নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলচ্চিত্রে চাঁদাবাজির নতুন মডেল- কাজীর গরু কাগজে আছে গোয়ালে নেই!

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৮

সেন্সর বোর্ড আবার বিএফডিসি'র ছাড়পত্র ছাড়া সেন্সর দেবে না। আর বিএফডিসি'র ছাড়পত্র আনতে গেলেই ওই সমিতির নামে যত চাঁদাবাজি। এই দুষ্টু সিন্ডিকেট চক্রের সম্পর্ক আবার লেজে লেজে।

১. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকে ছাড়পত্রের জন্য দিতে হবে এক লাখ টাকা (যারা এফডিসিতে সিনেমা বানায় তারা বিনামূল্যে ছাড়পত্র পায়)। এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে ট্রেজারি চালান হিসেবে জমা হয় না। এই টাকা দিতে হবে এফডিসি'র ফান্ডে। ১৫ জানুয়ারি ২০২০ এই নতুন ফিস ধার্য করেছে এফডিসি। এর আগে এটা দশ হাজার টাকা ছিল।

২. প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্য না হলে এফডিসি ছাড়পত্র দেবে না। এই বেসরকারি সমিতি হলো এফডিসি'র চাঁদাবাজির আরেকটা চক্র। এখানে সদস্যপদ পাবেন ১ বছরের জন্য মূল্য এক লাখ তিন হাজার টাকা। এই টাকাও বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালান হিসেবে জমা হয় না। সমিতির ফান্ডে দিতে হবে। আপনি পরের ছবি বানাতে বানাতে আপনার এক বছরের মেয়াদ শেষ। আবার চাঁদা দিয়ে সদস্য হবেন।

৩. প্রযোজক সমিতির সদস্য হতে আপনাকে পরিচালক সমিতির সদস্য হতে হবে। পরিচালক সমিতির সদস্য ফি মাত্র ৫৫,৭০০ টাকা। এই টাকাও বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালানে নয়, জমা দিতে হবে ওদের ফান্ডে। এরাও এফডিসি'র এই চাঁদাবাজির আরেক চক্র।

৪. এই তিন চক্র আবার সেন্সর বোর্ডের সবকিছুর যোগসূত্র। সেন্সরের মূল আবেদনপত্রে কোথাও বিএফডিসি'র ছাড়পত্রের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা নাই। আপনাকে ধরিয়ে দেবে সেন্সর বোর্ডের একটি স্মারক। এই স্মরকের আগামাথা তথ্য মন্ত্রণালয়ে কেবল কাগজে কপি আছে। তথ্য মন্ত্রণালয় এই স্মারকের শক্তি ও এটা নিয়ে চলচ্চিত্রে চাঁদাবাজির খবর স্বীকার করে না। তারা বলবে এটা নিয়ম। নিয়মটা কে বানালো? এফডিসি, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, পরিচালক সমিতি আর সেন্সর বোর্ড মিলে এই নিয়ম বানিয়েছে।

৫. এর বাইরে আপনি কেবল সরকারি নিয়ম অনুসারে আপনার ছবির দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সেন্সর বোর্ডে আপনার ছবি পরীক্ষণ ও প্রদর্শনের ফি দেবেন। সেটাই একমাত্র সরকার বাহাদুরের কোষাগারে যায়। আর ওটা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। সরকার বাহাদুর কেবল এই ২০/৩০ হাজার টাকার খবর জানে। মাঝখানের এই স্মারক আর সমিতি আর ছাড়পত্রের নামে যে নিরব চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা সরকার বাহাদুর জানেই না।

যদি সরকারি নিয়ম হয় তাহলে সকল টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা হবার নিয়ম। এর বাইরে আপনি যত টাকা যাদের ফান্ডে দেবেন, এটার কোনো হিসাব সরকার জানবে না। চাঁদাবাজির এই কৌশল দিয়েই স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সায়েস্তা করার কৌশল নিয়েছে চলচ্চিত্রের এসব সিন্ডিকেট।

আমাদের বড় বড় নির্মাতারা এসব নিয়ে কথা বলেন না। সোজা কথা তারা এই চক্রের শত্রু হতে চান না। যার যার নিজের স্বার্থ নিয়ে তারা এক একজন বড় বড় নির্মাতা। আমি বলতে চাই এফডিসি'র বাইরে আপনি যদি সিনেমা বানাতে চান, তাহলে এই চক্রের চাঁদাবাজি খাতে মিনিমাম তিন লাখ টাকা পকেটে রাখবেন। নইলে আপনি গোয়া মারা খান।

চলচ্চিত্রের এই চাঁদাবাজি যতদিন বন্ধ না হবে ততদিন স্বাধীন চলচ্চিত্র বলে আপনি যতই আওয়াজ দেন, সবকিছু এদের নানা উপায়ে ম্যানেজ করার পর বাহাদুরী। আপনি হয়তো পকেটে ৫টা পাণ্ডা মন্ত্রী নিয়ে ঘোরেন। আপনি তিন লাখের জায়গায় একটু কম খরচে নিজের পিঠ বাঁচাবেন। কিন্তু চলচ্চিত্রের নামে এই চাঁদাবাজি নিয়ে আমাদের দেশে কেউ উচ্চবাচ্য করে না। এটাই দেখতেছি।

আমার সিনেমার রিলিজ ডেট কেন তথাকথিত সমিতি থেকে নিতে হবে? সিনেমা বানাবেন আপনি আর সেই সিনেমার রিলিজ ডেট দেবে চাঁদাবাজি করার পর এই চক্র, এটা কেমন কথা? এসব অনিয়ম নিয়ে এই দেশে কেউ কথা বলবে না। আর সিনেমা গোয়া মারা যাবে না তো সিনেমা ব্যবসা করবে?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনারা সিনেমা বানাচ্ছেন বলেই ওদের ৈরাজ্য জানইতে পারছি না। কিন্তু না এভাবে চলতে পারে না।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০০

পদ্মপুকুর বলেছেন: ভাইরে, শিল্প-সাহিত্য-ক্রীড়া-সংস্কৃতি, সুকুমারবৃত্তির সব যায়গাতে কর্তৃপক্ষ হয়ে কিছু রাক্ষস দেশটাকে রাক্ষসপুরী বানিয়ে ফেলেছে। যে সময় আমাদের প্রযুক্তি উন্নত ছিলো না, আর্থিক সীমাবদ্ধতা ছিলো, জনবলের সংকট ছিলো, তখনও এ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণ যে কালজয়ী সৃষ্টি আমাদেরকে উপহার দিয়েছে, তা সম্ভব হয়েছিলো শুধু সংশ্লিষ্ট মানুষগুলোর নিবেদন, ভালোবাসা, যোগ্যতা, দেশপ্রেম আর পরিশ্রমের মাধ্যমে। এখন ও সব যায়গায় বসা রাক্ষসদের না আছে যোগ্যতা, না আছে ভালোবাসা.....এরা শুধু টাকাই চেনে। ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
]
আমি মনে করছিলাম চাঁদগাজী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.