নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

#অ্যান_ইনভেস্টিগেটিভ_ডায়েরি_অব_করোনা_ভাইরাস

২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

এ বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হলে করোনা ভাইরাস নিশ্চিত আসতো না। এটাকে কোভিড-১৯ কেন বলা হচ্ছে? কারণ এটা ২০১৯ সালে চীন ও ইরানে এপ্লাই করা হয়েছে। কারা এপ্লাই করলো? অবশ্যই সিআইএ! কেন এটা এপ্লাই করা লাগলো? কারণ মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নতুন কোনো খাওয়া নাই। ট্রাম্পকে দ্বিতীয় মেয়াদে পাস করতে এর কোনো বিকল্প ছিল না! নাকি ছিল?

চীন যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছে, সেখানে এটা ছাড়া চীনকে বাগে আনার বিকল্প মার্কিনীদের হাতে ছিল না। ৫ বছর আগে বিল গেটস করোনা ভাইরাস সম্পর্কে কীভাবে জানলেন? মানুষ আসলে সত্য বেশিক্ষণ গোপন রাখতে পারে না। তাহলে এখন আমেরিকা কী করবে? খুব শিগ্রই আগে থেকে গোপনে বানানো টিকাকে নতুন করে টিকা আবিস্কারের ঘোষণা দেবে!

আজ যখন হোয়াইট হাউজে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড ট্রাম্প টিকা আবিস্কারের দ্বারপ্রান্তের কথা ঘোষণা করছেন, তখন একটা দৃশ্য খেয়াল করছেন কেউ? ভাইস প্রেসিডেন্টসহ অন্যরা খুব কাছাকাছি গা ঘেষে দাঁড়ানো ছিলেন। মানে ওনাদের টিকা নেওয়া শেষ। হোয়াইট হাউজের কয়েকদিন আগের প্রেস কনফারেন্সগুলো থেকে আজকের প্রেস কনফারেন্সে হঠাৎ তারা এতো কাছাকাছি দাঁড়ালেন কেন? মাথায় ঘিলু থাকলে নিজেরাই এর উত্তর জানেন!

তাহলে অন্য দেশ কী বসে থাকবে? মোটেও না। এরকম পরিস্থিতিতে অন্য দেশগুলো তাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভিজ্ঞতা থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। এবং তারাও সফল হবে। চীন যেভাবে সামাল দিয়েছে, এটা তাদের সিস্টেমের কারণে সম্ভব হয়েছে বেশি। জাপানের প্রচণ্ড সহযোগিতা ছিল। জার্মানী এবং ভারতও করোনা'র টিকা আবিস্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। রাশিয়া কী করেছে? রাশিয়া প্রথমত করোনা ভাইরাস তাদের দেশে অবাধে ঢুকতে দেয়নি। তাই তাদের সামর্থ্যটা অন্যদের চেয়ে শক্তিশালী।

গোটা করোনা ভাইরাস প্রজেক্টে ব্যবসার মধ্যস্থতা কে করছে? অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের মার্কিন দালালি ছাড়া আর কোনো কাজ নাই। বিশ্বের কোন কোন বড় বড় ওষুধ কোম্পানি কে কতোটা প্রোডাকশনে যাবে, তার অনুমোদন দেবে এই দালালবেশি হু (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা)। তাহলে করোনা প্রজেক্টে কার কী লাভ? অবশ্যই আমেরিকার। প্রথম লাভ তারা ঘরে তুলবে। আর ট্রাম্পের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া সফল হবে! মার্কিন জনগণ ট্রাম্পকে তাদের ত্রাতা হিসেবে দেখবে। কারণ মার্কিন জনগণ শেষপর্যন্ত করোনা থেকে একটা ঝড়ের পর বাঁচবে।

বিশ্বরাজনীতি এখন আর কেবল লোকদেখানো নির্বাচনের মধ্যে আটকে নাই। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঠিক করে পরবর্তী চার বছর বিশ্ব কী নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সিআইএ সেই নীল নকশা আগেভাগেই ঠিক করে রাখে। আগের নির্বাচনের নীল নকশা ছিল সিরিয়া ও আইএস। বিশ্ববাসী সেই গল্প করতে করতে চার বছর শেষ।

তাছাড়া সিআইএ-র একটা অ্যাকশন প্লান মাঠে মারা গেছে। কী সেটা? তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে হত্যা করা। উল্টো সেটা মার্কিনীদের জন্য বুমেরাং হয়েছে। এরদোগান জীবনে বেঁচে গিয়ে সরাসরি পুতিনের সাথে হাত মিলিয়েছেন। সরাসরি ১৮০ ডিগ্রি টার্ন। তুরস্কে সিআইএ-র মিশন ব্যর্থ না হলে মার্কিনীদের সিরিয়া থেকে এতদ্রুত তল্পি গুটাতে হতো না।

বলুন তো মার্কিনীদের আবিস্কৃত টিকা কারা আগে পাবে? অবশ্যই তাদের প্রধান মিত্ররা যেমন ইসরাইল, কানাডা, বৃটেন, ফ্রান্স, সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সৌদি-আরব, কুয়েত, দক্ষিণ কোরিয়া ইত্যাদি। করোনা রাজনীতি নিয়ে গোটা ২০২০ সাল সবাই ব্যস্ত থাকবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নভেম্বর মাসে হয়ে যাবার পর, এটা ধীরে ধীরে স্তিমিত হয়ে যাবে।

তখন অবশিষ্ট বিশ্বে কী ঘটবে? বাংলাদেশের মত যেসকল দেশ গরীব থেকে মাথা চাড়া দিয়ে মধ্যম সারির দেশে পৌঁছাতে চেয়েছিল, তারা আবারো দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করতে করতে আগের সেই গরীব স্তরে গিয়ে ঠেকবে। এখন প্রশ্ন করতে পারেন ইতালি তো মার্কিন মিত্র, তাদের দেশে কেন করোনা এভাবে সিভিয়ার অ্যাটাক করলো? খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন।

এই প্রশ্নের জবাব হলো- চীনের কয়েক লাখ মানুষ ইতালিতে ব্যবসা করে। তাদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে। নিজের দেশে খ্রিস্টমাসের ছুটি কাটিয়ে ইতালিতে তারা করোনা ভাইরাস সাথে নিয়ে ঢুকেছে। আবার ইতালি'র পঞ্চাশোর্ধ্ব মানুষের বিশাল একটি অংশ চীন সফরে ছিল। যাদের একটি বিশাল অংশ উহানে ভ্রমণে ছিল। তারাও করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে ফিরে গেছে।

এবার প্রশ্ন হতে পারে গোটা ল্যাটিন আমেরিকায় কিংবা আফ্রিকার গরীব দেশগুলোতে করোনা ভাইরাস ওভাবে ছড়ালো না কেন? কারণ সেসব দেশে চীনের যেমন ব্যবসা বাণিজ্য তেমন একটা নাই, তারাও নিজেরা অনেকটা মার্কিন বা নিজস্ব পণ্যের উপর নির্ভরশীল। চীনের সাথে যাদের ব্যবসা বাণিজ্য তুঙ্গে মূলত সেসব দেশে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকিতে থাকবে। কিন্তু বাংলাদেশে ছড়িয়েছে মূলত ইতালি থেকে আসা মানুষদের মাধ্যমে।

একটা জিনিস খেয়াল করুন- করোনা ভাইরাস কারো শরীরে থাকলে সেটি প্রকাশ্যে আসতে মিনিমাম দশ বারো দিন সময় নেয়। এই সময়ে করোনা ভাইরাস বাহক কোনো থার্মাল স্কানারে ধরা পরে না। সেই সুযোগে এটি বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস বাহক যাত্রীরা নিয়ে নিরবে ঢুকে পড়ছে। করোনার সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা কী? স্যোশাল ডিসট্যান্স। আইসোলেশন। মানুষ মানুষকে যাতে বিশ্বাস করতে না পারে, সেখানেই এটা তৎপর। মানুষ তার নিজের হাতকে বিশ্বাস করতে পারছে না। গোটা পৃথিবীর মানুষ এতটা অসহায় এর আগে কোনোদিন হয়নি।

সোজাকথা করোনা একটা জীবাণু অস্ত্র। আর ২০১৯ সালে আমেরিকা এটা চীন ও ইরানের উপর সফল পরীক্ষা করেছে। জীবাণু নিয়ে মার্কিনীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। ক্যুবার প্রেসিডেন্ট ফিডেল ক্যাস্ত্রোকে হত্যা করার জন্য সিআইএ মোট ৬৩৮ বার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল। যার মধ্যে বিস্ফোরকের চেয়ে জীবাণু অস্ত্রের অ্যাটেম ছিল অনেক বেশি।

বলুন তো ফিলিস্তিনী প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাত কীসে মারা গেছে? নিশ্চিত এ ধরনের জীবাণু অস্ত্রের হামলায়। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল সোভিয়েত রাশিয়ার চেরনোবিল দুর্ঘটনার কথা নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে? আমি এখনো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সেদিন চেরনোবিল দুর্ঘটনা না ঘটলে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন এত সহজে ভাঙতো না। আর সেটি না ঘটলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বরাজনীতিতে এত শয়তানি করার সুযোগ পেত না।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর রাশিয়া বুঝতে সক্ষম হয়েছে তাদের পুতিনের মত নেতা খুব দরকার। কারণ বরিস ইয়েলেৎসীন ছিল একটা সিআইএ-র দালাল। আর পুতিন ছিলেন কেজিবি'র সুদক্ষ চৌকশ লিডার। বিশ্বরাজনীতির কূটকৌশল বোঝার মত দূরদর্শীতা আপনার ঘটে থাকলে করোনা রাজনীতির গোটা ব্যাপারটা আপনার কাছে একদম ক্লিয়ার হবার কথা। আর আপনার মাথায় যদি ধর্মের মত কোনো রীতি দিয়ে হার্ডডিস্ক বোঝাই থাকে, তাহলে এসব চিন্তা করে মিলানো আপনার কাজ নয়। এসব হাইপোথিসিস আপনি বুঝবেন না।

আমার নেক্সট উপন্যাস 'অ্যান ইনভেস্টিগেটিভ ডায়েরি অব করোনা ভাইরাস'-এ এসব নিয়ে এখন বিস্তারিত লিখছি। অনেক যুক্তি আপনার হয়তো পছন্দ হবে না। কিন্তু সেজন্য আপনার মাথা অনেক কুল থাকা চাই। আজকের এই লেখার প্রমাণ আগামী এক মাসের মধ্যে হাতেনাতে প্রমাণ পাবেন। ততক্ষণ না হয় আমরা আরো ভাবি, ভাবা প্রাকটিস করি।

----------------------------চলবে--------------------------

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অসম্ভব কিছুই নয় !

২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: এই অকালের সময় ঢাকায় থেকে করবে টা কি? গ্রামে ফিরে যাচ্ছে তাই ভালো। ঢাকা শহর টা ও একটু জঞ্জালমুক্ত হোক।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: থ্রীলার মনে হচ্ছে
পুরোটা বিশ্বাস হচ্ছে না।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৫

আশমএরশাদ বলেছেন: মেধা থাকলে এমন নিঁখুত গল্ল ফাঁদা যায়। টিকা আবিস্কার করবে এই উপাদানকে পুঁজি করেই বাকি কাহীনিকে সাঁজানো হয়েছে। প্রতিটা ঘটনার জন্য এমন গল্প তৈরি করা যায়। কোন দেশের ইন্টিলিজেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখলে এমন মনে হতে পারে। পুরা ব্যাপারটা এত সরলীকরণের উপর নির্ভর না হয়তো। কিছু হুজুরদের মতোই যে কোন ইস্যুতেই ইহুদী নাসারাকে দোষ দেয়ার মতো এখানেও মার্কিন সম্রাজ্যবাদকে দোষ দেয়ার এবং অপটিক্যাল গ্লাস দিয়ে ঘটনার পরম্পরা গুলা যোগ দেয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে পাশে থাকা বা না থাকাটা খুব অস্বাভাবিক নয়। বেশির ভাগ টিকা আমেরিকার আবিস্কার করবে সেটাও অস্বাভাবিক নয়। আমেরিাকার শত্রুরা আক্রান্ত সেটাও সত্য ঘটনা । সব সত্য অর্ধ সত্যকে জোড়া দিয়ে একটা মনোমুগ্ধকর হাইপো পড়লাম। দেখা যাক ভবিষ্যৎ।

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম।

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: প্লট হিসাবে দারুন!

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১০

আলাপচারী প্রহর বলেছেন: আপনি একটা ষ্টুপিড। ব্লগে লেখেন শুধু নিজের বই প্রচারের জন্য। এজন্যই কারো কমেন্টের উত্তর দেন না।

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

সিগনেচার নসিব বলেছেন: অনুসন্ধান চলুক!! যেহেতু জানার আগ্রহী অপেক্ষায় থাকা বিকল্পহীন কিছু না

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: আশমএরশাদ বলেছেন: মেধা থাকলে এমন নিঁখুত গল্ল ফাঁদা যায়। টিকা আবিস্কার করবে এই উপাদানকে পুঁজি করেই বাকি কাহীনিকে সাঁজানো হয়েছে........সব সত্য অর্ধ সত্যকে জোড়া দিয়ে একটা মনোমুগ্ধকর হাইপো পড়লাম। দেখা যাক ভবিষ্যৎ।

দেখা যাক ভবিষ্যৎ কি বলে।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

জেন রসি বলেছেন: এমন কিছু হওয়াটা অসম্ভব না। তবে যেহেতু তথ্য প্রমাণ নেই সেভাবে তাই হাইপোথিসিস কিংবা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছাড়া কিছু বলাও যাচ্ছে না এ ব্যাখ্যাকে। সিআইএ যদি এমন প্ল্যান করেও থাকে তবে তেমন প্রমাণ রেখে করেনি।

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মাইনাস

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.