![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল। এশিয়া মহাদেশে প্রথমবারের মতো ‘পানি জাদুঘরের’ উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলার সবজির ভান্ডারখ্যাত নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারায় কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের পাশে এ জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ জাদুঘরটি উদ্বোধনের পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দর্শনার্থীর ভিড়ে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। নদী ও পানিসম্পদ রক্ষায় সরকার ও নীতিনির্ধারকদের আরও উদ্যোগী করাও, মানুষকে সচেতন করা এবং নদী ও পানিসম্পদ রক্ষার আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে “পানি জাদুঘরের” প্রতিষ্ঠা করা হয়। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের প্রধান ধারক নদী ও পাহাড়। মনোরম লোকেশনে জাদুঘরটির সামনে স্থান পেয়েছে নদীপথে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেয়ায় পানির প্রবাহ থমকে পরিণত হওয়া বালুরচরের দৃশ্য। যেখানে শোভা পাচ্ছে নদীতে নৌকা চলাচলের পথ স্থায়ীভাবে রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার দৃশ্যপট। বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে জাদুঘরের মূল দরজায়। জাদুঘরে রাখা হয়েছে দেশের প্রধান মেঘনা, হালদা, গড়াই, বুড়িগঙ্গা, পায়রা, যমুনা, পদ্মা, তিস্তা, কীর্তনখোলা, আন্ধারমানিক নদী থেকে সংগৃহীত পানির নমুনা। নদীপথে চলা নৌকা। নদীর পানি ব্যবহারের দৃশ্যপট। নদীকেন্দ্রিক জীবন–জীবিকার বিভিন্ন উপকরণ। নদীর কথা, পানির কথাকে উপজীব্য করে এই পানি জাদুঘর। এই জাদুঘর মানুষকে, সরকারকে, নতুন প্রজন্মকে সচেতন করবে। ব্যতিক্রমধর্মী পানি জাদুঘরটির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নীলগঞ্জের কৃষক সহ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
©somewhere in net ltd.