নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
প্রতিদিন স্নান করার পর আমার ঘণ্টাখানেক নাক দিয়ে পানি ঝড়ে। সময় গড়াতে থাকে আর পনি ঝড়াও কমে আসে। এটা আমার জীবনে একটা স্বাভাবিক ঘটনা। এমনকি করোনা দুর্যোগের কালেও এমনটি হচ্ছে। কিন্তু এটাকে আমি নিজের শরীরের নিয়মিত ধরণ বলেই মানছি। তাই এটা নিয়ে বাড়তি কোনো মানসিক চাপও একদম নিচ্ছি না।
আমার অ্যাজমা আছে। ডাস্ট অ্যান্ড কোল্ড আমি একদম সহ্য করতে পারি না। এই দুটোই আমার অ্যালার্জি। আমার থেকে ৫০ গজ দূরে কেউ ঝাড়ু দিলেও আমার হাঁচি শুরু হয়। তীব্র ঘ্রাণে আমার নাকে পানি আসে। খুব গরম কিছু খেতে গেলেও আমার নাকে পানি আসে। কোথাও স্যাঁতসেঁতে কিছু টের পেলেই আমার নাক আমাকে সিগন্যাল পাঠায়।
ঘ্রাণ নিয়ে যেসব প্রাণিরা খাবার সংগ্রহ করে, যারা ঘ্রাণের উৎস অনেক দূর থেকেই টের পায়। অনেকটা সেসব প্রাণির মত তীব্র সতর্ক থাকে আমার নাক। ফলে শীতকালে আমাকে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেকেই জানতে চান আমি সারাক্ষণ একটা গামছা কেন সাথে রাখি? কারণ এই গামছা দিয়ে আমি নিজেকে নানাভাবে সেফ রাখি। গামছার সর্বোচ্চ বহুবিদ ব্যবহার আমি জানি।
নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, ইচ্ছা হলো সাঁতার কাটবো। খুব অনায়াসে আমি নেমে পড়ি সাঁতার কাটতে। কোনো ধূলোপথ পাড়ি দিচ্ছি, গামছা দিয়ে আমি নিজের নাকমুখ সেফ করি। কোনো এসি রুমে হয়তো দীর্ঘক্ষণ বসে আছি, গামছা দিয়ে আমি মাফলার বানিয়ে ফেলি। সাধারণ হাতমুখ ধোয়ার পর মুখ মোছার জন্য এই গামছা উৎকৃষ্ট।
রোদের মধ্যে হাঁটছি, গামছা তখন আমার ছাতা হয়ে যায়। বৃষ্টির মধ্যে হাঁটছি, গামছা দিয়ে তখন মাথা শুকনা রাখার চেষ্টা করি। বা বেশি ভিজলে গামছা দিয়ে মাথা মুছে ফেলি। অর্থ্যাৎ অন্য দশ জন সাধারণ মানুষের চেয়ে অনেক কৌশল করেই আমাকে বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু যারা বলদের মত আমার গামছা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন করেন, তাদের প্রশ্ন আমি সবসময় এড়িয়ে চলি। তাদেরকে বলি- এটাই আমার স্টাইল।
আরেকটা জিনিস হলো- আমার অনেকগুলো গামছা। সবসময় আমি গামছাগুলো পরিস্কার রাখার চেষ্টা করি। বাইরে থেকে ফিরে ব্যবহৃত গামছাটি আমি ধুয়ে ফেলি। ঘরে যে গামছা ব্যবহার করি, সেটি বাইরে ব্যবহার করি না। ছোটবেলা থেকেই আমার ব্যবহৃত প্রায় সকল জিনিসপত্র পরিবারের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতেন আমার মা। এমনকি আমার ব্যবহৃত কোনো জিনিস অন্যদের ধরতেও দিতেন না।
আমাকে বাঁচতে হলে আমার জিনিসপত্রগুলো অন্যদের থেকে আলাদা রাখাটা জরুরি। এই শিক্ষাটা আমি ছোটবেলা থেকেই পেয়েছি। তাই আমি সেভাবেই বড় হয়েছি। আমি নিজের বিছানা ছাড়া অন্য কোথাও কমফোর্ট ফিল করি না। আমি একা থাকি বলেই সবকিছু আমার মত করে রাখতে সহজ হয়। এই নিয়মের একটু এদিক-সেদিক হলেই আমি অসুস্থ হয়ে যাই।
করোনা দুর্যোগের সময় স্যোশাল ডিসট্যান্সিং এবং কোয়ারেন্টাইন হলো বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। এটা যদি আপনি কোনো কারণে হেলাফেলা করেন, ধরে নিবেন আপনি শুধু নিজে না, আপনি আপনার পরিবার ও প্রতিবেশির জন্যও হুমকিমূলক আচরণ করছেন। তাই দয়া করে ঘরে থাকুন। সুস্থ থাকুন। করোনা টেস্টের পিছনে খামাখা ছুটবেন না। করোনা টেস্ট পজেটিভ হলেও আপনার জন্য কোনো ওষুধ নাই। তখন আপনাকে আইসোলেশন করাটা জরুরি। আপনার মধ্যে সেরকম উপসর্গ দেখা দিলে আপনি হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
একটা জিনিস তো সবাই জানেন, করোনা দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আমার মত যারা, তারা সবাই। অ্যাজমা কিংবা হাঁপানি যাদের আছে, তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। তাই অন্যদের চেয়ে এদের আরো বেশি শৃঙ্খলা মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের নানান প্রয়োজনে সকল নিয়ম কানুন সবসময় মানা কঠিন। ছোটখাটো অনিয়ম আমাকেও করতে হয়। কারণ আমার প্রয়োজনীয় জিনিস আমি বাইরে না গেলে কে আমাকে এনে দেবে?
কিন্তু তারপরেও আমি সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার চেষ্টা করছি। আপনিও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, করোনা কোনো রোগ নয়, করোনা একটি প্রাণঘাতি ভাইরাস। আর এটি কেবল মানুষকে খুন করার জন্য পৃথিবীতে এসেছে। অতএব সিদ্ধান্ত আপনার। আপনি বেঁচে থাকতে চান নাকি নিজেও মরবেন, অন্যদেরকেও মারার নীতিতে আছেন। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হলে আমরা সকলেই বাঁচবো। এখানে কোনো ধরনের ন্যূনতম হেলাফেলা বা উদাসীন থাকার কোনো সুযোগ নাই। কারণ করোনা আপনাকে কোনো ওয়াকওভার দেবে না।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৬
ঊণকৌটী বলেছেন: ভাই আমারও আপনার মত সেইম অ্যালার্জির সমস্যা । কুনো অংশে কম নয়। এমনও হয়েছে রাস্তা ঘাটে বাজারে হটাৎ করে হাঁচি শুরু হয়ে বিব্রত হতে হয়েছে। আমার মূলত সিজন চেঞ্জ হবার আগে পরে প্রবলেম শুরু হয়। যে উদ্দেশ্যে এই লেখা এই আপনি যা বললেন যে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। সেইটা তো অবশ্যই সাথে কিছু মেডিসিনও ইউস করতে লাগবে। আর এন টেগোর হসপিটাল আমাকে কিছু ওষুধ প্রেস ক্র্যাব করেছিল যেমন হাঁচি শুরু হলে duonase nasal sprc এক ফোঁটা করে স্প্রে করলে হাঁচি সাথে সাথে বন্ধ হবে। আর ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা বছরে একবার নিলে অনেকটা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত চার বছর অনেকটা ভালো আছি। সবাই কে ভালো এবং সুস্ত থাকবেন।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সর্তক থাকতে চেষ্টা করছি।
আপনিও সর্তক থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
নীলসাধু বলেছেন: সাবধানে থাকবেন ঘটক দা।
আমি আছি সাবধানে, ঘর আর অফিসে মিলিয়ে।