![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রহমতুল্লাহ লিখন ১৯৯৩ সালে বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তিনি নর্দান ইউনিভার্সিটি থেকে ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ এন্ড লিটেরেচার থেকে অনার্স শেষ করেছেন। এর পর রাজশাহী ইউনিভার্সিটির ল্যাংগুয়েজ ইনিস্টিউট থেকে মাস্টার্স করেছেন। এখন তিনি ভারতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন। বিভিন্ন সাহিত্য সাময়িকী, স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন ব্লগে নিয়মিত কবিতা লিখেন। সাধারণত সামাজিক, দ্রোহের কবিতাকে প্রাধান্য দেন বেশি। কবির মতে কবিতাকে ধারণ করেন সত্তায়, বিপ্লবের অস্ত্র ভাবেন কবিতার শব্দমালা। তার উল্লেখযোগ্য কবিতার মধ্যে আছে শিক্ষিত হতে অরুচি, আমি কলঙ্ক হতে চাই, হীরক রাজার নতুনোপাখ্যান, রাজ যুদ্ধে সিপাহী নিহত, শ্বাস নিতে অনুমতি, কাঙালের হোক বিচার, চাবুকে ঝাঝরা চুমু, পাল্টে যাক ঋতুচক্র প্রভৃতি। কবিতা কে ভালোবাসতে শুরু করি শৈশবে নজরুল, সুকান্ত, জীবনানন্দ, সুকুমার, রবি ঠাকুরকে পাঠ্যপুস্তকের স্বল্প পরিসরে জানতে পেরে। এখনও ভালোবাসা বিদ্যমান রুদ্র, নবারুন, হেলাল হাফিজ, আকিফ, নাজিম হেকমতকে জানাতে জানতে। দ্রোহ, বিদ্রোহ,প্রেম, প্রকৃতি, সমাজ, জাতীয়তাবাদ সবকিছুকে বরষার প্রথম ধারা ধরার ধারণ করার মত প্রয়াস চলছে আমারও।
বলিভিয়ার ঘন জঙ্গল পারে নি সে দিন
তোমার হাড় মাংসের সাথে আত্মার দখল নিতে।
শাসকের রক্ত চুষে কেনা বুলেট পারে নি সে দিন
তোমার মজ্জাগত বিপ্লবের ধারার স্বাদ নিতে।
আবর্জনার স্তুপে বহু বছরের ময়লা পারে নি সে দিন
তোমার সামাজিক সাম্যের স্বপ্নকে আস্তরিত করতে।
সৈনিকের ধারল বেয়নেট পারে নি ছিন্ন করতে সে দিন
তোমার প্রিয় কিউবান সিগারের সমানাধিকরণ কেড়ে নিতে।
তুমি আছো অগোছালো সব কান্না জড়ানো বুকে,
তুমি আছো ন্যায়ের পক্ষে মৃত মায়ের শোকে,
তুমি আছো সন্ন্যাসী বিপ্লবীর তারা গোনার সুখে,
তুমি আছি দুনিয়া জোড়া প্রতিবাদীদের মুখে,
তুমি ছিলে তুমি আছো তুমি থাকবে,
লাল আগুনে সমান জমিনে সাম্যের গান মেখে।
গলা চিপে অধিকার মাড়িয়ে,
সমাজপতির দলে সমানে মাথা নাড়িয়ে।
অন্ন কেড়ে রাজপ্রাসাদের ঘন্টা বাজায় যে,
সে জেনে রাখুক আজও আগুন ঝরে
বিপ্লবীর বুকে ক্রধে তাপে স্ফুলিঙ্গ হয়ে
গেরিলা রাইফেলের বুলেট হয়ে বেরিয়ে আসে চে।
©somewhere in net ltd.