নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাপারটা কী বোঝা গেল?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৩৮

কম্যুনিস্ট দেশগুলোতে নারী-পুরুষ যে কারো বয়স ১৮ পূর্ণ হলেই তাকে মিনিমাম ৬ মাস অথবা এক বছরের জন্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিতে হয়। এটা বাধ্যতামূলক। যারা শারীরিকভাবে সক্ষম নয়, তাদেরও ওই বয়সে প্রশিক্ষণ শিবিরে নানান ধরনের নার্সিংয়ের কাজ করতে হয়। এভাবে কম্যুনিষ্ট দেশগুলো তাদের নাগরিকদের গড়ে তোলে।

ফলে যে কোনো ধরনের দুর্যোগের সময়ে জরুরি প্রয়োজনে কম্যুনিস্ট দেশগুলো ভলান্টিয়ার সার্ভিসের জন্য অনেক প্রশিক্ষিত নাগরিক পেয়ে যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক, যুদ্ধ হোক কিংবা করোনা ভাইরাসের মত অদৃশ্য শত্রু হোক, কম্যুনিস্ট দেশগুলো এর মোকাবেলা করার জন্য অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার এটা একটা প্রধান কারণ।

আবার কম্যুনিস্ট দেশগুলোতে গ্রাম-পাড়া-মহল্লা বা কমিউনিটিগুলো কমিউন ভিত্তিতে চলে। কমিউন প্রধান যা বলবেন, অন্যদের তাই অনুসরণ করতে হয়। ফলে রাষ্ট্রীয় যে কোনো নির্দেশ ঘোষিত হলে তা জরুরি বাস্তবায়নে এই কমিউন প্রধানগণ কমিউনিটিগুলোতে নেতৃত্ব দেন। যে কারণে পুরো সিস্টেমের মধ্যে বিশৃঙ্খলা হবার কোনো সুযোগ নাই। যা আইন তাই কঠোরভাবে পালিত হয়।

অথচ পুঁজিবাদি বা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে মানুষ প্রথমত আইন মানতে অভ্যস্থ নয়। দ্বিতীয়ত কেউ শৃঙ্খলা মানে না। কমিউনিটি লিডারশিপ নাই। সেবা সার্ভিসগুলো দায়সারা গোছের। ব্যক্তি কেন্দ্রীক মুনাফা লুটপাটই প্রধান মন্ত্র। তাই রাষ্ট্রীয় আদেশ নির্দেশ খুব চট করেই কেউ গায়ে মাখে না। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কাউকে শৃঙ্খলায় আনা খুবই কঠিন।

পত্রিকায় দেখলাম কয়েক জায়গায় ত্রাণের খাবার লুট হয়েছে। গরীব মানুষেরা ত্রাণের ট্রাক পথরোধ করে তা লুট করে নিয়েছে। আবার ত্রাণ যারা বিতরণ করবে, সেই জনপ্রতিনিধিরা সুযোগ পেলেই ত্রাণের চাল-ডাল চুরি করছে। এর কারণ এই বিশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা। রাষ্ট্র তার জনগণকে খুব একটা পাত্তা দেয় না। পুঁজিবাদি বা গণতান্ত্রিক ক্ষমতা কেন্দ্রীক শাসন ব্যবস্থায় এই লুটপাট কিংবা চুরিচামারি একটা প্রচলিত ব্যবস্থা।

ফলে যে কোনো ধরনের দুর্যোগের সময়ে বিশেষ করে অনুন্নত দেশগুলোতে এই দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক। কারণ এখানে বণ্টন ব্যবস্থায় মানুষের আস্থা নাই। খোদ রাষ্ট্র বণ্টন ব্যবস্থায় এরকম হ-য-ব-র-ল অবস্থা করে রাখে। ফলে এসব দেশে জিনিসপত্রের দাম থেকে শুরু করে কোনো কিছুই সিস্টেম অনুসরণ করে না। যার পরিণতি হলো যে কোনো ধরনের দুর্যোগের পর এসব দেশে এক ধরনের মন্দা শুরু হয়।

করোনা দুর্যোগে যত মানুষ মারা যাবে, তার চেয়ে করোনা পরবর্তী এই সুষ্টু বণ্টন ব্যবস্থার অভাবের কারণেই এসব দেশে দুর্ভিক্ষে বেশি মানুষ মারা যাবে। এমনকি বাংলাদেশেও এটা প্রায় অবধারিত সত্য। কারণ আমরা বিগত ৫০ বছরেও কোনো সিস্টেম দাঁড় করাতে পারি নাই। লুটপাট-চুরিচামারি করার সিস্টেম এখানে প্রচলিত। তাই এর কোনো বিচার হয় না, ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ এসব চুরিচামারি লুটপাট করছে সরকার দলীয় লোকজন।

করোনা দুর্যোগকাল যত বেশি দিন ধরে হবে, করোনা পরবর্তী দুর্ভিক্ষ তত বড় আকারে হবার সম্ভাবনা এদেশে। আর সেই সম্ভাবনা কিংবা পূর্বাভাসের কারণেই লুটপাট এবং চুরিচামারি আরো বাড়বে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে। সারা বছর যারা লুটপাট চুরিচামারিতে অভ্যস্থ তারা কেন দুর্যোগের সময় ভদ্র হয়ে যাবে? প্রশ্নই আসে না। ফলে সরকার বাহাদুর এসব দেখেও না দেখার ভান করবে। কারণ দলীয় লোকজন বাঁচলে সরকার টিকবে। জনগণের চিন্তা সরকার করে না। ব্যাপারটা কী বোঝা গেল?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা থেকে মুক্তি মিললেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৩

কুমার কৃষ্ণ রায় বলেছেন: খুব ভালো লাগল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.