নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রেজওয়ান করিম

রেজওয়ান করিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুই পাখি

১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮

বাবুই আমাদের দেশের একটি অতি পরিচিত পাখি। এটি দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও নেই। বাবুই সাধারণত ৩ প্রজাতির হয়ে থাকে_

১. দেশি বাবুই (Ploceus philippinus),

২. দাগি বাবুই (Ploceus manyar)

৩. বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)

এদের মধ্যে বাংলা ও দাগি বাবুই এর প্রজাতি বিলুপ্তির পথে, তবে দেশি বাবুই এখনো দেশের সব গ্রামের তাল, নারিকেল, খেজুর, রেইনট্রি গাছে দলবেঁধে বাসা বোনে। এরা সাধারণত মানুষের কাছাকাছি বসবাস করে, তাই দেখা যায় এদের বাসা মানুষের হাতের নাগালের মাত্র পাচ অথবা ছয় ফুট উপরে। ফলে অনেক অসচেতন মানুষ এদের বাসা ভেঙে ফেলে আর একারনেই এদের সংখ্যা রহস্যজনকভাবে কমে যাচ্ছে। আমাদের এখনই এদের রক্ষার্থে সচেতন হওয়া উচিত।

গত ০২-১০-২০০৯ইং তারিখে দৈনিক প্রথম আলো’য় সৌরভ মাহমুদ লিখেছেন__

বিশিষ্ট পাখি পর্যবেক্ষক ও পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক জানান, ‘বাংলা বাবুই, যার নামের শেষে বেঙ্গেলেনসিন আছে, তাই এরা বাংলারই বাবুই। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই এ পাখি দেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশে মাত্র ১০০টি বাংলা বাবুই থাকতে পারে।’ তিনি অরও জানান, ‘২০০৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের এক গ্রামে হোগলার বনে কিছু বাসা দেখেছিলাম, কিন্তু কয়েক দিন পর গিয়ে আর একটি বাসাও দেখতে পাইনি; মানুষ ভেঙে ফেলেছে!



যেহেতু এ পাখি মানুষের খুব নাগালে বাসা বোনে, তাই মানুষের সচেতনতাই পারে এ পাখির বংশ টিকিয়ে রাখতে।

বাবুইয়ের বাসা করার জন্য প্রয়োজন হয় নলখাগড়া ও হোগলার বন। কিন্তু দেশে নল ও হোগলার বন কমে যাওয়ায় এই বাবুইয়ের সংখ্যা খুবই কম। তা ছাড়া এই পাখি যেখানে বাস করে—নল ও হোগলার বনে—সেখানে মানুষের চলাচল থাকে। আর বাসা বোনে মানুষের হাতের নাগালে পাঁচ থেকে ছয় ফুট ওপরে। তাই সহজেই গ্রাম কিংবা চর এলাকার অসচেতন মানুষ এদের বাস ভেঙে ফেলে। এ কারণে অধিকাংশ বাবুই ছানা ফুটিয়ে বড় করে তুলে নিতে পারে না।

আজকাল এদের বাসা গাছের ডালপালা থেকে খুলে এনে ঢাকা শহরের বিভিন্ন মার্কেটে শোপিছ হিসাবে ৭০ থেকে ১০০/১৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়। বন্যপাখি বিশেষত অথিতি পাখি নিধন ও বিক্রি বন্ধে সরকার যেরকম আইন করেছে!!!!! জানিনা এরকম আশ্রয় ছিনিয়ে নেবার ব্যাপারে সরকারের কোন আইন আছে কিনা? থাকলেও তাযে কার্যকর নয় তা নিউমার্কেটে গেলেই বোঝা যায়।

এখন আসুন এদের সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি_

দেশি বাবুই: দেশি বাবুই যার বৈজ্ঞানিক নাম Ploceus philippinusএবং ইংরেজী নাম Baya Weaver.

এরা সাধারণত খুটে খুটে বিভিন্ন ধরনের বীজ, ধান, ভাত, পোকা, ঘাস, ছোট উদ্ভিদের পাতা, ফুলের মধু-রেণু ইত্যাদি খেয়ে জীবনধারন করে। গ্রিষ্মকাল এদের প্রজনন ঋতু। তারা সাধারণত কাটা জাতীয় বৃক্ষে বাসা তৈরী করে এবং আহার সংগ্রহে সুবিধা হয় এমন স্থান নির্বাচন করে।

দেশি বাবুই এর বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগ

Kingdom: Animalia

Phylum: Chordata

Class: Aves

Order: Passeriformes

Family: Ploceidae

Genus: Ploceus

Species: P. philippinus

দাগি বাবুই: দাগি বাবুই যার বৈজ্ঞানিক নাম Ploceus manyar এবং ইংরেজী নাম Streaked Weaver । এরা সাধারনত উত্তাল নয় এমন জলাধারের উপরে গাছপালায় বাসা তৈরী করে বসবাস করে।

Scientific classification

Kingdom: Animalia

Phylum: Chordata

Class: Aves

Order: Passeriformes

Family: Ploceidae

Genus: Ploceus

Species: P. manyar

বাংলা বাবুই: বাংলা বাবুই যার বৈজ্ঞানিক নাম Ploceus benghalensis ইংরেজী নাম Bengal Weaver অথবা Black-breasted Weaver.

Scientific classification

Kingdom: Animalia

Phylum: Chordata

Class: Aves

Order: Passeriformes

Family: Ploceidae

Genus: Ploceus

Species: P. benghalensi



http://allbirdhere.blogspot.com/

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

আসফাকুল আমিন বলেছেন: বহুত দিন হইলো কাক ছাড়া আর কোন পাখি দেখি না । গ্রামেও আজকাল পাখি দেখা যায় না । :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.