নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আগামী শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ মার্চ ২০১৯) অমর একুশে বইমেলা\'র সময় বাড়ানো প্রসঙ্গে

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১২

প্রিয় বাংলা একাডেমি ও অমর একুশে বইমেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ সমীপে,

বিষয়: আগামী শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ মার্চ ২০১৯) অমর একুশে বইমেলা'র সময় বাড়ানো প্রসঙ্গে

আগামীকাল ঢাকা সিটি কর্পোরেশান (উত্তর) নির্বাচন। রাজধানী ঢাকায় কাল গাড়ি চলাচল থাকবে সীমিত। আগামীকাল যদি বৃষ্টি নাও থাকে বইমেলা সেভাবে আর জমবে না। আজকের বৃষ্টি এবং আগামীকালের নির্বাচনের কারণে অমর একুশে বইমেলা'র সময়সীমা অন্তত শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ মার্চ ২০১৯) বাড়ানো হোক।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বইমেলার সবচেয়ে বেশি বই বিক্রি হওয়ার দু্টি দিন (২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি) এভাবে নষ্ট হলে প্রকাশকগণ বিশাল ক্ষতির মুখে পড়বেন। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের কারণে বাড়তি দুইদিনে বেশি বই বিক্রি হলে তা প্রকাশকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেয়েও বড় উপকার হবে এই রাষ্ট্রের। এদেশের মানুষের মধ্যে বইকেনার যে সংস্কৃতি ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে, তাকে উৎসাহিত করার জন্য হলেও অন্তত দুটি দিন বইমেলা'র সময় বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি।

মনে রাখতে হবে, অমর একুশে বইমেলা যেমন আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, তেমনি একটি জাতিকে বইমুখী করার জন্যই বাংলা একাডেমি'র সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করার কথা। গতানুগতিক গড্ডালিকার দোহাই দিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই বইমেলা শেষ করার যে রেওয়াজ, তার বিপরীতে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও জাতীয় ইস্যুকে বিবেচনায় নিয়ে বইমেলার সময় বৃদ্ধি করা হোক।

আমাদের প্রকাশক সমাজ বাঁচলে লেখক সমাজ বাঁচবে। প্রকাশকরা ক্ষতির স্বীকার হলে তার কার্যকারণ গিয়ে লেখকদের ঘাড়ে পড়বে। ফলাফল লেখকরা ঠিক সময়ে রয়্যালটির টাকাটা পাবে না। প্রকাশকরা হয়তো সারা বছর বিভিন্ন উপায়ে বই বিক্রি করে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু বইমেলা'র পরেই লেখকরা যাতে রয়্যালটির টাকা দাবি করতে পারে, বইমেলা'র সময় বৃদ্ধি করে প্রকাশকদের আসন্ন ক্ষতি পুষিয়ে দিয়ে হলেও লেখকদের বাঁচানোর সুযোগ করে দেওয়া উচিত।

অমর একুশে বইমেলা'র সময় বৃদ্ধি করা যাবে না, এমন অযুহাত কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কারণ এটা এমন কোনো বাইবেল না যে বাংলা একাডেমি এককভাবে সেই বাইবেল মেনে চলবে। এই বইমেলাটি প্রকাশকদের, লেখকদের, বইপ্রেমী পাঠক ও ক্রেতাদের একটি সম্মিলিত প্রক্রিয়া। সুতরাং সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আগামী শুক্রবার ও শনিবার অমর একুশে বইমেলা'র সময় বাড়ানো হোক।

আমরা আশা করব, অমর একুশে বইমেলা'র সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে বাংলা একাডেমি শুভ বুদ্ধির পরিচয় দেবে। নইলে আগামী বছর থেকে এই বইমেলা আরো সংক্ষিপ্ত করা হোক। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী বইমেলা উদ্বোধন করবেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি বইমেলা শেষ হবে। পুরো মাসব্যাপী বইমেলা হওয়ার কারণে প্রকাশকদের মধ্যে নতুন বই প্রকাশ করার যে তাড়াহুড়ো সেটি তখন একটা নির্দিষ্ট ছকের মধ্যে আসবে। ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাই তখন বই প্রকাশ করতে সচেষ্ট হবে।

এমনিতে আমি চাই সারা বছর বই প্রকাশ হোক। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীক বই প্রকাশের হিরিকের কারণে প্রকাশকরা বইয়ের পাণ্ডুলিপি যাচাই-বাছাই না করেই একটা জগাখিচুরি মার্কা বইমেলা করায় অভ্যস্থ হয়ে যাচ্ছে। এতে বই প্রকাশের সংখ্যা বাড়ছে বটে কিন্তু গুণগত মানসম্মত বইয়ের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বাড়ছে না। সারা বছরব্যাপী বই প্রকাশ হলে বইয়ের মান রক্ষা করাটা সম্ভব হবে।

আমরা আশা করব বাংলা একাডেমি আগামীকাল অমর একুশে বইমেলা'র সময়সূচি আগামী শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ মার্চ) পর্যন্ত বাড়ানের ঘোষণা দেবে। বাংলা একাডেমি'র শুভ বুদ্ধি কাজ করলেই কেবলমাত্র এই কাজটি সম্ভব হবে। নইলে বুঝতে হবে আমরা ঐতিহ্য রক্ষার নামে অন্ধকারে বসবাস করতেই পছন্দ করি।



বিনীত নিবেদক
রেজা ঘটক
কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯




মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মেলার সময় দুচারদিন বৃদ্ধি করলে কোন ক্ষতি নেই, করা উচিত।
বানিজ্জমেলাও সময় বৃদ্ধি করে হয়েছিল

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু বাংলা একাডেমি কারো কথা শুনবে না।
তারা নিজেদের বুদ্ধিতে চলে।

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাণিজ্য মেলা,
গানের ভেলা
জুয়া খেলার সময়
বাড়ানো গেলে
বই মেলার সময় বাড়ালে
ক্ষতি কি? বাড়ানো হোক
অ্ন্তত দুই দিন।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫৪

নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: বই মেলা আরও দু দিন বাড়ানো উচিত । এটা যুক্তিসঙ্গত । কিন্তু বাংলা একাডেমি শুনবে না মনেহয় ।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:২৯

মাগুরগিয়াসাইবারফোর্স বলেছেন: ঠিক বোলেচেন

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: শেষ পর্যন্ত পাঠক ও প্রকাশকদের চাপে কিংবা অতি আগ্রহের কারণে দুই দিনের জন্য বইমেলা বর্ধিত করতে বাধ্য হয়েছিল বাংলা একাডেমী। তবে শুনেছি, এ নিয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ নাখোশ ছিল, এবং সেজন্য ০১ মার্চ তারিখে মেলা এলাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কোন কার্যকরি ভূমিকা পরিলক্ষিত হয় নাই। রিক্সা, গাড়ী, মটর সাইকেল, সবকিছুই মেলার প্রবেশপথ পর্যন্ত চলাচল করতে পেরেছে, ফলে পথচারী পাঠকদের খুব অসুবিধে হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.