![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।
বিএনপির হতাশার পালকে যুক্ত হল আরেকটি বিষয় : শমশের মবিনের পদত্যাগ। শমশের মবিন বিএনপির রাজনীতিতে ততটা পুরোনো নন। এর আগে বি চৌধুরী, অলি আহমেদের মত জন্মলগ্নের মানুষজন পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তখন বিএনপি ছিল ক্ষমতায়। আজ এখন দেশে যেখানে রাজনীতি প্রায় শূন্য, সেখানে শমশেরের পদত্যাগ মড়ার উপরে খাড়ার ঘা মাত্র।
পদত্যাগ করা একদিক থেকে ভাল। কারন সরকারের রোষানল থেকে আপাত মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি যে প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে - তার থেকে মুক্তির উপায় কি? রাজনীতি হীনতা কোন সমাধান নয়, তা পাকিস্তানকে ক্ষতির চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশেও এই রাজনীতি হীনতার কুফল শুরু হয়েছে জংগিবাদ বিস্তারের মাধ্যমে। সরকার থেকে বলা হচ্ছে বিদেশী নাগরিক হত্যার সাথে বিএনপি জড়িত। এটা প্রমান সাপেক্ষ। কিন্তু নাস্তিক ব্লগার? শিয়াদের তাজিয়া মিছিল? জংগি হামলা থেকে তো কিছুই বাকী নেই।
৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করে বিএণপি সবচেয়ে সঠিক কাজটি করেছিল। এতদিনে তো এটা পরিষ্কার যে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি কে জোর করেই হারানো হত। যেমনটি উপজেলা কিংবা মেয়র নির্বাচনে পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে। সামনের ডিসেম্বরে আসছে পৌর সভা নির্বাচন। সেখানেও বিএনপিকে অংশ নিতে হবে। নাহলে তৃনমূল পর্যায়ে বিদ্রোহ শুরু হতে পারে। এছাড়া ভোট কেন্দ্র দখলের দৃশ্যগুলোও পত্রিকায় আসবে যদি বিএনপি অংশ নেয়। দলীয় প্রতীক নিয়ে বিএনপি আপত্তি তুলেছে । কিন্তু দলীয় প্রতীকের বিষয়টি খুব বেশী গুরুত্বপূর্ন নয়, কারন বিভিন্ন নির্বাচনে এতদিন বিএনপির ব্যানারে প্রার্থী দাড়িয়েছিল। এবার তার সাথে যুক্ত হবে প্রতীক।
কিছুদিন আগে ছাত্রদলের প্রাক্তন নেতা নীরুর সাক্ষাতকার দেখলাম যে তিনি আবার ফেরত আসছেন। খবরটি আশাপ্রদ নি:সন্দেহে। মাঠপর্যায় থেকে উঠে আসা নেতারা বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য আদর্শ। তারা জানেন কি করে কঠিন সময়ে টিকে থাকতে হয়। এমনি করেই চলবে বিএনপির টিকে থাকার পরীক্ষা। সরকারের দমননীতির এই শ্বাসরূদ্ধকর অবস্থা একদিন শেষ হবে ইনশাল্লাহ। মনে রাখা দরকার, সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তাদের কোন জনসমর্থন নেই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১
মিতক্ষরা বলেছেন: সরকার, দুর্নীতি কিংবা গুম - এ সবই মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪
ঢাকাবাসী বলেছেন: বিএনপির ধ্বংশের জন্য এটার নেত্র্ীই দায়ী।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪১
মিতক্ষরা বলেছেন: নেতৃত্বের ভুল ভাল রয়েছে। কিন্তু তা ধ্বংসের পর্যায়ে যায় নি। বিএনপি প্রকৃত বিরোধী দল হিসেবে টিকে রয়েছে। বাকীরা সরকারের সাথে যোগসাজস করেছে।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৭
নেয়ামুল নাহিদ বলেছেন: হুম, ভাবনার বিষয়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২
মিতক্ষরা বলেছেন: ভাবতে ভাবতে আমরা সব সময় ব্যয় করছি, ওদিকে জংগি গোষ্ঠী চিন্তায় সময় নষ্ট না করে নিজেদের মিশন চালাচ্ছে।
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অাপনি বলেছেন, "৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি সবচেয়ে সঠিক কাজটি করেছিল ।"
নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিএনপি ক্ষমতায় না যেতে পারলেও শক্তিশালী একটা বিরোধীদলে পরিণত হতে পারতো । জনগণের দাবি-দাওয়া নিয়ে অান্দোলন করলে তাদের জনসমর্থন বাড়তো । এখন কী অবস্থা? নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জরিত । অান্দোলন করতে পারছেনা । সামনে কোন উপায় না দেখে নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছে । শমসের মবিনই বড় প্রমাণ । দল একটা ভাঙনের মুখে পড়বে ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
মিতক্ষরা বলেছেন: নাহ, জনসমর্থনের দিক থেকে বিএনপি এমনিতেই শক্তিশালী দল। বরং ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে গেলেই তাদের মোরাল নষ্ট হত। যেমনটি হয়েছিল ২০০৮ এর নির্বাচনে অংশ নিয়ে। এর পরে বিএনপির ঘুরে দাড়াতে বেশ সময় লেগেছিল। জেনে শুনে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে অংশ নেয়াটা ছিল আত্মহত্যার শামিল।
জনগনের দাবী দাওয়া নিয়ে আন্দোলন যারাই করছে তাদেরই অবস্হা বেশ শোচনীয়। সর্বশেষ উদাহরন, টিআইবিকে সরকারের ধমকানি। এ অবস্থা কতদিন থাকে কে জানে। কিন্তু তার মানে এটা নয় সরকারের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে হবে।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৮
প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: বিএনপি একমাত্র জনসমর্থনের উপরই দাড়িয়ে আছে৷ বাস্তবে সাংগঠনিক কাঠামো বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না৷
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪
মিতক্ষরা বলেছেন: আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সরকার সফলভাবেই বিএনপির রাজনীতিকে দমন করতে পেরেছে। যার ফলে একমাত্র জনসমর্থন ব্যতিরেকে অন্য কোন অর্জন চোখে পড়ছে না। সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির। একমাত্র টক শো ব্যতিরেকে তাদের উপস্থিতি নগন্য। এটাও একটা কারন হবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেবার। তখনই সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা হলেও সচল হবে।
৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৭
মানবী বলেছেন: শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁদের দলের নেতৃত্বে যথাক্রমে কাদের সিদ্দিকি ও বদরদ্দোজা চৌধুরী গ্রহন করলে হয়তো বাংলাদেশর রাজনৈতিক অঙ্গনের চিত্র অনেক বেশি ইতিবাচক ও জনমূখি হতো। মুজিব কন্য হাসিনা আর মিসেস জিয়া খালেদাকে দলীব নেতৃত্বে বসিয়ে দেশের রাজনীতির গণতান্ত্রিক ধারার কফিনের প্রথম পেরেকটি ঠুকে দেয়া হয়। আর পরবর্তীতে সজিব ওয়াজেদ জয় আর তারেক জিয়াকে দুটো দলের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠিত করে শেষ পেরেকটি বসিয়ে দেশ আজ অগণতান্ত্রিক রাজনীতির কবলে, অরজাকতা আর নৈরাজ্যে বিদ্যমান সর্বত্র!
হাসিনার এবার ক্ষমতায় এসেছে শুধু প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে নয়, সেই সাথে বিরোধী দলকে গ্রেফ্তার, নির্যাতন নিপীড়নের মাধ্যমে কাবু করে রেখে ক্ষমতার আসনে চরস্থায়ি হয়ে বসার স্বপ্ন নিয়ে..... সমস্যা হলো, হাসিনা তো কোন ছার, পৃথিবীর কোন রাজা মহা রাজাই চিরস্থায়ী হতে পারেনি।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫
মিতক্ষরা বলেছেন: সমস্যা হল আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে রাজনীতি মূলত পরিবার নির্ভর। শুধু বাংলাদেশ, ভারত কিংবা পাকিস্তানই নয়, বরং মিয়ানমারে সূচী কিংবা ফিলিপাইনে কোরাজান একুইনোও এর বাইরে নন। দলীয় রাজনীতিতে গনতন্ত্রের ধারাটি গড়ে না উঠার কারনে এই সমস্যাটি হয়েছে। পরিবার তন্ত্রের কারনে গনতান্ত্রিক ধারা অনুপস্থিত, অন্যদিকে গনতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারনে পরিবারতন্ত্রের শেকড় দৃঢ়। এ যেন দুর্ভেদ্য চক্র। বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল যেখানে একসময় বহু নেতৃত্বের সমাবেশ ছিল। কালে কালে সেই আওয়ামী লীগ এখন হাসিনা কেন্দ্রিক দলে পরিনত হয়েছে।
জিয়া এবং মুজিব পরিবার দেশের রাজনীতি আরো কিছুদিন নিয়ন্ত্রন করবে - এটাই সম্ভবত বাস্তবতা। পাকিস্তানে ইমরান খান মূল ধারার বাইরে একটি তৃতীয় ধারা তৈরী করতে সমর্থ হয়েছে। এটা বাংলাদেশে সম্ভব হবে কিনা কে জানে। সেকারনেই অলি কিংবা বদরুদ্দোজার বিএণপিতে ফিরে আসা সময়ের ব্যপার মাত্র।
৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২
মানবী বলেছেন: " সমস্যা হল আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে রাজনীতি মূলত পরিবার নির্ভর"
- এই একটি বাক্যের মাঝেই রূঢ় সত্যটি লুকিয়ে, পরিবার নির্ভর রাজনীতির কারনেই হয়তো এই দেশ গুলো আজও তৃতীয় বিশ্ব হয়েই আছে!
১৯৭১ এর হান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত তারেক জিয়া বা সজিব ওয়াজেদ জয়ের মতো দূর্নীতিবাজ মাকাল ফল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এ্ শুধু দেশবাসী নয় বরং ৩০ লক্ষ শহীদের জন্যও বেদনাদায়ক।
দেশপ্রেম বর্জিত দুর্নীতিবাজ পরবার কেন্দ্রিক স্বৈরাচারের স্বপ্ন দেখে তাঁরা স্বাথিনতা ছিনিয়ে আনতে জীবন উৎসর্গ করেননি।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১২
মিতক্ষরা বলেছেন: সত্যি কথা কি, পরিবার নির্ভর রাজনীতি এতটা বিরক্তিকর হয় না যদি উত্তরাধিকার মোটামুটি ভাবে যোগ্যতার পরিচয় দেয়। ভূট্টো কন্য বেনজির কিংবা নেহরু তনয়া ইন্দিরা গান্ধী ছিলেন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। কিন্তু এখন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি তারেক আর জয়ের হাতে থাকবে - এটা ভাবতে অনেকের কাছে হতাশ লাগে। এও সত্য, রাজনীতির যোগ্য যদি এরা না হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়ে বিকল্প খুজে নেবেই। নিজের যোগ্যতা ব্যতিরেকে শুধু পরিবারের ঐতিহ্য দিয়ে রাজনীতিতে কোনভাবেই সফল হওয়া যায় না।
৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০
মানবী বলেছেন: "এও সত্য, রাজনীতির যোগ্য যদি এরা না হয়, তবে বাংলাদেশের রাজনীতি তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়ে বিকল্প খুজে নেবেই। নিজের যোগ্যতা ব্যতিরেকে শুধু পরিবারের ঐতিহ্য দিয়ে রাজনীতিতে কোনভাবেই সফল হওয়া যায় না। "
- দুঃখজনক ভাবে বক্তব্যটি আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে সত্য নয়, বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র ও নেতৃত্বের দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হয়।
আর যদি তাদের টিকে থাকাকে সাফল্য মনে করা হয়, সেক্ষেত্রে বলতে হয় রাজনৈতিক সাফল্যের মাপকাঠি এখন ভিন্নরূপ ধারন করেছে।
দূর্নীতি, হত্যা, ধর্ষন, চাঁদাবাজি আর লুটতরাজের মাধ্যমে অন্যায় ভাবে ক্ষমতা দখল করে থাকাকেও অনেকে রাজনৈতিক সাফল্য ভেবে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেও আদতে তা কখনও সংজ্ঞায় সুস্থ রাজনৈতিক সাফল্য হতে পারেনা।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৬
মিতক্ষরা বলেছেন: আমার বিশ্বাস সুস্থ রাজনীতি এক সময় ফিরে আসবেই। কথিত গনতন্ত্র পেশী শক্তিকে লালন করে বলেই বার বার গনতন্ত্র হোচট খায়। কিন্তু অনির্বাচিত সরকার কোনভাবেই এর বিকল্প নয়, কিংবা হতে পারে না। ভোটের রাজনীতির সুস্থ কালচারকে ফিরিয়ে আনার কোন বিকল্প নেই।
ভারতের সুবিধা ছিল যে ভারতে একজন নেহেরু ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে সেই রকম মানের কোন রাজনীতিবিদ কখনই ছিলেন না।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৩
বাংলার ফেসবুক বলেছেন: অনেক সুন্দর পোষ্ট। পড়ে ভাল লাগলে । ভাল লাগা রেখে গেলাম সেই সঙ্গে আমার আইডিতে চায়ের নিমন্ত্রণ রইল।আপনার আসার অপেক্ষায় রইলাম কিন্ত। ধন্যবাদ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৬
মিতক্ষরা বলেছেন: সময় পেলে ঘুরে আসব। ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিএনপি'র পতন হওয়া মানে, বাংলাগালী জাতির মুক্তির সমান।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
মিতক্ষরা বলেছেন: তার মানে এখন বাংগালী মুক্তির মাঝে রয়েছে? সেই মুক্তির জন্য ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন করতে হয়?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
দ্রাক্ষার জল বলেছেন: তবে দেশের মানুষ সরকারের দুর্নীতির বিপক্ষে, সরকারের বিপক্ষে নয়।