নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
কয়েকদিন এভাবে ছটফট করার পর মাত্র তিনটি চরিত্র নিয়ে একটি গল্প ভাবতে লাগলাম। চরিত্রগুলো কী করবে, কেন করবে, নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক কী, এসব আগুপিছু না ভেবেই একটা গল্প ভাবতে থাকি। কিন্তু গল্প আর ধরা দেয় না। আমি চরিত্রগুলোকে চোখে দেখবার জন্য তিনজনকে ফোন করলাম। প্রণব দাস, জাহিদ হাসান আর রনি খান। সবচেয়ে বেশি আগ্রহ পেলাম রনি'র কাছ থেকে। কিছুটা উৎসাহ পেয়ে পরদিন বিকালে ওদেরকে দেখা করতে বললাম।
শরিয়তপুর থেকে জাহিদ আসলো। সাভার থেকে প্রণব আসলো। কিন্তু গাজিপুর থেকে রনি'র আসার কোনো খবর নাই। যে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখালো, তারই কোনো খবর নাই। আমি কিছুটা হতাশ হলাম। আমরা তিনজন পান্থপথে রাস্তার উপর বসে আড্ডা দিচ্ছি। এই সময় লিয়াকত মোস্তফা লিকু ফোন করলো। লিকু বললো- আপনার সাথে জাহিদ আছে নাকি? বললাম আছে, তুই আয়। আধা ঘণ্টা পর লিকু আমাদের সাথে যোগ দিল।
জাহিদ আকারে ইঙ্গিতে লিকুকে আমাদের মিশনের কথা ফাঁস করে দিল। লিকু বললো, রেজা ভাই আপনি ফিল্ম বানালে আমি কিন্তু অভিনয় করবো। প্রণব আমাকে চোখ মারলো। আসলে তখন আমাদের কারো কাছে টাকা নাই। লিকু যদি আমাদের বৈকালিক চা-নাস্তা খাওয়ায়, তাহলে লিকু'র কাছে আমরা আমাদের মিশনের কথা বলবো। স্কয়ার হাসপাতালের পেছনের গলিতে লিকু আমাদের চা-নাস্তা খাওয়ালো। এবার লিকুকে বললাম, যদি রনি না করে তাহলে তোরে নিতে পারি। কিন্তু আমি চরিত্র যা ভাবছি, তা আসলে ওদের তিনজনকে নিয়ে। তোরে ঢুকাতে হলে গল্প পাল্টাতে হবে।
লিকু বললো, এইটা কী বলেন রেজা ভাই! দরকার পড়লে গল্প বদলান। যে গল্পটি রনি-প্রণব-জাহিদকে নিয়ে ভাবছিলাম, রনি না আসায় ঘটনাক্রমে সেখানে লিকু এন্ট্রি নিল। কিন্তু লিকু'র সাথে রনি'র চরিত্র যায় না। মহা মুশকিল। জাহিদ আর প্রণবকে বললাম, আগামীকাল বিকালে রনি যদি না আসে, তাহলে রনি'র পরিবর্তে লিকুকে নিয়ে গল্প বদল করে ফেলবো। রাত এগারোটা পর্যন্ত আমরা পান্থপথে আড্ডা দিলাম। কিন্তু গল্পের কোনো পরিবর্তন মাথায় আসে না। লিকুকে কাস্ট করলে চরিত্র বদল করা লাগবে। কী করি! কী করি!
পরদিন জাহিদ-প্রণব-লিকুকে নিয়ে আবার আড্ডা। এবার কিছুটা আমরা ডিটারমাইন্ড। এই তিনজনকে কাস্ট করেই একটা গল্প ফাইনাল করব। লিকু বললো, রেজা ভাই আপনি আগে গল্পটা লেখেন। কিন্তু পরিবর্তিত চরিত্র নিয়ে গল্প আর আগায় না। কয়েকদিন ভাবনা চিন্তা করে একটা গল্পের আউটলেট দাঁড় করালাম। সেখানে একটা মেয়ে চরিত্র ঢুকে পড়েছে। এবার আর তিনজন দিয়ে হচ্ছে না। কিন্তু গল্পটা ওরা পছন্দ করলো। লিকু বললো, মেয়ে পাওয়া যাবে। আপনি স্ক্রিপ্ট লেখা শেষ করেন।
এভাবে কয়েকদিন আমরা গল্প নিয়ে ভাবছি। কিন্তু গল্পের কোনো আগামাথা পাওয়া যায় না। ততোদিনে একটা বিষয় মনে মনে ফাইনাল করেছি। একটা শর্ট ফিল্ম বানাবো। যা থাকে কপালে। গল্পটা একটু গুছিয়ে যখন স্ক্রিপ্ট লিখতে বসলাম, তখন গল্প আর তিন-চার চরিত্রে নাই। সেখানে আরো চরিত্র হাজির হতে থাকলো। কিন্তু শর্ট ফিল্মে এত চরিত্র কীভাবে সামাল দেব? এ এক জ্বালা!
স্ক্রিপ্টের একটা খসড়া দাঁড় করিয়ে আমরা শুটিং প্লান করতে বসলাম। মিটিং কল করেছি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে। জাহিদ-প্রণব-লিকু আর আমি। এই হলো আমাদের টিম। প্রথমে ব্যাপার ছিল এরকম, জাহিদ ক্যামেরা চালাবে, সাথে ওর চরিত্রও করবে। প্রণব অভিনয়ও করবে। আবার ওটা এডিটও করবে। কিন্তু প্রণব বললো, ভাই প্রোডাকশন চালানোর মত একজন লোক নেন। নইলে আমরা তিনজন পারবো না। জাহিদ বললো, সেলিম ভাইরে একটা ফোন দেন।
আমি সেলিম হায়দারকে ফোন করলাম। পরদিন বিকালে আমাদের আবার মিটিং। সেলিম আসলো আমাদের নির্ধারিত মিটিংয়ের এক ঘণ্টা আগে। সবকিছু শুনে সেলিম বললো, ভাই আমি কিন্তু অভিনয় করতে পারবো না। আমি প্রোডাকশন উঠিয়ে দেব। এখন বলেন আমার পোস্ট কী হবে? আমি বললাম, তুই বল, তোর কী পোস্ট লাগবে। আমরা আমরাই তো! জবাবে সেলিম বললো, আমি চিফ এডি থাকতে চাই। আমি বললাম, ঠিক আছে, তুই চিফ! কিন্তু তুই একা সামলাতে পারবি তো?
সেলিম বললো, প্রণব-জাহিদ তো আছে। ওরাও এসিসট্যান্সি করবে। হয়ে যাবে। আমি বললাম, আমাকে সারাক্ষণ সঙ্গ দিতে একজন এডি দরকার। জাহিদ বা প্রণব, কে আমার সাথে থাকতে পারবি, বল? জাহিদ বললো, ভাই ক্যামেরা চালাবো, অভিনয় করবো, আবার এসিসট্যান্সি! তিনটা আমার জন্য লোড হয়ে যায়। প্রণব চোখ টিপে হাসলো। লিকু বললো, রেজা ভাই, আমরা আমরাই তো। হয়ে যাবে। আপনি স্ক্রিপ্ট ফাইনাল করেন।
পরদিন মিটিংয়ে আমাদের সাথে যোগ দিল ইউসুফ ববি। ঠিক হইলো, ববি আমার ক্রিয়েটিভ এসিসট্যান্সি করবে। মোটামুটি এই পাঁচজনের টিম। কিন্তু রাতে আমি যখন আবার গল্প নিয়ে বসলাম, সেখানে আরো দুই-তিনটা ক্যারেক্টার ঢুকে গেল। এবার নতুন ক্যারেক্টার কে করবে? আমি মনে মনে ভাবলাম, গ্রাম থেকে দু'একজনকে কাস্ট দেব। টিম বড় করা যাবে না। কিন্তু মেয়ে ক্যারেক্টার কে করবে?
পরদিন মিটিংয়ে আমরা বর্ধিত গল্প নিয়ে আরো আলাপ করলাম। মেয়ে ক্যারেক্টারটা করার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে একটা সম্ভাব্য তালিকা করা হলো। কিন্তু সেভাবে ফোনে কারো সাড়া পাওয়া গেল না। এখন উপায়? ওদিকে গল্পের চরিত্র সংখ্যা বেড়েই চলছে। ববি বললো, একটা ক্যারেক্টার ফয়সল ভাইকে দিতে পারেন। আমি কাজী ফয়সলকে ফোন করলাম। ফয়সল এসে আমাদের সাথে যোগ দিল। কিন্তু তখনো মেয়ে ক্যারেক্টার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রাতে আমি গল্পটি নিয়ে আরো ভাবলাম। গল্পের একটা ঝিলিক উকি দিচ্ছে। কিন্তু আসলে কিচ্ছু হচ্ছে না। পরদিন দুপুরে ববি আর ফয়সল আসলো। আমরা আড্ডা দিচ্ছি, তখন পর্যন্ত যেটুকু স্ক্রিপ্ট দাঁড়িয়েছে, আমরা ওটা পড়তে শুরু করলাম। ববি আর ফয়সল পড়ার সময় কলকাতার এক্সেন্টে স্ক্রিপন্ট পড়লো। আমি বললাম, ববি মস্করা না করে স্ক্রিপ্টটা পড়। গল্পে কী কী ইনপুট লাগে, তাই বের কর। সন্ধ্যায় লিকু-জাহিদ-প্রণব আমাদের সাথে যোগ দিল। সেলিম ফোনে জানালো, ভাই আপনারা সবকিছু ফাইনাল করে আমাকে জানান। আমার তো ফাইনাল হবার আগে কোনো কাজ নাই!
পরদিন আমাদের মিটিংয়ে এসে লিকু বললো, রেজা ভাই সারারাত আমার ঘুম হয় নাই। অনেক ভেবে দেখলাম, এই চরিত্র আমার সাথে যায় না। এটা ইকতার ভালো করতে পারবে। আপনি ইকতারকে ফোন দেন। আমি লিকু'র উপর কিছুটা বিরক্ত হলাম। কিন্তু লিকুকে কোনো দোষও দিতে পারছি না। ও যদি মনে করে ওর চেয়ে ইকতার ভালো করবে, তাহলে ইকতারকে ডাকি! ইকতার আমার ফোন পেয়ে পরদিন মিটিংয়ে আসলো। এবার আবার লিকু'র পরিবর্তে ইকতারকে নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। ওদিকে মেয়ে ক্যারেক্টারের কোনো দেখা নাই! কী করি!
রাতে ফেসবুকে কথা হচ্ছিল তৃপ্তির সাথে। তৃপ্তি সোরেন আমার ফেসবুক বন্ধু। আগে কখনো দেখা হয়নি। তৃপ্তির মেয়ে এ্যাথেনাকে কোথাও কোনো নাটকে কাস্ট করানো যায় কিনা তাই নিয়ে আলাপ। বললাম, আমি তো একটা শর্ট ফিল্ম বানাবো। একটা মেয়ে ক্যারেক্টার আছে, কিন্তু কোনো আর্টিস্ট পাচ্ছি না। গল্পটা একটু শুনে তৃপ্তি বললো, দোস্তো তুই আমারে কাস্ট কর। আমি করবো। জবাবে বললাম, তুই তো কখনো কোনো ফিল্মে অভিনয় করিস নাই। তুই কী চরিত্র তুলতে পারবি? তুপ্তি বললো, তুই যেভাবে বলবি, আমি সেভাবে চেষ্টা করবো। দ্যাখ কাউরে না পেলে আমারে নিস।
পরদিন মিটিংয়ে তৃপ্তি আসলো। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ছাদে আমরা মিটিং করলাম। কাস্টিং নিয়ে আর না ভেবে কাজে লেগে পরাই বুদ্ধিমানের কাজ! যা হয় হবে। কাউরে তো আর ট্যাক্স দেওয়া লাগবে না। মোটামুটি একটা ড্রাফট স্ক্রিপ্ট নিয়ে আমরা একটা ডেট ফাইনাল করলাম। কিন্তু লিকুকে বললাম, গল্পে একটা ভিলেন ক্যারেক্টার ঢুকবে। ওইটা তুই করবি। লিকু বললো, ঠিক আছে রেজা ভাই। বৃহস্পতিবার দেখে আমার জন্য সিডিউল রাইখেন। কিন্তু বিষ্যুদবার আবার অন্যদের সাথে সিডিউল মেলে না। কী করি!
গল্প ফাইনাল না করেই আমরা শুটিং ডেট ফাইনাল করলাম। সিদ্ধান্ত হলো যদি লিকু ছুটি নিতে না পারে তাহলে লিকুকে ছাড়াই আমরা শুটিং করতে চলে যাবো। লিকু প্রয়োজনে বিষ্যুদবার রাতে ঢাকা থেকে রওনা দেবে। সেলিম বললো, ভাই একটু খরচ যখন করতেছেন, একটা ভালো ক্যামেরা নেন। ভালো ক্যামেরা নিতে গেলে আবার ক্যামেরাম্যান, ক্যামেরা ইউনিট লাগবে। কাকে নেব বুঝতে পারছি না। কোন হাউজ থেকে ক্যামেরা নেব, তাও বুঝতেছি না। কিন্তু শুটিং ডেট আর বদলানো যাবে না। যা হয় হবে।
২০১৭ সালের ২ এপ্রিল আমাদের শুটিং শুরু হবে। এটাই ফাইনাল। আমরা সবকিছু গুছগাছ করতে লাগলাম। ক্যামেরা না পেলে জাহিদ আর সেলিমের যে ক্যামেরা আছে, তাই দিয়ে কাজ করব। যা হয় হবে। আগে শুটিং করা দরকার। যেহেতু সিনেমা বানাবো। একজন স্থির চিত্র ধরার লোক লাগে। কিন্তু কারে পাই? ফয়সল বললো, আমার একটা বন্ধু আছে। চিন্ময় চক্রবর্তী। চিন্ময়কে বলে দেখতে পারি। বিকালে ফয়সল, ববি, লিকু আর আমি চিন্ময়ের সাথে আড্ডা দিলাম। চিন্ময় আমাদের সাথে যেতে রাজি। হুরররররররে!
ওদিকে টাকা পয়সার কোনো খবর নাই। কিন্তু আমরা শুটিং ডেট ফাইনাল করে বসে আছি। বিকালে সময় টেলিভিশনের সামনে প্রশান্ত অধিকারীর সাথে দেখা। বললাম, একটা শর্ট ফিল্ম বানাতে যাচ্ছি। প্রশান্ত বললো, খুব ভালো খবর। ক্যামেরা কী নিচ্ছো? বললাম ডিএসএলআর দিয়ে করবো। প্রশান্ত বললো, একটা ছেলে আছে খুব ভালো। তুমি পয়সা যখন খরচ করতেছো, একটা ভালো ক্যামেরা নাও। আর একজন ক্যামেরাম্যান নাও। তুমি চাইলে আমি ওরে ফোন করি!
বললাম, ডাকো? কথা বলে শুনি। প্রশান্ত ফোন করলো মোস্তাফিজকে। মোস্তাফিজ বাটার সিগন্যালে ছিল। দশ মিনিটের মধ্যে চলে আসলো। সবকিছু শুনে মোস্তাফিজ বললো, ভাই একটা মার্ক থ্রি নেন। ভালো রেজাল্ট পাবেন। প্রশান্ত সুপারিশ করলো, মার্ক থ্রি নাও। ভালো রেজাল্ট পাবা। আমার ফিল্মও মার্ক থ্রি-তে শুট করা। মোস্তাফিজকে বললাম, তুমি কী ক্যামেরা হাউজে কথা বলতে পারবা? মোস্তাফিজ ক্যামেরা হাউজে কথা বলে একটা দরদাম শুনে আমাকে জানালো।
পরদিন বিকালে আমি মনিপুরীপাড়া গেলাম আমার বন্ধু ইফতেখার ডনের প্যানেলে। ডনকে সব খুলে বললাম। ডন বললো, দোস্তো তুই মার্ক থ্রি'র নিচে নামিস না। আর ডিওপি লাগলে বল, আমি একজন ভালো ডিওপি দিচ্ছি। জিজ্ঞেস করলাম, ডিওপিকে পারডে কত দিতে হবে? ডন বললো, দোস্তো আমি পাঁচের নিচে কাউরে কইতে পারবো না। শালা তুই সিনেমা বানাবি, ভালো করে বানা। ফকিন্নিগিরি করলে তো আর সিনেমা বানাতে পারবি না।
ডনকে বললাম, তুই আমারে ক্যামেরা আর লেন্স দে। আমার ডিওপি আছে। তোর ডিওপিতে আমার পোষাবে না। ডন বললো, দোস্তো আমার ক্যামেরা-লেন্স সবকিছু তো শুটিংয়ে। ২ তারিখ তো আমি তোরে কিচ্ছু দিতে পারবো না। ডনকে বললাম, তাইলে তুই কোনো হাউজে বলে ঠিক করে দে। ডন মাহতাফ ভাইকে ফোন করে আমার কথা বললো। ধানমন্ডি থেকে মাহতাফ ভাইয়ের হাউজ থেকে ক্যামেরা-লেন্স সব পাওয়া যাবে।
পরদিন মোস্তাফিজ বললো, ভাই ক্যামেরা যেটা পাইছি, ওটা দিয়ে আমি আগেও কাজ করছি। খরচও একটু কম পড়বে। আপনি চিন্তা করেন, কী করবেন? পরে ঠিক করলাম, মাহতাফ ভাইয়ের হাউজ থেকে ট্রাইপট, আর কিছু লেন্স নেব। আর মোস্তাফিজ যে ক্যামেরাটা দিয়ে কাজ করেছে, তেজগাঁওয়ের সেই হাউজ থেকে ক্যামেরা নেব। কারণ পরদিন মোস্তাফিজের সাথে জয় এসেছে। জয় ক্যামেরা এসিসট্যান্ট হলেও লাইট ভালো বোঝে। লাইটে আমাদের বাড়তি সাপোর্ট দিতে পারবে।
শুটিংয়ের সবকিছু ফাইনাল। আমরা ২ এপ্রিল যাচ্ছি। কিন্তু টাকা পয়সার কোনো খবর নাই। এখন উপায়? জাকিরকে ফোন করলাম। জাকির বললো, ২ এপ্রিলের আগে আমি কোনো টাকা দিতে পারবো না। ৫ তারিখ কিছু টাকা হয়তো দিতে পারবো। আমি বললাম, ক্যামেরা হাউজে টাকা অ্যাডভান্স দিতে হবে। তুই মিনিমাম পঞ্চাশ হাজার টাকা দে। আর বাকি টাকা আমরা আসার পর দিস। টাকা রেডি না থাকলে কিন্তু সবকিছু মাঠে মারা যাবে। শুটিং ডেট কিন্তু চেইঞ্জ করা যাবে না। জবাবে জাকির বললো, আচ্ছা আমি তোমারে কাল জানাচ্ছি।
-------------------------------চলবে-----------------------
৫ জুলাই ২০১৯
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: মুভি দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছি ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ ভোর ৪:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফিল্ম কি তৈরি হয়েছিলো?