নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডিজিটাল মুর্খ

সবকিছু ডিজিটাল হচ্ছে আমি কেন এ্যানালগ থাকবো।

হতভাগা রিজভী

ভালবাসি স্বপ্ন দেখতে তাইতো বাস্তবায়নে ছুটে বেড়াই দূর বহুদূরে। কখনোবা স্বপ্ন খুঁজতে গিয়ে পথ ‍হারিয়ে বিস্তীর্ণ উজানে চিহ্ন এঁকে এঁকে পথ চিনে নেই।

হতভাগা রিজভী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই ইলিয়াস আলী... সেই ইলিয়াস আলী

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৫

তিনি ছিলেন দাপুটে ছাত্র নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অন্যতম ত্রাস। যার বিরুদ্ধে ছিল হত্যা ও গুম করার অনেক অভিযোগ। সেই এম ইলিয়াস আলী এখন নিজেই নিখোঁজ। গুম কিংবা খুনের শিকার।



বিএনপি এ নিয়ে সরকারকে দায়ী করেছে। বলা হচ্ছে সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে গুম করে রেখেছে।



বাজারে ছড়িয়ে আছে অনেক গুজব। ইলিয়াস আলী তার দীর্ঘ ছাত্র ও জাতীয় রাজনৈতিক জীবনে কম শত্রু সৃষ্টি করেননি, এমন মন্তব্য করে অনেকেই বলছেন এসব শত্রুপক্ষের যে কোনো পক্ষই হতে পারে তার নিখোঁজ হওয়ার কারণ।



সিলেটের রাজনীতির কলকাঠী নাড়ছেন যে ক’জন রাজনীতিবিদ তার মধ্যে ইলিয়াস আলী মূল ভূমিকায়। সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সময় কিছুটা চাপের মধ্যে থাকলেও এসময়ে তিনিই বৃহত্তর সিলেটের রাজনীতির পাকা খেলোয়াড়। বিরোধীদলের একজন নেতা হওয়ার পরও ইচ্ছেমত ছড়ি ঘোরাতেন সিলেটের রাজনৈতিক ময়দানে।



ইলিয়াস আলী বৃহত্তর সিলেটের বিরোধীদলীয় রাজনীতির মহীরুহ হয়ে উঠেছেন এমনটাই মন্তব্য তার সঙ্গে রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের। বিএনপিতে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি।



বাংলানিউজের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ইলিয়াস আলীর রাজনৈতিক উত্থানের ধারাবাহিক চিত্র। পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো।



সিলেটের এমসি কলেজে এইচএসসি অধ্যয়নকালে ছাত্ররাজনীতির সাথে যুক্ত হন এম ইলিয়াস আলী। সে সময় তিনি ছিলেন ছাত্রলীগের একজন কর্মী।



১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর তিনি ছিলেন জসিম উদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র।



বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েই ইলিয়াস আলী যোগ দেন এরশাদের ছাত্রসমাজে। এসময় অস্ত্রবাজির রাজনীতি শুরু করেন। নতুন বাংলা ছাত্রসমাজের ক্যাডার হিসেবে যোগ দিলেও পরে দলবদল করে ছাত্রদলের নেতা হয়ে ওঠেন ইলিয়াস আলী।



বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়ই দলে গ্রুপিংয়ের রাজনীতি ঢুকিয়েছিলেন ইলিয়াস আলী। গড়ে তুলেছেন নিজস্ব গ্রুপ। ছাত্রদলের ক্যাডার পরিচিতি দিয়েই উত্থান তার। একের পর এক ঘটনার নায়ক হয়ে জন্ম দিতে থাকেন অভন্তরীণ সংঘাত। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। ইলিয়াস আলী পরিণত হন ত্রাস সৃষ্টিকারী এক সন্ত্রাসনির্ভর ছাত্রনেতায়। বহু খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সে কারণে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। জেলে কাটে সময়।



১৯৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ছাত্রদল নেতা বজলুর রহমান শহীদ ওরফে পাগলা শহীদ হত্যাকাণ্ড, ৮৯ সালের ২৯ নভেম্বর তার নেতৃত্বে ডাকসু কার্যালয় ভাংচুর, ৯২ সালের ৩ আগস্ট ছাত্রদলের রতন গ্রুপের সঙ্গে ইলিয়াস গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নিহত হওয়া এবং এই সংঘর্ষের জের ধরে ৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মামুন ও মাহমুদ নাম দুই ছাত্রদল নেতার হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিলেন ইলিয়াস আলী। মামুনকে হত্যা করে তার লাশ গুম করা হয়েছিলো সূর্যসেন হলের পানির ট্যাংকিতে।



এছাড়াও প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মির্জা গালিব ও ছাত্রলীগ নেতা লিটন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯১ সালে গ্রেফতার করা হয় ইলিয়াস আলীকে।



ওই বছর ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তাই এক বছরের মধ্যেই ছাড়া পান ইলিয়াস আলী। এর পর দলের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রদলে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হন তিনি। ৯২ সালে ১৬ জুন ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হলে রহুল কবির রিজভী আহমেদ সভাপতি ও এম ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।



কিন্তু তখনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় বিএনপির শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা তার প্রতি বিরাগভাজন হয়ে ওঠেন। মাত্র ৩ মাসের মাথায় ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এ সময় বিএনপি ক্ষমতায় থাকা স্বত্বেও ৯৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুন ও মাহমুদ হত্যা মামলায় আবার গ্রেফতার হন ইলিয়াস আলী। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। দুই বছর কারাবাসের পর মুক্তি পান তিনি। শর্ত হিসেবে বিএনপির হাইকমান্ডকে ইলিয়াস আলী কথা দেন কেবলমাত্র তার নিজ এলাকা বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা ছাড়া অন্যকিছু নিয়ে মাথা ঘামাবেন না।



এরপর ঢাকার রাজনীতি ছেড়ে সিলেটে যান ইলিয়াস আলী। কিন্তু সিলেট গিয়েই ভুলে বসেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দেওয়া তার ওয়াদার কথা।



সে সময় থেকেই ভয়ঙ্কর মূর্তি নিয়ে সিলেট দাপিয়ে বেড়ান এই নেতা। শুধু নিজ এলাকায় বিএনপি সংগঠিত করা নয় সিলেটে তাকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের একটি শক্তিশালী গ্রুপ গড়ে উঠে। তিনি নিজেও তার বেপরোয়া আচরণ অব্যাহত রাখেন। নিজস্ব বলয় গঠন করে সিলেটের রাজনীতির আলোচনায় উঠে আসেন ইলিয়াস আলী।



১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।



সিলেটের অনেক সিনিয়র রাজনীতিবীদ ইলিয়াস আলীর ও তার দলবলের হামলার মুখে পড়েন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ এম সাইফুর রহমান, আবদুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এসএমএ কিবরিয়া, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আবুল মাল আবদুল মুহিতের মতো ব্যক্তিরা ইলিয়াস আলীর রাজনৈতিক কূটচালের কাছে অসহায় হয়ে পড়েন।



শুধু সিলেট আর ঢাকায় নয় দেশের বাইরেও উশৃংখল আচরণের দায়ে পুলিশের নজরবন্দি হতে হয় ইলিয়াস আলীকে।



২০০০ সালে লন্ডনের মিল্টন কিন্স শহরে জয়পুর রেস্টুরেন্টে ওয়েটারকে হত্যার হুমকি দেন তিনি। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে কঠোরভাবে হুশিয়ার করে দিয়ে যায় তাকে।



২০০১ সালে এমপি হওয়ার পর তার এলাকা বিশ্বনাথ বালাগঞ্জে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করার অভিযোগ উঠে ইলিয়াস আলীর বিরুদ্ধে। তার নির্বাচনী এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী আর প্রশাসনকে ইচ্ছেমতো দলীয়করণের প্রচেষ্টায় নামেন তিনি।



প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মাঠে নামে ‘ইলিয়াস বাহিনীর লোক’ নামে পরিচিত একদল ক্যাডার-এমন অভিযোগ তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের।



এসব কিছুর প্রতিবাদ করারও সাহস ছিলো না মানুষের এমনকি ভুক্তভোগীদের। ২০০১ সালের ওইসব ঘটনার জের ধরে মামলা হয়েছে ১১ বছর পর গত মঙ্গলবার রাতে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন সকালে। সিলেটের বিশ্বনাথ থানায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে দুটি মামলা হয়।



২০০১ সালে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ এনে মামলা দুটি করেছেন আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ব্যবসায়ী বাশারত আলী বাঁচা।



মামলায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, ভয় দেখানো, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইলিয়াস আলী ও তার লোকেরা বাদীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।



এতসব অত্যাচার নিপিড়ণের অসংখ্য বিতর্কিত ঘটনার নায়ক ইলিয়াস আলী সবকিছু পাশ কাটিয়ে ফিল্মি স্টাইলে দেশব্যাপী পরিচিত হয়ে উঠেন।



সর্বশেষ সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এ কিবরিয়া হত্যা এবং ব্রিটিশ হাইকমশিনার আনোয়ার চৌধুরীরকে হযরত শাহজালাল মাজার গেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।



তবে এতকিছুর পরেও ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথ বালাগঞ্জের উন্নয়নে তার সময়ের অবদান এখনও লোকমুখে। সাধারণ মানুষ রাজনীতির কূটচাল ভুলে ইলিয়াস আলীকে তাদের উন্নয়নের কাণ্ডারী ভাবেন।



ইলিয়াস আলী নিঁখোজের পেছনে নিজ দলের প্রতিপক্ষ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা, সরকার ও জামায়াতে ইসলামের হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন সিলেটবাসী।



আর সিলেট-লন্ডন কানেকশন, কোটি কোটি টাকার লেনদেন এসব বিষয় নিয়েও কথা শোনা যায়।



ইলিয়াস আলী জীবিত ফিরলেই হয়তো মূল তথ্য জানা যাবে। নয়তো সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ যে তথ্য উদঘাটন করবে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। আর নয়তো ইলিয়াস আলী উপাখ্যানের শেষ অংশ আর কখনোই জানা যাবে না।



সূত্র এখানে

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:০৮

অনিখট বলেছেন: আসলে সরকারের উচিত বিএনপির সবাইকে গুম করা, আর বিএনপি ২ বছর পর এসে আওয়ামিলীগের এমপি মন্ত্রিদের করবে...এভাবে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী রাজনীতিবীদদের হাত থেকে মুক্তি পাবে...আমরা পাবো সুখী সমৃদ্ধশীল বাংলাদেশ

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১৯

হতভাগা রিজভী বলেছেন: আমি ভাই সহজ সরল মানুষ রাজনীতি বুঝিনা। রাজনীতি নিয়ে ভাবতে চাইনা। ভাবতে গেলেই কেন জানি মনে হয় এই বুঝি কারো টার্গেটে পরিণত হলাম। তবে এটুকু বুঝি যে- যেমন কর্ম তেমন ফল।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১৪

সাইফ সাইমুম বলেছেন: বেচারা ইলিয়াস আলী !

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২১

হতভাগা রিজভী বলেছেন: সত্যিই বেচারা ইলিয়াস আলী। কালকে জনৈক সাংবাদিক ভাই বলল- ‘কিবরিয়া সাহেব দীর্ঘদিন একাকী অবস্থায় আছে এবার মনে হয় সঙ্গী পেয়েছে।’

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:১৫

আলুমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিন্কটার জন্য আর সাংবাদিকদের যারা এই তথ্যমুলক লেখাটি সৎসাহস নিয়ে প্রকাশ করেছেন। আমরা যে কেন এত সহজে ভুলে যাই?
আমি এবিষয় নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম দুদিন আগে।
Click This Link

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২৬

হতভাগা রিজভী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখাটা আমি প্রকাশের পরপরই পড়েছি এবং অনেক কিছূ জেনেছি। আমার সংগৃহিত লেখাটা থেকেও অনেক কিছু জেনেছি।
আসলে হয়েছে কি অনেক সময় সাংবাদিকরা নিজের প্রতিষ্ঠানের (যে মিডিয়ায় কর্মরত) ভয়েও অনেক কিছু লিখতে এবং প্রকাশ করতে পারেনা। দিন দিন কেন জানি সাংবাদিকরাও কোনঠাসা হয়ে আসতেছে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:২৮

মুনাজির বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি ভাই সহজ সরল মানুষ রাজনীতি বুঝিনা। রাজনীতি নিয়ে ভাবতে চাইনা। ভাবতে গেলেই কেন জানি মনে হয় এই বুঝি কারো টার্গেটে পরিণত হলাম। তবে এটুকু বুঝি যে- যেমন কর্ম তেমন ফল।
তাহলে শেখ সাহেব কি এ ফলই ভোগ করেছেন?!!

২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৩

হতভাগা রিজভী বলেছেন: প্রাত্যাহিক জীবনে আমাদেরকে কিছু কিছু অতি কমন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় যেগুলোর উত্তর প্রশ্নকর্তারাই ভাল জানেন।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৪

রাখাল বন্ধু বলেছেন:

ধরা খাইয়া ছবিটা মুইছা দিলা?? :)

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৩

হতভাগা রিজভী বলেছেন: ইলিয়াস আলীর ছবিতো? :P :P :P
সমস্যাটা কোথায় পিসিতে না অন্য কোথায় বুঝতে পারলাম না। অনেক চেষ্টা করেছি ছবি এ্যাড করতে হয়নি। X( X( X( X(
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৪৯

মুনাজির বলেছেন: মানুষকে এভাবে গুম করা যায় কখনো ভাবতে পারিনি। ভাবিনি এটাও রাজনৈতিক নৃশংসতার একটি! ক্ষমতার জন্য এক সময় পাকিস্তানিরা করেছে এসব, এরপর করেছেন মুজিব, জিয়া, ইরশাদ, খালেদা ও হাসিনা- কম আর বেশী পার্থক্য এখানেই। জোড় যার মুল্লক তার। এখন শেখ হাসিনার হাতে ক্ষমতা, তিনি যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, দোষ খালেদার। আবার হয়তো খালেদার সময় আসবে! তখন আমার হাসিনা নিজেই ইস্যু তৈরি করার জন্য কখনো কামরুলকে, কখনো ম খা আলম গীরকে, কখনো অমুককে-তুমুককে হত্যা বা গুম করবেন!?

এরা কিভাবে মুসলিম হয়, এদের অন্তরে কি আল্লাহ বা আখেরাতের ভয় নেই, কি উত্তর দিবে এসব হত্যার তারা?! এরা দেখে না শেখ মুজিব নিজেই কিভাবে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের দ্বারা সপরিবারে হত্যার শিকার হলেন! খালেদা নিজের তৈরি মঊন আহমদের বলি হলেন!?

পাপ ছাড়ে না বাপেরে, তবে সময় লাগে এই। এ জন্য বলি কারো বুক খালি কইরেন না, মানুষকে এভাবে গুম কইরেন না। ক্ষমতা ধরে রাখার কৌশল হিসেবে অন্য দেশের কথায় নিজের দেশের মানুষকে এভাবে আতঙ্কিত কইরেন না। কাফেরের শাসন টিকে, কিন্তু যালেমের শাসন টিকে না, যদিও সে মুসলিম হয়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৪

হতভাগা রিজভী বলেছেন: পাপ ছাড়ে না বাপেরে, তবে সময় লাগে এই।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৩

ফাউইঞ্জিনিয়ার বলেছেন: নাজির বলেছেন: মানুষকে এভাবে গুম করা যায় কখনো ভাবতে পারিনি। ভাবিনি এটাও রাজনৈতিক নৃশংসতার একটি!

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৬

হতভাগা রিজভী বলেছেন: আজকে এনটিভিতে সন্ধ্যার খবরে গুম বিষয়ক ৩ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ১ম পর্ব দেখেছি। সেখানে গুম বিষয়ক অনেক কিছু তুলে ধরা হয়েছে। যেগুলি ছিল ইলিয়াছ আলীর চেয়েও আরো নৃশংস।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: মানুষ সহযেই সব ভুলে যায়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৮

হতভাগা রিজভী বলেছেন: অতীতকে মনে না রেখে এ অবস্থা মনে রাখলেতো কথাই নেই।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৫৯

বঙ্গদর্পণ বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ।
এ ধরনের খুনী-সন্ত্রাসী আর ফিরে না আসলে দেশের জন্য মঙ্গল। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা ইলিয়াস আলী যেন অনন্তকালের জন্য নিখোঁজ থাকে।

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১০

হতভাগা রিজভী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম। ইলিয়াস আলী সবার কাছে খারাপ হতে পারে কিন্তু স্ত্রী পুত্র কন্যার কাছে সে ছিল ফুলের মতো। অন্তত ছোট মেয়েটার কথা মনে হলে খারাপ লাগে।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:০৬

বিদ্যাগজগজ শামীম বলেছেন: গত ২৭ মাসে ১০০ নিখোজ।

সবাই কি সহজ সরল মানুষের মতে- ইলিয়াস আলীর মত সন্ত্রাসী ছিল নাকি ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১২

হতভাগা রিজভী বলেছেন: না সবাই ইলিয়াস আলীর মত না। অনেক নির্দোষ ব্যক্তিকেও প্রাণ হারাতে হয়েছে।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:১৫

বিদ্যাগজগজ শামীম বলেছেন: অনেক নির্দোষ ব্যক্তিকে প্রাণ হারাতে হয়েছে।

এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কি ২০১২ এর মধ্যে শেষ হবে ?

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১৩

হতভাগা রিজভী বলেছেন: ২০১২ বুঝতে চাইনা, চাই অপরাধীর সাজা।

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৫:২৫

মাথা খারপ মানুষ বলেছেন: ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথ বালাগঞ্জে গেছেন কখনও?
ফাউল খবর প্রচার করবেন না।
আর ইলিয়াস আলী সিলেট শহরের রাজনীতিতে ২০০০ সালের পর এক্টিব হন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:০৮

হতভাগা রিজভী বলেছেন: আপনার বুঝি বেশি লেগেছে। X( X( X(

ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ গিয়েছি মানে এইতো মাত্র মাস তিনেক আগেও শুধু তার নির্বাচনী এলাকা নয় আরো অনেকের নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছি।

২০০০ সালের পর এলাকার রাজনীতিতে কেন এ্যাক্টিভ হয়েছেন তা যদি না জানেন তাহলে শুনুন- ইলিয়াস আলী বর্তমান ১৮ দলীয় সমর্থক হলেও তার বিভিন্ন কর্মকান্ডে স্বয়ং দলের লোকজনই অতিষ্ঠ। ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর তাকে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক করা হলেও তিন মাসের মধ্যে তাকে অপসারণ করতে গিয়ে সে কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর সন্ত্রাসের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে জেলে পুরে প্রায় ২ বছর আটকে রাখেন খালেদা জিয়া স্বয়ং।

সর্বশেষ জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দলের হাইকমান্ড কঠোরভাবে নির্দেশ দেয় সে যেন জাতীয় রাজনীতিতে আর হস্তক্ষেপ না করে। বরং এলাকার রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়–ক। ঢেকি স্বর্গে গেলেও নাকি ধান ভানে। শুরু করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। অন্যান্য দলের পাশাপাশি সিলেট বিএনপির রাজনীতেতে শুরু করে হস্তক্ষেপ। নিজেদের মধ্যে বাঁধিয়ে দেয় কোন্দল। প্রয়োজনে গুম হত্যা করতে পিছপা হননি। সাধারণ জনগণকে আর কোন দিক দিয়ে স্বস্তি দিতে না পারলেও সাংসদ হয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সফল হয়েছেন।

তবে সব কথার শেষ কথা হচ্ছে- বিন্দু পরিমাণ শুভ কাজকে আপনি পাহাড় পরিমাণ কলঙ্ক দিয়ে ঢাকতে পারবেন না। ধন্যবাদ।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ ভোর ৬:০৪

রাখাল বন্ধু বলেছেন: সিলেটে ইলিয়াছ আলীর সমান জনপ্রিয় কোন রাজনৈতিক নেতা নাই, সেইটা বুইঝাই হাসিনা তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিছে|

২১ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১১

হতভাগা রিজভী বলেছেন: =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

ইয়াংেমন বলেছেন: View this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.