নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবেগ নয়, বিবেককে প্রাধন্য দাও।।।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত

If u want to know anything about me, just ask।

আওরঙ্গজেব চৌধুরী রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক নামধারী ইসলাম বিদ্বষীদের ভন্ডামী এবং সরলমনাদের মগজধোলাইঃ বিবর্তনবাদ

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

আসলে বিবর্তনবাদ বিষয়টা অনেক জটিল। যারা একে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে গলা ফাটান তারা না কোন বিজ্ঞানের ছাত্র, না জীববিজ্ঞানের ছাত্র। আর যারা একে একেবারে ভুল বলে উড়িয়ে দেন তারাও একরকম অন্ধ বিশ্বাস থেকে এই কথা বলেন। আসল কথা হল কোন পক্ষই এই বিষয়টা নিয়ে পরিষ্কার কোন ধারণা রাখে না।
বিবর্তন নিয়ে যদি বলতে হয় তবে প্রথমেই বলে নেওয়া দরকার যে বিবর্তনবাদ বা ইভোল্যুশন কোন একটি মতবাদ নয়। এটা কয়েকটা মতবাদের সমষ্টি। সেগুলো হল, মাইক্রো ইভোল্যুশন, ম্যাক্রো ইভোল্যুশন, কেমিক্যাল ইভোল্যুশন, কমন ডিসেন্ট, ন্যাচারাল সিলেকশন ইত্যাদি।
এই মতবাদগুলোর সমষ্টি হচ্ছে বিবর্তনবাদ। এর কয়েকটি সঠিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে আর কয়েকটি নিয়ে বিজ্ঞানীরা এখনো গবেষণা করছেন। কোন কোন বিজ্ঞানীর মতে এর কয়েকটি তত্ব কয়েকটি ত্রুটিপূর্ণ এবং সেগুলো বাস্তবে ঘটা সম্ভব নয়। যেমন কেমিক্যাল ইভোল্যুশন এবং ন্যাচারাল সিলেকশন।
বাকি মাইক্রো এবং ম্যাক্রো ইভোল্যুশন তত্ব সম্পর্কে সবাই মোটামুটি একমত। মাইক্রো ইভোল্যুশন হচ্ছে একটি কোষে খুব ক্ষুদ্র কোন পরিবর্তন যা তার গঠন এবং কার্যকারিতাকে পরিবর্তন করে দেয়। যেমন এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়া কোষের প্রতিরোধ সৃষ্টি হওয়া যাকে ব্যাকটেরিয়ার এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স বলে। এটা খুব স্বাভাবিক এবং অহরহ ঘটে চলা একটি প্রকৃয়া। আর ম্যাক্রো ইভোল্যুশন হচ্ছে মাইক্রো ইভোল্যুশনের বড় রুপ। যখন অনেক গুলো মাইক্রো ইভোল্যুশন যুগপতভাবে বছরের পর বছর ধরে একটু একটু করে চলতে থাকে তখন তা ম্যাক্রো ইভোল্যুশনে রুপ নেয়। এর সবচেয়ে ড্রামাটিক উদাহরণ হল ডাইনোসরের বিবর্তন। বর্তমানের অনেক সরীসৃপ প্রাণী যেমন গিরগিটি, গিলা মনস্টার ইত্যাদি লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ডাইনোসর থেকে বিবর্তিত হয়েছে। তবে পৃথিবীর সব প্রাণী যে ম্যাক্রো ইভোল্যুশনের ফল তা নয়। এমন বহু প্রাণী আছে যারা কোটি কোটি বছর ধরে একই রকম আছে যেমন কুমির, কচ্ছপ ইত্যদি। বরং জীববিজ্ঞানীদের মতে ম্যাক্রো ইভোল্যুশন হচ্ছে খুব বিরল একটি ঘটনা যা শুধু কয়েকটি প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে।
বাকি রইল ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ। খুব সহজ ভাষায় বললে এটা হচ্ছে বেচে থাকার তাগিদে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য কোন প্রাণীর বাহ্যিক কোন বৈশিষ্ট্যের স্থায়ী পরিবর্তন। এটা একটি বিতর্কিত মতবাদ। এর পক্ষে যেমন অনেকে বলেন তেমনি এর পক্ষেও যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় না। শুধু কিছু ধারণা এবং অনুমানের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা পুর্বানুমান করে থাকেন। যেমন ধারণা করা হয় শিকারের সুবিধার জন্য বক, মাছরাঙ্গা প্রভৃতির ঠোট লম্বা হয়ে গেছে, উচু গাছের পাতা খাওয়ার জন্য জিরাফের গলা ধীরে ধীরে লম্বা হয়েছে, প্রতিকুল পরিবাশে বাচার জন্য উটের কুজ সৃষ্টি হয়েছে ইত্যাদি। এগুলো জাস্ট অনুমান এবং এগুলো প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট তথ্য বিজ্ঞানীরা এখনো সংগ্রহ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিবর্তন মুলত এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে পরিবর্তবন বা ট্রান্সফরমেশন ব্যখ্যা করে। কিভাবে প্রাণের উতপত্তি হয়েছে তা ব্যখ্যা করে না। তাই বিবর্তন নিয়ে এত লাফানোর কিছু নেই।
বিবর্তনের এর কিছু মতবাদ ইসলাম সমর্থন করে, আর কিছু অংশ এখনো অপ্রমাণিত। মোটকথা বিবর্তন যদি পুরোপুরি সত্যি হয় তবেও তা স্রষ্টার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে না। কারণ মুল প্রশ্নটা হল বিবর্তন জিনিসটা কি অটোমেটিক হয়েছে নাকি বাইরের অতি ক্ষমতাধর কোন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে হয়েছে সেই গবেষণা বিজ্ঞানের আওতার বাইরে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.