নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা দুর্যোগে সবাইকে নিয়ে জোট করুন

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫৯

আপনাদের কী ধারণা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি থাকলেই করোনা মোকাবেলা করা সম্ভব? আমার ধারণা ১৫ মে পর্যন্ত লকডাউন না রাখলে আমরা পরিস্থিতি বুঝতে পারবো না। জরুরি সার্ভিসগুলো চালু রেখে কীভাবে সারাদেশে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, সেগুলো হওয়া উচিত সরকারের মোস্ট এমার্জেন্সি টাস্ক।

এছাড়া সারা দেশে টেস্ট কিটের সংখ্যা বাড়িয়ে সবাইকে বাধ্যতামূলক টেস্টের আওতায় আনা। আপনি যতক্ষণ টেস্টের বাইরে, ততক্ষণ আপনি করোনা পজিটিভ নাকি নেগেটিভ কিচ্ছু জানেন না। এই না জানার কারণেই দেশকে করোনা মুক্ত করাও সম্ভব হবে না। দেশের জনসংখ্যা যদি ২০ কোটি হয়, সেই ২০ কোটিকেই টেস্ট করতে হবে। নতুবা কেউ রিস্ক ফ্রি হবে না। এটাই আসল কথা।

সরকার বাহাদুর এখন পর্যন্ত করোনা ইস্যুতে প্রতিটি সেক্টরে স্রেফ ফেল করেছে। এমনকি তাদের পাশ করার ইচ্ছাও দেখি না। দুই সপ্তাহের ছুটিতেই যেখানে ৭২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে করোনা পরবর্তী দুর্ভিক্ষের সময় এই সরকার কী করবে? অসময়ের এই প্রণোদনাই তখন নতুন একটি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। দেশে এখনো প্রণোদনা ঘোষণার মত পরিস্থিতি কোনোভাবেই তৈরি হয়নি। এমনকি এই ঘোষণা খোদ মন্ত্রী পরিষদের বাইরে কিছু চাটুকারদের উসকানির ফসল!

সরকারের যেটা উচিত ছিল, সারাদেশে কর্মহীন গরীব মানুষের দৈনন্দিন খাবার সাপ্লাই নিশ্চিত করা। সেখানে সরকার বাহাদুর যে রাস্তায় হাঁটছেন, সেটা গরীব মারার নতুন ফাঁদ। মালিকদের হাত ঘুরে গরীব মানুষের হাতে টাকা কবে যাবে, সেই গ্যারান্টি কেউ দিতে পারে না। ইতিমধ্যে চাল চুরির হিরিক লেগেছে। সেসব খবর পত্রিকায় আসছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারত যতক্ষণ লকডাউন না খুলছে, ততদিন বাংলাদেশের লকডাউন খোলা হবে বিপদ ডেকে আনার সামিল। বিদেশ ফেরতরা যখন করোনা নিয়ে দেশে ঢুকেছে, তখন এই সরকার কিছুই গায়ে মাখায়নি। বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন অনুসরণ করেনি। করোনা দুর্যোগকে একদম পাত্তাই দেয়নি। এমনকি দেশে যখন করোনা প্রাথমিক স্তরে রয়েছে, তখনো সরকারের মন্ত্রণালয়গুলোর কাজের মধ্যে কোনো সমন্বয় নাই।

এই মুহূর্তে দরকার দেশের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রধানমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক করা। সেই বৈঠকে ঠিক করা করোনা দুর্যোগ কীভাবে মোকাবেলা করা হবে। দেশের সকল স্তরের পেশাজীবীদের, এক্সপার্টদের, এনজিও, ভলান্টিয়ার সবাইকে এই কাজে সমন্বয় করা। একা সরকারের পক্ষে এই দুর্যোগ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে না।

বাংলায় একটা কথা আছে- চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। সরকার বাহাদুর করোনা নিয়ে যেসব স্ক্রিপ্ট লিখতেছে, সব ভুলভাল। এই স্ক্রিপ্টের উপর কোনো ভরসা করা যায় না। এরকম দুর্যোগের সময় দেশের সবাইকে একসাথে দুর্যোগ মোকাবেলায় জোটবদ্ধ হতে হবে। করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে দেশের মানুষকে বাঁচানো হবে একমাত্র যুদ্ধ। সেরকম কোনো প্রস্তুতি সরকারি তরফে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।

গার্মেন্টস সেক্টর দুই মাস বন্ধ থাকলেও দেশ রক্ষা পাবে। কারণ যারা আমাদের বায়ার, তারা এই মুহূর্তে নতুন কোনো অর্ডার দেবে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু গরীব মানুষকে খাবার না দিলে এরা না খেয়ে এমনিতেই মারা যাবে। করোনার জন্য এদের মৃত্যু আটকে থাকবে না। একটি সংবাদ দেখলাম গোপালগঞ্জের হাসপাতাল লোকশূন্য! করোনার ভয়ে সাধারণ রোগীও হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে! এটা কিন্তু একটা প্রতীক। করোনায় মৃত্যু আরো বাড়লে এই দৃশ্য সারাদেশের হাসপাতালেও হতে পারে!

যদি সরকারি পর্যায়ে প্রস্তুতির ঘাটতি থাকে, তাহলে এরকম পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরো কঠিন হয়ে যাবে। আর একজন অযোগ্য লোককে কেন এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাখা হয়েছে, এটা আমি বুঝি না। দলমতের উর্ধ্বে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী করুন। উনি ওনার দূরদর্শীতা আর বিচক্ষণতা দিয়ে অনেক মানুষ বাঁচাতে পারবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী'র কথাবার্তা ক্লাশ নাইনটেনের পোলাপানদের মত। এসব দিয়ে এমন দুর্যোগ পাড়ি দেওয়া সম্ভব না।

সরকারের গা ছাড়া ভাবটি এখনো কাটেনি। গতকালের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ঢাকামুখী জনস্রোতই প্রমাণ করে, সরকার এখনো করোনা বিষয়ে ভীষণভাবে উদাসীন। এই উদাসীনতা কোনোভাবেই মানা যায় না। রাষ্ট্র কে চালায়? সরকার নাকি বিজিএমইএ? সরকারি আদেশ অমান্য করার পরেও বিজিএমইএ-কে কোনো ধরনের চোখ রাঙাতে আমরা দেখিনি। মনে রাখবেন, কয়েকজন ব্যবসায়ী নিয়ে হয়তো চুরি-চামারি করা সহজ, কিন্তু রাষ্ট্র চালানো মোটেও সহজ নয়।

করোনা দুর্যোগে রাষ্ট্র পরিচালনায় কঠোর ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিতে না পারলে বাংলাদেশ একটি মৃত্যুপুরী হতে যাচ্ছে। উদাসীনতা কাটিয়ে সবাইকে ডাকুন। জোটবদ্ধ না হলে এই দুর্যোগ কাটানো কঠিন হবে। করোনা নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়। ফখরুল সাহেবকেও ডাকুন। ডেকে দায়িত্ব দিন। এই যুদ্ধ সরকারের একার নয়। এই যুদ্ধ গোটা বাংলাদেশের যুদ্ধ। সবাইকে নিয়েই এই যুদ্ধ জয় করতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশে আওয়ামী লীগ ব্যতিত আরো রাজনৈতিক দল আছে?

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তবে হবে না

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

বিপ্লব06 বলেছেন: জরুরি সার্ভিসগুলো চালু রেখে কীভাবে সারাদেশে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়, সেগুলো হওয়া উচিত সরকারের মোস্ট এমার্জেন্সি টাস্ক।

একশভাগ একমত। যেইখানে উন্নত দেশগুলার লেজেগোবরে অবস্থা, সেইখানে আমরা কতটা করতে পারবো ওইটা চিন্তার বিষয়। এটলিস্ট আমরা ফুড-সাপ্লাই এনশিউর করতে পারি।
না হইলে সোসাইটি ভেঙ্গে পরার সম্ভাবনা আছে।

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল নতুন রোগী সনাক্ত হয়েছিল ১৮ জন আজে ২৯ জন

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট। জোট করে ঝগড়া ফ্যাসাদ আরও বাড়বে। সরকারের উচিত হবে ভালো পরামর্শ, যেগুলো মিডিয়া/ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসছে সেগুলি বিবেচনার মধ্যে রাখা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.