নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাহিদ রাজ রনি। অঘ্রান অভ্রু নামটা বোকামি করে দেয়া এবং পরে আর নাম পাল্টানোর অপশন খুঁজে পাইনি। পত্রিকায় লিখি \'জাহিদ রাজ\' নামে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে আমি: jahidrajrony

অঘ্রান অভ্রু

একদিন কাক হয়ে উড়াল দিবো

অঘ্রান অভ্রু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: ঘোড়া আংকেল

০৯ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৩১

এই যন্ত্রের যুগে ঘোড়ার পিঠে চড়ে যাতায়াতের ব্যাপারটা একটু হাস্যকর হলেও আমজাদ আলি তাই করেন। তবে ভদ্রলোকের দুঃখের সীমা নাই, কারন মানুষ তাকে আমজাদ না ডেকে 'ঘোড়া আংকেল' ডাকে।
আমজাদ ভদ্রলোক নিজেকে জমিদারের বংশদর পরিচয় দেন। একদিন পাড়ার খুঁড়া জেঠু জিজ্ঞেস করেছিলো, কোন জমিদারের বংশদর তুমি আমজাদ? আমজাদ আলি চোখের চশমা নাকের ডগায় এনে চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে বললেন "আপনি কথা বেশি বলো। হাদিসে আছে কথা বেশি বলা লোক আল্লাহ পছন্দ করেন না। কথা কম বলবেন!" খুঁড়া জেঠু আহত গলায় বললেন ও আচ্ছা! ও আচ্ছা!

আমজাদ সাহেব ভেবেই পান না, ঘোড়ার পিঠে যাতায়াত করা একজন মানুষকে কি করে মানুষ অসম্মান করে। এইতো সেদিন পাড়ার জৈনক বালক তাকে বললো "তা ঘোড়া আংকেল, আপনার ঘোড়ার বয়স কতো?" আমজাদ সাহেব মুখে কিছু বললেও চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে মনে মনে বললেন "তুই বেটা সেদিনের ছেলে, এখনো দুধ খাস! ঘোড়া সম্পর্কে তুই কি জানিস! ঘোড়ার বয়স দিয়া করবি কি? ঘোড়ারে বিয়া করবি!"

এতোকিছুর পরও আমজাদ সাহেব গত চার বছর ধরে ঘোড়ার পিঠেই চড়েন। রোজ বিকেলে তিনি ঘোড়া নিয়ে এলাকায় চক্কর দেন। ভাবখানা এমন যে, রাজ্য ঘুরে দেখতে বের হয়েছেন রাজা। আমজাদ সাহেবের বড় ছেলে বিদেশ থেকে ফোন দিয়ে বলে 'বাবা টাকা পাঠাচ্ছি, একটা বাইক বা গাড়ি কিনে নেও! আমজাদ সাহেব ঠোটের কোন দিয়ে হাসেন। "তিনি এতটা গাড়ি কিনবেন আর সে গাড়ির ড্রাইভার তাকে নিয়ে যত্রতত্র ঘুরবেন, গাড়িতে গান বাজবে, মনিটরে বেগানা মেয়েছেলে নাচানাচি করবে" ভাবতেই আমজাদ সাহেবের মুখ দিয়ে আফসোসের চু চু শব্দ বের হয়ে আসলো। এতো বোকা তিনি না!

আমজাদ সাহেব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েন, স্বপ্নে দেখেন তার ছেলে তাকে ফোন দিয়ে বলছে "বাবা আরব থেকে এক নাম্বার উঁট পাঠাচ্ছি! এখন থেকে উঁটের পিঠে চড়বে!"

গল্প লিখার গল্পঃ
এক সন্ধ্যার গল্প, হেডফোনে গান শুনতে শুনতে হাটতে বের হয়েছি। রানওয়ের পাশে দেখলাম মানুষের জটলা। কাছে যেতেই দেখলাম লুঙ্গি পরা উলের টুপি মাথায় দেওয়া এক ভদ্রলোক রাস্তার পাশে উপুত হয়ে পড়ে আছে, অদূরে গাছে দড়ি দিয়ে একটা রোগা ঘোড়া বাঁধা। লোকজনের কাছ থেকে শুনলাম ভদ্রলোক ঘোড়ার মালিক। সামান্য মিসটেকের কারনে তিনি ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়ে গেছেন। না হলে তার দ্বারা ঘোড়ার পিঠ থেকে পড়া অসম্ভব। তখনই আমার মাথায় ঘোড়া এবং এই ভদ্রলোককে নিয়ে গল্প লিখার আইডিয়া আসলো। গল্প লিখতে গিয়ে দেখলাম এটাকে অনেক বড় গল্পে রুপ দেওয়া যায়।
যাইহোক, গল্প বা বড় গল্প (?) এখনো লিখা শেষ হয়নি। সংক্ষিপ্ত আকারে এখানে পোষ্ট করলাম। শেষ হলে পুরোটা পোষ্ট করবো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.