নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।
আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি। খেয়াল করুন- দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ধরা পরে ৮ মার্চ। যেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সারা বিশ্বে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল ৩১ জানুয়ারি। সেখানে আমরা তখন মুজিব বর্ষ নিয়ে মেতে ছিলাম। সারা দেশে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার পর আজ সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলো।
শুরু থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকার বাহাদুরের প্রতিটি সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী। প্রথমে বিমানবন্দর এবং স্থল বন্দর থেকে করোনা ভাইরাস প্রবেশের সকল যজ্ঞ সাঙ্গ করা হয়েছে। তারপর করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পরেও দেশে উপনির্বাচন করা হয়েছে। তারপর ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু যানবাহন চলাচল চালু রেখে। তারপর ৪ এপ্রিল গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবাধে ঢাকায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তারপর মসজিদ মন্দির চালু রাখা হয়েছে। সর্বত্র করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পর এখন সরকার বাহাদুরের কিছুটা টনক নড়েছে।
ওদিকে সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে নকল মাক্স সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কতবড় আত্মঘাতী হলে একটা রাষ্ট্র ধীরে ধীরে সকল মৃত্যুর আয়োজন এভাবে সাঙ্গ করতে পারে!!! যেখানে করোনা ভাইরাসের প্রস্তুতি নেবার জন্য সরকার তিন মাস সময় পেয়েছে। সেখানে সেই তিন মাস মন্ত্রীরা প্রস্তুতির নামে বড় বড় বুলি ছুড়েছেন। পরে গোটা দেশের স্বাস্থ্য খাতের আসল চেহারা ধীরে ধীরে উন্মোচিত হয়েছে। উন্নয়নের নামে এত বুলি ছোড়া হয়েছে সেসব এখন ফানুস!
এখন পর্যন্ত দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় পুরোপুরি অথর্ব অবস্থায় আছে। কোনো মন্ত্রণালয়ের সাথে অন্য মন্ত্রণালয়ের কোনো সমন্বয় নাই। এখন পর্যন্ত খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একজন অযোগ্য লোককে মন্ত্রী করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে গোটা স্বাস্থ্যখাতে সর্বত্র অযোগ্য লোকজন এখনো মিডিয়ার সামনে রোজ মিথ্যার বেসাতি করছেন। আমরা এমন একটি অভাগা দেশে জন্মগ্রহণ করেছি যেখানে ছাগল দিয়ে হাল চাষ করানোর চেষ্টা এখনো অব্যাহত আছে।
এতকিছুর পরেও আমি মনে করি, দেশে করোনা ভাইরাসের চেয়ে না খেয়ে বেশি মানুষ মারা যাবে। কারণ তার যথাযথ কারণ ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। সারা দেশে চাল চোরের খনি আবিস্কার হচ্ছে। সরকারি ত্রাণ কেন দলীয় লোকদের মাধ্যমে দিতে হবে??? সেনাবাহিনী দিয়ে ত্রাণ বিতরণ করলে সমস্যা কোথায়? দলীয় লোকজন চুরিচামারির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে তাই না???
দেশে যে দুর্ভিক্ষের লক্ষণ সুস্পষ্ট হচ্ছে, তা নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো ধরনের প্রস্তুতি নাই। একটা কথা সরকার বাহাদুর বুঝতে না চাইলেও সবাই বুঝবে যে, দলীয় লোক দিয়ে আসন্ন দুর্ভিক্ষ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে হলে সেনাবাহিনী দিয়ে ত্রাণ বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ দলীয় লোকদের আসল চেহারা ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে।
দুর্ভিক্ষ মকাবেলার কৌশল কী হবে তা নিয়ে সরকার বাহাদুরের এখন পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা সুস্পষ্ট নয়। ফলে ধরে নেওয়া যায় দুর্ভিক্ষ না লাগা পর্যন্ত সরকার অপেক্ষা করবে। কারণ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল ঘটনা ঘটে যাবার পর সিদ্ধান্ত। সবকিছু লেজেগোবরে করার পর এখন হায় হুতাশ শুরু হয়েছে। মনে রাখতে হবে সরকারের এই অবহেলা এবং কর্মযজ্ঞের সকল খতিয়ান মানুষ মনে রাখছে। এখনো সরকার বাহাদুরের হুস না আসলে খুব শিঘ্রই বাংলাদেশ একটি মৃত্যুপুরী হতে যাচ্ছে।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭
জুন বলেছেন: দেখেন আমি ২৮ শে জানুয়ারী করোনা নিয়ে প্রথম লিখেছিলাম ।
চীনা নববর্ষ আর কোরোনা ভাইরাস আতংক
২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৯
তারপর আমার দ্বিতীয় লেখাটি ছিল কালের কন্ঠ থেকে নেয়া সুত্র ধরে ।
বাংলাদেশ মহামারী করোনা ভাইরাস নিয়ে আদৌ কি সচেতন!
১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
তখনো আমরা সচেতন হইনি । এখন যত কঠোর পদক্ষেপই নেই লাশের মিছিল ঠেকানো দুরুহ হয়ে পরবে রেজা ঘটক ।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪০
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: সত্যি কথা বলতে গেলে আমার তো মনে হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতর মনে হয় চাচ্ছে দেশের মানুষ কিছু কমে যাক। আর নাহলে এইরকম গড়িমসি সিদ্ধান্তের কী কারণ থাকতে পারে, আমার তো মাথায় আসে না???
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০২
ওমেরা বলেছেন: সুইডেন সরকারের উদাসীনতায় আমরাও বিপদের মাঝেই আছি তবু কেন জানি শুধু দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য খুব খারাপ লাগে, চিন্তা লাগে । কতটা ভয়াবহ হবে করোনা পরিস্থিতি বা করোনা পরবর্তি অবস্থা!!
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: এখন পর্যন্ত উন্নত বিশ্ব আমাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে নাই। এটা দুঃখজনক।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৭
সোনালি কাবিন বলেছেন:
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পুরা দেশকে ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৭
সুপারডুপার বলেছেন:
IEDCR এর ডক্টররাতো epidemiology নিয়ে পড়ালেখা করা। উনারা তো রোগের বিস্তার সমন্ধে অনেক আগেই Forecast করতে পারার কথা। উনারা কেন সরকারকে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব করতে পারলেন না !!! ???
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪১ জন।
এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬০ জনে।
এছাড়া বাংলাদেশে এখন মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৭২ জনে।