নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান বিপ্লবী উদম সিংহ!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালা বাগে ব্রিটিশ ভারতীয় আর্মির কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজিনাল্ড ডায়ারের নির্দেশে প্রায় দুই হাজার সাধারণ জনতা ও বিদ্রোহীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ইতিহাসে যা জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যা বা অমৃতস্বর গণহত্যা নামে পরিচিত। ব্রিগেডিয়ার রেজিনাল্ড ডায়ারকে বলা হয় বুচার অব অমৃতসর।

ওই সময় পাঞ্জাবের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন মাইকেল ও'দ্বায়ার। যিনি জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার জন্য ব্রিগেিয়ার রেজিনাল্ড ডায়ারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা পরবর্তীকালে হান্টার কমিশনের রিপোর্ট এবং ব্রিটিশ কমোন্স সভায় প্রমাণিত হয়েছিল। যদিও তখন ব্রিটিশ লর্ড সভা মাইকেল ও'দ্বায়ার এবং ব্রিগেডিয়ার রেজিনাল্ড ডায়ারের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল।

জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার প্রতিশোধ নিতে ১৯৩৪ সালে জার্মান হয়ে লন্ডনে গমন করেন বিপ্লবী উদম সিংহ। খুঁজতে থাকেন জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার প্রধান নির্দেশ দাতা মাইকেল ও'দ্বায়ারকে। দীর্ঘ ৬ বছরের অনুসন্ধানে বিপ্লবী উদম সিংহ সুযোগও পেয়ে যান।

ওই ঘটনার প্রায় ২১ বছর পর ১৯৪০ সালের ১৩ মার্চ লন্ডনের কক্সটন হলে ইস্ট ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশন ও সেন্ট্রাল এশিয়া সোসাইটি'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত একটি সভায় মাইকেল ও'দ্বায়ার-এর বক্তৃতা শেষ হলেই ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম দুঃসাহসী বিপ্লবী উদম সিংহ রিভলভার দিয়ে তাকে গুলি করেন। মাইকেল ও'দ্বায়ার স্পটেই মারা যায়। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন লুইস ডেন, লরেঞ্জ ডানডাস ও চার্লস কোচরেন বাইলি।

ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য বিপ্লবী উদম সিংহের ব্রিটিশ আইনে বিচার হয়। ১৯৪০ সালের ৩১ জুলাই পেনটনভিল জেলখানায় বিপ্লবী উদম সিংহকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়। বিপ্লবী উদম সিংহ বিপ্লবী ভগত সিংহের একজন অনুগত বিপ্লবী। জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার প্রতিশোধ নেবার জন্য গোটা ভারত তথা পাঞ্জাবে বিপ্লবী উদম সিংহকে শহীদ-ই আজম বা দ্য গ্রেট মার্টিয়ার বলা হয়।

১৯৭৪ সালে এমএলএ সাধু সিংহ থিন্ড-এর অনুরোধে বিপ্লবী উদম সিংহের দেহাবশেষ ভারতে আনা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধি, সপ্তম প্রেসিডেন্ট জ্ঞানী জায়াল সিংহ ও দশম প্রেসিডেন্ট শংকর দয়াল শর্মা বিপ্লবী উদম সিংহের দেহাবশেষ গ্রহণ করেন। বিপ্লবী উদম সিংহের দেহভস্ম তাঁর জন্মস্থান পাঞ্জাবের সুনামে রোপিত হয় এবং সুটলেজ নদীতে তাঁর ছাইভস্ম ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

প্রতি বছর ৩১ জুলাই অমৃতসরে অকুতোভয় বিপ্লবী উদম সিংহের মৃত্যু দিবস পালিত হয়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, আজ পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ থেকে জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়নি। বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ দুই বার ১৯৬১ ও ১৯৮৩ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগ পরিদর্শন করলেও ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার জন্য ক্ষমাও চাননি।

------------------------
১২ ডিসেম্বর ২০১৮

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ দুই বার ১৯৬১ ও ১৯৮৩ সালে জালিয়ানওয়ালা বাগ পরিদর্শন করলেও
ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এমনকি জালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার জন্য ক্ষমাও চাননি।

............................................................................................................................................
ওরা তখন আমাদের নেটিভ বলত,
তাও তাচ্ছিল্ল ভরে, ক্ষমা চাইবে কেন ?

২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: উদম সিংহ কে আজই প্রথম চিনলাম, জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.