নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
এবারের একাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আজ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পঞ্চমবারের মত শিরোপা ঘরে তুলল। এটি এখন পুরনো খবর। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপের এখনো কিছু খবর মোটেও পুরনো হয়নি। বরং বিশ্বকাপ শেষ হলেও তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে নানান আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেসব ঘাটের খবর নিয়ে আজ লিখব।
১. একদিনের ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে কি?
ক). একদিনের ক্রিকেটে (৫০ ওভার) পাওয়ার প্লে হল এক ধরনের ফিল্ড রেস্ট্রিকশান। অর্থ্যাৎ খেলায় মোট ২০ ওভার ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশান থাকবে। প্রথম ১০ ওভার এবং ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ৫+৫= ১০ওভার। যাতে মোট তিনটি ব্লক। প্রথম ব্লক হল খেলা শুরুর প্রথম ১০ ওভার। এই সময় ৩০ গজের বাইরে ফিল্ডিং সাইড মাত্র দুই জন ফিল্ডার রাখতে পারবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্লক হল ৫ ওভার করে, যা ব্যাটিং ক্যাপ্টেন ও ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে সেই সুযোগ নিতে পারেব। যদি ফিল্ডিং সাইডের ক্যাপ্টেন পাওয়ার প্লে'র কোনো সুযোগ না চায়, তাহলে ইনিংসের শেষ ওভার হবে বাধ্যতামূলক পাওয়ার প্লে।
খ). ১১ থেকে ১৫ ওভার এবং ৪১ থেকে ৫০ ওভারের সময় কোনো দলই পাওয়ার প্লে'র সুযোগ নিতে পারবে না।
গ). ১৬ থেকে ৪০ ওভারের মধ্যে ৫ ওভার করে ব্যাটিং বা বোলিং পাওয়ার প্লে'র সুবিধা নিতে হবে যে কোনো দলের ক্যাপ্টেনকে।
ঘ). প্রথম ১০ ওভার পাওয়ার প্লে'র সময় মিনিমাম দুইজন ফিল্ডারকে ক্যাচিং পজিসনে রাখতে হবে (১৫ গজ সার্কেলের মধ্যে)।
ঙ). দ্বিতীয় ৫ ওভার পাওয়ার প্লে খেলার সময় ৩০ গজ বৃত্তের বাইরে ৩ জন ফিল্ডার রাখতে হবে।
চ). প্রথম দশ ওভার পাওয়ার প্লে'র সময় যদি ফাস্ট বোলার বল করেন, তাহলে সিলি ও গালি পয়েন্টে আরো দুইজন ফিল্ডার রাখতে হবে। যাদের ১৫ গজ বৃত্তের ভেতরে থাকতে হবে।
ছ). সাধারণত ফিল্ড আম্পায়ারগণ ৩৪ ওভারের পর পাওয়ার প্লে'র সংকেত দেবেন।
জ). যদি ৫০ ওভারের খেলা বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে কমিয়ে আনা হয়, তাহলে পাওয়ার প্লে'র ওভার নিচের নিয়মে কমে যাবে।
খেলার দৈর্ঘ্য : মোট পাওয়ার প্লে ওভার : দৃশ্য বা পর্যায়
১. খেলা ২০-২২ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ৮ ওভার, ৪+২+২
২. খেলা ২৩-২৪ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ৯ ওভার, ৪+৩+২
৩. খেলা ২৫-২৭ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১০ ওভার, ৫+৩+২
৪. খেলা ২৮-২৯ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১১ ওভার, ৬+৩+২
৫. খেলা ৩০-৩২ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১২ ওভার, ৬+৩+৩
৬. খেলা ৩৩-৩৪ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৩ ওভার, ৭+৩+৩
৭. খেলা ৩৫-৩৭ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৪ ওভার, ৭+৪+৩
৮. খেলা ৩৮-৩৯ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৫ ওভার, ৮+৪+৩
৯. খেলা ৪০-৪২ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৬ ওভার, ৮+৪+৪
১০. খেলা ৪৩-৪৪ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৭ ওভার, ৯+৪+৪
১১. খেলা ৪৫-৪৭ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৮ ওভার, ৯+৫+৪
১২. খেলা ৪৮-৪৯ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ১৯ ওভার, ১০+৫+৪
১৩. খেলা ৪৯-৫০ ওভার হলে, পাওয়ার প্লে হবে ২০ ওভার, ১০+৫+৫
ঝ). ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন লেগ সাইডে ৫ জনের বেশি ফিল্ডার রাখতে পারবে না।
ঞ). স্কয়ার-লেগ লাইনে দুইজনের বেশি ফিল্ডার রাখা যাবে না। পাওয়ার প্লে'র সয় যদি ডিপফাইন লেগ, ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ারলেগ ও গালি বা স্লিপে কোনো ক্যাপ্টেন তিনজন ফিল্ডার রাখেন, তাহলে বোলারের করা বলটি নো বল হবে।
ট). খেলার কোনো পর্যায়ে ৫ জনের বেশি ফিল্ডার বাউন্ডারি লাইনে রাখা যাবে না।
ঠ). টি-২০ খেলায় পাওয়ার প্লে ওভার হবে মাত্র ৬টি। কিন্তু ৫০ ওভারে এটা হবে (১০+৫+৫=) ২০ ওভার করে।
২. আম্পায়ার ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম কি?
যদি ফিল্ড আম্পায়ারের দেওয়া আউট বা নটআউট নিয়ে ব্যাটসম্যান বা ফিল্ডিং ক্যাপ্টেন কোনো ধরনের কনফিউশন থেকে রিভিউ আপিল করেন, তখন টিভি আম্পায়ার সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখবেন। এক্ষেত্রে হক-আই ও হট-স্পট দিয়ে তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করবেন টিভি আম্পায়ার।
ক). একটি দল মাত্র দুইবার রিভিউ আপিল করার সুযোগ পাবে।
খ). যদি ব্যাটসম্যানের বা ফিল্ডিং ক্যাপ্টেনের চ্যালেঞ্জ আবেদন/রিভিউ টিভি আম্পায়ার কর্তৃক বাতিল বা অপরিবর্তিত হয়, তাহলে ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
গ). ব্যাটসম্যান বা ফিল্ড ক্যাপ্টেনের রিভিউ আপিল টিভি আম্পায়ার যে রায় দেবে, তাই মেনে নিতে হবে।
ঘ). কিভাবে এটি পরীক্ষা করা হবে? প্রথমে দেখা হবে বলটি নো বল ছিল কিনা। তারপর দেখা হবে বলটির সঙ্গে ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা প্যাডের সঙ্গে কেমন ঘটনা ঘটেছে। ফিল্ড আম্পায়ার সিদ্ধান্ত দেন হক-আই প্রেডিকটর ছাড়াই, কেবলমাত্র বলের ইফেক্ট বিবেচনা করে। কিন্তু টিভি আম্পায়ার দুটোই বিবেচনা করে রায় দেন।
৩. লেগ বিফোর উইকেট বা এলবিডব্লিউ কি?
বল যখন ব্যাটসম্যানের ব্যাটে না লেগে প্যাডে লাগে তখন বোলার আউটের আবেদন করেন। এক্ষেত্রে মোট চারটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রথমত বলটি উইকেট বরাবর ছিল কিনা সেটি প্রধান বিবেচ্য বিষয়। দ্বিতীয়ত দেখা হয় বল কতোটা উঁচুতে প্যাডে আঘাত লেগেছে। তৃতীয়ত ব্যাটিং ক্রিজ থেকে ব্যাটসম্যান কতোটা সামনে ছিলেন সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়। চতুর্থত বল পিচে ঠিক কোথায় আঘাত করেছে প্যাডে লাগার আগে। নাকি ব্যাটে লেগে প্যাডে লেগেছে?
ক). যদি প্যাডে লাগার আগে বলটি ব্যাট ছুঁয়ে যায়ম তাহলে ব্যাটসম্যান নটআউট।
খ). যদি বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে প্যাডে লাগেম সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান নটআউট।
গ). যদি অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলার সময় ব্যাটে না লেগে প্যাডে লাগে বা অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল প্যাডে লাগে, সেক্ষেত্রে ব্যাটসম্যান নটআউট।
ঘ). যদি অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ব্যাটসম্যান খেলার চেষ্টা না করে ছেড়ে দেন, তখন যদি বল প্যাডে লাগে, সেক্ষেত্রে আম্পায়ার খেয়াল করেন বল কি স্ট্যাম্পে হিট করত নাকি বাইরে দিয়ে যেত।
ঙ). যদি ফুল টস বল স্ট্যাম্প বরাবর প্যাডে লাগে, যা দেখে মনে হয় প্যাডে না লাগলে বলটি স্ট্যাম্প বরাবর ছিল, তাহলে আম্পায়ার ব্যাটসম্যানকে আউট দেবেন।
৪. ক্রিকেটে একজন ব্যাটসম্যান কতভাবে আউট হতে পারে?
মোট ১০ ভাবে একজন ব্যাটসম্যানের আউট হবার আশংকা থাকে।
ক). কট: ব্যাটসম্যানের ব্যাটে বল লাগার পর ফিল্ডিংয়ের যে কোনো ১১ জনের ১ জন যদি সেটি সরাসরি ধরে ফেলে।
খ). বোল্ড: যদি বোলারের ছোঁড়া বলটি সরাসরি স্ট্যাম্প ফেলে দেয়।
গ). লেগ বিফোর উইকেট/এলবিডব্লিউ: যদি ব্যাটসম্যান স্ট্যাম্প বরাবর বলটি প্যাড বা বডি দিয়ে ঠেকিয়ে দেয় আর তা যদি আম্পায়ারের মনে হয়, যে প্যাডে বা বডিতে না লাগলে স্ট্যাম্প উড়ে যেত।
ঘ). রানআউট: যদি ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার সময় ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই ফিল্ডার বলটি ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়।
ঙ). স্ট্যাম্পড: যদি ব্যাটসম্যান বলটি খেলার জন্য ক্রিজের বাইরে যায়, তখন সেটি মিস করায় উইকেটরক্ষক সেটি ধরে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়, যে সময়ের মধ্যে ব্যাটসম্যান ক্রিজে ফিরতে ব্যর্থ হয়।
চ). হ্যান্ডেলিং দ্য বল: যদি ব্যাটসম্যান বলটি ব্যাটে না খেলে হাত দিয়ে খেলে বা হাত দিয়ে ঠেকায় তাহলে ব্যাটসম্যান হ্যান্ডলিং দ্য বল আউট হবে।
ছ). টাইমড আউট: যদি একজন ব্যাটসম্যান আউট হবার তিন মিনিটের মধ্যে অপর ব্যাটসম্যান ক্রিজে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে মাঠে আসা নতুন ব্যাটসম্যানকে আম্পায়ার আউট দেবেন।
জ). ডাবল হিট: যদি ব্যাটসম্যান বলটি কোনো কারণে দুইবার ব্যাট দিয়ে টাস করে তাহলে ডাবল হিটের কারণে আউট হবে।
ঝ). হিট-উইকেট: খেলার সময় যদি ব্যাটসম্যানের ব্যাট বা বডি স্ট্যাম্পে লাগে তাহলে ব্যাটসম্যান হিট-উইকেট আউট হবে।
ঞ). অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড: যদি কোনো ব্যাটসম্যান কোনো বোলারের ফিল্ডিং ক্যাচিং পজিশন ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে বা নিজে বল ফিল্ডিং করে।
এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল আম্পায়ারদের বাজে সিদ্ধান্ত। ২০১৫ সালের একাদশ বিশ্বকাপ ক্রিকেট বাজে আম্পায়ারিংয়ের জন্য আগামীতেও অনেক আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়বে। থার্ড আম্পায়ার থাক স্বত্তেও এই সমস্যার সমাধান এবারের বিশ্বকাপে ঠিকমত হয়নি। ফিল্ড আম্পায়ারদের অনেক বাজে সিদ্ধান্ত ব্যাটসম্যান বা ফিল্ডারদের বিপক্ষে গেছে। অনেক নিশ্চিত আউট আম্পায়াররা আউট দেননি। ফিল্ডারদের রিভিউ আবেদন না থাকায় আম্পায়াররা অনেক সময় এটি এড়িয়ে গেছেন। আবার অনেক রিভিউ আবেদন থার্ড আম্পায়ার সঠিকভাবে যাছাই বাছাই ছাড়াই আউটের সিদ্ধান্ত বা নটআউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আবার অনেক সঠিক বলকে ফিল্ড আম্পায়াররা নো বল কল দিয়েছেন।
সবচেয়ে বাজে আম্পায়ারিং ছিল ১৯ মার্চ বাংলাদেশ বনাম ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি। এই ম্যাচে আম্পায়ারদের অন্ত তিনটি বাজে সিদ্ধান্ত-ই এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়েছে। ওই তিনটি বাজে সিদ্ধান্তই ভারতের পক্ষে গেছে। যা এবারের বিশ্বকাপে এক ম্যাচে একই দলের পক্ষে সবগুলো বাজে সিদ্ধান্ত যাবার একটি বিরল এবং দুর্ভাগ্যজনক উদাহরণ। তাই বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা শেষ হলেও আজ এবং আগামীকালও এসব নিয়ে ঘাটে মাঠে চায়ের আড্ডায় আলোচনা-সমালোচনা হবে।
অনেকের ধারণা, যদি ওই তিনটি সিদ্ধান্তই ভারতের পক্ষে না যেত, হয়তো বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতো। আর ক্রিকেট যেহেতু চরম অনিশ্চয়তার খেলা, হয়তো অস্ট্রেলিয়াকেও বাংলাদেশ দল তখন সেমি-ফাইনালে হারিয়ে দিতে পারতো। কারণ তখন বাংলাদেশ দলে এক দানবীয় শক্তিমত্তা আর নতুন উদ্যম ও দুঃসাহস ভর করতো। তখন আজকের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতো বাংলাদেশ। আর কে বলতে পারে, যদি বাংলাদেশ সত্যি সত্যি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতো, তাহলে আজকের নিউজিল্যান্ডকে কি আর ছেড়ে কথা বলতো? তাই এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ম্যাচ হল ভারত বনাম বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল। এই বিতর্কিত ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যতে আরো আলোচনা-সমালোচনা হবে। অন্তত গোটা বিশ্বের গ্রেট ক্রিকেটারদের মধ্যে এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে তো এই আলোচনা-সমালোচনা থেকেই যাবে।
এছাড়া যে বিষয়গুলো মানুষের আলোচনায় দীর্ঘকাল থেকে যাবে, সেগুলৌ হল-
১. প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট কে হল? - অস্ট্রেলিয়ার বোলার মিচেল স্ট্রাক। যিনি ৯ ম্যাচে ২২টি উইকেট পেয়েছেন।
২. ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ কে হল? - অস্ট্রেলিয়ার বোলার জেমস ফকনার। যিনি ফাইনালে ৩৬ রানে নিউজিল্যান্ডের মূল্যবান ৩টি উইকেট নেন।
৩. সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক কে? নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান মার্টিন গুপটিল। যিনি ৯ ম্যাচে মোট ৫৪৭ রান করেন।
৪. সর্বোচ্চ উইকেট কে পান? অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্ট্রাক ও নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ড। দুজনেই ২২টি করে উইকেট পান।
৫. এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান কোন ব্যাটসম্যান করেছেন? নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গুপটিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
৬. সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি কে করেছেন? শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা। যিনি টানা ৪টি সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপ ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রেকর্ড করেছেন।
৭. সবচেয়ে বেশি কে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন? অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ। যিনি এবার সর্বোচ্চ ৪টি হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন।
৮. টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ছক্কা কে মেরেছেন? কয়টি? ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। যিনি মোট ২৬টি ছক্কা মেরেছেন।
৯. টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি চার কে মেরেছেন? কয়টি? নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গুপটিল। যিনি মোট ৫৯টি চার মেরেছেন।
১০. সবচেয়ে বেশি মেডেন ওভার কে করেছেন? কয়টি? নিউজিল্যান্ডের বোলার ট্রেন্ট বোল্ড। যিনি মোট ১৪টি মেডেন ওভার করেছেন।
এছাড়াও অনেক ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এবারের একাদশ বিশ্বকাপের স্মৃতি মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখবে। বিশেষ করে সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নিউজিল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি-ফাইনাল ম্যাচটির কথা। মানুষ মনে রাখবে ক্রিশ গেইলের ডাবল সেঞ্চুরিটি। টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল, এটাও অনেকে স্মরণে রাখবে। বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাইবার যুদ্ধের কথাও অনেকে দীর্ঘকাল মনে রাখবে। তবে এবারের ফাইনাল খেলাটি যে মোটেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়নি, অনেকটা একপেশে অস্ট্রেলিয়ানদের আধিপত্য ছিল খেলায়, সেই কথাটিও অনেকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে।
তারপরেও মানুষ ক্রিকেট খেলা পছন্দ করবে। সামনের দিনে ক্রিকেটকে ঘিরে আরো আলোচনা-সমালোচনা চলবে। আইসিসিতে ক্রিকেটের তিন বড় মাতুব্বর ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের আচরণও মানুষ মনে রাখবে। এক নাম্বার টেস্ট প্লেয়িং দল ইংল্যান্ডকে বাংলাদেশ হারিয়ে যে গ্রুপ পর্বেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল, সেকথাও সবাই মনে রাখবে। তবু আমরা ভবিষ্যতে আরো সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ক্রিকেট খেলা দেখতে চাই। যার একমাত্র সঠিক নির্দেশনা ও অগ্রসর কেবল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি'র ভবিষ্যত মর্জির উপরই নির্ভর করে। তবু প্রত্যাশা করি, সবকিছুকে পেছনে ফেলে ক্রিকেট এগিয়ে যাবে। মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। ক্রিকেট হবে দুই দেশ বা দুই জাতির মধ্যে বন্ধুত্বের এক অমর অনুসঙ্গ। জয়তু ক্রিকেট। জয়তু ক্রিকেটপ্রেমী দর্শক ও ভক্তরা।
.........................................
ঢাকা
৩০ মার্চ ২০১৫
©somewhere in net ltd.