![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকাল প্রায় দেখি এখন কেউ অন্যায় করলে টু শব্দ করে প্রতিবাদ করার সাহস করে না। এমনকি প্রতিবাদ করতেও দেয় না। কেমন একটা ভয় আমাদের কে গ্রাস করেছে। কোন এক অজানা কুসংস্কারে আটকা পড়ে আছি আমরা।
অথচ লেখাপড়া শিখেছি। উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছি।
মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়, আচ্ছা কারো হাতে নিহত হলে, আমি কি বিচার পাবো? কেউ কি আমার হয়ে প্রতিবাদ করবে?
কয়েকদিন যাবৎ খেয়াল করছি, দিন দিন আমাদের দেশে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটছে।, আর বিপরীত দিক দিয়ে পৃথিবীতে অনৈতিক কর্মকান্ডের বৃদ্ধি পাচ্ছে। অসভ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কিন্তু কেন?
শিক্ষা পেলে মানুষ শিক্ষিত হয়, শিক্ষিত হলে মানুষ তো সভ্য হওয়ার কথা, নৈতিক গুণ থাকার কথা। সমাজটা সুন্দর হওয়ার কথা।
কিন্তু সমাজে সেই নৈতিকতা কোথায়? সমাজের সকল সম্পর্ক গুলো দুষিত হয়ে পড়েছে। আজ সামাজিক বন্ধনগুলো দিন দিন বিপর্যয়ের মুখে।
কিন্তু কেন এই বিপর্যয়।?
আগে তো মানুষ খুব একটা শিক্ষিত ছিলো না, কিন্তু তাদের মাঝে মানবিকতা বা সামাজিকতা ছিলো।
তাদের মাঝে সামাজিক বন্ধনটা অনেক মজবুত ছিলো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে বার বার পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের কতটা নৈতিক শিক্ষা দিতে পারছে???????
আজ ৫ম শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়ে শিশু মনে অনৈতিকতার পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
অবুঝ শিশুমনগুলো পরীক্ষার জন্য পড়ার চিন্তা করেনা, তারা চিন্তা করে কখন প্রশ্নপত্র পাবো, কখন সেটা পড়ে পরীক্ষা দিতে যাবো।
আজকাল প্রায়ই শুনি প্রশ্নপত্র নাকি ফাঁস হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে পরীক্ষা নেওয়ার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখতে পারছিনা। তার চেয়ে নকল করাটাই সর্বোত্তম। নকল বিদ্যাতে অন্তত বুদ্ধি আর চালাকি খেলাতে হয়, আত্নবিশ্বাস বাড়ানো যায়।
কিন্তু প্রশ্ন পত্র ফাঁসে আত্নবিশ্বাস শূণ্যের নীচে নেমে পড়ে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করেছে।
শিক্ষা সম্পর্কিত বিষয়গুলো এখন অন্যতম ব্যবসা।
শিক্ষাকে কেন বাণিজ্যে পরিণত হচ্ছে সেটা হয়তো খুব একটা বুঝিয়ে বলতে পারবো না, তারপরও চেষ্টা করছি।
আমাদের জেলা আমের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত, আমাদের অর্থনীতি অনেকটা আম কেন্দ্রিক। আমরা যে আম গুলো বাড়িতে খাওয়ার জন্য রাখি, সেগুলোতে সাধারণত কোন প্রকার ঔষুধ দেওয়া হয় না।
শুধু ব্যবসার জন্য আমগুলোতেই বিষ প্রয়োগ করা হয়। দীর্ঘদিন আম গাছে রাখার জন্য আমে এক প্রকার শ্যাম্পু ব্যবহার করা হয়। এবং এগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
ঠিক এমনই ভাবে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বিষাক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করে শিক্ষিত করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে ।
আজকে কেউ ‘অ আ– ক খ -১-২-৩ শিখলে টাকা দিয়ে শিখতে হয়।
আজকে প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীকে প্রতিটা বিষয়ের শিক্ষক দেওয়া হয়। অথচ আমার সমবয়সী অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা শুধু গণিত আর ইংরেজীর বাইরে কখনও শিক্ষক পায় নি। তাও আবার সেটা শুধু মাত্র কয়েক মাসের জন্য।
আজ বর্তমান স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের যোগ্যতা হচ্ছে টাকা, তাদের পরিচিতি হয় অনেকটা এই রকম –
এই ৭ লাখ টাকার শিক্ষক, এই ৫ লাখ টাকার।
কিছুদিন পর তারা প্রাইভেট পড়ানোতে মনযোগী হয়ে পড়ে, কোচিং সেন্টার খুলে বসে।
শিক্ষার্থীরা উপান্তর না দেখে কোচিং এ পড়তে যায়।
এই ৭ লাখ, ৫লাখ টাকার শিক্ষকরা কি নৈতিকতা শিখাবে?
বাবা –মা তাদের উপার্জিত অর্থের অর্ধেকের বেশি ব্যয় করেন- ছেলেমেয়ের শিক্ষার জন্য।
উচ্চ শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায় না, অহংকারী বানায়। অধিকাংশ উচ্চশিক্ষিত লোকের মাঝে অহংকার বাস করে। তারা কম শিক্ষিত মানুষদের গণনায় ধরতে চায় না।
সব দিক থেকে খেয়াল করলে মাঝে মাঝে ভাবি এই রকম শিক্ষা ব্যবস্থা থাকার চেয়ে না থাকায় ভালো। এটা অপচয় ছাড়া আর কিছুই না।
..............
আমাদের আদি শিক্ষা ব্যবস্থা যেটা ছিলো সেটা ইংরেজদের মত এত উন্নত না হলেও অনেক সুন্দর ছিলো। তখন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিলো। এখনো কি নেই? আছে, তবে সেটা পরিবার থেকে শিক্ষা পেয়ে আসে। পরিবার থেকে শেখানো হয় শিক্ষককে সালাম দিতে হবে, তাদের কথা মানতে হবে। পিতা-মাতার পর তাদের স্থান। কিন্তু এখনকার শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠান গুলোকে সেই নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছে? কতদিনই বা পরিবার এইসব নৈতিক শিক্ষা দিতে পারবে?
ব্রিটিশরা আমাদের শাসন করেছে। তারা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে, তাদের লাভের কারণে। তারা কাদের টার্গেট করেছিলো? তারা সমাজের নবাব বা জমিদারদের টার্গেট করেছিলো। তাদের ইংল্যান্ডে পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষিত করা হলো। তাদের এলিট শ্রেণীর মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। কিন্তু সমাজের নিচু স্তরের মানুষের কাছে তারা শিক্ষা পৌছে দেয় নি। ব্রিটিশ আমলে নিচু স্তর থেকে উপরে উঠে কোন মানুষের কথা আমার জানা নেই। যদি থাকে সেটা খুব নগন্য।
আজ আমরা উচ্চশিক্ষিত বলতে বুঝি বিদেশে ইংরেজী শিক্ষা গ্রহণ করাটাকেই।
কিন্তু আমরা চীন, জাপানের দিকে তাকালে দেখি তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে তারা আত্ননির্ভরশীল হয়েছে। তারা উন্নত। উন্নতের উদাহরণ দিতে গেলে তারা সবার আগে অগ্রাধিকার পায়।
কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত বিদেশী অর্থাৎ প্রতিটা মুহূর্তে ব্রিটিশ শিক্ষা ব্যবস্থাকে গ্রহণ করছি। আমরা আমাদের নিজস্বটাকে দিন দিন হারিয়ে ফেলছি। নিজস্বতা হারিয়ে গেলে পরিচয় দেবার কিছু থাকবেনা।
সামান্য বেতনের সরকারী কর্মচারী ছেলেকে এলিট শ্রেণীর মানুষ বানাতে ইংরেজী মিডিয়াম স্কুলে পড়াচ্ছেন। সেই পড়া পড়াতে গিয়ে তিনি দুর্নীতি করছেন, ঘুষ গ্রহণ করছেন। গোটা সমাজ ব্যবস্থা দুষিত হয়ে পড়ছে।
যে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে নিজেকে অমানুষ হয়ে যেতে হচ্ছে, সেই শিক্ষার কি কোন মূল্য আছে? কি প্রয়োজন তার?
শিক্ষা কেন দরকার? মানুষ কেন শিক্ষিত হয়?
এই প্রশ্নের জবাব কি এই নির্বোধ সমাজ দিতে পারবে?
বাবা-মা চায় তার সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জল হোক। কিন্তু কয়জন বাবা-মা চায় যে তার সন্তানের চরিত্র উজ্জল হোক। বাবা-মা তাদের অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণে সন্তানদের ব্যবহার করেন। সন্তানের ভূল ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে গিয়ে সন্তানকে দু:খে ফেলে দেয়।
শিক্ষা এখন আর নিষ্পাপ হয়ে নেই। কুলষিত হয়ে গেছে। শিক্ষা মানেই বাণিজ্য।
স্কুল টিচার হও, কলেজ টিচার হও লাভ। মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকা ইনকাম। কোচিং বাণিজ্য শুরু হয়েছে। বেকার ছেলেরা কোন কর্ম না পেয়ে কোচিং বাণিজ্য খুলে । আর প্রতি বছর মানব সন্তানকে বলদে পরিণত করে। ৫টা প্রশ্ন করলে ৪ টা কমন।
এখন তো কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্নপত্রের বেচাকেনার দোকান। এই সব কোচিং ব্যবস্থা ছেলে-মেয়েদের আত্নবিশ্বাস নিয়ে খেলা করছে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কেউ নিজে পড়ে না, জন্মের পর থেকে পিঠে বই ভর্তি ব্যাগ নিয়ে কোচিং ভর্তি করে দেয়। গরুর বাচ্চারা সাধারণত একটু স্বাধীন থাকে, কিন্তু মানুষের বাচ্চার সেই স্বাধীনাটুকুও নেই।
আমার এক স্যার আছেন যিনি নিজে কষ্ট করে পড়ে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কিন্তু তিনি তার সন্তানদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে টিউটর রেখেছেন। কোথাও চান্স না পেয়ে, প্রাইভেট ইউনিতে পড়াচ্ছেন।
আমার কাছে মনে হয় বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা বলদ বানানোর কারখানা।
ক্লাশ ফাইভ আর এইটের পরীক্ষা বাতিল করা হউক। ক্লাশ ফাইভ আর এইটের পর তাদের কিছু সামাজিক কাজে দেওয়া যেতে পারে। যেমন- বৃক্ষরোপণ হতে পারে..........
ক্লাশ ফাইভ আর এইটের পরীক্ষায় কেউ এ প্লাস না পেলে হতাশায় ডুবে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে শুনি আত্নহত্যার চেষ্টা করছে। তাই তাদের জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রয়োজন হচ্ছে। এর জন্য পুরো ব্যবস্থায় ফেঁসে যাচ্ছে।
কার ছেলের রেজাল্ট কত ভালো, সেটা দেখা হয়, কিন্তু কার ছেলের চরিত্র কতটুকু ভালো সেটা দেখা হয় না।
শুধু মন্ত্রাণলয়ের দোষ দিয়ে লাভ হবে না। সেই সব নিকৃষ্ট অভিভাবকেরও দোষ দেখা জরুরী। যারা তাদের সন্তানকে প্রশ্ন দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ ও চরিত্র কুলষিত করছে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা মনকে উন্নত করে না, বরং কুলষিত করছে। যতদিন মন উন্নত না হবে, ততদিন সমাজ উন্নত হবে না।
আর হ্যা সন্তানকে শিক্ষিত করার আগে এখন সবার আগে বলদ আর নির্বোধ মার্কা অভিভাবককে শিক্ষিত করা প্রয়োজন।
কথায় আছে দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিতাজ্য, কিন্তু সব বিদ্বান যদি দুর্জন হয়ে যায়, তবে কি সবাই পরিতাজ্য হবে?
ভাবুন একটি বার।
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
রাতুল_শাহ বলেছেন: দুষ্ট চক্র ভাঙাও দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আমরা এবং আমাদের লেখাপড়া সব পর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। আত্ননির্ভরশীলতা কমিয়ে আনছে।
বার বার সরকার পরিবর্তন হবে, বার বার শিক্ষা ব্যবস্থা পরির্তন হবে। কিন্তু সরকার বুঝতে চায় না, সেটা আমাদের জন্য হজমযোগ্য হবে কিনা?
কিন্তু অন্য ক্ষেত্রে দেখেন, বিদেশী রাস্তাগুলো ৪ লেনের, কিন্তু আমাদের গুলো ২ লেনেরও কম। এইগুলোর পরিবর্তন হয় না। শ্রমিকদের বেতনের পরিবর্তন হয় না।
বছরের পর বছর আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রদান হচ্ছে। আবার উন্নত মানের শিক্ষক পাচ্ছিনা। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষকদের গবেষণার যথেষ্ট কোন সুযোগ করে দেওয়া হয় নি। নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় নি। শুধু বই পড় আর বই পড়।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ৯:১৮
জুন বলেছেন: শিক্ষা এখন আর নিষ্পাপ হয়ে নেই। কুলষিত হয়ে গেছে। শিক্ষা মানেই বাণিজ্য।
আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা যে কোন পর্যায়ে তা সুন্দর করে বিশ্লেষন করেছো রাতুল। ভবিষ্যত প্রজন্মই শুধু নয় বর্তমানও অন্ধকার ।
+
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫
রাতুল_শাহ বলেছেন: এমনই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের -কৃষক তার ছেলেকে জমি বিক্রি করে পড়ালো, আবার ভালো একটা চাকুরীর জন্য জমি বিক্রি করে আবার চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিলো।
ছেলের ভবিষ্যতের জন্য কৃষক তার তিল তিল করে গড়ে তোলা সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হলো। ছেলের মনে অপরাধবোধ জাগিয়ে দিলো।
অথচ সে ছেলে কৃষি কাজ করলে হয়তো আরো ৫ বিঘা জমি বাড়াতে পারতো।
আসলে আমাদের কি শিখানো হচ্ছে?
স্বাধীনতার এতদিন পরও আমরা আমাদের মন্ত্রি এমপিদের চিকিৎসা এইদেশে দিতে পারছিনা। বাইরের দেশে তাদের যেতে হচ্ছে। আমরা আমাদের শিক্ষার বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারছিনা। শুধু সিলেবাস পরিবর্তন করলে হয় না, প্রযুক্তির নতুনত্বের তো ব্যবস্থা করতে হবে।
গবেষণার সুযোগের অভাব থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগুলো লাল-নীল হলুদ দলে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছেন। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করলে চোখে অন্ধকার দেখি। অথচ সরকার বাজেটের সময় এই খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মাঝে মাঝে মনে হয় সবই ছলনার খেলা।
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১২:০০
R-134A বলেছেন: গরুর বাচ্চারা সাধারণত একটু স্বাধীন থাকে, কিন্তু মানুষের বাচ্চার সেই স্বাধীনাটুকুও নেই।
ভালো লাগলো লেখাটা
০৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ......
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইলো।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২১
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ একটি লেখা ------- আজকাল মায়েরা/বাবারা চায় শুধু সার্টিফিকেট --- কে কত্ত বড় ডিগ্রি নিতে পারবে ---
এত্ত কাড়ি কাড়ি লেখাপড়া শিখে লাভটা কি --যদি মানুষের মত মানুষই না হলো -------
১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০২
রাতুল_শাহ বলেছেন: সেটাই তো প্রশ্ন............
সবকিছুই যেন আজ বাণিজ্য। বড় বড় ডিগ্রীধারীদের পিতামাতা যদি বৃদ্ধাশ্রমে থাকে, সেই ডিগ্রীর কি মূল্য?
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
দীপান্বিতা বলেছেন: কিন্তু আমরা চীন, জাপানের দিকে তাকালে দেখি তাদের নিজস্ব শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। এভাবে তারা আত্ননির্ভরশীল হয়েছে। তারা উন্নত। --- বাবা-মা চায় তার সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জল হোক। কিন্তু কয়জন বাবা-মা চায় যে তার সন্তানের চরিত্র উজ্জল হোক ----- গুরুত্বপূর্ণ ---ভেবে দেখা দরকার......
১৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১০
রাতুল_শাহ বলেছেন: শুনেছি জাপানে নাকি ক্লাশ ফোর পর্যন্ত কোন পরীক্ষা নেওয়া হয় না।
ওরা চায় কিভাবে শিক্ষাটাকে উন্নতভাবে সবার কাছে পৌছানো যায়।
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। এখন শিক্ষাটা পুরোই রাজনৈতিক চাল হয়ে গেছে। ক্লাশ এইট পাশ করার যোগ্যতা নেই হয়েছে ইউএনও! মন্ত্রীদের নির্দেশে সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন লেভেলে শতভাগ পাশ করানো হয়, টাকা দিলে মাস্টার্স বা এমবিবিএস ডিগ্রী পাওয়া যায়! কিছু করার আছে? কিছু লোকের জন্য ডিগ্রী ছাড়াইতো মাসে কোটি টাকা কামানো যায়!
০৩ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: সেটাই ভাই , আমার রুমমেটের বন্ধু ৩ এর নীচে রেজাল্ট করছে। সে তার আব্বারে ফোন দিলো। তার আব্বা তাকে ৪ লাখ টাকা দিলো, সে ৩ লাখ টাকা দিয়ে ৩.৫০ এর উপরে রেজাল্ট নিয়ে বিদেশে।
এই সব শুধু দেখেই যাইতে হবে।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আজকাল প্রায় দেখি এখন কেউ অন্যায় করলে টু শব্দ করে প্রতিবাদ করার সাহস করে না। এমনকি প্রতিবাদ করতেও দেয় না।
-মূলে আছে আপনার এ কথাগুলোর পেছনের কারণ। আমরা শিক্ষিত হচ্ছি, কিন্তু মেরুদণ্ডহীন। আমরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করছি- উচ্চতর চোর হচ্ছি। আমরা কেবল নিজের পেট ভরানোর ভাবনা ছাড়া আর কিছু ভাবতে চাই না। পেছনে যে কারণটা আছে, আমি মনে করি টোনাটুনির সংসারে জন্ম নেয়া পোলাপান আর একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে বেরিয়ে আসা পিতামাতার সন্তানগুলোই এমন হয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
সাহসী হতে হলে আরেক সাহসী মানুষকে আদর্শ মানতে হয়। আমি বড় হলে অমুকের মতো হবো যার ভেতরে শৌর্য-বীর্যের প্রকাশ আছে। চাচা-বাবা-জ্যাঠা-বড়ভাই সবার সঙ্গে থাকলে একটি সাহসী মন তৈরি হতে পারতো, প্রতিবাদী মন তৈরি হতে পারতো।
টুনি কহিল, ওগো টোনা আজকে আর বাইরে গিয়ে কাজ নাই। ছেলেটাকে নিয়া বাপের বাড়ি যাই সেখানে নিরাপদ। তোমার ভাই-বোনগুলা খুবই কুটিল, তাদের সঙ্গ ছাইড়া আমার বাবার বাড়ি আস। বাচ্চাটারে তোমার ভাইবোনের বাচ্চাগুলা থেকে দূরে রাখতে হবে, নয়তো জাতের মতো অপচয় কারী হবে। নিজেরটা পরকে দিয়া খুশি থাকবে পেটে ক্ষুধা নিয়া।
এভাবেই তৈরি হচ্ছে স্বার্থপর এক একটা একটা প্রজন্ম। শিক্ষা কি সে পাচ্ছে কিছু? সে শিক্ষক হলে কী বা শিক্ষা দেবে। সে তো শিখছে কেবল নিজের পেট কিভাবে ভরা রাখতে হয়।
আসলে আমাদের পরিবার তন্ত্র যখন মার খেতে আরম্ভ করল তখন থেকেই সব কিছু এমন হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাটা বড় হচ্ছে আসপাশে কোনো আপন জন নাই- বাবা-মা ছাড়া।
তার আলাদা সংসারে আর কে আছে? কেউ নাই। তার ভয় আমি মারা গেলে আমার বিপদ হলে আমার বউ-বাচ্চার কী হবে। কে দেখবে তাদের? সেই মানুষটা কি সাহসী হতে পারবে? নিজের জীবন উৎসর্গ করবার মতো অতটা দুঃসাহসী হবে? হবে না। কারণ তার মাথার ওপর ছায়া নেই। বয়স্ক কারো আশ্বাস নেই।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: চাচা-বাবা-জ্যাঠা-বড়ভাই সবার সঙ্গে থাকলে একটি সাহসী মন তৈরি হতে পারতো, প্রতিবাদী মন তৈরি হতে পারতো। চাচা-বাবা-জ্যাঠা-বড়ভাই সবার সঙ্গে থাকলে একটি সাহসী মন তৈরি হতে পারতো, প্রতিবাদী মন তৈরি হতে পারতো।
আপনার এই কথার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
আপনার প্রত্যেকটা কথাই গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের পায়ের নীচে মাটি রাখতে হলে অবশ্যই পরিবারের প্রয়োজন।
বড় পরিবার থেকে যখন ছোট পরিবারে আসছি তখন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বা ভালোবাসা হারিয়ে যায়।
একটা অপরিচিত দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন শুভ কামনা রইলো।
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৮
আমার আমিত্ব বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগল।
০৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে গভীর ভাবে তাকালে যে কেউ রোগ ধরতে পারবে। কিন্তু বাণিজ্যিক চোখ নিয়া তাকালে কোন রোগই ধরা পড়বে না।
ভাল থাকবেন, শুভকামনা রইলো
৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন করেছেন ।
যে শিক্ষার কথা বলছেন , তা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে , লোক দেখিয়ে লেখাপড়ার মহড়া ( শিক্ষা বললুম না । ) শেখা নয়, ধারন করাও নয় । "শিক্ষিত" , গায়ে এই নামের একখানা নামাবলী গায়ে না চড়ালে যে প্রতিযোগিতামূলক চাকুরীর বাজারে হালে পানি পাওয়া যায় না ।
আর যে শিক্ষার কথা আপনার মনে তা তো এখানেই লিখেছেন -
আমাদের আদি শিক্ষা ব্যবস্থা যেটা ছিলো সেটা ইংরেজদের মত এত উন্নত না হলেও অনেক সুন্দর ছিলো। তখন পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিলো। এখনো কি নেই? আছে, তবে সেটা পরিবার থেকে শিক্ষা পেয়ে আসে। পরিবার থেকে শেখানো হয় শিক্ষককে সালাম দিতে হবে, তাদের কথা মানতে হবে। পিতা-মাতার পর তাদের স্থান.......
আজকাল এগুলো উঠে গেছে ।
প্রশ্ন রেখেছেন - কতদিনই বা পরিবার এইসব নৈতিক শিক্ষা দিতে পারবে?
যে পরিবারের কথা আপনি বলতে চেয়েছেন , সে পরিবার আপনি কোথায় পাবেন ?
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার সংস্কৃতি প্রায় সব পরিবারেই ভাইরাসের মতো সংক্রমিত । তাই পরিবারগুলো নিজেরাই অসুস্থ্য । তারা কি শিক্ষা ( যা সত্যিকারের ) দেবে নিজ প্রজন্মকে ?
এ থেকে সহজে নিষ্কৃতির উপায় নেই ।
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: এটা ঠিক বর্তমান পরিস্থিতি থেকে সহজে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে না।
আর পরিবারের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়। আর ছোট পরিবার থেকে এটা আশা করা যায় না।
এর জন্য দরকার বড় পরিবার, যেখানে থাকবে দাদা দাদী, চাচা চাচী সবাই।
যেটা ব্লগার জুলিয়ান সিদ্দিকী উনার মন্তব্যে খুব সুন্দর ভাবে বলেছেন।
১০| ০৮ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১:১৮
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
শিক্ষা ব্যবস্থা এখন নিছক এক ব্যবসায় ধারনা।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৮
রাতুল_শাহ বলেছেন: সেটাই ভাই , বর্তমানে কম পুঁজিতে লাভজনক একটি ব্যবসা।
১১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৭
খাটাস বলেছেন: সর্ষেতে ভুত। তবে ছিটকে যাওয়ার ভয়ে সমাজে শিক্ষা গেলার প্রতিযোগিতা হচ্ছে, তার বিপক্ষে ব্যাপক আলোচনা ও সচেতনতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। আমাদের পাল্টান দরকার। আমাদের সচেতন করতে প্রথম আলো নিজে কে বদলে দিন- টাইপ স্লোগান নিয়ে ব্যাপক আবেগিয় সমর্থনে মার্কেটিং টা সেরে ফেলল। এটা একটা উদাহরণ মাত্র।
যেই স্বপ্ন দেখায়, সেই হাতে ঝোলা ধরিয়ে দেয় শেষ বেলায়।
তবে বাংলাদেশ একদিন ইনশা আল্লাহ অবশ্যই পালটাবে।
চমৎকার লেখায় ভাল লাগা। আপনাদের মত মানুষের চিন্তাই গড়ে উঠবে বাংলাদেশ।
প্রাণান্তর শুভ কামনা জানবেন রাতুল ভাই।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৩
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমাদের পরিবারগুলো একটু নৈতিক শিক্ষা দান দিলে সমস্যার সমাধান অনেকটা হয়ে যায়। শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে সেটা নৈতিক ভাবে গ্রহণ করতে শিখানো দরকার। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মত বা নকলের মত অনৈতিকতাকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না।
পারিবারিক চাহিদার চাপই শিশু মনে অনৈতিকার সৃষ্টি করে।
সব আগে আমাদের পরিবারগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।
১২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩০
আবু শাকিল বলেছেন: নিজেদের বদলাতে হবে।এখনি সময় ।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৬
রাতুল_শাহ বলেছেন: আমাদের চিন্তাধারা কেন্দ্রটা বদলাতে হবে ভাই।
আমাদের সকল চিন্তার কেন্দ্র হচ্ছে টাকা।
যবে আমরা এই কেন্দ্র থেকে সড়ে আসতে পারবো, তখনই বদলাতে পারবো, তার আগে নয়।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:২৩
দীপান্বিতা বলেছেন: ঈদ মুবারক...নতুন পোস্ট কবে আসছে!
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫০
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক কিছুই আছে আপু, কিন্তু কিছু লেখার সময় পাচ্ছি না। সময় হলেই নতুন পোষ্ট দিবো।
ভাল থাকবেন আপু, শুভ কামনা রইলো।
১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: লেখা তাত্ত্বিক ও অর্থবহ
০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫১
রাতুল_শাহ বলেছেন: কেমন আছেন ভাই?
১৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬
পাকাচুল বলেছেন: যখন থেকে গ্রেডিং আর জিপিএ ৫ পদ্ধতি চালু হয়েছে, পাশের হার বাড়ানো শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এই অবনমন।
সবাই শুধু জিপিএ ৫ এর পিছনে ছুটছে।
আমি খুব অবাক হই যখন শুনি ধর্ম, সমাজ বিজ্ঞান, বাংলা ১মপত্র এই সব বিষয়ের জন্য ছেলে মেয়েরা প্রাইভেট পড়ে। সবার মাথায় ঘুরছে, যদি পিছিয়ে পড়ি, যদি জিপিএ ৫ না পাই?
১১ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ধর্ম পড়িয়াও যদি কিছুটা ধার্মিক হইতে পারতো, কিংবা সমাজ পড়িয়াও কিছু সামাজিক হইতে পারতো। কিংবা বাংলা পড়িয়া যদি তাদের ভাষাটা ঠিক করতে পারতো।
কাজের কাজ কিছুই হয় না।
সব বেকার...........
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৪ রাত ১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ভাবতে গেলে চোখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখি না । এ কোন দুষ্ট চক্রে ক্রমশ বন্দি হয়ে যাচ্ছি আমরা । শিক্ষা ব্যবস্থাটা ধ্বংস হয়ে গেলে দাঁড়ানোর আর জায়গাটা কোথায় পাব!
খুব ভালো লাগলো লেখাটা । অন্ধরাই এখন সবকিছু ভালো দেখে । যাদের দেখার কথা তারা সবাই ঘুমে ।