" জামাত শিবিরে যোগ দিন কামিয়াবের গ্যারান্টি নিন। "

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

জানেন কি আমরা কোন দেশে বাস করছি? কীভাবে এই দেশে ভালো থাকা যায় জানেন? আমি অনেক সুন্দর একটা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। চলুন আপনাদেরও শেয়ার করি।

এখন থেকেই টাকা জমানো শুরু করবো। বেশি না, দুবছর একটু কষ্ট করে চলবো। জমানো টাকা দিয়ে কিনবো হ্যান্ডগ্রেনেড আর আগ্নেয়াস্ত্র। সাথে ডজন ডজন ভায়াগ্রার মতো যৌনশক্তি বর্ধনকারী ট্যাবলেট। তারপর গড়ে তুলবো রাজাকার গ্রুপ। বেশি না, প্রতিদিন ২টা করে ধর্ষণ করবো, আর ২ টা করে মানুষ খুন করবো। ধর্ষণে যদি বাঁধা দেয় তো যৌনাঙ্গে আগুন ধরিয়ে দেবো কচি কচি মেয়েদের। তো এভাবে দশ বছর করলেই হবে। দশ হাজার ধর্ষণ করে রেকর্ড করা হলো, মানুষও খুন করা হলো। ততোদিনে তো আমাকে নিয়ে সব রাজনৈতিক দলগুলোর টানা হেঁচড়া শুরু হয়ে যাবে। আমি কি বোকা নাকি? আমি জামাত শিবিরে যোগদান করবো। যদি এরা ক্ষমতায় থাকে তো কথাই নেই, ক্ষমতায় না থাকলেও কি আমি কাউরে টেরাই নাকি? আমি তো রাজাকার। আমাদের কি কোনো ভয় থাকে? থাকবেই বা কেন? আমি তো মানুষ না। আমি জানোয়ার, পিশাচ, আমি কেনো ভয় পাব। ও দেশে তো তখন দুর্ভিক্ষ চলবে। আমি কি করবো জানেন, চট করে আত্মসমর্পণ করবো। দেশের মানুষ আমার ফাঁসির দাবিতে মিছিল মিটিং করবে। আমারে কেডা ফাঁসি দেয়? রাজকীয় হালে খাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি, আর কী চাই? আমার আর কিছু লাগে নাকি? আমার রায় হবে। আমি জানি আমাকে ফাঁসি দেয়ার সাহস কারও নাই? কার আছে এতো সাহস? জানেন নাকি যে আমার এক হুংকারে তাদের কাপর ভিজে যায়। আজ রায় হয়েছে আমার। জানেন, আমাকে যাবজ্জীবন দিয়েছে?আহ, শেষ বয়সে তাহলে আমার আরামের ভালোই বন্দোবস্ত হলো। দেশের মানুষ যেখানে দুবেলা খেতে পারে না, আমি এতো অপরাধ করার পরেও আমাকে পোলাও কোরমা খাবার বন্দোবস্ত করেছে সরকার। ভালোই তো, খারাপ কোথায়?

তাই দেশের জনগণদের বলছি, চলুন, জামাত শিবিরে যোগ দিয়ে শেষ বয়সের রিজিকের বন্দোবস্ত করি।

আমিন।

কলামটি আমার প্রচন্দ ঘৃণা ও হতাশা থেকে লেখা।বুঝতেই পারছেন কাকে নিয়ে লিখেছি।

তাই আমিও মটোও বানিয়েছি একটি।

" জামাত শিবিরে যোগ দিন

কামিয়াবের গ্যারান্টি নিন। "

৪ টি +১/-০