নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
শিবু'দার সৌখিন ভাতের হোটেলে নিয়ম কানুন ভারী কড়া! শিবু'দার মন-মেজাজ ভালো থাকলে সেদিন রান্না হয়। কোনো কারণে মেজাজ একটু খারাপ থাকলে রান্না বন্ধ! শিবু'দা পুরোপুরি স্বাধীন একজন মানুষ। শিবু'দা বেশি প্রশ্ন করা পছন্দ করেন না। নিজের ইচ্ছায় যতটুকু বলেন, সেটুকু নিয়েই্ আপাতত শান্তি! গতকাল রাতে শিবু'দার ভাতের হোটেলে খাবার ছিল না। আজ দুপুরে আমিও আর শিবু'দাকে মারাইনি!
রাতে যখন ফিরছি তখন দেখলাম শিবু'দা সাইকেল নিয়ে ফিরছেন। জিজ্ঞেস করলাম, আজ খাবার পাবো তো? শিবু'দা বললেন, এখন তো হবে না। একটু দেরি হবে। কী খাবে, বলে যাও, পরে এসে নিয়ে যেও! দোকান ভরতি মানুষ। শিবু'দার ছেলে, পুত্রবধূ, এক বছরের নাতনী স্বরস্বতী আর বৌদি মানে শিবু'দার স্ত্রী। এর বাইরে শিবু'দার পরিবারের খোঁজ আজ আর নেওয়া গেল না।
দেড় ঘণ্টা পর আবার শিবু'দার কাছে গেলাম। শিবু'দাকে দেখলাম স্বরস্বতীকে কোলে নিয়ে বাবু'র মত পায়চারী করছেন। কোনো প্রশ্ন করার মত অবস্থায় নেই! আমিও স্বরস্বতী'র সাথে দু'-একটা কথা বলে খাতির দেবার চেষ্টা করলাম। শিবু'দা ফ্যান চালিয়ে দিয়ে আমাকে বসতে বললেন। শিবু'দার সাথে আমার একটা বিষয়ে মিল আছে। শিবু'দাও আমার মত হাফপ্যান্ট আর টি-শার্ট দিয়ে গ্রিস্মের তাপদাহ উপভোগ করছেন।
শিবু'দার দোকানে এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি আইসক্রিমের! ছোট-বড়, জোয়ান-মদ্দা, বুড়ো সবাই দেখি আইসক্রিমের জন্য দীর্ঘ লাইনে। ফ্রিজ খুলে বৌদি তাদের হাতে আইসক্রিম দিচ্ছেন। শিবু'দার পুত্রবধূ তাদের থেকে আইসক্রিমের দাম রাখছেন। আর শিবু'দা টেলিভিশন ছেড়ে একটা হিন্দি ছবি দেখছেন। সেই সুযোগে স্বরস্বতী কোল থেকে নেমে মায়ের কাছে গেল!
শিবু'দার ছেলেটা হয়তো কিছুটা কামচোরা! দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আড্ডা মারছিল। শিবু'দা ছেলেকে ডেকে বললেন, আমার খাবারটা রেডি করে দিতে। স্বরস্বতীকে একটা গালটানা দিয়ে সে ঘরের পেছনে গেল। এই সুযোগে পাশাপাশি বসে থাকা শিবু'দা আর বৌদিকে আমি পরখ করতে লাগলাম। বৌদি শিবু'দার চেয়ে মিনিমাম কুঁড়ি বছরের ছোট হবেন! বৌদি খুব সুন্দরী ও ফর্সা। শিবু'দা ঠিক তার উল্টো! সমুদ্রে মাছধরা জেলেদের যেমন সূর্যের তাপে চামড়া পোড়া থাকে, তেমনি একটা পোড়া পোড়া তামাটে কালো শিবু'দার গায়ের রঙ!
বৌদিকে দেখে আর যেটা বোঝা গেল, বৌদি খুব কম বয়সে আর শিবু'দা একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন। যদিও শিবু'দার অমন তাগড়া শরীরের কাছে বৌদি ঢের মানিয়ে গেছেন! কিন্তু একটা প্রশ্ন মনের ভেতরে খচখচ করে খুব ঘুরপাক খাচ্ছে- দুপুর বেলায় যখন শিবু'দার ভাতের হোটেলে ভাত খাওয়ার লোক সমাগম বেশি থাকে, তখন পরিবারের অন্য কাউকে কেন দেখা যায় না। সমীকরণটা কী বলে!
----------------------------চলবে--------------------------------------
৩০ মে ২০১৯
২| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
হোটেলটা কোথায় অবস্হিত?
৩| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৫১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সুন্দর লেখা ....
চলুক...
৪| ৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১২:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার এই সিরিজ টা বেশ লাগছে!!
চমৎকার।
৫| ৩১ শে মে, ২০১৯ রাত ১:২১
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সুন্দর স্টোরি, দারুন বর্ণনা।
শেষ প্রশ্নটা আমার মাথায়ও ঘুরপাক খাচ্ছে.....
৬| ৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঘটনা তো মনে হচ্ছে আস্তে আস্তে জটিলতর হচ্ছে।
বিষয় তো মনে হয় খারাপ।
৭| ৩১ শে মে, ২০১৯ ভোর ৫:৫৫
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন। চলুক
৮| ৩১ শে মে, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সুনীলের এরকম একটা গল্প পড়েছি। গল্পের নাম ছিল আমাদের মনোরমা