নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
সকালে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সফররত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশ ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। দলীয় ১২ রানের মাথায় ডেল স্টেইনকে উইকেট উপহার দিলেন তামিম। তামিমের উইকেটটি নিয়ে শন পোলকের পর দ্বিতীয় প্রোটিয়াস বোলার হিসেবে ৪০০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন স্টেইন। ক্রিকেট ইতিহাসে চারশ টেস্ট উইকেট পাওয়া ত্রয়োদশ খেলোয়াড় হলেন ডেল স্টেইন।
লাঞ্চের আগ পর্যন্ত ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে বাকি সময়টা কাটিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল ও মোমিনুল। নিজেদের মধ্যে ৬৩ রানের জুটি গড়েছেন। ৭৬ বল খেলে মুমিনুল অপরাজিত ছিলেন ৩৫ রানে, ইমরুল ৮৫ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানের। ১ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে বাংলাদেশ লাঞ্চ করতে যায়।
লাঞ্চের পর জেপি ডুমিনিকে আক্রমণে আনেন হাশিম আমলা। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দিয়ে ৬৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন ডুমিনি। ডুমিনির অফ স্টাম্পের একটু বাইরের বল কাট করতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। বল শরীরের খুব কাছে থাকায় ঠিক মতো খেলতে পারেননি। একটু লাফানো বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়ে টেস্ট ক্রিকেটে আজ অভিষেক হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন উইকেট কিপার ড্যান ভিলাসের গ্লাভসে। টেস্টে এটাই ড্যান ভিলাসের প্রথম ডিসমিসাল।
বাংলাদেশে ১ উইকেটে ১২ রান থেকে লাঞ্চ পর্যন্ত ছিল সেই ১ উইকেটে ৭৫ রান। লাঞ্চের পর মোমিনুলের আউটে ২ উইকেট ৮১ রানে পরিনত হয়। ডুমিনি পরের ওভারে ফিরে ইমরুল কায়েসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। মুহূর্তে ৩ উইকেটে ৮৬ রানে পরিনত হয় বাংলাদেশ।
ক্রিজে এখন নতুন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ইনিংসকে লম্বা করার দায়িত্ব নেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৯১ বল খেলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করে মাহমুদউল্লাহ ডেল স্টেইনের ৪০১তম শিকার। মুশফিক মাহমুদউল্লাহ জুটি ৯৬ রান যোগ করেন। এরপর শাকিবকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের লিটল মাস্টার মুশফিক দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু ডিন এলগারের বলটি মুশফিকের ব্যাট বা প্যাড কোনোটাতে না লাগলেও বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখার পর থার্ড আম্পায়ার মুশফিককে আউট দেন। মুশফিক ১২৫ বলে ৭ টি চারের সাহায্যে করেছেন ৬৫ রান। এখন পর্যন্ত টাইগার্সদের প্রথম ইনিংসে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি এটি।
মুশফিক যখন আউট হন তখন দলীয় রান ৭৪.১ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৫।
এরপর মাত্র ৩ ওভার খেলার পরেই বাংলাদেশ লিটন দাসকে হারিয়ে ৬ উইকেটে ২২০-এ পরিনত হয়। লিটন দ্রুত ফিরে গেলে ক্রিজে আসেন এই টেস্টে তাইজুলের জায়গায় দলে ফেরা নাসির হোসেন। মূলত মুশফিক আউট হবার পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় সেশনে আবার খেলায় ফিরে আসে। চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দল যখন শাকিবের দিকে তাকিয়ে তখন শাকিব নাসিরকে নিয়ে একটি জুটি গড়ার আভাস দিয়েও হল না। দলীয় ২৪৫ রানের মাথায় শাকিব ৩৫ রান করে আউট হন। পুরোপুরি ব্যাকপুটে চলে যায় টাইগার্সরা। এখন প্রথম দিনেই অলআউটের শংকা মাঠে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮৮.১ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান। ক্রিজে আছেন নাসির ১৩ রানে অপরাজিত। প্রথম দিনের খেলা শেষ হতে এখনো ১১ বল বাকি। ডেল স্টেইন ৩০ রানে ৩টি এবং ডুমিনি ২৭ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।
৩০ জুলাই ২০১৫
ঢাকা
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
লেখোয়াড়. বলেছেন:
বনে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
লেখোয়াড়. বলেছেন:
সুন্দর বরে বাঘ নেই, এরাও থেকে কি করবে!!