নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
সবচেয়ে বড় কথা-
আমরা সবাই একটা বাসযোগ্য পৃথিবী চাই কিনা? একটা বাসযোগ্য পৃথিবী যদি আমাদের প্রত্যেকের চাওয়া হয়, তাহলে উন্নত ও শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য সকল রাষ্ট্রকে একটি সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। এখানে আমেরিকা চাইলো আর চীন চাইলো না, কিংবা রাশিয়া চাইলো আর বৃটেন চাইলো না, অথবা কিউবা চাইলো আর বাংলাদেশ চাইলো না, এমন জগাখিচুরিতে হবে না। সবাইকেই একযোগে চাইতে হবে। শুধু চাইলে হবে না, তা অবশ্যই পালন করতে হবে।
করোনা ভাইরাসের মত একটা মহামারী যে পৃথিবীতে আসছে, এই তথ্য খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগে থেকেই ছিল। অথচ এই তথ্যটি সারা পৃথিবীর মানুষকে আগেভাগেই না জানিয়ে, তারা একটা বড় ধরনের অপরাধ করেছে। এই তথ্য গোপন করে এটা থেকে তারা মুনাফা করার পায়তারা করেছিল। অথচ এটা সারা পৃথিবীর মানুষ আগেই জানতে পারলে তখন তারা উন্নত টিকা আবিস্কার করায় মনোনিবেশ করার সুযোগ পেত।
এই যে সারা পৃথিবীর পরিবেশবাদীরা এত হাজার বার বলার পরেও আমাদের সরকার বাহাদুর সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ বানানোর জন্য স্রেফ ত্যাড়ামি করলো, এটাও মস্ত বড় একটা অপরাধ। এ ধরনের অপরাধ থেকেই প্রকৃতি দিনে দিনে মানুষের কর্মে ও যজ্ঞের প্রতি ভীষণ রুষ্ট্র। উন্নয়নের নামে এই ধরিত্রী ধ্বংস করার অধিকার কারো নাই। কিন্তু মানুষ রাষ্ট্রের দোহাই দিয়ে, শক্তির দোহাই দিয়ে, উন্নয়নের দোহাই দিয়ে, এসব কর্ম থেকে পিছপা হচ্ছে না।
প্রকৃতি কিংবা এই ধরিত্রীর একটা সুনির্দিষ্ট ব্যালেন্স রয়েছে। পৃথিবীর মানুষ যখন সেই ব্যালেন্সকে নানাভাবে উৎপীড়নের মাধ্যমে ধ্বংস করে, তখন ধরিত্রী এর বিপরীতে কঠিন আচরণ করে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে, তোরা মানুষ হ। কিন্তু আমরা তারপরেও সেই রূঢ় আচরণ থেকে পিছপা হই না।
শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমেই মানুষ প্রথমে এই ধরিত্রীকে নষ্ট করার কৌশল রপ্ত করেছে। যুগে যুগে নগরায়ন পদ্ধতিগুলো এই প্রকৃতি ধ্বংসের জন্য অন্যতম ধ্বংসাত্বক কর্মসূচি। বন উজাড় করে শিল্প গড়ে তোলাও তাই। ফলে ধরিত্রীর উপর একটা চাপ তৈরি হয়েছে। প্রকৃতির প্রাণি বৈচিত্র্যের যে স্বাভাবিকতা, সেটা নষ্ট হবার ফলেই এসব মহামারী সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরেও এই ধরিত্রীর যত্ন নেবার জন্য মানুষের মধ্যে কোনো সাড়া জাগেনি। এটাই একুশ শতকের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি।
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন:
খাবার আমার দেশের রাস্তা ঘাটে পরে থাকে । বিশ্বে এমন দৃশ্য বিরল । আছে নি এমন দেশ ? .
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাস্তব lভালো লাগলো ।