![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিষয়ে বলার মত তেমন কিছুই নাই। আর দশজন সাধারণ মানুষের মত সাদাসিধে ভাবে জীবন অতিবাহিত করছি।তবে কিছু বিষয় আমার চরম অপছন্দ তা হল,কথা দিয়ে কথা না রাখা,কথায় কথায় মিথ্যা বলা,মানুষকে ঠকানো, বড়দের অসম্মান ও ছোটদের স্নেহ না করা, অশ্লীল কথা বার্তা বলা, অযথা তর্ক বিতর্ক করা, নিজের ভুল মেনে না নেওয়া, অকারনে কাওকে Ignore করা।
ঢাকা শহর, ব্যস্ত এক নগরী, যেখানে সবাই ছুটে চলে প্রতিনিয়ত জীবিকার টানে, বিভিন্ন কাজে, কারও যেন এক মুহূর্ত সময় নেই অন্যের খবর নেবার, কাউকে সহানুভূতি দেখাবার, কারো মনের কথা শুনবার, সবাই যেন নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, সবাই কেমন আত্মকেন্দ্রিক, ব্যাপার টা যেন এমন, নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
আমি এখানে বেশিদিন নই, মফস্বল শহরে থাকতে শুনেছি এ নাকি এক আজব শহর যেখানে কেউ কারো নয়, যদিও আসার পর খুব একটা কষ্ট অনুভব করিনি কারন যার সাথে থাকি তিনি আমার আপন বড় খালাত ভাই (ইফতেখার) যিনি আমাকে আগলে রাখেন, ও পাশে বড় খালাম্মার বাসা সেখানে গেলে বাড়ির সাধ পাই।
ব্যস্ত এ নগরীতে চলাচল খুব কষ্টের, এ ব্যাপারে ভেঙ্গে বলার আর দরকার হয়না কারণ এ শহরের যানজট এর সাথে কম বেশি সকলে পরিচিত, আমিও তার ব্যতিক্রম নই, এইতো সেদিন একটা কাজে আমি ও বন্ধু আতিফ শ্যামলী থেকে বাহন নামের বাসটিতে উঠলাম যা কিনা ছাত্রদের জন্য সুলভ মূল্যের ভাড়া রাখে।উঠে দেখি বসবার মত ছিট আছে তাই উঠেই প্রথম ডানের ছিটে বসে পড়লাম অনেকেই জানেন যে বাহন এর ড্রাইভার এ্রর পিছনের নয়টি ছিট মহিলা ও শিশুদের জন্য বরাদ্দ।
আমি জানালার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে আছি, কিছুক্ষণ পর কলেজ গেট থেকে একজন ভদ্রমহিলা উঠল (দেখে ভদ্র মনে হল) উনি উঠেই রেগে মেগে আগুন আমি প্রথমে বুঝিনি ব্যাপারটা কি হল, একটু পরে বুঝলাম যে পিছের দিকে অনেক সিট থাকা সত্ত্বেও সে ড্রাইভারের পিছনের প্রথম ছিটের জানালার পাশে বসতে চান যেখানে বসে ছিলেন একজন বয়স্ক খুবই অসুস্থ লোক যাকে তার স্ত্রী ধরে রেখেছিল।
মহিলার যুক্তি হল পুরুষ কেন এই সিটে বসবে ?? কিন্তু পুরুষ লোকটি কেন বসেছে সেটা তার ব্যাপার না। ঐ লোকের স্ত্রী এত করে বললেন সে খুব অসুস্থ তাই পাশে বসিয়ে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু ভদ্রমহিলা নারাজ তার জানালার পাশের সিট চাই চাই, সব দেখে বুঝে আসে পাশের বয়স্ক লোকেরা ঐ মহিলাকে(ভদ্র মহিলা) পিছনে গিয়ে বসতে বললেন, তাতে তিনি আরও চটে গেলেন, এ দেখে ভদ্র লোকেরা আর কিছু বললেন না কারণ তার ভাষা খুব একটা শোভনীয় নয়।
শেষ মেষ মহিলা এই শর্তে রাজি হলেন যে জানালার পাশের ছিট তাকে দিতে হবে তবে পুরুষ লোকটি যদিও ঐ ছিটে থাকে তাতে তার অসুবিধা নাই সে এই পাশে বসতে পারবে (একসাথে যেহেতু তিনটি আসন থাকে এই পাশের আসনটি ততক্ষণে শূন্য হয়েছিল), অসুস্থ লোকটি এই পাশে না এসে টুল বক্সের উপর বসে পড়লেন এতে ভদ্র মহিলার বেশ শান্তি হল।
আমি চুপচাপ বসে এই কাণ্ডকারখানা দেখছিলাম, কিন্তু কিছু বলিনি যেহেতু ঐ মহিলা যে অন্যদের কথা রাখেনি আমার কথা তো…………, আর যার সামান্য মানবতাটুকু নেই তাকে ভাল কথা বললে সে যে শুনবে সেটা ভাবা নিতান্তই ভুল, আর আমি যে মাপের কথা বলতে চাইছিলাম সেটা আসলে আমার বয়সের সাথে বা চেহারার সাথেও যায় না, অগত্যা চুপ করে রাগে ফুলছিলাম ও নচিকেতার একটি গানের কয়েকটি লাইন আওড়াচ্ছিলাম।
বাসে ট্রামে ওঠা দায়;
বসলে লেডিস সিটে,
মামনিরা মনে-মনে বিরক্ত হয়।
কেউ বা দেয় আওয়াজ;
বুড়োটা ধান্দাবাজ,
মেয়েদের কোলে বসে যাচ্ছে মজায়।
বৃথা হয় প্রতিবাদ,
বয়সটা বাধে সাধ,
ছানি পরা দুটো চোখ পলক নামায়।
লেখা- রায়হান তানজীম "Rayhan Tanjim" Facebook
০২ রা জুন, ২০১৫ রাত ১:৪২
রায়হান তানজিম বলেছেন: মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
নতুন বলেছেন: ভদ্রতা পোশাকে নয়, ব্যবহারে