![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাটি চালান তখনই দিতে হয়, যখন চোর ধরার বৈজ্ঞানিক সব কৌশল অকেজো হয়ে যায়
সমাজের চেয়েও ব্যক্তি বড়, অতএব ভোগী জীবনকে মহিমান্বিত ও ব্যক্তিতান্ত্রিক জীবনযাপনই এদের কাছে আদর্শ। সমাজকে পাবলিক ও প্রাইভেটে ভাগ করে ধর্মকে একান্তই প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে পর্যবসিত করা হয়। এর সুবিধা হচ্ছে পুঁজিতান্ত্রিক সমাজকে ধর্মের হাত থেকে রক্ষা করা। ধর্মের মধ্যে নীতিনৈতিকতার বিধিবিধান, অপরের প্রতি ভালোবাসা ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার কথা যদি থাকে, তাহলে ধর্ম সেটা সামাজিক-রাজনৈতিক ভাবে তুলবার চেষ্টা করে। সব ধর্মই কমবেশি সেটা করে। বাংলাদেশে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সেটা করেছেন। ল্যাটিন আমেরিকায় মার্কস ও বিপ্লবী চিন্তাবিদদের অনুপ্রেরণায় লিবারেশান থিওলজির আবির্ভাব ঘটেছে। তাঁরা হজরত ঈসা ও তাঁর শিক্ষাকে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের কাছে ইহলোক ও পরলোকে মজলুমের মুক্তির পথ হিশাবে প্রচার করেছে। এতে ল্যাটিন আমেরিকার জনগণ দ্রুত সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে অনুপ্রাণিত হয়েছে। ধর্মকে প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত ব্যাপারে পর্যবসিত করা হয় কেন? কারণ তখন পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ধর্মের ইতিবাচক কোন ভূমিকা সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পালন করা থেকে ধর্মপ্রাণ জনগণকে সহজে বিরত রাখা। বলা হয়, সামাজিক নীতিনির্ধারণে এবং রাজনৈতিক আদর্শ নির্মাণে ধর্ম টেনে আনা যাবে না। সমাজে কাউকে সাহায্য-সহযোগিতা করতে চাইলে সেটা ব্যক্তিগত ভাবে করতে হবে। সাংগঠনিক ভাবে করতে চাইলে সেই উদ্যোগকে ঘোষণা দিতে হবে সেটা অরাজনৈতিক সংস্থা; ইত্যাদি।
©somewhere in net ltd.