| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
অনেক দিন পর বন্ধুর বাসা গেলাম। বন্ধু সরকারী চাকুরী করে। তার আম্মার সাথে কথা হল। বন্ধুর মা আমাকে জানালেন যে সে নাকি কোন কিছু কিনলে কথায় কথায় মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা কম দেয়, যেখানে সেখানে কমিশন নেয় ইত্যাদি ইত্যাদি। 
বন্ধুর মা আফসোস করে আমাকে বললেন-“আমি চেয়েছিলাম ছেলে আমার সৎ মানুষ হবে। সৎ পথে উপার্জন করে চলবে। কিন্তু এখন দেখি সে হারাম ইনকাম করে।তাকে মানা করেও কোন লাভ হয় না।”
বন্ধুকে বললাম – “কিরে তুই নাকি ঘুষ খেয়ে শুধু ফুলে যাচ্ছিস?”
বন্ধু জবাবে বলল-“আমার মা-বাপ গাড়ি বাড়ির স্বপ্ন দেখেন।লোকের ছেলের সাথে তুলনা করেন। আমি কি করতে পারলাম আর কি পারলাম না এটা নিয়ে সারাদিন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেন। আমি তো একটা মানুষরে ভাই। সব কিছু শোনার জন্য ধৈর্য্যের একটা সীমা থাকে। এই বেতনে গাড়ির বাড়ি কেমনে হবে? এখন যদি আমি কিছু করতে না পারি, দোষটা আমার ঘাড়ে আসবে। যদি কিছু করতে পারি, তাহলে কি করে কি করলাম, মানুষ এটা দেখবে না, দেখবে আমার সাফল্য। বন্ধু সততার কোন দাম নেই।সব সময় নিজের স্বার্থটাই দেখতে হয়।”
বন্ধুর কথার সাথে একমত না হয়ে পারলাম না।
 আমার আরেক বন্ধুর বাবা ছিলেন অনেক বড় মাপের সরকারী কর্মকর্তা। তিনি চাইলে অনেক টাকার মালিক  হতে পারতেন।গাড়ি বাড়ির অভাব হত না। শুধু মাত্র সততার কারণে তিনি কিছু করতে পারেন নি। অনেক কষ্টে বাড়ির ছাদ ঢালাই দিয়েছেন। এখনও প্লাষ্টার করতে পারেননি।
উনার অফিসের কেরণীর আজ অনেক টাকা। সমাজে প্রভাব খাটিয়ে কথা বলেন। টাকা আছে প্রভাব আছে। তাকেই ভয় করে চলতে হয়।
সবার সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য বন্ধুকে নিয়ে বাজারে দিকে গেলাম। কথার প্রসঙ্গে আমাদের কর্মজীবনের প্রসঙ্গটা চলে আসে। কে কোথায় আছি, কি করছি এই সব বিষয় আলোচনা শুরু হল। আমার বন্ধু পাশ করে ১৫ হাজার টাকার বেতন পাচ্ছে, তাই বন্ধুরা তার প্রশংসা করে শেষ করতে পারছেনা। আমাদের যারা কিছুই করি না, তাদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছেনা। তাকে নিয়ে বাইকে কেউ কেউ ঘুরতে যায়। আমরা চেয়ে চেয়ে দেখি। 
এখানেও দেখা যায়, যার টাকা তার দুনিয়া, বন্ধুত্বের ভালবাসার কোন দাম নাই।
 আমাদের এলাকার এক মানুষ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মেম্বার পদে পাশ করলেন। নির্বাচনের আগে তার যে সম্পত্তি ছিল, তাতে নাকি তার ২ বেলা ভাত জুটতো না। পাশ করার ৩ মাস পর সে ৯০ হাজার টাকার একটা বাইক কিনলেন। বড় ভাই তাকে জিজ্ঞাসা করলেন –“আপনার তো ৩০ হাজার টাকার উপরে সম্পত্তি ছিল না, কিভাবে তিন মাসে ৯০ হাজার টাকার একটা বাইক কিনলেন?”
তিনি পাল্টা আমার ভাইকে হুমকি দিলেন। গ্রামের মানুষ সবাই চুপ। কেউ প্রতিবাদ করে নি। উল্টো আমার ভাইকে দোষারোপ করেছে। 
দেশের জনগন খালেদা হাসিনার দুর্নীতি দেখে। গ্রামের মেম্বারের দুর্নীতি দেখে না। এই ছোট ছোট দুর্নীতি গুলো আমাদের কি জাতীয় উন্নয়নের বাঁধা না???????????
বাংলাদেশের কোন এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরের কাছে রাজস্ব বোর্ড থেকে কর প্রদানের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এসে রাজস্ব বোর্ড অফিসে এসে কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে গেছে। 
এটাই আমার বাংলাদেশ। আমার শিক্ষক আমাকে শিখায় কিভাবে কর ফাঁকি দিতে হয়, কিভাবে হুমকি দিতে হয়। মাষ্টারসাব ক্লাশে তো ঠিকই মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে ঝড় তুলবেন। আপনার এই অপকর্মের বিরুদ্ধে কে ঝড় তুলবে? 
আজকাল বেসরকারী স্কুল-কলেজে ৫-৭ লাখ টাকার ঘুষ ছাড়া হেডামাষ্টার সাহেব কাউকে নিয়োগ দেন না। তো সেই হেড মাষ্টার সাবের মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা মানায় না।
দেশের উন্নয়ন সবাই চাই। কিন্তু উন্নয়নের জন্য মানুষের সহযোগিতার ২টি হাত পাওয়া যায় না।
আমার কখনও মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে ইচ্ছা করে না। কারণ কম-বেশি সকল দেশের মন্ত্রী-এমপিরা দুর্নীতি করেন। কিন্তু আমাদের মত সেসব দেশে দুর্নীতি পরায়ণ জনগন খুব কম আছে।
আমাদের দেশের দুর্নীতির মূল উৎস আমরা জনগন। আমি –আপনি জানি আমাদের এলাকার নেতা একজন বড় মাপের দুর্নীতিবাজ, কিন্তু ভোটের সময়, তাকেই ভোট দিয়ে পাশ করাবেন। 
আবার সরকারী চাকুরী পেলে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ করবেন না। বেতন বাড়লে আবার দ্রব্যের দামও বাড়াবেন।
আমরা তো সব সময়ই ২টা টাকা কোথায় লাভ হবে সেই সুযোগটা খুঁজি, ২টাকা লাভ করতে গিয়ে মানুষের কি ক্ষতি করি সেটা খেয়াল করি না।
ভাই সংসদে, সভা-সমাবেশে আন্দালিবের মত ভাষণ দেওয়া খুব ইজি, কিন্তু আমার বন্ধুর বাবার মত সৎ থাকা খুব কষ্টের।
জীবনে ব্যাংক ব্যালেন্স করতে না পারার জন্য মানুষের অবজ্ঞা সহ্য করার ক্ষমতা সবার হয় না।
আমি মন্ত্রী এমপি হলে, আমিও স্বপ্ন দেখব সুইস ব্যাংকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট থাকবে।
ছাত্রজীবনে আমরা অনেকেই সৎ মানুষ থাকার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু কর্ম জীবনে সেটা স্বপ্নই থেকে যায়। কর্মজীবনের অন্যের উন্নতি আমাদের মনে এক ধরনের হিংসার আগুণ জালিয়ে দেয়। বিশেষ করে আমার নিচের স্তরের কর্মচারী আমার চেয়ে বেশি উন্নতি করলে, নিজের প্রতি এক ধরনের ধিক্কার চলে আসে যে, আমি কেন পারি না?
 আমরা সবাই চাই আমার অনেক টাকা হবে,গাড়ি হবে বাড়ি হবে ব্যাঙ্ক-ব্যালেন্স থাকবে। কর্মজীবনের আমরা কেউ ভাবিনা একটু সৎভাবে বেঁচে থাকবো। বাস্তবতাও ভাবতে সাহায্য করে না। কারণ কর্মজীবনের সাফল্যের প্রমাণ একমাত্র কত টাকা পয়সা আয় করেছি।
পরিশেষে এইটুকু বলতে চাই,
অন্যের সমালোচনা করার আগে আমাদের নিজের সমালোচনা করতে হবে, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে, আমি-আপনি কতটা ভাল।
আমি-আপনি ভাল হবার চেষ্টা করি, অন্যকেও সাহায্য করি।
মানুষকে আর মানুষের সাফল্যকে টাকা পয়সা দিয়ে পরিমাপ না করে, তার সততা আর কর্মদক্ষতা দিয়ে পরিমাপ করি। তাহলে হয় তো একটু হলেও পরিবর্তন আসতে পারে।
(বি:দ্র:  কোন ভুল হয়ে থাকলে- ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।)
 
২৪ শে জুন, ২০১৩  সকাল ৮:৪৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: ![]()
২| 
২৩ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:৪৩
পাকাচুল বলেছেন: মনের কথাগুলো লিখে ফেলেছেন।
তবে সমস্যা হলো, আমাদের সমাজে টাকা পয়সা ছাড়া কেউ কাউকে সম্মান দিতে চায় না।
তারপরও সৎ থাকার চেষ্টা যে ২-১জন করেন, তাদের স্যালুট জানাচ্ছি।
সৎ আয়ের মাঝে যে মানসিক শান্তিটা আছে, সেই শান্তিটা অসৎ উপায়ে লাখ টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না। 
 
২৪ শে জুন, ২০১৩  সকাল ৯:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: যার যত টাকা তার পেছনে তত লোক, আর লোকবল থাকলে তো কথায় নেই। তখন দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানানো যায়।
সৎ মানুষ দেখলে এমনিতেই মন থেকে শ্রদ্ধা চলে আসে। 
আমরা কমবেশি সব বন্ধুর বাবাকে নিয়ে হাসি-তামাশা করি। কখনও বন্ধুদের তার বাপের নাম ধরে ডাকি (সেন্টুর ব্যাটা)
কিন্তু ঐ বন্ধুর বাবার বেলায় ভিতর থেকে শ্রদ্ধা চলে আসে। আমাদের এলাকার ৫-৬ গ্রামে উনার মত ভাল মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
৩| 
২৩ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:৫১
পাকাচুল বলেছেন: গ্রামের থানা সদরের সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের তৃতীয় শ্রেণীর একটা চাকুরীর জন্য দুইলাখ টাকা ঘুষ দিয়ে এক আত্মীয় সম্পর্কীয় চাকুরীতে ঢুকলো। 
সেই চাকুরীটা আত্মীয় মহলে যতটুকু শোরগোল তুলল, তার তুলনায় আমার প্রথম শ্রেনীরা চাকুরীটার কোন মূল্যই নাই। কারণ ঐ তৃতীয় শ্রেণীর চাকুরীতে মাসে ৫০+ আয়ের ব্যবস্হা।
 
২৪ শে জুন, ২০১৩  সকাল ৯:২০
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম, ঐখানে তো সবাই আন্ডার অ্যারেস্ট।
আমার এলাকার এক ভাই এইট পাশ, ঢাকায় গিয়ে ঢাকা -চিটাগাং হাইওয়ের মাঝখানে ৬ তালা বাড়ি বানিয়েছেন। লোককে নাকি চাকরী দিচ্ছেন।
এক নামে সবাই চিনে। 
আরেক ভাই রাবী থেকে পাশ করে চাকুরী করে বাড়ি গাড়ি সব করে ফেলেছেন, তার  প্রশংসা শুনতে শুনতে মাথা খারাপ। তার আম্মা বলেন ছেলেকে পান্তা খাওয়ায় নি, ঘি খাইয়ে মানুষ করেছি।
এই ডায়ালগ শুনার পর তো এলাকায় ঘি এর চাহিদা বেড়ে গেছিলো।
ঐ ভাই এর বন্ধু প্রথম শ্রেণীর সরকারী চাকুরী করে, তার কোন নাম নাই। 
আমার পাশের গ্রামে শিক্ষা সচিবের বাড়ি, তাকে কেউ চিনেনা, কিন্তু ৬০ লাখ টাকার মালিককে সবাই এক নামে চিনে।
বুয়েট পাশ ইঞ্জিনিয়ারকে কেউ চিনেনা, কিন্তু ডিপ্লোমাকে সবাই ইঞ্জিনিয়ার নামে চিনে।
সবই টাকার খেলা আর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা।
৪| 
২৩ শে জুন, ২০১৩  রাত ১১:২৫
মামুন রশিদ বলেছেন: আমাদের মত সেসব দেশে দুর্নীতি পরায়ণ জনগন খুব কম আছে।
আমাদের দেশের দুর্নীতির মূল উৎস আমরা জনগন।  
ট্রু.. । 
 
২৪ শে জুন, ২০১৩  সকাল ৯:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: আসলেই ব্যাপারটা সত্যি । 
৫| 
২৪ শে জুন, ২০১৩  রাত ১২:৩৬
তারাভরা_রাত বলেছেন: আসলে সৎ থাকাটা বর্তমান সমাজে সাধনার মতো একটা বিষয়, সৎ মানুষদের আমার কাছে দরবেশ বা ঋষিদের মতো মনে হয়।
লেখায় ভালো লাগা রইলো
 
২৪ শে জুন, ২০১৩  সকাল ১১:৪৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ঠিক তাই। 
৬| 
২৪ শে জুন, ২০১৩  দুপুর ১২:০৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: কথা সত্য!
 
২৫ শে জুন, ২০১৩  দুপুর ১:৪৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: কিন্তু এই সত্যটুকু কখনও উপলব্ধি করা হয় না।
৭| 
২৫ শে জুন, ২০১৩  রাত ১২:৩৪
সায়েম মুন বলেছেন: মানুষকে আর মানুষের সাফল্যকে টাকা পয়সা দিয়ে পরিমাপ না করে, তার সততা আর কর্মদক্ষতা দিয়ে পরিমাপ করি। তাহলে হয় তো একটু হলেও পরিবর্তন আসতে পারে।---খাঁটি কথা।
আমাদের দেশের জনগণের দৃষ্টিভঙ্গিও পরিবর্তন করতে হবে। কথায় কথায় ঘুষের রীতি বাদ দিতে হবে। যে চাকুরীটা ঘুষ দিয়ে শুরু হয়। সেই ঘুষের টাকা তুলতে গিয়া জনগণের উপর ষ্টিমরোলার চলে। একটা ঘুষ মানে আরও দশটা ক্রাইম। একজন কাষ্টম অফিসার যদি একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ঘুষ নেন, সেই ১০ লাখ টাকা তুলতে সেই ব্যবসায়ী পণ্যের উপর বাড়তি দাম চাপাবেন। যা হাজার হাজার জনগণের কাঁধের উপর বোঝা হিসেবে চাপবে। 
আমাদের দেশের বাবা-মা, আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব সবাই তুলনা দ্যান। অমুকের ব্যাটা তমুক এত কোটিকোটি টাকার মালিক। দামী গাড়ী হাঁকায়। এতটা বাড়ী আছে। এই তুলনাগুলা করতে গিয়ে তারা প্রচ্ছন্নভাবে সন্তানকে, ভাই, বন্ধু, আত্মীয়কে অসৎ পথের দিকে ঠেলে দ্যান। 
তারা যদি প্রকৃত কোন ভাল মানুষের সাথে তুলনা দেন সেটাই হবে প্রকৃত উৎসাহ। 
 
২৫ শে জুন, ২০১৩  দুপুর ২:০০
রাতুল_শাহ বলেছেন: সম্মান আর খ্যাতির মাপকাঠি মানে মাপার যন্ত্রটা হচ্ছে টাকা পয়সা ধন সম্পদ।
আমি আপনি সবাই নাম যশ খ্যাতি সব চাই। আমাদের এই চাওয়ার মাঝেই যেন কিছু ভুল । 
আমি এখন স্বপ্ন দেখি চাকুরী করে দুবেলা দুমুঠো ভাত হলেই চলবে।
কিন্তু সংসার বা পরিবার জীবনে সেই স্বপ্নটা কি সত্যি করতে পারবো?
যে শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, সেই শিক্ষকদের প্রধান মানে প্রধানশিক্ষক আরেক শিক্ষক নিয়োগ দেন ৭ লাখ টাকার বিনিময়ে।
 ধানী জমি বিক্রি করে, ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে মানুষ পুলিশের চাকুরীতে ঢুকে। বেতনই বা কত? তারপর আবার ছেলে মেয়ে মানুষ করার চিন্তা। 
আমাদের পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে, তাদের বুঝাতে হবে, কষ্ট হলেও সৎভাবে বেঁচে থাকার মূল্য অনেক।
 
৮| 
২৫ শে জুন, ২০১৩  রাত ১:৪৩
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ভালো লিখেছেন +++
 
২৫ শে জুন, ২০১৩  দুপুর ২:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ![]()
৯| 
২৫ শে জুন, ২০১৩  দুপুর ২:৩৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন:  আমাদের দেশের দুর্নীতির মূল উৎস আমরা জনগন। আমি –আপনি জানি আমাদের এলাকার নেতা একজন বড় মাপের দুর্নীতিবাজ, কিন্তু ভোটের সময়, তাকেই ভোট দিয়ে পাশ করাবেন।  
ভাল লাগল।প্রিয়তে নিলাম 
 
 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ৯:১৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: ![]()
১০| 
২৬ শে জুন, ২০১৩  ভোর ৪:৫০
শোশমিতা বলেছেন: মানুষকে আর মানুষের সাফল্যকে টাকা পয়সা দিয়ে পরিমাপ না করে, তার সততা আর কর্মদক্ষতা দিয়ে পরিমাপ করি। তাহলে হয় তো একটু হলেও পরিবর্তন আসতে পারে। 
 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ৯:১৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: ![]()
১১| 
২৬ শে জুন, ২০১৩  রাত ৯:১৭
শাহেদ খান বলেছেন: 
"আমাদের দেশের দুর্নীতির মূল উৎস আমরা জনগন"
গভীর কথা বললে, রাতুল। চাইলে আঁতেলের মত কিছু বক্তব্য রাখতে পারি কমেন্টে, কিন্তু তাতে আমাদের নিজেদের দোষ ঢাকা পড়বেনা কিছুতেই।
এই বোধগুলো খুব জরুরী। এ আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে।
 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:১৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: দেশের দুর্নীতির ব্যাপারে আমরা কেউ নিজের দোষ এড়িয়ে যেতে পারি না। 
আমি যখন কারো দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে যাবো, বিবেক বলবে - "তুমি তো নিজেই  ঐ কাজটাতে দুর্নীতি  করেছো।" 
ফলে প্রতিবাদটা জোড়ালো হয় না। 
তাই এই বোধগুলো খুব জরুরী।
১২| 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ৯:১৮
রোজেল০০৭ বলেছেন: অন্যের সমালোচনা করার আগে আমাদের নিজের সমালোচনা করতে হবে, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে, আমি-আপনি কতটা ভাল।
আমি-আপনি ভাল হবার চেষ্টা করি, অন্যকেও সাহায্য করি। 
সহমত, সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন।
 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:১৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ![]()
১৩| 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ৯:২০
বোকামন বলেছেন: 
অন্যের সমালোচনা করার আগে আমাদের নিজের সমালোচনা করতে হবে, নিজের বিবেককে প্রশ্ন করতে হবে, আমি-আপনি কতটা ভাল। 
আপনাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি ....।
ভালো থাকবেন।
 
২৯ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:২২
রাতুল_শাহ বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন, শুভ কামনা রইলো।
১৪| 
৩০ শে জুন, ২০১৩  রাত ৩:৩৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সুন্দর অভিব্যাক্তি
ভাল বন্ধুত্ব এবং স্মৃতিচারণ 
শুভেচ্ছা থাকল 
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:২০
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১৫| 
০৬ ই জুলাই, ২০১৩  দুপুর ২:৩৭
হানিফ রাশেদীন বলেছেন: আমরা আসলে একটা চক্রের ভেতের আবদ্ধ, এই চক্র অনেক রকম কার্য-কারণের মধ্য দিয়ে চলে। এর থেকে বের হতেও সমাজ-রাজনীতি-কালচার সর্বোপির মুল্যেবাধ, অনেক মধ্যামের সচেতনতা ও প্রকটিচ প্রয়োজন।
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:২৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: সত্যি  আমরা চক্রের ভিতর আবদ্ধ । 
ভাল থাকবেন হানিফ ভাই।
১৬| 
০৬ ই জুলাই, ২০১৩  বিকাল ৩:৪৮
 আহমেদ আলাউদ্দিন  বলেছেন: 
কবে যে ভালো হমু! অন্যদের দোষ দিয়া লাভ নাই, এখানে আমি কি করছি তাই আমার কাছে মূখ্য! এবং প্রতিদিন আবিষ্কার করছি দিন দিন ডুবে যাচ্ছি দুষ্টচক্রের গেড়াকলে!
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:২৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম সেটাই........
ভাল থাকবেন কবি ভাই।
১৭| 
০৯ ই জুলাই, ২০১৩  দুপুর ১২:২১
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি ! ++++++++++++++++++++++++++
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:৩০
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ![]()
১৮| 
১৬ ই জুলাই, ২০১৩  দুপুর ১:৪১
শায়মা বলেছেন: আমাদের বাসার দারোয়ান একবার  বললো তাকে ৩ লাখ  টাকা যোগাড় করতে হবে যেভাবেই হোক না কেনো। কারণ সে পুলিশে জব করতে চায় আর তার এই টাকা ঘুষ দিতে হবে।
আমি বললাম ঘুষ দিয়ে এই জব এর কি দরকার?
সে বললো আপা দূর্নীতি ছাড়া কিছুই হয়না। এখন তিন লাখ দেবো বাট তার কয়েক ডাবল তুলে নেবো নিজে ঘুষ খেয়ে। 
কি আর করা!!!![]()
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: সাধারণ মানুষের মনের মাঝে যদি এই রকম ৩ লাখ টাকাকে ৬ লাখ টাকা করার প্রবণতা থাকে তাহলে ভাবেন রাজনৈতিক মানুষ কত বড় স্বপ্ন দেখে। 
১৯| 
১৯ শে জুলাই, ২০১৩  সকাল ১১:৪২
শায়মা বলেছেন: আরে কই থেকে আসলে এতদিন পর???![]()
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: ![]()
২০| 
১৯ শে জুলাই, ২০১৩  দুপুর ২:৫০
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ফাটাফাটি একটা পোষ্ট। বাপকে জানাব ছেলে ছিঃনেমা ছেড়ে ভাল হয়েছে ('আমি মন্ত্রী এমপি হলে, আমিও স্বপ্ন দেখব সুইস ব্যাংকে আমার একটা অ্যাকাউন্ট থাকবে"।
যাই হোক, বিয়ে  করেছেন? তাহলে আরো বাস্তববাদী হবেন।
এবার দয়া করে মনোযোগ দিয়ে আমার 'মেঘ-বৃষ্টি আর আলোর মেলা' লেখাটা পড়বেন। 
যারা গ্রামে ছিলেন বা থাকেন, দয়া করে লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। ফাঁকে ফাঁকে চোখ বন্ধ করুন, ভাবুন, কিছু স্মৃতি মনে পড়ে? এবং অবশ্যই ত্রুটি ধরিয়ে দিবেন। প্রকৃতি নিয়ে লেখা বেশ কষ্টসাধ্য। আপনারা পড়লেই কষ্ট খানিকটা কমবে।
 
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: ওকে ভাইসাব ![]()
২১| 
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩  সকাল ১০:৪২
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: ভাল লিখেছেন ভাই।
সমাজের সর্বস্তরে প্রায় একই অবস্থা। 
 
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭  রাত ৯:৫২
রাতুল_শাহ বলেছেন: হুম , চিন্তার বিষয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৩  রাত ১০:৩৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ++++++++++