নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিতক্ষরা

শুভেচ্ছা

মিতক্ষরা

আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।

মিতক্ষরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেই সমাধান নিহিত

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৯

একটি বিষয়ে মোটামুটি অনেকেই একমত। আজকের সংঘাতে আক্রান্ত বাংলাদেশের এই সমস্যার মূল শিকড়টি নিহিত প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা আগলে রাখার কারনে। তিনি যদি পদত্যাগের ঘোষনা দিতেন তাহলে সংকট এত ঘনীভূত হত না। কিন্তু তিনি ক্ষমতা আকড়ে রয়েছেন। প্রয়োজনে এক তরফা নির্বাচন দিয়ে হলেও ক্ষমতা ধরে রাখবেন।



প্রধানমন্ত্রীর এই ক্ষমতার লালসা তার তোষক ব্যতীত অন্য কারো মেনে নেয়ার কথা নয়। অত্যন্ত নিরীহ বিরোধী দলের পক্ষেও নয়। তাই যে বিএনপিকে সর্বদা সরকারী দলের সদস্যরা তাচ্ছিল্য করতেন এদের আন্দোলনের মুরোদ নাই, সেই বিএনপির ডাকা হরতালগুলোও চরম বিধ্বংসী হচ্ছে। বিএনপির নেতাদের মাঠে খুব একটা দেখা না গেলেও হরতালে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরগুলো রীতিমত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনতার সাড়া না থাকলে শুধু বিএনপির সুবিধাবাদী নেতৃত্ব দিয়ে এটা সম্ভব হত না। সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরনে তাদের বহু প্রতিপক্ষ তৈরী হয়েছে। যার ফলে হরতালে পিকেটিং করার মানুষের অভাব নেই। অনেক সময় হরতালের নৈরাজ্যের সুযোগ নিয়ে সরকারী দলের গুন্ডা পান্ডারাও পিছিয়ে থাকে না। নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর সেরকম কিছু ঘটনার কথাও তুলে ধরেছেন। হরতালের এই ক্ষয়ক্ষতি অনাকাংখিত। তবুও তাহরীর স্কয়ারসহ সব সরকারবিরোধী আন্দোলনে এ এক হচ্ছে করুন বাস্তবতা। ফরাসী বিপ্লব থেকে শুরু করে আজতক সব সরকার বিরোধী আন্দোলন অনেক বেশী রক্তাক্ত। পশ্চিমা ভাষায় যাকে বলে "কোল্যাটেরাল ড্যামেজ"।



চলমান হরতালগুলোর এসব ঘটনায় এটা অন্তত প্রমান হয়ে গিয়েছে কোন অবস্থাতেই শান্তিপূর্ন নির্বাচন করতে পারবে না এই সরকার। তাতে কি? প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা নিষ্কন্টক হলেই হল। হোসনে মোবারক যদি এতগুলো বছর বিরোধীদের দাবড়িয়ে ক্ষমতায় থাকতে পারেন তবে তিনি জাতির জনকের কন্যা হয়ে কেন পারবেন না? এই ভাবনা থেকেই হয়তবা প্রধানমন্ত্রী আশায় আশায় রয়েছেন ২০২১ পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখার। তিনি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তার পদত্যাগে দেশে শান্তি আসবে। আরো সত্য হল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেই শান্তি আসবে। ওটাই একমাত্র সমাধান। আর কোন বিকল্প সমাধান নেই। বিরোধী দলের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যেতে পারে হয়ত আরো কিছু দিন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ব্যতিরেকে শান্তিু আসবে না। কোনভাবেই নয়।



বিরোধী দল কি পারবে জাতিকে তাদের সুযোগ্য নেতৃত্ব উপহার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত পদত্যাগে বাধ্য করে জাতিকে এই গভীর সংকট থেকে মুক্ত করতে?



পরিশেষে এরশাদকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি জাতির পালস বুঝে এই নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেবার জন্য।



রিলেটেড পোস্ট: নির্দলীয় সরকার প্রধান প্রসংগে মাহফুজ আনাম

http://somewhereinblog.net/blog/rang/29884677

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনি নিজেও স্বীকার করে নিয়েছেন যে তার পদত্যাগে দেশে শান্তি আসবে। আরো সত্য হল শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেই শান্তি আসবে। ওটাই একমাত্র সমাধান। আর কোন বিকল্প সমাধান নেই। বিরোধী দলের আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যেতে পারে হয়ত আরো কিছু দিন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ব্যতিরেকে শান্তিু আসবে না। কোনভাবেই নয়।

সহমত।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কতদিন এই অশান্তি দেখতে হবে কে জানে। উনার ক্ষমতার খাহেশ বড়ই তীব্র।

২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

বিজন শররমা বলেছেন: আগামী নির্বাচন দলের অধীনে হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগ জিতবে । আর তত্ত্বাবধায়কএর অধীনে হলে দু পক্ষেরই নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা থাকবে । তবে আওয়ামী লীগ এই পাচ বছরে মানুষকে যে কষ্ট দিয়েছে তাতে আওয়ামী লীগ জিতবে বলে মনে হয় না ।
যাই হোক, আওয়ামী লীগ জিতলে এ দেশে সারা জীবনের জন্য গনতন্ত্রের চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে । আর বি এন পি জিতলে অন্ততঃ তা বহাল থাকবে । তাতে কোন সরকার পছন্দ না হলে এদেশের মানুষ তাদের বদলাতে পারবে । আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই যে সব নিয়ম করেছে তাতে অন্য দলের ক্ষমতায় আসা একেবারে বন্ধ হবে । আমরা কি ইচ্ছে করে গনতন্ত্রের লেবাসে একনায়কতন্ত্র বেছে নেবো ?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মিতক্ষরা বলেছেন: ক্ষমতা আকড়ে রাখতে চাওয়ার এই খেলায় আওয়ামী লীগ কি জয়ী হতে পারবে?

৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবাই এটা বুঝে। খালি বুঝেনা দলকানারা।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

মিতক্ষরা বলেছেন: আওয়ামী লীগের লোকজন যখন বিএনপির হরতালের সমালোচনা করে তখন খুব হাস্যকর মনে হয়। তারা বাংলাদেশে যত হরতাল করেছে তার চার ভাগের একভাগও কি বিএনপি করেছে?

হরতাল কোন অবস্থাতেই সমর্থন করা যায় না। কিন্তু সরকার অবৈধভাবে গদি আকড়ে থাকলে এর বিকল্প কি হতে পারে? হোসনে মোবারক পশ্চিমের আশীর্বাদ নিয়েও তো থাকতে পারলেন না। শেখ হাসিনা কি পারবেন?

৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

নীলতিমি বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, শান্তি চাই - বললেও উনি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়বেন না।

বিরোধীদলে গেলেও হরতাল দেবেন না - বললেও বিরোধীদলে গিয়ে তিনি জোরদার হরতাল দিয়েছিলেন!


হাইকোর্ট তাকে কি যেন হেডেড বলে আখ্যায়িত করেছিলো তা কার অজানা আছে... /:) /:)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

মিতক্ষরা বলেছেন: উনি যদি প্রধানমন্ত্রীত্ব ছাড়তেনই তাহলে কি আর সংকট থাকতো? তিনি অনেক কিছুই অতীতে বলেছেন অথচ করেছেন জাস্ট বিপরীত।

৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যত দিন যাচ্ছে উনি উনার জনপ্রিয়তা কমাচ্ছেন। শেষমেষ নিন্দিত হয়ে তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হবে যদি না তিনি নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে হতে দেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১১

মিতক্ষরা বলেছেন: উনি যেরকম গোয়ার তাতে মনে হয় না নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে হতে দেবেন।

৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

জামান২০১২ বলেছেন: আমি একমত নই

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

মিতক্ষরা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি কি মনে করেন প্রধানমন্ত্রীকে সরকার প্রধান রেখে কোন নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব? সরকার মেয়াদ শেষ করলেও নির্বাচন কমিশনের কি কোন নির্বাহী ভূমিকা দৃষ্টিগোচর হচ্ছে? বরং নির্বাহী ক্ষমতা তো সবই দলীয় সরকারের হাতে এখনও। এমনতাবস্থায় কি করে বিশ্বাস করা যায় যে নির্বাচনে দলীয় সরকার অতিরিক্ত সুবিধা নেবেনা?

৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০

তিক্তভাষী বলেছেন: আওয়ামী শক্তির উৎস ভারত সম্ভবত পিঠটান দিয়েছে অবশেষে। এতোদিন আওয়ামীদের সাথে গলা মিলিয়ে সংবিধান সংবিধান বলে চেঁচালেও আজ ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ বলেছে, " নিজেদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে বাংলাদেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে, ভারত কেবল অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন সমর্থন করবে।"

১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

মিতক্ষরা বলেছেন: ভারতের এটা লিপ সার্ভিসও হতে পারে। তবে যাই হোক, কথার কথা হলেও তারা এটা বলছে অবাধ নির্বাচন তারা চায়। বর্তমানে দেশে যেরকম বিশৃংখল অবস্থা চলছে তাতে নির্বাচন অবাধ হবে না বরং ভালভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে। বাধাগ্রস্ত নির্বাচন কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের মর্যাদা পায় না।

একটি জনপ্রিয় দাবীর বিপরীতে সরকারের প্রতি ভারতের এই একপাক্ষিক সমর্থন হতাশাজনক।

৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪২

রাফা বলেছেন: হুম...বাকশাল চাইনা/ ঐটা খুব খারাপ জিনিস।যেটা জন্মই নেয় নাই।তার ভয় দেখাতে ভালোই পারে দালাল শ্রেনির চাটুকাররা।
আমরা তালেবানি শাসন কায়েম করে ছাড়বো ইনশাহ আল্লাহ।মোহতারেমা তুমি এগিয়ে চলো বদর বাহিনি আছে তোমার পিছনে।
বাংলাদশকে অপপাকিস্তান অথবা নিদেনপক্ষে আফগানিস্থান তো বানিয়েই ছাড়বো।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:০৩

মিতক্ষরা বলেছেন: তলেবানি শাসন প্রতিরোধে চাই একতরফা নির্বাচন, তাই না? সেজন্য তো বাকশালই পারফেক্ট। জনম জনম একদলীয় শাসন চলবে, কোন বিরোধী দলের অস্তিত্ব থাকবে না।

রাফা সাহেব, একতরফা নির্বাচন বাংলার জনগন প্রতিরোধ করবেই ইনশাল্লাহ। তা আপনার জন্য যত বেদনাদায়কই হোক না কেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.