নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভূলু'স রেসিপি

আমার রেসিপির সংগ্রহ আপনাদের জন্য

ভূলু

ভাল লাগে নিজের হাতে আপন জনকে রেঁধে খাওয়াতে।আর রান্নার প্রশংসা শুনতে, কার না ভাল লাগে বলুন! অবশ্য যেকোন নারীই এই দোষে দোষী হবে...। আমি রাঁধি আমার মত করে, রান্নার জন্য নাকি হাত লাগে, আমি বলি অন্তর লাগে।
রান্না'তো করি অনেক দিন ধরে, নিজের পরিবার, আপনজনেদের জন্য। ছেলেমেয়েদের আগ্রহে তা কাগজে টুকে রাখার চেষ্টা করছি এখন, ওরাই করে কাজটি। ওরাই আপনাদের সবার জন্য তা এইখানে প্রকাশ করতে বলল, তাতে নাকি সারা পৃথিবী থেকে সবাই দেখতে পাবে। এইসব রেসিপি'তে কেউ যদি রান্না করে একটু মজা পায় তাতেই আমি খুশী হব। ভাল লাগলে, খারাপ লাগলে জানাবেন, খুশী হব
http://www.vulusrecipe.com

ভূলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

গরুর কলিজা ভুনা

২১ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:৫৮

গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটি দেখার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। মজার ব্যাপারকি জানেন? - আমার ব্লগস্পটের ব্লগে সাধারণত ভিজিট হয় প্রতিদিন ৮০-১২০টি, এর মধ্যে বেশকিছু পাঠক আসেন সামুব্লগ থেকে, কেউ নিয়মিত পাঠক। কিন্তু সর্বশেষ গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটির জন্য সাইটের পেইজ ভিজিট হয়েছে ২১২ বার, আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে গুগলের সার্চে একেবারে টপে আছে এই গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটি। ব্লগস্পটে সপ্তাহের জনপ্রিয় রেসিপি লিস্টটা দেখলেই বুঝবেন। - এজন্য সবাইকে আবারো অনেক ধন্যবাদ।



আজকে নিয়ে এলাম - গরুর কলিজা ভুনা রেসিপিটি।



অনেকেই হয়ত কলিজা খেতে পছন্দ করেননা, তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম আগেই। আপনাদের এই অপছন্দের যে কারণই থাক, আমার মনে হয়েছে কলিজা রান্নার পর এর কাঁচা (আঁশটে) গন্ধটাই হয়ত অনেকের বিরক্তির কারণ। তবে আমার হাতে কলিজা রান্না আমার ঘরে সবাই খুব পছন্দ করেন। অনেক আগে ঈদের দিন শ্বাশুড়ি কলিজা ভুনা করতেন, তখন একান্নবর্তী পরিবারে গরুর পাশাপাশি অন্তত দুটো খাসী (বা ছাগল) কোরবানী হত। আমার শ্বশুর নিজ হাতে খাসীর চামড়া ছাড়াতেন, পশু জবাইয়ের ঘন্টা খানেকের মধ্যেই মাংস আর কলিজা পাঠিয়ে দিতেন অন্দর মহলে। ওইদিকে তাজা মাংসের ঝোল, কলিজা ভুনা আর হাতে বানানো চালের রুটি করে সবাইকে ডেকে পাঠানো হত। শ্বশুর তার চার ছেলেকে নিয়ে খেতে বসতেন, তখনো মাংস পুরোপুরি কাটা হয়নি। খাওয়া শেষ করে আবার সবাই চলে যেতেন মাংস কাটতে। দুপুর নাগাদ পুরুষদের সব কাজ শেষ, আর অন্দর মহলে শ্বাশুড়ীর সাথে আমরা প্রায় সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নাগাদ সেই মাংসের বিলি আর রান্নায় ব্যস্ত সময় কাটাতাম। তখনতো এখনকার মত ফ্রিজ ছিলনা; তাই রান্না করে, জ্বাল দিয়ে আর কখনো রোদে শুকিয়ে মাংস সংরক্ষণ করা হত (মাংস সংরক্ষণের টুকিটাকি নিয়ে একটা লেখা তৈরি হয়ে আছে, সম্ভবত আগামী কোরবানীর ঈদের আগে ওয়েবসাইটে দেব)।



যাই হোক, অনেক গল্প করা হলো, এবার আসুন দেখা যাক কি করে করবেন গরুর কলিজা ভুনা ?



ব্লগস্পটের ব্লগে রেসিপিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৪

মেঘমালাকম বলেছেন: আজকে খাব ।রেসিপির জন্য ধন্যবাদ।

২২ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৬

ভূলু বলেছেন: ভাই আপনাকেও ধন্যবাদ। এই রেসিপিতে রান্না করলে কেমন হল জানাবেন। আপনাদের ভাল লাগলে আমারও ভাল লাগে।

ধন্যবাদ।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩২

হঠাৎ বৃষ্টি! বলেছেন: হা হা! আমি নিজেও গরুর মগজ ভুনা রেসিপিটা এই কয়দিন বেশ কয়বার পড়ছি! :P

২২ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:২৬

ভূলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভুলু আপা। সামুতে আপনাকে মিস করি। আমি সাধারনত মগজ আগে সিদ্ধ না দিয়ে ভুনা করতাম। এবার আপনার রেসিপি পড়ে সিদ্ধ দিয়ে তারপর ভুনা করেছি। এবং আজই। :)
কলিজি ভুনা আমারও অনেক প্রিয়। রেসিপিটা এখুনি দেখছি।

২২ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩১

ভূলু বলেছেন: কেমন আছ ভাই? বাসায় সবাই ভালতো। রোজার ঈদের পর একটা মাত্র রেসিপি দিতে পেরেছি। তবে আমার ছেলে রেসিপি ব্লগ নিয়ে অনেক কাজ করছে, ও একটা সাইট খুলবে বলেছে আমার রেসিপিগুলো নিয়ে। অনেক রেসিপি লেখা হয়ে গেছে, এখন টাইপ করছে ছেলেমেয়েরা ওদের ফ্রি সময়ে। পরে সাইটে দিয়ে দেবে ওরা।

ও আগে সিদ্ধ করে নিলে গরুর কলিজা (কলিজি) ভুনাতে আর গন্ধ করেনা। অনেকের কাছেই গন্ধটা ভাল লাগেনা। আমার ঘরে সবার খুবই প্রিয় এই কলিজা ভুনা, আর ঈদের দিন প্রথমেই কলিজা ভুনা দিয়ে হাতে বানানো চালের আটার রুটি অনেক দিন ধরেই ট্র্যাডিশান, আমার শ্বশুর বাড়ী আর এখন আমার ঘরেও।

এই রেসিপিতে রান্না করলে কেমন লাগলো জানাবে কিন্তু।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৪১

চতুষ্কোণ বলেছেন: মার হাতের কলিজা ভুনা আমার খুবি প্রিয়। আপ্নারটাও দেখছি। দেরিতে হলেও ঈদের শুভেচ্ছা আপা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৯

ভূলু বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকেও, ভাল থাকবেন।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৩৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: আপু, ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ! মগজ ভুনা খুব ভালো হয়েছিলো। :P
আর কলিজি রান্নার আগে ভাল করে সিদ্ধ করে নেই যাতে তরকারীটা কালো না হয়। কারন কালো হলে কেও খেতে চায়না। কোরবানীর ঈদে আমিও আগে কলিজিটাই রান্না করি।
ভালো থাকবেন আপু। অনেক শুভ কামনা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

ভূলু বলেছেন: মজার একটা টিপস শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের সবারই রান্নায় এমন ছোট ছোট মজার বিষয় আছে, এইসব কিছু যদি তুলে আনা যেত বইতে। রান্নার বইগুলো যদি গল্পের বই হয়ে উঠত।

তোমার বাসার সবার জন্য শুভকামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.