![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।
সকালে উঠে পত্রিকা দেখলাম। মান্না ভাই নিখোজ হয়েছেন। খবরটা আমার মধ্যে কোন অনুভূতির জন্ম দিলনা। অনুভূতিগুলো ভোতা হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশে যারা সরকারের সমালোচনা করবে, তারা তো নিখোজ কিংবা লাশ হবেই - এতে যেন অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি।
জানিনা মান্না ভাই আর কোনদিন ফিরবেন কিনা। কারন এ দেশে গভীর রাতে সাদা পোশাকধারীরা কাউকে বাসা থেকে নিয়ে গেলে সে আর ফেরত আসে না।
মান্না ভাইয়ের "অপরাধ" হল দুটি ফোনলাপ। একটিতে তিনি "বিশ্বাবিদ্যালয়ে লাশ" চেয়েছেন (?)। অন্যটিতে তিনি "জেনারেলদের সাথে কথা" বলতে চেয়েছেন (?)।
এ নিয়ে আওয়ামী সমর্থক টিভি মাধ্যমগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। মান্না লাশ চান, মান্না ১/১১ চান ইত্যাদি ইত্যাদি। অথচ কারো মনে হল না যে মান্না যখন "গেলো দুই তিনটা - কি করা যাবে" বলেছিলেন, তখন আসলে বাংলাদেশের পুলিশী রাষ্ট্রের স্বরূপটাই তুলে ধরেছিলেন। যে রা্ষ্ট্রে নেই কোন মানবাধিকার। পুলিশের গুলিতে নিহত অগনিত লাশের মিছিলে দুই একটি লাশের হিসাবটা খুব বেশী গোলমেলে নয় - এটিই হয়ত বা মান্না ভাই বোঝাতে চেয়েছিলেন।
পৃথিবীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের স্বরূপটাই কি এমন নয়? এ ক্ষেত্রে মৃত্যু ভয়কে পাশ কাটিয়ে কি ছাত্ররাই এগিয়ে আসে না? আমাদের ভাষা শহীদরা কি তেমনটি করেন নি?
এরপর আসা যাক জেনারেলের সাথে কথোপকথন। এখানে মান্না মূলত শ্রোতা। একজন কথা বলতে চেয়েছে। মান্না বলেছেন "ঠিক আছে"। এতেই সবাই ধরে নিল যে তিনি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্য জেনারেলদের সাথে কথা বলতে চেয়েছেন। অথচ মান্না কোথাও বলেন নি যে তিনি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জন্য জেনারেলের দ্বারস্থ হতে আগ্রহী।
কেউ ভাবল না যে মান্নার মত একজন মানুষের কাছে দিনে অগনিত ফোন আসে যাতে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি ভদ্রভাবে আলাপচারিতায় অংশ নেন।
দুটি ফোনালাপ দিয়ে মানুষের চরিত্র প্রকাশ পায় না। বিশেষত ফোনালাপের অনেক বিষয়ই যেখানে স্পষ্ট নয়। অথচ এই ফোনালাপ ইস্যু দিয়েই তাকে কাবু করার একটি চেষ্টা চলছে।
যা অত্যন্ত বিন্দনীয়।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯
মিতক্ষরা বলেছেন: "চিরদিন বাংলাদেশের দুঃময় থাকবে না" - এটা আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করতে চাই। আমি বিশ্বাস করতে চাই আবার মানুষ ভোট দেবার সুযোগ পাবে, আমি বিশ্বাস করতে চাই আবার সবাই ভীতির উর্ধ্বে থেকে স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে।
মান্না কোন দেবতা নন, সাধারন মানবীয় ভুল ত্রুটি থাকতে পারে। কিন্তু টক শো গুলোতে তার কথাগুলো সরকারের কাছে তিতা বোধ হত। এজন্যেই সরকার মান্নাকে ভয় পায়। সরকার ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনকে আদর্শ নির্বাচন হিসেবে চালাতে চায়। মান্নার মত লোকজন সেখানে বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১২
এই আমি সেই আমি বলেছেন: আমি তো বুঝলাম মান্না বুঝাতে চেয়েছেন এমনিতে আপনারা তো মানুষ পুড়িয়ে মারছেন গেল না হয় আর দু একটা ।
আর থিকই বলেছেন মান্না জেনারেল দের সাথে কোন চক্রান্ত করতে চান নি তিনি জেনারেল দের সাথে প্রেমালাপ করতে চেয়েছিলেন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৬
মিতক্ষরা বলেছেন: আমি ঠিক এই কথাটিই বলতে চাচ্ছি। মান্নার এই ফোনালাপটি ঠিক স্পষ্ট নয়, একেকজন একেক ভাবে একে ইন্টারপ্রেট করছে। আমি যেভাবে বুঝেছি, আপনি অন্যভাবে বুঝেছেন। এই রকম অস্পষ্ট বিষয় নিয়ে বেশী মাতামাতি করার কিছু নেই।
মান্না রাজনীতিবিদ, সবার সাথে প্রেমালাপ করাই তার কাজ। সেজন্যেই তিনি ছাত্র রাজনীতির কিংবদন্তি হতে পেরেছিলেন। উনার এই বাকপটুতার প্রশংসা উনার চরম শত্রুও করবে। চাইলে তসলিমা নাসরিনের কলামটি দেখে নিতে পারেন, কি অসাধারন বাগ্মীতায় মান্না ছাত্র ছাত্রীদের মোহাবিষ্ট করতেন।
এই একই কারনে আমিও মান্না ভাইয়ের পক্ষে গিয়েছি। রাজনীতিবিদদের জন্য মানুষের কাছে পৌছুতে পারা বড় একটি গুন। সব রাজনীতিবিদদের এই ক্ষমতা থাকে না। ড: কামাল হোসেনের অন্য অনেক গুন থাকলেও এই গুনটি ছিল না। কিন্তু মানুষকে আপন করে নেবার ক্ষমতা মান্না ভাইয়ের রয়েছে।
রাজনীতিবিদরা ধোয়া তুলসীপাতা নন। আমরা তাদেরকে আদর্শ হিসেবে দেখতে চাই, এটি আমাদের সমস্যা। আমরা কেন বুঝতে চাইনা যে রাজনীতিবিদেরা আমাদের মতই সাধারন মানুষ।
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:২২
গাঁও গেরামের মানুষ বলেছেন: মান্না খুবই জঘন্য অপরাধ করেছে, ঠিকাছে। তাইলে তাকে প্রকাশ্যে গ্রেফতার করা হোক, জেল-হাজতে নেওয়া হোক, অভিযুক্ত করা হোক, সেই অভিযোগের বিচার হোক। তা না করে গুম করা কেন?
আহমদ ছফার বর্ণনায় খানিকটা জেনেছিলাম ১৯৭৪-৭৫ এর রক্ষিবাহিনীর গল্প। এখন বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি সেইটা কি জিনিস ছিল। পার্থক্য একটাই, আগে বাহিনীর নামটা আলাদা ছিল, আর এখন পুলিশকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩
মিতক্ষরা বলেছেন: গুম খুন দিন দিন তো বাড়ছেই।
শুধুমাত্র দুটি ফোনালাপ (যার বেশীর ভাগ কথাই সংক্ষিপ্ত এবং দ্ব্যার্থবোধক) দিয়ে কাউকে অপরাধী ট্যাগ দেয়াটা সমর্থন করা যায় না।
মান্না ভাইয়ের ফোনালাপে আমিও কিছুটা হতাশ হয়েছিলাম কারন উনি আন্দোলন চালানোর বিষয়ে খোকাকে বেশ জোর দিচ্ছিলেন। বিএনপির প্রতি সাধারন জনতার সমর্থন থাকলেও এই মুহুর্তে সবাই চাইছে এই আন্দোলন শেষ হোক। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক হয়ে তিনি আন্দোলন চালানোর জন্য জোরাজুরি করছেন - এটা আমার ভাল লাগেনি। কিন্তু এর সাথে আইনের কি সম্পর্ক?
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪৭
চলতি নিয়ম বলেছেন: আপনি মান্না ভায়ের পক্ষ নিবেন সেটা তো জানা কথাই।
আর খুশির খবর হচ্ছে যে মান্না ভাইকে পাওয়া গেছে।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৭
মিতক্ষরা বলেছেন: জানা কথা তো অবশ্যই কারন আমি নিপীড়কের পক্ষে নই।
হ্যা, এটা খুশীর খবর বটে। সরকার মান্না ভাইকে হজম করতে পারেনি।
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১২
দ্যা লায়ন বলেছেন: তো কার পক্ষ নিবেন আপনি, ?
সারা ব্লগে আপনার মুর্খামী চোখে পড়ার মত।
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১১
মিতক্ষরা বলেছেন: আমি তো আর ৫% নির্বাচনের সমর্থক নই, আমি তো আর জ্ঞানীদের কাতারে নই।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মান্না ভুল লোকদের সাথে কথা বলছিল বিনা কাজে
২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৭
মিতক্ষরা বলেছেন: সেইটা কোন অপরাধ নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০৮
রেজওয়ান26 বলেছেন: মাহমুদুর রহমান মান্না একজন বীরের নাম। মাহমুদুর রহমান মান্না একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক। সে এবং বাংলাদেশ জয়ী হবেই। চিরদিন বাংলাদেশের দু:সময় থাকবে না।