নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পরম সত্য বলে কিছু নেই।

জেন রসি

সময়ের সাথে দাবা খেলি। বোর্ডের একপাশে আমার অস্তিত্ব নিয়ে বসে আছি। প্রতিটা সিদ্ধান্তই এক একটা চাল। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত খেলাটা উপভোগ করতে চাই!

জেন রসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ সমান্তরাল

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১




মেয়েটাকে মেরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেল।রহমতের কথায় চমকে উঠল নাবিল।নাবিলের বয়স কম।নিজেকে যতটা নিষ্ঠুর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় ততটা নিষ্ঠুর সে হয়ে উঠতে পারেনি।রহমতের শিষ্য নাবিলের জন্য এটা লজ্জার বিষয়।যদিও শিশুকাল থেকেই সে চারপাশের মানুষের ঘৃণা এবং নিষ্ঠুরতার মধ্যেই বড় হয়েছে।রহমতের সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে বুঝতে পেরেছে নিষ্ঠুরতার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ আছে।প্রথম যেদিন জব্বাররে নিজ হাতে জবাই দিয়েছিল সেদিন এক অপার্থিব আনন্দ পেয়েছিল নাবিল।মৃত্যুর সময় মানুষের অসহায়ত্ব নাবিল সবচেয়ে বেশী উপভোগ করে।কিন্তু মানুষ হত্যা করার পর রহমত যেমন নির্লিপ্ত থাকতে পারে,নাবিল তেমনটা পারে না।তার প্রতিভার কথা সমগ্র দুনিয়াকে জানাতে ইচ্ছে করে।খুন করার প্রতিভা!

দরজা জানালা বন্ধ একটি রুমে বসে আছে আয়না।তার সামনে কলা এবং পাউরুটি রাখা আছে।তাকে ধরে আনা হয়েছে হত্যা করার জন্য।কিন্তু নাবিল নামের ছেলেটি তার খুব খাতির যত্ন করছে।কেন করছে তা আয়না জানে।নাবিল তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। আয়নার প্রেমে পরেনি এমন পুরুষ খুব কম আছে।সে খুনি কিংবা মহাপুরুষ যাই হোক না কেন!আজ তিন দিন হয়েছে নাবিল আয়নাকে ধরে এনেছে।প্রথম দিন নাবিল হাসি মুখে এসে আয়ানাকে বলল, একটু পর তোমাকে হত্যা করা হবে।তোমার শেষ ইচ্ছা কি বল।আয়না খুব আনন্দিত ভঙ্গীতে বলল, আমার শেষ ইচ্ছা তোমাকে চুমু খাওয়া।মৃত্যুর পূর্বে নিজের হত্যাকারীকে চুমু খাওয়ার অনুভূতি কেমন হয় সেটা জেনে মরতে চাই।নিমিষেই মুখের হাসি মিলিয়ে গেল নাবিলের।নাবিল ভয় পেয়েছে।সে হতভম্ব গলায় বলল,আপনি সুস্থ স্বাভাবিক না, আপনি পাগল।এ কথা বলে সে দ্রুত চলে গেল।

আয়না মেয়েটিকে খুব দ্রুত হত্যা করতে হবে।মেয়েটিকে হত্যা করলে মোটা অংকের টাকা পাবে নাবিল।কিন্তু আয়নার কথা মনে হলেই নাবিলের কেমন যেন একটা অনুভূতি হয়।এ এমন এক অনুভূতি যেখানে শান্তিও লাগে আবার অস্থিরও লাগে।এই ধরনের অনুভূতি নাবিলের আগে কখনই হয় নাই।মেয়েদের প্রতি কামনা বাসনা নাবিলের আছে।সেই কামনা বাসনা মিটানোর জন্য বিশেষ জায়গায় সে মাঝে মধ্যেই যায়।কিন্তু আয়নাকে তার স্পর্শ করতে যেমন ইচ্ছে করে,তেমনি আবার ভয়ও লাগে।এ এক আজব অনুভূতি!এটাকেই মনে হয় সোজা বাংলায় প্রেম বলা হয়।

আয়নার জন্য নাবিল এক প্যাকেট বেনসন সিগারেট রেখে গেছে।সেখান থেকে একটি সিগারেট নিয়ে মনের সুখে কয়েকটা টান দিল আয়না।নাবিল আয়নাকে বলেছে, মেয়েছেলের নেশা করা ঠিক না।নেশা হচ্ছে পুরুষের জন্য।আয়না নাবিলের চোখে চোখ রেখে বলেছে, যে মেয়ে যে কোন মুহূর্তে খুন হতে পারে তাকে নিয়ে নাবিলের এত কিসের চিন্তা।নাবিলকে কেমন যেন ভূতে পাওয়া মানুষের মত মনে হচ্ছিল।কিছুক্ষন পরেই ফিরে এল নাবিল।লাল চোখ দেখেই বোঝা যায় গাঁজা টেনে এসেছে।স্বাভাবিক অবস্থায় আয়নার সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নাবিলের নেই।আয়নার সামনে ঝিম মেরে বসে আছে নাবিল।আমায় খুন করছ না কেন?আয়নার প্রশ্নে চমকে উঠে নাবিল।আপনাকে খুন করা আমার পক্ষে সম্ভব না।নিচের দিকে চোখ নামিয়ে উত্তর দেয় নাবিল।তাহলে আমাকে ধরে রেখেছ কেন?আপনি এখন মুক্ত।ইচ্ছা করলে চলে যেতে পারেন।তুমি কি আমার প্রেমে পরেছ?নাবিলের দিকে সরসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় আয়না।হঠাৎ করে আয়নাকে সজোরে থাপ্পর মারে নাবিল।তার সমস্থ শরীর ক্রোধে কাঁপতে থাকে।আয়নার ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে।সে একদলা রক্তমাখা থুতু নীচে ফেলে নাবিলের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল।তারপর ঠাণ্ডা গলায় নাবিলকে তার মুখোমুখি বসতে বলল।সুবোধ বালকের মত আয়নার মুখোমুখি বসল নাবিল।আয়না বলল তুমি আমার প্রেমে পড়েছ।খুন করা তোমার জন্য স্বাভাবিক হলেও প্রেমানুভুতি তোমার জন্য নতুন।তাই তুমি অস্থির বোধ করছ।তুমি চাইলে তোমাকে আমি সাহায্য করতে পারি।আপনি আমাকে কিভাবে সাহায্য করবেন?ক্লান্ত স্বরে জানতে চাইল নাবিল।আমি তোমাকে বিয়ে করব!সহজভাবে উত্তর দিল আয়না।



বস্থার ভিতরে গলা কাঁটা একটা লাশ পাওয়া গেছে।পুলিশ সনাক্ত করে বলেছে লাশটি শীর্ষ সন্ত্রাসী নাবিলের।সে দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিল।সিরিয়াল কিলার নাবিলের মৃত্যুতে কিছু মানুষ আনন্দ মিছিল এবং এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে।সাংবাদিকরা নাবিল বিষয়ক এক্সক্লুসিভ খবরের জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছে।পুলিশ বলেছে এই হত্যাকাণ্ড বিরোধী পক্ষের কাজ হতে পারে।তদন্ত করার পরই পুলিশ সঠিক উত্তর দিতে পারবে!

আজ অনেকদিন পর রহমতের মেজাজ খারাপ।রহমত নির্লিপ্ত থাকতে পারছে না।সব কিছুর প্রতি তার প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে।তার নাকের ডগার উপর নাবিলকে হত্যা করা হয়েছে।অথচ সে জানে না কখন কিভাবে এই ঘটনা ঘটল।আয়না নামক মেয়েটিকে নিয়ে প্রথম থেকে রহমতের মনে সংশয় ছিল।নাবিলকে সাবধান হতে বলেছিল।কিন্তু আফসোস!চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী।

মাওলানা হাফিজ ঝিম মেরে বসে আছে।নামাযের সময় চলে যাচ্ছে,অথচ নামায পড়তে ইচ্ছে করছে না।নামায পড়াটা এই মুহূর্তে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়।তিনি আয়নাকে নিয়ে চিন্তিত।আয়নাকে খুন করার জন্য শীর্ষ সন্ত্রাসী নাবিলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।কিন্তু এখন নাবিল নিজেই খুন হয়ে বসে আছে।একটা মেয়েছেলেরে সামলাতে পারেনা, এ কেমন সন্ত্রাসী!বেশ কয়েক বছর আগে মাওলানা হাফিজের ছেলে খুন হয়।ছেলেটার স্বভাব চরিত্র অবশ্য ভালো ছিল না।তিনটা ধর্ষণের মামলা তার মাথার উপর ঝুলতেছিল।পুরুষ মানুষের একটু বদ অভ্যাস থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।টাকা পয়সা এবং ক্ষমতা দিয়ে সেটা সামাল দিতে পারতেন তিনি।কিন্তু তার পূর্বেই ছেলেটা তার খুন হয়।মাওলানা হাফিজ জানতে পারে এই খুনের পিছনে আয়না নামক একজন রহস্যময়ী মেয়ের হাত আছে!

বিয়ারের ক্যানে চুমুক দিয়ে সিগারেটে কষিয়ে একটা টান দিলাম।খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত এখন আমাকে নিতে হবে।আয়নাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে।আমি সে কাজে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছিলাম।আর একটু কাজ বাকি আছে।কিন্তু আয়নাকে খুঁজে পেলেই মাওলানা হাফিজের ছেলেকে হত্যার দায়ে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।একজন ধর্ষকের হত্যাকারীর বিচারের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।তাছাড়া আয়নার রহস্যময় জগতের রহস্য আমি ভেদ করতে চাচ্ছি না।কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়,

চিরকাল এইসব রহস্য আছে নীরব
রুদ্ধ ওষ্ঠাধর
জন্মান্তের
নবপ্রাতে সে হয়তো আপনাতে
পেয়েছে উত্তর।।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শায়মা বলেছেন: নাবিল হাসি মুখে এসে আয়ানাকে বলল, একটু পর তোমাকে হত্যা করা হবে।তোমার শেষ ইচ্ছা কি বল।আয়না খুব আনন্দিত ভঙ্গীতে বলল, আমার শেষ ইচ্ছা তোমাকে চুমু খাওয়া।মৃত্যুর পূর্বে নিজের হত্যাকারীকে চুমু খাওয়ার অনুভূতি কেমন হয় সেটা জেনে মরতে চাই।



এইটা পড়ে আমি হা হা হা হা হা হা

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জেন রসি বলেছেন: মজা পেয়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

শায়মা বলেছেন: বিয়ারের ক্যানে চুমুক দিয়ে সিগারেটে কষিয়ে একটা টান দিলাম।খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত এখন আমাকে নিতে হবে।আয়নাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে।আমি সে কাজে অনেকটাই অগ্রসর হয়েছিলাম।আর একটু কাজ বাকি আছে।


বাপরে!!!!!!!!!!

গেছি !!!!!!


আগে বলবা তো!!!!!!!!!!!!!!


কি সাংঘাতিক!!!!!!!!!!!!!! B:-)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫০

জেন রসি বলেছেন: আপনি ভয় পাইতেছেন কেন?

বাস্তবে না হইতে পারি, কিন্তু গল্পের মধ্যে নিজেরে ডিটেকটিভ বানাইয়া দুধের স্বাদ ঘোলে মিটাইলাম আরকি!!!!!!!!

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

শায়মা বলেছেন: ।তাছাড়া আয়নার রহস্যময় জগতের রহস্য আমি ভেদ করতে চাচ্ছি না।কবিগুরুর ভাষায় বলতে হয়,

চিরকাল এইসব রহস্য আছে নীরব
রুদ্ধ ওষ্ঠাধর
জন্মান্তের
নবপ্রাতে সে হয়তো আপনাতে
পেয়েছে উত্তর।।


আরও গেছি !!!!!!!!!!

না বাবা আর আমি নাই!!!!!!!!!

টা টা বাই বাই !!!!!!!!!!!:(

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

জেন রসি বলেছেন: গল্পের শেষ কিভাবে করব এইটা নিয়া চিন্তিত ছিলাম!!!!

তাই কবিগুরুরে নিয়া আসছি!!!!!!!

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শায়মা বলেছেন: কবিগুরুকে আনো আর যারেই আনো আমি ভুই পাইসি ভাইয়ু!!!!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫

জেন রসি বলেছেন: আমিত ভূতের গল্প লেখি নাই!!!!!

গল্প নিয়া একটু এক্সপেরিমেন্ট করতে চাইছিলাম!!!!!

ভয়ের কি আছে??

আমারে একটু বলেন!!!

লেখক হইয়া আমি নিজেই জানি না!!!!!!

আফসোস!!!!

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

শায়মা বলেছেন: বলবোনা!!!!!!!!!!

তাইলে আরও ভুই দেখাবা!!!!!!!!!! :P

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

জেন রসি বলেছেন: আমি কাউকে ভয় দেখাই না!!!!!!

বরং ভয় দূর করি!!!!!!!!!

ভয়টা কি বলে ফেলেন?

দূর কইরা দিতাছি!!

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

শায়মা বলেছেন: না!!!!!!!!!!!!!!
না!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
না~!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

বরং লাচ্চা বানাতে যাই।

খেয়ে দেয়ে সাহস !!!!!!!!!!!!!!!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

জেন রসি বলেছেন: তাহলে আর সমস্যা কি???

গল্প পড়ার সময় লাচ্চা সেমাই খাবেন!!!!

ভয় খাওয়া লাগবেনা!!!!!

৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:২৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ধোঁয়াশাময়। তবু ভালো লেগেছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩১

জেন রসি বলেছেন: এক্সপেরিমেন্টাল গল্প লেখার প্রয়াস।

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

ধোঁয়াশাময় কেন মনে হয়েছে???

৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৪২

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: চরিত্রগুলো ব্যাপকতা পেতে পারত। কিন্তু বেঁধে দিয়েছেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

জেন রসি বলেছেন: চমৎকার অবলোকন।

চরিত্রগুলো নিয়ে আরো গভীরভাবে চিন্তা করলে ব্যাপকতা দিতে পারতাম।

লেখক হিসেবে সেটা না করাটা আমার সীমাবদ্ধতা।

পরেরবার খেয়াল থাকবে রাজপুত্র ভাই।

৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: মজা পাইলাম :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪০

জেন রসি বলেছেন: মজা পেয়েছেন বলে অনন্দিত হলাম :)

আপনিও মনে হয় রহস্য পছন্দ করেন!!

নাম প্রকাশেই অনীহা!!!

১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১২

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: খুব একটা ভাল লাগেনি

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৫

জেন রসি বলেছেন: সত্য কথা বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

গল্প আমার কাছেও ভালো লাগেনি!

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৯

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন:
আয়না চরিত্রের কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা নিজে নিজে বানাইতে পারলামনা। জাস্ট নাবলরে মারলে কিংবা ওই ধর্ষকরে মারলে হয়তো দেয়া যাইতো। কিন্তু দুইটা হইয়া একটু আউলা লাগলো। রহস্য হইয়া গেলো।

এইটা তো ছোটগল্প, তাই এইখানেই হয়তো গল্পের সফলতা অথবা এইটাই গল্পের ব্যার্থতা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২

জেন রসি বলেছেন: গল্পে রহস্য থাকুক সেটা চেয়েছিলাম।কিন্তু গল্পটি যেভাবে লিখতে চেয়েছিলাম পড়ার পর মনে হয়েছে সেভাবে লিখতে পারিনি।এটা আমার সব গল্পের ক্ষেত্রেই হয়।

আফসোস!!!

১২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:১৭

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
রহস্য রাখতে গিয়ে দ্রুত টেনেছেন ৷

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২০

জেন রসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই।

দ্রুত টেনেছি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন।

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:১৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বিয়ার খাওয়া ভালু না। দুষ্টু লোকেরা বলে বিয়ারে চুপিচুপি অ্যালকোহল মিশানো থাকে। শোনা কথা। শোনা কথায় কান দিতে নাই ;) ;)


সিগারেট খাইলে কাশি হয় B-) :D


তবে দুইটা একসাথে খাইলে কি হয় জানা যায় নাই। প্রয়োজনে হেকিম সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করুন। ;) ;)


জনাব ব্যোমকেশ হোমস আপনার পরীক্ষা শেষ হলে আওয়াজ দিয়েন। বাংলাওয়াশের শুভেচ্ছা রইল :)

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:১০

জেন রসি বলেছেন: পরের বার গল্পের চরিত্রগুলোকে নেশা করতে মানা করে দিব ;)

তারপরেও যদি করতে চায়, তাহলে আপনার কাছে পাঠিয়ে দেব!!!!!

আপনি পিউরিটান মানুষ :)

দরকার হইলে থাবড়াইয়া সবগুলোর দাঁত ফেলে দিবেন। ;)

আওয়াজ দিব।

বাংলাওয়াশের শুভেচ্ছা রইল :)

১৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

সুমন কর বলেছেন: গল্পে আরো সময় দেবার দরকার ছিল। দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

জেন রসি বলেছেন: সময় দেয়া দরকার ছিল।

গল্প পড়েছেন জেনে আনন্দিত হলাম।

ধন্যবাদ ভাই।

ভালো থাকবেন।

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া!!!!!!!!!!

ভুমিকম্পে ভুই পাওনি তো!!!!!!

দেখতে আসলাম কেমন আছো???

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩

জেন রসি বলেছেন: আমি ঘুমে ছিলাম!!!!!

কিছু টের পাইনাই!!!!

ঘুম থেকে উঠে দেখি ভুমিকম্প নাই কিন্তু মানুষ সব তখনও দুলতেছে!!!!

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

তুষার কাব্য বলেছেন: ভাল লেগেছে আমার তবে আসলেই একটু তাড়াহুড়ো হয়ে গেছে মনে হয়।

শুভকামনা ।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

জেন রসি বলেছেন: পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ তুষার ভাই।

ভালো থাকবেন।

শুভকামনা।

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৬

আহমাদ ইবনে আরিফ বলেছেন: ভাল++

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ভালো থাকবেন।

১৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটু দ্রুতই শেষ হয়ে গেল। গভীরতা এলো না।

শুভেচ্ছা রইল।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১১

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য।

গভীরতার বিষয়টি পরেরবার গল্প লিখার সময় মনে থাকবে।

ভালো থাকবেন।

শুভেচ্ছা রইল।

১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ২:৪৫

আমি সৈকত বলছি বলেছেন: লিখাটায় সৃষ্টি শীলতা আছে এটাই বড় কথা,

মন্তব্যকারীদের জন্য সত্যিই আমরা এক একজন সত্যিই একদিন লেখক হয়ে উঠবো,
এতটা চুলছেড়া বিশ্লেষন!!!
সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত।

যাইহোক লেখক কে ধন্যবাদ ব্যাতিক্রম ধর্মী সৃষ্টির জন্য :)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৩:২২

জেন রসি বলেছেন: মন্তব্যকারীদের জন্য সত্যিই আমরা এক একজন সত্যিই একদিন লেখক হয়ে উঠবো,
এতটা চুলছেড়া বিশ্লেষন!!!
সত্যিই মুগ্ধ হওয়ার মত ।

সহমত।

পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ সৈকত ভাই।


২০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ । বেশ ভাল লেগেছে ।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

আমার কাছে আমার কোন লেখাই ভালো লাগেনা।

ভালো থাকবেন।

২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো তবে প্রথম অধ্যায়ের মত হয় নি বাকি অংশ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই।

গল্পটা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি।

২২| ০১ লা মে, ২০১৫ রাত ২:০৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: নাবিল এবং রহমতদের চরিত্রটা ধরাছোয়ার মাঝেই।। কিন্তু আয়না??মাওলানার ছেলেহত্যার পিছনে যার হাত থাকতে পারে,সে অবশ্যই সাধারন না??আর শিষ্যের খুনের ঘটনা জানার পরও রহমত কিছুই ধরতে পারছে না কেন?? আয়না আসলেই একরহস্যের নাম।।
পড়ার পরই ভাবতে বসে গেছি।। দেখি কিরীটি রায় বা শার্লোক হোমস হতে পারি কি না(অবশ্যই মনে মনে)।।

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ২:৪২

জেন রসি বলেছেন: গল্পে রহস্য রেখে দিতে চেয়েছিলাম।

রহস্য না থাকলে কিরীটি রায় বা শার্লোক হোমসরা কি করবে?

মন্তব্য পড়ে আনন্দিত হলাম ভাই।

শুভকামনা রইল।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

উর্বি বলেছেন: ভালো লাগলো

০৮ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:১৮

জেন রসি বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।

ভালো থাকবেন।

শুভকামনা রইলো।

২৪| ২২ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,




২ নং অধ্যায়ে ছোট্ট ছোট্ট টানে অনেক গল্প বলেছেন । সুন্দর । তবে নামটি কেন "সমান্তরাল" হলো বুঝে উঠতে পারিনি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২২ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

জেন রসি বলেছেন: এক সাথে অনেক ঘটনাই ঘটে চলে যা কখনও একই বিন্দুতে এসে মিলিত হয় না। তাই গল্পের নাম সমান্তরাল।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকা হোক।

২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ১ নাম্বার পার্টে আয়না আর নাবিলের কনভার্সেশন গুলো আলাদা প্যারায় দিলে ভালো হতো।
২ নাম্বার পড়ার পর মনে হলো অসমাপ্তভাবেই শেষ হলো যেখানে রহস্য নাই কিন্তু incompleteness বলতে যা বোঝায় সেতাই হয়েছে।
আরো ডিটেইলস হতে পারতো রহমত, মাওলানা হাফিযের অতীত। আয়নাকে কেন খুন করার জন্য কেন সিরিয়াল কিলার ভাড়া করার প্রয়োজন হলো ইত্যাদি।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

জেন রসি বলেছেন: এই গল্পটি কিছুটা এক্সপেরিমেন্টাল ছিল। আমার কাছে মনে হয়েছিল এই প্লটে গল্প বড় করলে পাঠক বিরক্ত হবে। তাই কিছু ব্যাখ্যা পাঠকদের উপরই ছেঁড়ে দিয়েছিলাম।

গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.