নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালাকারের \'উজানে মৃত্যু\' এক ঘোর লাগা ট্রাজিক সুরের ব্যঞ্জনা!

১১ ই মে, ২০১৯ রাত ১:৩০

১০ মে ২০১৯, শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি'র স্টুডিও থিয়েটার হলে দেখলাম পালাকার-এর নাটক 'উজানে মৃত্যু'। নাটকটির রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ। আর এটি নির্দেশনা দিয়েছেন শামীম সাগর। 'উজানে মৃত্যু' নাটকটি পালাকার-এর একটি স্টুডিও প্রযোজনা। 'উজানে মৃত্যু' নাটকে মাত্র তিনটি চরিত্র। একজন নৌকাবাহক, সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি ও কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি। নাটকের তিনজন কুশীলবই গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। অত্যন্ত সাধারণ, সহজ-সরল, দরিদ্র ও তৃণমূল্যের মানুষ। একেবারে প্রান্তিক মানুষ। অথচ এঁদের সংলাপগুলো অনেকটা দার্শনিকের মতো।

'উজানে মৃত্যু' নাটকে সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ নিপীড়িত-অসহায়, সাধারণ মানুষের ভাগ্য বিপর্যয়ের এক চিরায়ত ছবি এঁকেছেন। যেখানে গ্রামবাংলার একেবারে নিম্ন পেশাজীবীদের এক করুণ জীবনচিত্র অনেকটা অ্যাবসার্ড পদ্ধতিতে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের বিশ্বমনস্ক, মননশীল, আধুনিক ও ইহজাগতিক চেতনায় শানিত নাট্যকার সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ অত্যন্ত সফলভাবেই 'উজানে মৃত্যু' নাটকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসের উপর চাবুক চালানোর পাশাপাশি মানবতাবাদী দর্শনকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নাটকে তিনি প্রান্তিক মানুষের দুর্দশাকে অত্যন্ত ট্র্যাজিক সুরের ব্যঞ্জনায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

'উজানে মৃত্যু' নাটকে নৌকাবাহকের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে এভাবে: 'তার পরনে কাছামারা লুঙ্গি, তাছাড়া সম্পূর্ণ দেহ উলঙ্গ। সে দড়ি দিয়ে নৌকা টানে। ... হাঁপাতে হাঁপাতে সে অনেকটা উদ্দেশ্যহীনভাবেই এধার ওধার তাকিয়ে দেখে।' নাটকটির প্রথম দৃশ্যের বর্ণনা থেকেই বোঝা যায় এটা গ্রামকেন্দ্রিক নাটক: 'এবার দেখা যায় নদীর তীর, মেঘশূন্য আকাশ, বিপরীত তীরের ক্ষীণরেখা এবং সেখানে একটা ছোট গ্রামের সামান্য আভাস।'

সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ কথাসাহিত্যে যেমন অস্তিত্ববাদ এবং আধুনিক মনোবিকলন তত্ত্ব অত্যন্ত সফলভাবে প্রয়োগ করেছেন, তেমনি 'উজানে মৃত্যু' নাটকেও তিনি সেই অ্যাবসার্ডধর্মী বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রচলিত সামন্তবাদী সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে দৃশ্যমান কদর্য, নিষ্ঠুরতা, হৃদয়হীনতা লুকিয়ে থাকে; 'উজানে মৃত্যু' নাটকেও সেই বাস্তবতাকে আমরা দেখতে পাই।

নাটকে সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তির কাছে নৌকাবাহক সম্পূর্ণ অচেনা এক গ্রামের এক মর্মান্তিক মৃত্যুর গল্প শোনান: 'গ্রামটি চিনি, কারণ দু'বছর আগে সেখানে একটি লোক ভীষণভাবে মরেছিলো। ... বাঁশে বিদ্ধ হয়ে মরেছিলো লোকটি। ব্যথা লাগবে বলে কাউকে বাঁশটা বের করতে দেয় নাই। কী ভয়ানক মৃত্যু। মরতে তিন দিন-তিন রাত সময় লেগেছিলো।'

সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ'র গল্প-উপন্যাস জুড়েই যেমন মৃত্যুচেতনা আছে, তেমনি এই নাটকেও আমরা হৃদয়হীন, মর্মান্তিক ও অস্বাভাবিক মৃত্যু'র বাস্তবতা দেখতে পাই। যেখানে সেই অপমৃত্যুর শিকার হওয়া মানুষগুলো সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। এই নাটকেও বাঁশবিদ্ধ হয়ে এক করুণ মৃত্যুর শিকার হয়েছেন একজন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যার মর্মান্তিক বয়ান দিচ্ছেন আরেক খেটে খাওয়া মানুষ, একজন সাধারণ নৌকাবাহক। নৌকাবাহক বলেন : 'আমার দুই ছেলে বসন্তে মরেছে। সে তিন বছর হল। তখন সবেমাত্র নতুন বছর এসেছে। মাঠে মাঠে ঘূর্ণি হাওয়া।'

জবাবে সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি বলেন: 'তারপর গত বছর তোমার তৃতীয় ছেলেটি মরল। আদরের ছেলে, সেও মরল।' এখানে আমরা ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষের চিরায়ত নিয়তি ও লাঞ্ছিত জীবনের এক করুণ চিত্র দেখতে পাই। এখানে নৌকাবাহক তেমনি একজন ভাগ্যবিড়ম্বিত মানুষ। এতোটা ভাগ্যবিড়ম্বিত যে তাঁর ছেলেটা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে। তাঁর জীবনসঙ্গিনী স্ত্রীও মারা গেছে। তাঁর যতটুকু জমি ছিল, সব হারিয়েছেন এবং অবশিষ্ট জমিটুকু এখন পানির তলায়।

এই নাটকের কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি আরেক ভাগ্যবিড়ম্বিত, অসহায় মানুষের অপমৃত্যুর খবর পরিবেশন করেন। কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি বলেন: অন্য মানুষটাও শান্তিতে ডুবে মরেছিলো, কারণ, প্রতিবারই কোনো প্রকারে মাথা তুলতে পেরে যা সে দেখেছিল, তা সে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ভুলতে পারে নাই। পানির অন্ধকারেও সে দৃশ্য জলজ্যান্ত থাকে এবং কিছুই তার কাছে অসাধারণ মনে হয় নাই। প্রতিবার শ্বাস নেবার জন্য কোনো মতে উঠে এলে সে দেখতে পায় আকাশ, মেঘ, নদীতীর, গাছপালা এবং ঘরবাড়ি এবং প্রতিবারই তার মনে হয় সব কিছুই যেন ঠিকঠাক আছে। শীঘ্র আবার সে ডুবতে থাকে। আর দম বন্ধ হয়ে আসে বলে হাত-পা ছুড়তে থাকে।'

সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গ্রামের বিত্তহীন, নিঃস্ব, শিক্ষাহীন, অনাধুনিক মানুষ অপঘাতে মৃত্যু কিংবা যে কোনো ধরনের বিপর্যয়কে সাধারণত স্বাভাবিক নিয়তি বলেই মেনে নিতে অভ্যস্ত। এই মনস্তত্ত্ব আমরা যেমন সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ'র গল্প-উপন্যাসে যেমন দেখতে পাই, তেমনি 'উজানে মৃত্যু' নাটকেও একই ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করি। তাই নৌকাবাহকের মর্মান্তিক ঘটনা বর্ণনাকে সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি বলেন: 'সব কল্পনা। তুমি ভাবছ গ্রামটি চেন। কারণ তুমি এ কথা বিশ্বাস করতে চাও যে, তুমি জান কোথায় তুমি যাচ্ছ আর গ্রামটি তোমার পথে একটি সুপরিচিত চিহ্ন।'

সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ'র 'চাদের অমাবস্যা' উপন্যাসে তথাকথিত কাদের দরবেশ গ্রামের দরিদ্র নৌকার মাঝি'র বন্ধ্যা স্ত্রীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে গলা টিপে হত্যা করে। অথচ এই বীভৎস ঘটনা যে কোনো লম্পট করতে পারে তা বিশ্বাস করে না ওই মাঝি'র পরিবার। তারা ভাবে, এসব আসলে ভূত-প্রেতের কারবার।

তেমনি 'উজানে মৃত্যু' নাটকে নৌকাবাহক বলেন: 'বাঁশে বিদ্ধ হয়ে লোকটি তিন দিন তিন রাত একটুও নড়ে নাই।' এখানে অচিন গ্রামের সেই হতভাগ্য যিনি বাঁশবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কিংবা যিনি পানিতে ডুবে মারা গেছেন, তা যেন সত্যি সত্যি ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনা। আর এ কারণেই নাটকটি সম্পূর্ণ অ্যাবসার্ড হলেও এটি যেন বাংলাদেশের সাধারণ গ্রামীণ মানুষের সমস্যাজর্জরিত সমাজবাস্তবতাকেই তুলে ধরে।

'উজানে মৃত্যু' নাটকটিকে আবার অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে কখনো কখনো মনে হতে পারে নাট্যকার বুঝি এখানে আধ্যাত্মিকতার উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু আসলে এই নাটকে প্রান্তিক-অনাধুনিক সাধারণ মানুষের সত্তার গভীরে যে প্রহেলিকা কাজ করে, নাট্যকার মূলত সেই ক্ষরণকেই এখানে তুলে ধরেছেন। যেমন সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি নৌকাবাহককে বলছেন: 'তোমার সত্যিই মাথা খারাপ হয়েছে। যারা যায় অকারণে যায় না। নিজের জন্যে না হলেও অন্ততপক্ষে অন্য কারো জন্যে যায়। উদ্দেশ্য একটা থাকেই।'

এখানে ‘উজানে মৃত্যু’ নাটকের তিনটি প্রতীকী চরিত্রের অস্তিত্বহীন অনিশ্চিত গন্তব্যের পরিক্রমায় মানবজীবনের প্রকৃত সত্যের যে স্বরূপ অনুসন্ধান করে, তা যেন নাটকের অন্তর্গূঢ় কাঠামো বেয়ে, ধীরে ধীরে ভেতরের বাস্তবতা উন্মোচন করে এক সঠিক পরিণতির দিকে নিয়ে যায়। নাটকের প্রধান চরিত্র স্ত্রী, সন্তান ও জমিজমা হারানো নৌকাবাহক, তাঁর দিশেহারা জীবনের দৃশ্যগুলোর স্ন্যাপশটগুলো যেন উজানে বয়ে চলা নৌকার মতোই এক সুদীর্ঘ দীর্ঘশ্বাসে রূপ নেয়।

'উজানে মৃত্যু' নাটকটি সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ'র জীবদ্দশায় বই আকারে প্রকাশ পায়নি। নাটকটি একাঙ্কিকা আকারে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল সিকান্দার আবু জাফরের 'সমকাল' পত্রিকায় ১৩৭০ জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়। কথাসাহিত্যের মতো এই নাটকেও সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ আধুনিকতার মাত্রা সংযোজন করেছেন। বাংলাদেশের নাট্যকারদের মধ্যে তিনি এবং শহীদ মুনীর চৌধুরী পুরোপুরি আধুনিক ও মননশীল। তাঁরা দু'জনই বাংলাদেশের নাটকের গতানুগতিকতা ভেঙ্গেছেন, ইউরোপীয় আঙ্গিক চেতনা কাজে লাগিয়েছেন, আবার বাংলাদেশের নিম্নবর্গের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার বাস্তব চিত্রকে নাটকে ফুটিয়ে তুলেছেন।

সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ 'লালসালু' উপন্যাসে যতটুকু বহির্বাস্তবতার চালচিত্র নির্মাণ করেছেন, তা অতিক্রম করে অন্তর্বাস্তবতার গূঢ় ভাষ্যকার হয়েছেন 'চাঁদের অমাবস্যা' এবং 'কাঁদো নদী কাঁদো' উপন্যাসে। আবার নাটকের ক্ষেত্রেও 'বহিপীর' নাটকে তিনি যতটুকু বহির্বাস্তবকে দৃশ্যমান করেছেন, তা থেকে উত্তীর্ণ হয়ে অন্তরগামী, মনোবিকলনধর্মী বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন 'তরঙ্গভঙ্গ' ও 'উজানে মৃত্যু' নাটকে।

শামীম সাগর নির্দেশিত পালাকার-এর 'উজানে মৃত্যু' নাটকে নৌকাবাহকের চরিত্রে আমিনুর রহমান মুকুল, সাদা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি'র চরিত্রে কাজী ফয়সল ও কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তি'র চরিত্রে বাবর খাদেমী অভিনয় করেছেন। তিনজনের অভিনয়ই দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করেছে। নদী তীর, চাঁদ ও সূর্য এই তিনটি প্রতীকি বস্তুর উপস্থিতিতে চরিত্রগুলো যেন দর্শককে সেই অচিন গ্রামের ঘটনাগুলোকেই সত্য রূপে ফুটিয়ে তুলেছেন।

নাটকে বউয়ের চরিত্রে শতাব্দী সানজানা, ডুবে মরা ব্যক্তির চরিত্রে সোনিয়া আক্তার এবং মহাজন ও বাঁশে বিদ্ধ ব্যক্তির চরিত্রে ফাহমিদা মল্লিক শিশিরের অভিনয়ও দৃষ্টিনন্দন ছিল। নাটকটির শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন আমিনুর রহমান মুকুল, কোরিওগ্রাফি করেছেন অনিকেত পাল বাবু, আলোক পরিকল্পনা করেছেন বাবর খাদেমী, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন অজয় দাশ, সংগীত প্রক্ষেপণ করেছেন সাব্বির, কস্টিউম করেছেন ফাহমিদা মল্লিক শিশির, লোগো ও প্রচ্ছদ ডিজাইন করেছেন চারু পিন্টু ও মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন শামীম সাগর।

নাটকটির আলোক পরিকল্পনা নান্দনিক হলেও আলোক প্রক্ষেপণে কিছুটা ক্রুটি চোখে পড়েছে। আবহসংগীতে শব্দের আরো তীব্রতা তৈরি হলে নাটকের মধ্যে দর্শককে আরো ঘোর লাগানো সম্ভব হতো। 'উজানে মৃত্যু' অ্যাবসার্ড নাটকটির মধ্যে যে ট্রাজিক সুরের ব্যঞ্জনা ফুটে ওঠার কথা, আবহসংগীতে যেন তার কিছুটা কমতি পরিলক্ষিত হয়েছে। সবমিলিয়ে দর্শকের হৃদয় স্পর্শ করার মত একটি সুন্দর প্রযোজনা। নাটকটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৫৫ মিনিট। কিন্তু দর্শক যেন দীর্ঘকাল ধরে এক সুবিশাল চরাচর পরিভ্রমণ করেন মাত্র তিনটি চরিত্রের সুনিপুন কুশলতায়।

সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহ'র 'উজানে মৃত্যু' অ্যাবসার্ড নাটকটি পালাকার-এর স্টুডিও প্রযোজনা হলেও এই নাটকের পরিবেশনা আরো যত সমৃদ্ধ হবে ততই দর্শক এই নাটকের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট হবেন। জয়তু পালাকার। জয়তু বাংলা থিয়েটার।

-------------------------------------
'উজানে মৃত্যু' দ্বিতীয়বার দেখার পর

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর আলোচনা। ভালো লাগলো।

২| ১১ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ভিপিএন ব্যবহার করে ব্লগে ঢুকেছেন?

৩| ১২ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এদেশে ধনীরা দিন দিন ধনী হচ্ছে আর গরীবরা পিসে মরছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.