![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকালে উঠেই দেখি মৃন্ময়ীর ক্ষুদেবার্তা। প্রতিদিন সে কী মিষ্টি করেইনা লেখে। রাতে ঘুমুতে যাবার আগে তার লেখা পড়ে ঘুমাই। ঘুম থেকে জেগেই দেখি তার মিষ্টি হাতের লেখা। কখনও ক্ষুদেবার্তায় বা কখনও ফেবু নিউজফিডে। তার সব লেখাতেই ছোঁয়ে দেয় হৃদয়। ফেসবুক ওয়ালে তার লেখাতে লাইক দিতে পারিনা। কারণ, তার বারণ। তার বারণ মানতে গিয়ে লেখার মুল্যায়নটি কমেন্টবক্সে লিখতে পারিনা। তো তাই বলে কী মুল্যায়নটি হবে না। সাথে সাথেই কল দিই। “এই মৃন্ময়ী শুনছো! তোমার এই লেখাটি না—অসম্ভব ভালো হয়েছে। এতো সুন্দর করে লেখো ক্যামনে!"
ওপাশ থেকে সে সহাস্যে উত্তর দেয়, “হয়েছে হয়েছে আর ভাঁজতে হবেনা।"
একদিন সে সমরেশের উত্তরাধিকারী বইটির ফার্স্ট এডিশনটি পড়ার ইচ্ছা পোষণ করলো। গঞ্জের কোনো লাইব্রেরীতে পেলাম না। শহরের আন্দরকিল্লাতেও না।
সেবার অফিসে থেকে ফিরছিলাম। আগ্রাবাদ মোড়ে এসে গাড়ি থেকে নেমে আখতারুজ্জামান সেন্টারের দক্ষিণ দিকে ঢুৃঁ দিতে ইচ্ছে হলো। রাস্তার পাশে কিছু পুরোনো বইয়ের পশরা সাজিয়ে বসে আছে তিন-চারটে বই ব্যাবসায়ী। বইটি ওখানেই খুঁজতে লাগলাম। চোখে আটকালো পুরোনো সেই উত্তারধিকারী বইটির ফার্স্ট এডিশনে। দুপাশের মলাট খাওয়া। বাঁধানো ঠিক নেই। তবুও কিনে নিলাম বইটি। দাম ষাট টাকা নিয়েছিলো। টাকার ব্যাপারটি আসল বিষয় না। এই বইটি দিয়ে একজনের মুখে হাসি ফুটাতে পারার আনন্দটাই আসল।
প্রতি শুক্রবার মৃন্ময়ীর সাথে দেখা হয় জিইসির রেস্টুরেন্টে।
বইটির মলাট সুন্দর করে বাঁধিয়ে মৃন্ময়ীর কাছে এগিয়ে দিলাম। তার চোখে মুখের উজ্জ্বল আনন্দ আমার হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেলো। সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলো আমাকে। অনেকক্ষণ।
বললাম, “বইটি না দিলে জড়িয়ে ধরতে না?"
সে তখনি বুক থেকে মাথা সরিয়ে আমার মাংসল পেশীতে ঘুষি দিতে লাগলো। আমাদের মিষ্টি খুনসুটি আঁচ করতে পেরে পাশের বক্সে বসে থাকা কাপলগুলো একে অপরকে বলতে লাগলো, "দেখো এরা কত নাইস কাপল, প্রেমও করছে, খুনসুটিও করছে। আর তুমিই তো এসব করোনা। হাদারাম একটা।"
কথাগুলো শুনে মৃন্ময়ী হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়লো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। খুব সাধারন শব্দ ব্যবহার করে আপনি পাঠকের কাছে সঠিক দৃশ্যয়ন ফুটিয়ে তুলেছেন। নিয়মিত লিখবেন আশা করি এবং অন্যদের লেখাও আপনার মন্তব্য, আলোচনা সমালোচনা চাই।