![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাকীব আল হাসান, সহকারী সাহিত্য সম্পাদক, দৈনিক বজ্রশক্তি।
ধর্মকে পার্থিব স্বার্থে ব্যবহার করা একটি সুস্পষ্ট প্রতারণা। এ প্রতারণার করালগ্রাস থেকে মুক্ত নয় আজকের কোনো ধর্মের মানুষই। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইসলাম ইত্যাদি পৃথিবীতে আজ যত ধর্ম প্রচলিত আছে তার সবই এখন ধর্মব্যবসায়ীদের হাতে কুক্ষিগত। কেউ ধর্মের ধ্বজাধরে ধর্মীয় পুস্তকাদির মুখস্থ বিদ্যা আউড়িয়ে অর্থ উপার্জন করছে, আবার কেউ ধর্মকে বানাচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের অন্যতম হাতিয়ার। এ সবগুলোই কার্যত ধর্মব্যবসা, যার নিষেধাজ্ঞা প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই মিলে। কিন্তু সে ধর্মগ্রন্থগুলোও তো ঐ ধর্মব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের জালে আবদ্ধ। কাজেই ধর্মব্যবসায়ীদের নিকৃষ্ট এই কর্ম সম্পর্কে আজকের দুনিয়ার অধিকাংশ ধর্মভীরু ব্যক্তিই অনবহিত। তারা ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা-পুরুত ও রাজনীতিকদেরকে ধর্মের হর্তাকর্তা ভেবে কার্যত প্রতারণার পালে হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে। আর সে হাওয়ায় ফুলে ফেঁপে উঠছে ধর্মব্যবসায়ী প্রতারকরা। পৃথিবীর প্রতিটি দেশে দেশে ধর্মব্যবসায়ীদের জ্বালানো আগুনে দগ্ধ হচ্ছে অসংখ্য নিপীড়িত অসহায় আদম সন্তান। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে এর ভয়াবহতা সীমা অতিক্রম করেছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো এদের অপকর্ম দ্বারা সাধারণ মানুষ যতই নিপীড়িত হোক না কেন, প্রতারক ধর্মব্যবসায়ী মহাজনরা কিন্তু স্বল্প দিনের ব্যবসাতেই নাম কামিয়ে ফেলেন। তারা সমাজে পরিচিত হন মাওলানা, আলেম, ওলামা, মোফাসসের, পীর, কামেল, ওলি ইত্যাদি হিসেবে। এভাবে যুগ যুগ ধরে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা অব্যাহত থাকার পরিণাম এই হয়েছে যে, মানবতার মুক্তির পথ ধর্ম রূপ লাভ করেছে মোল্লাতন্ত্রে। সমাজে একটি যুবক আজ যতটা না তার পিতাকে সম্মান করে তার চেয়ে বেশি সম্মান করে কথিত মাওলানা সাহেবকে। স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য না করলেও ঠিকই পীর সাহেবের আনুগত্য করেন। পিতা তার সন্তানকে না খাইয়ে রেখে সারা দিনের উপার্জনের টাকা মাজারের দানবাক্সে ফেলে আসে, মোল্লাকে নজরানা দেয়। বুভুক্ষ-হাড্ডিসার একজন ভিক্ষুককে অভুক্ত অবস্থায় বাইরে রেখে মোল্লা সাহেবকে গোস্ত পোলাও খাওয়ায়। এক কথায় প্রতারক ধর্মব্যবসায়ীদের ধর্মবাণিজ্য বর্তমানে জমজমাট রূপ লাভ করেছে।
©somewhere in net ltd.