![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সামু ব্লগে মিতক্ষরা এবং সোনা ব্লগে সাতকরা। এক সময় দেশে থাকতাম, এখন বিদেশ।
খামাখা অহেতুক বাতিল জিনিসে শক্তি ক্ষয়ের কোন প্রয়োজন নেই। পুরোনো জরাজীর্ন পোশাক এক পর্যায়ে ফেলে দেয়া ব্যতিরেকে কোন উপায় থাকে না, এমনকি সেলাই করার অবস্থাতেও আর থাকে না। ইউ পি নির্বাচনও সেরকম পরিস্থিতিতে চলে গিয়েছে। বিএনপির তৃনমূল এই নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির লক্ষ্যও অর্জিত হয়েছে। ব্যস। এইবার সরে আসুন ইউ পি নির্বাচন থেকে।
একজন সাধারন সমর্থক শুধু ধানের শীষ মার্কায় ভোট দেবার অপরাধে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়েছেন। এই যখন অবস্থা, তখন নির্বাচনে বিএনপির তৃনমূল কেন অংশ নিতে চাইবে? তৃনমূল যেখানে আগ্রহ হারিয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সরে আসাই উত্তম।
সেদিন হঠাৎ এক পরিচিতের ফোন পেলাম। ইউ পি নির্বাচনে নাকি নির্বাচিত হয়েছেন। কি বিষয়! বিএনপির লোক হয়ে কি করে নির্বাচিত হয়েছেন? গেলবারের নির্বাচনে দাড়িয়ে তিনি হেরেছিলেন। কেন্দ্র দখল করে আওয়ামী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিল। যার ফলে এবার আর বিএনপির পক্ষ হয়ে দাড়ান নি। সে ভুল আর করেন নি। নির্বাচন করেছেন স্বতন্ত্র হয়ে। নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ঠিকই করেছেন। বিএনপির মার্কা নেয়া মানে অহেতুক পুলিশী ঝামেলার মুখোমুখি হওয়া। কে সেসব ঝামেলায় যায়!! স্বতন্ত্র হয়ে দাড়ালে কিছুটা হলেও কম ঝামেলা হাংগামা আর বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়।
বিএনপির উচিত হবে ইউ পি নির্বাচন দলীয় ভাবে বর্জন করা কিন্তু প্রতিরোধের ডাক না দেয়া। যেসব কর্মীরা সাধারন ভাবে অংশ নিতে চায়, তারা স্বতন্ত্র হয়ে অংশ নিতে পারে। ইউ পির মত অত্যন্ত ছোট একটি স্থানীয় নির্বাচনে প্রার্থীদের রাজনৈতিক পরিচয় মোটামুটি সুবিদিত। সুতরাং বিএনপির কর্মীরা স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করলেও তারা স্থানীয় বিএনপির সমর্থন পাবে। কর্মীদের রাজনৈতিক ভাবে চাংগা হবার সুযোগটুকু থাকবে।
যারা ভাবছেন বিএনপির সাংগঠনিক বিপর্যয় হয়েছে তারা আসলে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি এখনও অটুট। তবে প্রশাসনের নির্যাতন নিপীড়ন দমননীতির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ করার মানসিকতা বিএনপি তৃনমূলের আর নেই। রাষ্ট্রের সংঘবদ্ধ র্যাব পুলিশ বিজিবির বিরুদ্ধে খালি হাতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার মানসিকতায় বিএনপির কর্মীদের মনোবল অনেকটা মোচড় খেয়েছে। এর অবশ্য প্রয়োজনও নেই, কারন বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক দল। সে কারনেই বিএনপির কর্মীরা নিজেরাও নিয়মতান্ত্রিকতার বাইরে যেতে অনিচ্ছুক। সরকার নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতির অধিকার কেড়ে নিয়েছে, এর ফল সরকারই ভোগ করছে। বিএনপি শান্তিপূর্ন উপায়ে প্রতিবাদ জানাবে, সভা সমাবেশ করবে, মিছিল মিটিং করবে। জনগনকে সাথে নিয়ে আন্দোলন করবে। কিন্তু জনগনকে জিম্মি করে আন্দোলন নয়। বিএনপি এগোলে দেশ এগোবে। কারন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৪
মিতক্ষরা বলেছেন: সেই প্রশ্ন তো সবার। শেরাটনের সামনে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পোড়ানোর সংস্কৃতি যারা চালু করেছে তারাই হয়ত বা।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিএনপি'র ইতিহাস হলো, কেন্দ্রে ক্ষমতা দখল করা; নীচেরগুলো আপনিই কাজ করবে; ওরা এত নীচু লেভেলে কি করছে?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:১৬
মিতক্ষরা বলেছেন: হ্যা, বিএনপিকে আরো বেশী গনতন্ত্রয়ানের কাজটুকু করতে হবে। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে সেই হাওয়া লাগছে বলেই মনে হচ্ছে। বিএনপির তৃনমূল এখন বেশ শক্তিশালী, তাকে উপেক্ষা করা কেন্দ্রের পক্ষে কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১৮
আহসানের ব্লগ বলেছেন: বিএনপির কর্মীরা নিজেরাও নিয়মতান্ত্রিকতার বাইরে যেতে অনিচ্ছুক।

মানুষ গুলো তবে কারা পোড়ায় !!!