নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্প সম্পর্কিত কিছু জরুরী জানার বিষয় !!!

১২ ই মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

ভূমিকম্প কেন হয়? কেন বিশেষ কিছু স্থানে ভূমিকম্প বেশী হয়? আবার কিছু স্থানে মোটামোটি ভূমিকম্প হয় না বললেই চলে? এ প্রশ্নগুলো বহু শত বছর ধরে মানুষকে ভাবালেও এর উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত। ১৯১২ সনে জার্মান বিজ্ঞানী আলফ্রের্ড ওয়েগনার পৃথিবীর মানচিত্র পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এক সময় পৃথিবীর মহাদেশগুলো একত্রে ছিল যা কালক্রমে ধীরেধীরে একে অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছে। ওয়েগনারের এই তত্ত্বকে বলা হয় কন্টিনেন্টাল ড্রিফ্ট। এ তত্ত্ব বলে পৃথিবীর উপরিতল কতগুলো অনমনীয় প্লেটের সমন্বয়ে গঠিত। এই প্লেটগুলোকে বলা হয় ট্যাকটোনিক প্লেট। একেকটি ট্যাকটোনিক প্লেট মূলতঃ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গলিত পদার্থের বাহিরের আবরণ যা একটি পাথরের স্তর। ভূ-স্তরে যা কিছু রয়েছে তা এই প্লেটগুলোর উপরে অবস্থিত।

ট্যাকটোনিক প্লেটগুলো একে অপরের সাথে পাশাপাশি লেগে রয়েছে। এগুলো প্রায়ই নিজেদের মাঝে ধাক্কায় জড়িয়ে পড়ে। কখনও মৃদু, কখনও সজোরে। যেহেতু প্লেটগুলো শিলা দ্বারা গঠিত, তাই ধাক্কার ফলে তাদের মাঝে ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এই ঘর্ষণের মাত্রা অধিক হলে এক ধরনের শক্তি নির্গত হয় যা ভূ-স্তরকে প্রকম্পিত করে। যদিও ভূমিকম্পের আরও কারণ রয়েছে (যেমন আগ্নেয়গিরি), তবে এই কারণটিই অধিকাংশ ভূমিকম্পের জন্যে দায়ী।

ভূমিকম্প বলতে পৃথিবীপৃষ্ঠের অংশবিশেষের হঠাৎ অবস্থান পরিবর্তন বা আন্দোলনকে বোঝায়। হঠাৎ বুঝতে পারলেন আপনার ঘরের কোনো জিনিস নড়ছে, দেয়ালের ঘড়ি, টাঙানো ছবিগুলো নড়ছে, আপনিও ঝাঁকুনি অনুভব করছেন, তখন বুঝতে হবে ভূমিকম্প হচ্ছে।

গোলাকার এই পৃথিবী অনেকগুলো ব্লকে বিভক্ত। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত মূল যে চারটি স্তর আছে এর মধ্যে কেন্দ্র থেকে প্রথম স্তরটি ১২০০ কিমি., ২য় টি ২৩০০ কিমি., ৩য় টি ২৮০০ কিমি. এবং ত্বকের স্তরটি মাত্র ৮০ কিমি. পুরু। সর্বশেষ বা ত্বকের এই স্তরটি সমস্ত পৃথিবী জুড়ে একটি স্তর নয় বরং বিভিন্ন ব্লক বা প্লেটে বিভক্ত যা ট্যাকটোনিক প্লেট (tectonic plates) নামে পরিচিত।

ট্যাকটোনিক প্লেট একটির সাথে অন্যটির ঘর্ষনের সৃষ্টি হয়, আঘাত করে এবং কখনো পিছলে পরার ঘটনা ঘটে। দুটি ট্যাকটোনিক প্লেটের সংযোগ স্থলকে বলা হয় প্লেট বাউন্ডারি। একটি প্লেট যখন হঠাৎ করে অন্যটি থেকে স্লিপ করে তখন প্লেট বাউন্ডারি এলাকায় ভূমিকম্পের (earthquake) সৃষ্টি হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে দেখা যায় বড় ভূমিকম্পের আগে বার বার মৃদু আকারে ভূমিকম্প দেখা দেয়। এবং বড় ভূমিকম্পের পর সপ্তাহ, মাস এমনকি বছরান্তে মৃদু ভূমিকম্প ঘটতে দেখা যায়।

ভূমিকম্প বা ভূকম্পন: ভূ মানে পৃথিবী আর কম্পন হলো কাঁপা; সোজাভাবে ভূমিকম্প হলো পৃথিবীর কেঁপে ওঠা। তার মানে পৃথিবী যখন কাঁপে তখন আমরা তাকে ভূমিকম্প বলি। পৃথিবীতে বছরে গড়ে কত ভূমিকম্প হয়, শুনলে কপালে উঠতে পারে চোখ। বছরে গড়ে ছয় হাজার ভূমিকম্প হয়। তবে এগুলোর অধিকাংশই মৃদু যেগুলো আমরা টের পাই না। সাধারণত তিন ধরনের ভূমিকম্প হয়ে থাকে- প্রচণ্ড, মাঝারি ও মৃদু।

আবার উৎসের গভীরতা অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা যায়- অগভীর, মধ্যবর্তী ও গভীর ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ভূপৃষ্ঠের ৭০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে সেটি অগভীর ভূমিকম্প, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ৭০ থেকে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে সেটি মধ্যবর্তী ভূমিকম্প এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্র ৩০০ কিলোমিটারের নিচে হলে সেটিকে গভীর ভূমিকম্প বলে।

উপরের আলোচনা থেকে অনেকেই হয়তো ধারণা করে নিয়েছেন ভূমিকম্প বেশী হবার সম্ভাবনা থাকবে প্লেট বর্ডারে। হ্যা, আসলেই তাই। যেখানেই দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে সেখানেই ঘর্ষণ সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা থাকবে এবং এর ফল স্বরূপ হবে ভূমিকম্প। নিচের ছবিটি দেখুন। এই ছবিতে টেকটনিক প্লেটগুলো এবং সেগুলোর নাড়াচাড়ার গতি পথ দেখানো হয়েছে। জাপান, চিলি, হেইতি বা ইন্দোনেশিয়ার দিকে যদি তাকান তাহলে পরিষ্কার বুঝতে পারবেন কেন ঐ স্থানগুলোতে নিয়মিত বড় বড় ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গোটা পৃথিবীতে মোট ১৩টি বড় টেকটনিক প্লেট এবং ছোট ছোট ৩০টি টেকটনিক প্লেট সমন্বয়ে গঠিত।

ভূমিকম্পের কারণ
ছোটবেলায় আমরা গল্প শুনতাম, পৃথিবীটা একটা বড় ষাঁড়ের শিংয়ের মাথায়। ষাঁড়টা যখন এক শিং থেকে অন্য শিংয়ে পৃথিবীটা নিয়ে যায় তখন সবকিছু কেঁপে ওঠে। আর ভাবতাম, এজন্যই ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পের কারণ এটা নয় বটে, তবে পৃথিবীর গভীরে ঠিকই একটা পরিবর্তন হয়।

সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে-
১. ভূপৃষ্ঠজনিত
২. আগ্নেয়গিরিজনিত
৩. শিলাচ্যুতিজনিত

ভূমিকম্পের পরিমাপ:
সিসমোগ্রাফ আবিষ্কারের আগে মানুষ শুধু বলতে পারত ভূমিকম্প হয়েছে। কিন্তু কোন মাত্রায় হলো, বলা সম্ভব ছিল না। আধুনিক সিসমোগ্রাফের বয়স প্রায় ১৫০ বছর। ভূমিকম্প মাপা হয় দুইভাবে- তীব্রতা এবং প্রচণ্ডতা বা ব্যাপকতা। ভূমিকম্পের মাত্রা মাপা হয় রিখটার স্কেলে। স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। রিখটার স্কেলে মাত্রা ৫-এর বেশি হওয়া মানে ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা।

মনে রাখতে হবে, ভূমিকম্প এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলেই এর মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা
৫ - ৫.৯৯ মাঝারি
৬ - ৬.৯৯ তীব্র
৭ - ৭.৯৯ ভয়াবহ
৮ - এর ওপর অত্যন্ত ভয়াবহ

বাংলাদেশের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা সমূহ কী করে চিহ্নিত করা হলো?
দুর্ভাগ্যবশতঃ আমাদের বাংলাদেশ ভারতীয়, ইউরেশিয় এবং মায়ানমার টেকটনিক প্লেটের মাঝে আবদ্ধ। ফলে এই প্লেটগুলোর নাড়াচাড়ার ফলে আমাদের দেশে মাঝেমাঝেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাছাড়া ভারতীয় এবং ইউরেশিয় প্লেট দুটো হিমালয়ের পাদদেশে আটকা পড়ে রয়েছে এবং ১৯৩৪ সনের পর গত ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে নেপালে যে ভূমিকম্প হল এটাই প্লেটগুলোর সবচেয়ে বড় ধরনের নাড়াচাড়া। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই প্লেট দুটো হয়তো নিকট ভবিষ্যতে আরো নড়ে উঠবে যা বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ হবে।

টেকটনিক প্লেটের অবস্থান দেখলে বোঝা যায় যে, আমাদের উত্তর ও পূর্বে দুটো বর্ডার বা টেকনিকাল ভাষায় “ভূ-চ্যুতি” রয়েছে যা বাংলাদেশের ভূমিকম্পের কারণ। এজন্যে বাংলাদেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল তথা সিলেট এবং ততসংলগ্ন এলাকা প্রবল ভূমিকম্প প্রবণ। এর পরের অংশগুলোও যেমন ঢাকা ও রাজশাহী শহরও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। নিচের ছবিতে বাংলাদেশের মানচিত্রে লাল অংশ বেশী, হলুদ মাঝারি এবং সবুজ অংশ কম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

১৮৯৭ সনের ১২ জুন ৮.৭ মাত্রার “দ্যা গ্রেট ইন্ডিয়ান আর্থকোয়েক” ভারতবর্ষকে আঘাত হানে যা আজও পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ ভূমিকম্প হিসেবে পরিচিত। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভারতের শিলং শহর। তবে এর প্রভাব বর্তমান বাংলাদেশ সহ বহু দূর পর্যন্ত অনুভূতি হয়েছিল। সে সময়ের ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন মিশনারীদের বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়েছিল এই ভূমিকম্পের কারণে। এছাড়াও ঢাকায় ৪৫০ জনের মত নিহত হবার খবর পাওয়া গিয়েছিল, যা সেই সময়ের তুলনায় রীতিমত অনেক বড় সংখ্যা।

এ ভূমিকম্পগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মোটামোটি প্রতি একশ বছর পরপর এই অঞ্চলে বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ১৯১৮ সন ছিল সর্বশেষ বড় ভূমিকম্পের বছর। এরপর প্রায় একশ বছর কেটে গিয়েছে কিন্তু আর কোন বড় ভূমিকম্প আঘাত করে নি বাংলাদেশকে, যা বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। অনেক আবহাওয়াবিদ এটাও মনে করেন যে, ছোটছোট ভূমিকম্প বড় ভূমিকম্পের বার্তা বহন করে। সে হিসেবে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোন সময় আঘাত হানতে পারে। আর যদি সেটা ঘটে, তাহলে সেটার ভয়াবহতা হবে মারাত্মক।

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত?
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাকিল আকতার বলেন, পরিকল্পিত নগরায়ন ছাড়া ভূমিকম্প সহনশীল নগর তৈরি করা সম্ভব না। তিনি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে বলেন, এখানকার নগরায়ন যে দিকে হচ্ছে সেটা ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকাতেই হচ্ছে। ভূমিকম্প থেকে বাঁচার জন্য একটি শহরের প্রস্তুতির মধ্যে শহরের ভবনগুলো বিশেষ করে জরুরি সাহায্য যেমন হাসপাতাল, দমকলবাহিনীর ভবনগুলো ভূমিকম্প নিরোধক করতে হবে। শহরের মাঝে মাঝে খোলা মাঠ এবং খোলামেলা জায়গার খুব প্রয়োজন রয়েছে শুধুমাত্র ভূমিকম্পের সময় আশ্রয়স্থল নয় পরবর্তী আফটার শকের সময়গুলোতে সেখানে আশ্রয় নেওয়ার জন্য কয়েকটি বাড়ি পরপর খোলা জায়গার বিকল্প নেই।

ভূমিকম্পের সময় শক্তিশালী টেবিল বা এ ধনের আসবাবের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করা উচিত। কোন অবস্থাতেই কাঁচের জানালার পাশে অথবা এমন দেয়াল যা পড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে, তার পাশে অবস্থান নেয়া যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, যদি ভূমিকম্পের সময় আপনি বিছানায় থাকেন, তাহলে সেখানেই থাকুন এবং বালিশ দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখুন। তবে লক্ষ্য রাখবেন ঝাড়বাতি বা ফ্যান জাতীয় কিছু ঘরে থাকলে সেটা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। আশেপাশে শক্ত পিলার থাকলে সেটার নিচে আশ্রয় নিন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভূমিকম্পের সময় অধিকাংশ মানুষ আহত অথবা নিহত হন ভূমিকম্প চলাকালিন অবস্থান পরিবর্তেনের সময়। তাই কোন অবস্থাতেই ভূমিকম্প হওয়ার সময় দৌড় দেয়া অথবা দ্রুত বিল্ডিং থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। উঁচু দালানের টপ ফ্লোরে থাকলে ছাদে চলে যাওয়া নিরাপদ কিন্তু যদি দরজা বা রাস্তা পরিষ্কার জানা না থাকে তাহলে ঘরেই অবস্থান নেয়া উচিত। আপনি যদি বাহিরে থাকেন এবং ভূমিকম্প হয়, তাহলে বিল্ডিং থেকে দূরে থাকুন। ১৯৩৩ সনে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের “লং বিচ আর্থকোয়েক”-এ অধিকাংশ মানুষ মারা গিয়েছিল যারা বিল্ডিং-এর বাহিরে ছিল। সে সময় বিভিন্ন স্থানে দেয়াল ধসে তাদের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়া আপনি যদি ড্রাইভ করতে থাকেন এবং ভূমিকম্প অনুভব করেন, তাহলে গাছ, বিল্ডিং, বৈদুতিক খুঁটি ইত্যাদি থেকে দূরে নিরাপদ স্থানে গাড়ি পার্ক করে থেমে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত--
১. বাড়ির ভেতরে থাকলে টেবিল বা খাটের তলায় আশ্রয় নিন
২. কোনও মজবুত আসবাব থাকলে শক্ত করে ধরে থাকুন
৩. বাড়ির কোনও কোণে আশ্রয় নিন
৪. হাত দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন
৫. ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়লে চোখ-মুখ ঢেকে রাখুন
৬. ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়লে মুখে আওয়াজ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন

ভূমিকম্পের সময় কী করা উচিত নয়--
১. বাড়ির বাইরে থাকলে গাছ বা কোনও বহুতলের নীচে দাঁড়াবেন না
২. বেশি নড়াচড়া করবেন না
৩. কোনও দেওয়ালের কাছে দাঁড়াবেন না
৪. গাড়িতে থাকলে ব্রিজে উঠবেন না

প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা মানুষের নেই। কিন্তু মানুষ সতর্ক হতে পারে। গত ২৫ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে নেপালে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে আট হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কুঁড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ। তখন ভারত ও বাংলাদেশেও সেই ভূমিকম্পের তীব্র কম্পন টের পাওয়া গেছে। আজ ১২ মে ২০১৫ তারিখে আবার এভারেস্ট ও কাঠমান্ডুর মাঝখানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এরপর আফটার শক যে ভূমিকম্প হয়েছে তার মাত্রা ৬.৩। তবে আজকের ভূমিকম্পে নেপালে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তেমন বেশি নয়। আজও বাংলাদেশে এই ভূমিকম্প টের পাোয়া গেছে কিন্তু এটা ২৫ এপ্রিলের চেয়ে কম তীব্রতর ছিল।

তথ্যসূত্র: বিভিন্ন পত্রিকা, ব্লগ, টেলিভিশনের নিউজ এবং বই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৯

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: কিছু দিন এ সংক্রান্ত একটি স্টিকি পোস্ট সামুতে ছিল। সেখানে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে এ ব্যাপারে। তার পরে আপনার পোস্টটি বিশেষ গুরুত্ব রাখে জনসচেতনতার জন্য। তাই ২য় ভাল লাগা সহ প্রিয়তে।

২| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

জায়েদ হোসাইন লাকী বলেছেন: খুব ভালো লাগল পড়ে। রেজা ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.