাত্র ইয়োগার আসনগুলোকেই বুঝায় ! আমি তো আসন, মুদ্রা, প্রাণায়াম, ধৌতি এবং পতঞ্জলির অষ্টাঙ্গ যোগের আরো কিছু বিষয়ের সমাহার করতে চাচ্ছি।
আশা করছি নীলমণি দাশের চাইতেও বেশি কিছু দিতে, যদি আপনাদের আগ্রহ থাকে। বর্তমানের প্রতিটা পোস্টের আসন ধরে নীলমণি দাশের সাথে মিলিয়ে দেখলে এখনই পার্থক্যটা ধরতে পারবেন আশা করি।
আগ্রহ নিয়ে পড়া এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মনজু ভাই।
৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:৩৪
পাললিক মন বলেছেন: ভাল পোস্ট। নিয়মিত লিখবেন।
১৩ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:১৩
রণদীপম বসু বলেছেন: আমি তো আরো ভাবলাম যে ইয়োগার বইই যখন বের হয়ে গেছে, আর বোধয় পোস্ট দিতে হবে না !
তারপরও অন্তর্জালে বাংলায় পূর্ণাঙ্গ 'ইয়োগা' পড়তে এবং চর্চা করতে চাইলে এখানে দেখুন: http://horoppayoga.wordpress.com/
টান পড়বে না আশা করি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
যুগান্তকারী বলেছেন: খাইছে দ্বিপদা এইটা মারাত্বকতো।পোস্টে প্লাস এবং বরানবরের মত প্রিয়তে।