নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
সাধারণত ভোটের আগে প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের ভোটের সংস্কৃতিতে নির্বাচনী ইশতেহারকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো কৌশলে একটু আড়ালে আবডালে রেখে দেয়। রাজনৈতিক দলগুলো এই সুযোগটি নেয় মূলত দুটি কারণে। প্রথমত আমাদের মাস-মিডিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে খুব একটা আলোচনা-সমালোচনা হয় না। দ্বিতীয়ত আমাদের ভোটাররা নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে মোটেও সচেতন নয়।
নির্বাচনী ইশতেহার হলো একটি রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। এতে সেই রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন, অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের প্রতিফলন থাকবে। পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় গিয়ে একটি রাজনৈতিক দল কী কী রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে, তার একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা থাকে এই নির্বাচনী ইশতেহারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রচার-প্রোপাগাণ্ডায় নির্বাচনী ইশতেহারের বাইরে অন্য কোনো অযৌক্তিক প্রতিশ্রুতি দেবার সুযোগ নাই। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচনী ইশতেহার অনেকটা দায়সারা গোছের একটা তালিকা মাত্র। ক্ষমতায় গিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার টাইম-টু-টাইম বাস্তবায়নের সংস্কৃতি এখনো দেশে চালু হয়নি।
নির্বাচনী ইশতেহার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এমনকি খুব একটা গবেষণা বা সময় দিতেও দেখা যায় না। অথচ রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহার হবার কথা ছিল রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি। এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তাদের সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের কথা। কিন্তু ক্ষমতায় যাবার পর আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহারকে ব্যাক ডোরে ড্রপ করেন।
জনগণকে আর মনে করিয়ে দিতে চান না যে, এই সময়ের মধ্যে আমাদের এই লক্ষ্য পূরণ করার কথা ছিল। এই সুযোগটি নেওয়া হয় জবাবদিহিতার ঘাটতির কারণে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাবার পর জনগণের কাছে জবাবদিহিতার প্রসঙ্গটি বেমালুম ভুলে যায়। তখন তারা সত্যিকারের শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইশতেহারগুলোকে আমি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করব। আর দেখতে চাইব তারা নির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো কীভাবে কত দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নে মনযোগী হয়। রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আর নির্বাচনী ইশতেহারকে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো অনেকটা গুলিয়ে ফেলে। জনগণের সচেতনতার অভাবে তারা এই সুযোগটি কাজে লাগায়।
এক্ষেত্রে আমাদের মিডিয়ার সত্যিকার অর্থে যে ভূমিকা পালন করার কথা, তারা সেটি জনগণের সামনে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে হাজির করতে অনেকটাই ব্যর্থ। আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে হাজার বিষয়ে টকশো হয়, কিন্তু নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে টেলিভিশনেরও তেমন আগ্রহ চোখে পড়ে না। ফলে আম-জনতা সেই অসচেতনই থেকে যায়। আমাদের দৈনিক পত্রিকাগুলো এখন অনেকটা দলীয় পারপাস সার্ভ করে। তাদের সম্পাদকীয় বা উপসম্পাদকীয়তে নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ খুব একটা চোখে পড়ে না।
রাজনৈতিক দলগুলো দায়সারা গোছের নির্বাচনী ইশতেহার দিলেও মিডিয়ার দায়িত্ব সেই ইশতেহার নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা। কিন্তু আমাদের মিডিয়া এখন অনেকটা দলীয় লেজেগোবরে অবস্থা। কার আগে কে কোন দলকে সমর্থন দেবে সেই প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত মিডিয়াগুলো। ফলে মিডিয়ার যে ভূমিকা থাকার কথা, স্পষ্টত মিডিয়া সেই দায়িত্ব পালন করছে না।
আমাদের মিডিয়াগুলো অনেকটা মালিকপক্ষের রাজনৈতিক পক্ষপাতকে গুরুত্ব দিয়ে চলে। মালিক যে রাজনৈতিক দলের সমর্থক দৈনিক পত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেলগুলোও সেই দলের রাজনৈতিক প্রোপাগাণ্ডায় উচ্চকণ্ঠ। মিডিয়ার যে একটি নিরপেক্ষ ভূমিকা থাকার কথা, সেটি এখন বাংলাদেশে প্রায় উধাও। ফলে মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণের সচেতন হবারও খুব একটা সুযোগ নাই।
মাস-মিডিয়ার এই ব্যর্থতার কারণেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ একটি চামচা সর্বস্ব জাতিতে পরিনত হচ্ছে। এটাই সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার।
--------------------
১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
আখ্যাত বলেছেন:
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
নতুন বলেছেন: দলের নেতারা জানে জনগন এখনো সচেতন না। তাই তারা জনগনের কাছে দায়বদ্ধ না...
তারা জনগনের মাঝে একটা হুজুগ উঠিয়ে তাদের সমথ`ন আদায় করতে চায়। টাকা দিয়ে, লোভ দেখিয়েে...
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এসব শুনতে আর ভালো লাগে না।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হয়ে গেলে বাঁচি।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১
মহাপুরুষ - সাধক বলেছেন:
শান্তি চাই আমরা শান্তি চাই ।
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:০৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিদায় ২০১৮ আগমনী ২০১৯ কে স্বাগত। আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: সবই টাকার খেলা