নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

বাংলাদেশ আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা...

রেজা ঘটক

ছোটগল্প লিখি। গান শুনি। মুভি দেখি। ঘুরে বেড়াই। আর সময় পেলে সিলেকটিভ বই পড়ি।

রেজা ঘটক › বিস্তারিত পোস্টঃ

লকডাউন বা সাধারণ ছুটি কত দিন চলবে?

২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

সবার মনেই এখন একটি প্রশ্ন- লকডাউন বা সাধারণ ছুটি কত দিন চলবে? ২৫ এপ্রিলের পর কী এটা তুলে নেওয়া হবে? নাকি এর মেয়াদ আবারো বাড়ানো হবে? বাড়ানো হলে তা কত দিন? সত্যি কথা বলতে কী এই প্রশ্নের জবাব আমারও জানা নাই। আমরা যেহেতু সবকিছু ইতোমধ্যেই লেজেগোবরে করে ফেলেছি, তাই আমাদের ভোগান্তির মাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি হবে। আমরা করোনায় মারা না গেলেও খাদ্যের অভাবে মারা যাবো। কিন্তু কিছু একটা তো করতেই হবে, সেটা তাহলে কী হতে পারে?

১. আমাদের রাষ্ট্রের বয়স ৫০ বছর হতে যাচ্ছে। দেশের চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে যারা আছে, সেই মানুষদের তালিকা নিশ্চয়ই সরকারের হাতে আছে। নইলে আর কীসের ডিজিটাল বাংলাদেশ! যদি সরকারের হাতে সেই তালিকা না থাকে, দেশের এনজিও গুলোর কাছে এই তালিকা আছে। সরকার যে তালিকা অনুসরণ করে ভিজিএফ সেবা প্রদান করে, সেখানেও এই তালিকা আছে। ভোটার তালিকা থেকেও এটা বের করা খুব কঠিন কাজ নয়।

প্রথমেই এই চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারীদের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। তাদের অন্তত আরো ৪ সপ্তাহ অথবা ৮ সপ্তাহ খাদ্যের যোগান দিতে হবে। যতদিন লকডাউন ততদিন তাদের খাদ্যের যোগান দিতে হবে। এই মানুষগুলোকে ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে হবে। ত্রাণ বিতরণের নামে তাদের কোথাও জড়ো করা যাবে না।

২. দেশের দারিদ্র্য সীমার নিচে যারা আছে, তারা চরম দারিদ্র্য সীমার চেয়ে কিছুটা স্বচ্চল। এই গ্রুপকেও সরকারিভাবে খাদ্যের যোগান দিতে হবে। সেটা যদি নগদ অর্থ প্রদান করা যায়, এবং সেই অর্থ দিয়ে খাদ্য কেনার সুযোগ করা হয়, তাহলে এরা রক্ষা পাবে। এই গ্রুপের মানুষ ক্ষুদ্র ব্যবসা বা দিনে আনে দিনে খায় বলেই এদেরকে ঘরে আটকানো সবচেয়ে কঠিন।

সেকারণে এদের ক্ষুদ্র ব্যবসাটি স্বল্প পরিসরে চালু রাখার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা যদি সে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তার কর্মটি করতে পারে, সে বিষয়ে তাদেরকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়ে, তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, ঢাকার প্রতিটি অলিগলিতে এখন মাছ, তরকারি বিক্রি হচ্ছে। কারা বিক্রি করছে? এই গ্রুপের গরীব মানুষগুলোই ঝুঁকি নিয়ে হলেও এই কাজটি করছে। তাদেরকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে এটা করার একটি সুনির্দিষ্ট সময় বেধে দিতে হবে।

৩. সবচেয়ে কঠিন সময় যাচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্তদের। এরা না পারে ত্রাণের লাইনে দাঁড়াতে, না পারে কারো কাছে হাত পাততে। এদেরকে সরকারিভাবে আপদকালীন প্রণোদনা দিতে হবে। আর সেটা হতে হবে এককালীন। অন্তত তিন মাস চলতে পারে এমন একটি প্রণোদনা এদেরকে দিতে হবে। এবার অনেকে প্রশ্ন করবে- সরকার এত টাকা কোথায় পাবে?

এই প্রশ্নের জবাব হলো- সরকারের উন্নয়ন ব্যয় এখন বন্ধ রেখে, সেখান থেকে টাকা এখানে ব্যয় করতে হবে। পরিবার প্রতি মিনিমাম এক লাখ থেকে দুই লাখ (পরিবারের আকার অনুযায়ী) টাকা এদেরকে প্রণোদনা দিতে হবে। যাতে এই টাকায় এরা অন্তত তিন মাস পরিবার চালাতে সক্ষম হয়। প্রয়োজনে সর্বনিম্ন সুদে (১% বা ২%) সরকারি প্রণোদনা পাবার অধিকার এই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর রয়েছে। কারণ এরা সরকারকে কেনাকাটার মাধ্যমে ট্যাক্স প্রদান করে। বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে সরকার থেকে প্রণোদনা পাবার সব ধরণের অধিকার এদের আছে। এক বছরের মধ্যে এরা সরকারি ঋণ পরিশোধ করবে, সেভাবে এদেরকে প্রণোদনা দেওয়া হোক।

৪. করোনা দুর্যোগের মধ্যে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। এদেরও আরো কিছু দিন পর ঋণের প্রয়োজন হবে। এদের জন্য সরকার (২% বা ৩%) সুদে মধ্যমমেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা করতে পারে। এই ঋণের পরিমাণ হবে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা। আর ঋণ পরিশোধের মেয়াদ হবে মিনিমাম দুই বছর। কারণ নিম্নবিত্তরা মূলত ধারদেনা যা করতে পারে, তা এই মধ্যবিত্তদের থেকে। ফলে এরা বাঁচলে নিম্নমধ্যবিত্তরাও বাঁচবে।

এবার প্রশ্ন আসবে এত টাকা সরকার কীভাবে দেবে? জবাব হলো- আগামী দুই বছর বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় কমাতে হবে। নতুন কোনো উন্নয়ন এই মুহূর্তে দরকার নাই। চলমান উন্নয়ন প্রজেক্টগুলো কনটিনিউ করতে যতটুকু দরকার, বাজেটে কেবল ততটুকু বরাদ্দ দিতে হবে। নতুন কোনো উন্নয়ন বাজেট এই মুহূর্তে বাজেটে যুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজনে সরকার ডাকঘর বীমা, বা বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী বীমা চালু করতে পারে।

৫. এবার প্রশ্ন আসতে পারে- উচ্চবিত্তরা কী করবে? প্রথম কথা হলো উচ্চবিত্তদের না খেয়ে মারা যাবার কোনো সুযোগ নাই। উচ্চবিত্তদের থেকে সরকার বাধ্যতামূলক তহবিল গঠন করতে পারে। উচ্চবিত্তরা শুধু বিনোদনখাতে যা ব্যয় করে, সেই টাকাই সরকারি তহবিলে জমা দিলে বিশাল অংক হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- উচ্চবিত্তরা খামাখা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান কেন করবে?

উচ্চবিত্তরা সরকারি তহবিলে অর্থ প্রদান করতে বাধ্য, কারণ বিশেষ জরুরি দুর্যোগ মোকাবেলায় রাষ্ট্র তাদের প্রতি এই আইন করতে পারে। সেক্ষেত্রে উচ্চবিত্তদের জন্য সরকার কী ধরণের প্রণোদনা দেবে? সেটা হতে পারে- জরুরি সার্ভিসগুলো যেমন গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিল তারা এক বছর পরে দিতে পারবে। আপদকালীন সময়ে তাদের এই বিল পরিশোধ করতে হবে না। এই বিলের পরিবর্তে তারা সরকারি তহবিলে বাধ্যতামূলক অর্থ প্রদান করবে।

এতো গেল আর্থিক বিষয়গুলো মোকাবেলা করার কিছু কৌশলের কথা। ইচ্ছে করলে আপনিও এখানে আরো কৌশল যুক্ত করতে পারেন। এবার আসুন লকডাউন বা সরকারি ছুটি কতদিন চলবে, তার একটা বিশ্লেষণ খুঁজি।

খেয়াল করুন- দেশে প্রথম করোনা পজেটিভ ধরা পরেছে ৮ মার্চ। সরকারি ছুটি ঘোষণা হয়েছে ২৬ মার্চ। মানে আমরা লকডাউন অন্তত ১৮ দিন পরে ঘোষণা করেছি। এই মহামূল্যবান ১৮ দিনের কারণে আমাদের এখন আরো বেশি সময় ধরে ভুগতে হবে। সংক্রমণ রোগের ব্যাপারে বিভিন্ন গবেষণায় দেখায় যায়, লকডাউন বা আইসোলেশন ব্যাপারটি ২৮ দিনে পরিসমাপ্তি না ঘটলে মিনিমাম ৪৯ দিন রাখার নিয়ম। ৪৯ দিনে না হলে এটা ৭৭ দিনে গড়ায়।

২৬ মার্চ থেকে ২৮ দিন যুক্ত হলে ২৩ এপ্রিল সেই মেয়াদ পূর্ণ হবার কথা। যেহেতু তা হচ্ছে না, ফলে লকডাউন মিনিমাম ৪৯ দিন বাধ্যতামূলক করা ছাড়া উপায় নাই। তাহলে ২৮ মার্চ থেকে ৪৯ দিন যোগ করলে হয় ১২ মে। অর্থ্যাৎ ১৩ মে থেকে লকডাউন তুলে নেবার সুযোগ তৈরি হবে।

এবার প্রশ্ন আসবে সারা দেশ থেকে কী একই সাথে লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব? অবশ্যই না। যে সকল জেলায় পরিস্থিতি ভালো, সেসকল জেলা থেকে লকডাউন তুলে নিতে হবে। কিন্তু সেখানে যদি করোনা পজেটিভ থাকে, কেবলমাত্র তাদেরকে বা সেই এলাকা/মহল্লা/পাড়া/গ্রাম লকডাউনের আওতায় রাখতে হবে।

এভাবে পর্যায়ক্রমে জেলা শহর গুলো থেকে লকডাউন তুলে নিতে হবে। সবচেয়ে দেরিতে লকডাউন তুলতে হবে রাজধানী ঢাকার। কারণ, ঢাকার লকডাউন তুলে দিলে সারা দেশ থেকে লোক এসে আবার সবকিছু গুবলেট পাকিয়ে ফেলবে। এবার প্রশ্ন হতে পারে ঢাকায় কতদিন লকডাউন রাখা লাগতে পারে? হ্যা, ঢাকায় হয়তো ৭৭ দিন পর্যন্ত অর্থ্যাৎ ১২ জুন পর্যন্ত ঢাকায় লকডাউন প্রয়োজন হতে পারে।

সেক্ষেত্রে ঢাকায় সীমিত পরিসরে লকডাউন তুলে নেওয়া সম্ভব। কীভাবে? যে এলাকায় করোনা সংক্রমণ ছড়ায়নি বা ভালো হয়ে গেছে, সেসব এলাকা ধীরে ধীরে লকডাউন খুলে দেওয়া সম্ভব হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুলতে হবে সবশেষে। কারণ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুলে দিলে আবারো করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।

মনে রাখতে হবে- লকডাউন তুলে নিলেও অন্তত আগামী ছয় মাস সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। বিশেষ করে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাক্স ব্যবহার, হাত ধোয়া এসব বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। এবার প্রশ্ন আসবে- অফিস আদালত কবে খুলবে? যখন পর্যায়ক্রমে লকডাউন তোলা শুরু হবে, সে অনুযায়ী ধাপে ধাপে অফিস আদালত খুলতে শুরু হবে। সেক্ষেত্রে অফিসের সবাইকে একসঙ্গে উপস্থিত না করে, তিন ধাপে কাজ ভাগ করে নিতে হবে।

যারা প্রথম ধাপে অফিসে গিয়ে অফিস করবে, তাদের পরবর্তী ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে চলে যেতে হবে। এই সময়ে যারা বাসায় থাকবে, তারা দ্বিতীয় ধাপে অফিসে গিয়ে অফিস করবে। আর তৃতীয় একটি গ্রুপ বাসায় থেকেই অফিস করতে হবে। এটা হলো ব্যাকআপ গ্রুপ। এই গ্রুপটি কাজের সুবিধার্থে বাসায় বসেই নিয়মিত অফিস করবে।

এবার প্রশ্ন আসবে- স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে? এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব হলো ১২ জুনের পর। কারণ এই গ্রুপের কেউ রাষ্ট্রীয় উৎপাদনের সাথে সরাসরি যুক্ত নয়। আরেকটা জিনিস মানতে হবে সেটা হলো- বিমানবন্দর বা স্থলবন্দর চালু করতে চাইলে সেটা স্বাস্থ্য বিধি মেনে কঠোরভাবে সবকিছু অনুসরণ করে, তবেই সীমিত আকারে চালু করা সম্ভব।

যেমন বিদেশ থেকে কেউ আসলে তাকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহ কঠোর কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সবগুলো বিমানবন্দর একসাথে চালু না করে ধাপে ধাপে চালু করাই ভালো। স্থলবন্দরের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম, একসাথে সবগুলো চালু না করে ধাপে ধাপে খুলতে হবে। আমার প্রস্তাবগুলোর সাথে আপনার পরামর্শ যুক্ত করুন। আমার প্রস্তাবটি আপনার পছন্দ হলে শেয়ার করুন যাতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো কথা্ বলেছেন।
আমাদের দেশে কেউ নিয়ম মানে না। এটা অনেক বড় সমস্যা।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। তবে সময় নষ্ট করে ফেলেছে। এটা সামলানো কঠিন হবে।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

নতুন বলেছেন: বাংলাদেশে সংক্রামন সনাক্ত শুরু হয়েছে মাত্র, তাই এখনই খোলার চিন্তা করা যাবেনা।

৬-৭ লাখ মানুষ বিদেশ থেকে এসেছে তার ১-৫ % মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকলেও নুন্যতম ৬০০ - ৩০০০০ মানুষ আক্রন্ত হয়ে এসে থাকলে তাদের আত্নীয়,পরিবার,বন্ধু এবং অন্যান্য ভাবে ৩ থেকে ৫ জন কে আক্রান্ত করলেও দেশে

২০০০ থেকে ১৫০০০০ মানুষ আক্রান্ত থাকতে পারে।

তাই দেশে লকডাউন জারী রেখে টেস্ট করে অনন্তত এই সংখ্যার কাছাকাছি পৌছানোর পরে যদি আরো আক্রন্তের সংখ্যা পাওয়া না যায় তবে বুঝা যাবে যে মোটামুটি সকল আক্রান্তের পরিধি বোঝা গেছে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এই মূহুর্তে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে আত্মঘাতি সিদ্ধন্ত।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কম করে হলেও ৩ মাস লকডাউন
ছিলো। সুতরাং পবিত্র রমজান মাস পার হতে দিন। ঈদের
পরে চিন্তা ভাবনা করা যেতে পারে।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৯

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: কী জানি, আমাদের মহা বুদ্ধিমান পণ্ডিতবর্গের মাথায় কি চিন্তা ভাবনা আছে??? আমার তো সবসময়েই মনে হয়, ওরা বুঝে শুনে সারা দুনিয়ার সবার থেকে ঠিক উল্টো সিদ্ধান্তটা না আবার নিয়ে বসে???

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দিন দিন বাড়তেছে তাই ভয় লাগছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.