![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবুজ প্রকৃতির ছেলে
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ মূলত আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর থেকে। এ যুদ্ধে বাঙ্গালি সেনাদের অসাধারণ ভূমিকা বারবার চেপে যেতে চেয়েছে পাকিস্তান
৬ সেপ্টেম্বর মার্কিন পরামর্শে ভারত হঠাৎ করেই করাচি আক্রমণ করে বসে। এ সময় বাঙ্গালিসেনাদের প্রচ- আক্রমণের মুখে লাহোরের উপকণ্ঠে এসে থেমে যায় ভারতীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রা। লাহোর প্রতিরক্ষার সেই যুদ্ধ ছিল আধুনিক যুগে বাঙ্গালি সেনাদের অংশ নেওয়া প্রথম সক্রিয় ও সর্বাত্মক যুদ্ধ। এর আগে বাঙ্গালিদের দেখা হতো নন-মার্শাল রেস (অযোদ্ধা জাতি) উদ্ভূত সৈন্য হিসেবে।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের ৮ টি ডিভিশনের মধ্যে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মাত্র ৪ টি ব্যাটেলিয়নের মাধ্যমে সংগঠিত ছিল। এর অধিনায়ক ছিলেন লে. কর্নেল আতিক হক। মাত্র এই ৪ টি ব্যাটেলিয়ন নিয়ে তিনি যুদ্ধে যে দক্ষতা দেখান তার জন্য যুদ্ধের পর পাকিস্তান বাধ্য হয় তাদের সর্বোচ্চ সামরিক পদক প্রদান করতে।
সে যুদ্ধে পরবর্তীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান পাওয়া প্রায় প্রত্যেক সমরনায়কই কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী, জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, আবু তাহের, আবুল মনজুরসহ প্রত্যেকেই বীরত্ব দেখান। জিয়াউর রহমান ৪৬৬ জন সৈন্যের একটি বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। সেই বাহিনীই প্রথম ভারতীয় বাহিনীর সামনে পড়ে। তাজুল ইসলাম নামে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন এনসিও নিজের বুকে মাইন বেঁধে আগুয়ান ভারতীয় ট্যাংক বহরের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দেন।
স্থলবাহিনীর পাশাপাশি বিমানবাহিনীতে কর্মরত সেনারাও ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে কৃতিত্ব দেখান। বাঙ্গালি বৈমানিক মোহাম্মদ মাহমুদুল আলমের নাম এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আলোচিত। একটি হীনবল এফ-৮৬ স্যাবর জঙ্গিবিমান দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে প্রথম মিনিটেই পাঁচটি ভারতীয় হকার হান্টার বিমান ভূপাতিত করে বিমানযুদ্ধের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা রেকর্ড গড়েন।
যার মধ্যে প্রথম চারটি ভূপাতিত করেন মাত্র ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে। এটি আজ পর্যন্ত একটি বিশ্বরেকর্ড। পুরো যুদ্ধে তিনি মোট নয়টি ভারতীয় জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেন।
পাকিস্তানে এখনো তিনি একজন জাতীয় বীর হিসেবেই পরিগণিত। ২০১৪ সালে তার নামে পাঞ্জাবের মিয়ানওয়ালী বিমানঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে ‘পিএএফ বেস এম এম আলম’। লাহোরের একটি প্রধান সড়কের নামও এম এম আলম রোড। ঢাকা মিউনিসিপালটি করপোরেশন ৬৫’র যুদ্বের পর তাকে ঢাকায় একটি বাড়ি উপহার দেয়।
আরেক বাঙ্গালি বৈমানিক সাইফুল আজমও বীরত্বের সাথে ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাথে ডগফাইট করে একটি জঙ্গিবিমান ভূপাতিত করেন। পরবর্তীতে সাইফুল আজম ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধেও অংশ নেন। সেখানেও তিনি ইসরাইলি বিমানবাহিনীর ত্রাসে পরিণত হন। তিনি যতগুলো ইসরাইলি বিমান ভূপাতিত করেন তা আজও রেকর্ড হয়ে আছে। আজ পর্যন্ত অন্য কেউ একা এতগুলো ইসরাইলি বিমান ধ্বংস করতে পারেনি। সাইফুল আজম বিশ্বের ২২ জন লিভিং ঈগলের একজন বলে বিবেচিত।
১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধ অমীমাংসিতভাবে সমাপ্ত হলেও এর কিছু সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য থেকে যায়। এই যুদ্ধের মাধ্যমেই বাঙ্গালিদের কপাল থেকে নন-মার্শাল রেসের কলঙ্ক মুছে যায়।
বাঙ্গালিদের নন-মার্শাল রেস বা অযোদ্ধা জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। বাঙ্গালিদের বিদ্রোহ দমন করে রাখার জন্য ব্রিটিশরা অপপ্রচার চালাত, বাঙ্গালিরা কৃষিকাজ ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে যতটা দক্ষ যুদ্ধে ততটাই অদক্ষ।
১৯৬৫ সালের যুদ্ধে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ বাঙ্গালি অফিসারই বীরত্ব পদক লাভ করেন। জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদক হিলাল-ই-জুররাত লাভ করেন। জিয়ার ইউনিট তিনটি তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক পদক সিতারা-ই-জুররাত ও নয়টি চতুর্থ সর্বোচ্চ সামরিক পদক তমঘা-ই-জুররাত অর্জন করে।
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: তথ্যগত ভুল আছে কিছু। লেঃ কঃ আতিক ছিলেন ১ম বেঙ্গলের সিও। স্যাবর ওই সময়ের অত্যাধুনিক বিমান ছিলো। মাহমুদ আলম কঠিন পাকিস্তান প্রেমী ছিলেন এবং ৭১ এর পরে সেখানেই থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নেন এবং এয়ার কমোডর হিসেবে রিটায়ার করেন। ৭১ এ উনিও গ্রাউন্ডেড ছিলেন, সাইফুল আযমও। ভাতর আমেরিকার পরামর্শে আক্রমন করেনি বরন ৬৫ এর যুদ্ধে শুরু করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী অপারেশন গ্রান্ড স্লামের মাধ্যমে, পরে যার কারনে মান সম্মান যাবার উপক্রম হয়।
এটা বলা হয় যে লাহোর রখা পায় বেঙ্গল রেজিমেন্টের আত্মত্যাগের কারনে। বুকে মাইন বেধে ইন্ডিয়ান ফার্স্ট আর্মার্ড ডিভিশনের ট্যাঙ্ক বহরের সামনে ঝাপিয়ে পরে বেশ কিছু ট্যাঙ্ক ধ্বংস করে যে কারনে আরো ক্কজতির আশংকায় আর অগসর হয়নি। এ ব্যাপারে একটা বই লিখেছিলো কে জানি, "বেগল রেজিমেন্টঃ হু সেভড লাহোর" নামে। পাকিস্তান সরকার তুলে নেয় সেটা। জিয়ার ইউনিট পায় দ্বিতীয় সর্বচ্চ পদক খেমকারান যুদ্ধে বীরত্বের কারনে। এসব উদাহরন এবং পরে বাঙ্গালী লেঃ জেঃ খাজা ওয়াসীউদ্দীনের চেস্টায় যিনি পাকিস্তানের প্রথম কোরের অধিনায়ক ছিলেন ৭১ এ এবং যুদ্ধ শুরুর পর নজরবন্ধী হন, তার চেস্টায় ইবিআরসি এবং আরো ৬ টি ব্যাটালিয়ান রেইজ করা হয় এবং সামরিক বাহিনীর নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৫ ভাগ বাঙ্গালী রিক্রুট নেয়ার নিয়ম করা হয়। লেঃ জেঃ খাজা পরে দেশে ফেরত আসেন যুদ্ধবন্ধী বিনিময়ের সময় এবং পরে সামরিক উপদেস্টা ও এম্ব্যাসেডর ছিলেন।
এসব কাহিনী আমাদের অজানা, কিন্তু বাঙ্গালী জাতি এই পর্যন্ত আসবার পেছনে এমন অনেক মানুষের অবদান আছে। এরা জাতির সম্মান নিচু হতে দেননি কখনো।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১১
কোলড বলেছেন: You need to read more books before you pen childish stuff. At least read Major A H Amin's '1965 India Pakistan War" and "Atlas of Battle of Chawinda". East Bengal had no role in blunting Indian attack . Zia with East Bengal attacked Khemkaran but that too got bogged down by brilliant Indian general Harbaksh Singh's defence in asal uttar. There is no reported destruction of tanks by self sacrificing Bengali soldier.
Increasing the East Bengal regiment was Yahya Khan's idea to remedy the lopsided representation of Bengali in Pakistan army. In that respect Yahya was better than Ayub.
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৩
কোলড বলেছেন: about Bengali as soldiers read Field Marshall Auchinleck's comment in "disastrous twilight". That was quite revealing and turns out to be true.
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৫:২৪
রমিত বলেছেন: বাঙালী কখনো অযোদ্ধা জাতি ছিলো না। বাঙালী চিরকালের বীরের জাতি।
অতি প্রাচীন দ্বন্দ্ব ও বাংলার বীরত্বগাঁথা:
http://www.somewhereinblog.net/blog/ramit/30023850#c11044056
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪
প্রবালরক বলেছেন: @কোলড
Your statement is telling about the courage and skills of Indian Army, who and how they shattered defense for Lahore but avoids pointing out how that courageous and skilled Indian Army's march came to halt and never reached Lahore.
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: স্যালুট ১৯৬৫ সালের শৌর্য্যবান বাঙালীদের ।
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১
শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: দুর্দান্ত ।
৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
স্যালুট ১৯৬৫ সালের শৌর্য্যবান বাঙালীদের ।
১০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫১
কোলড বলেছেন: "প্রবালরক বলেছেন: @কোলড
Your statement is telling about the courage and skills of Indian Army, who and how they shattered defense for Lahore but avoids pointing out how that courageous and skilled Indian Army's march came to halt and never reached Lahore."
The Indian attack on Lahore was blunted in battle of chawinda, the largest tank battle since WWII. East Bengal regiment had nothing to do with that. We south asians have tendency to invent history
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:৪৩
চলন বিল বলেছেন: আমরা তাদের এত উপকার করেছিলাম, কেমন করে তারা আমাদের ৩০ লক্ষ মানুষকে মেরে ফেলল? কেমন করে তারা আমাদের ২ লক্ষ মা বোনকে ধর্ষণ করল?
১২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৪
মেহবুবা বলেছেন: ভাল লাগল জেনে, নৌবাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে কিছু নেই কেন? এটা কি ১৮ দিনের একটা যুদ্ধ হয়েছিল সেটা ?
কোলড নামের ব্লগার কেন ইংরেজীতে লিখছে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাশেদ আহমেদ শাওন ,
শতবারের উপরে পঠিত । কিন্তু আশ্চর্য্য, মন্তব্য নেই । তবে কি আমরা বাঙালীর শৌর্য্যবীর্যের কাহিনী শুনতে চাই না ?????
গর্বিত স্যালিউট , ১৯৬৫ সালের সেই সব শৌর্য্যবান বাঙালীদের ।