![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
সম্ভাবনার এক নতুন সূর্য উঠছে পদ্মায়। সেতুর দুই অংশে হংকংয়ের মতো টাউনশিপ গড়তে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। সেখানে গড়ে তোলা হবে আধুনিকশিল্পনগরী। স্থাপিত হবে বিশ্বমানের আবাসিক স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। থাকবে মসজিদ-মাদ্রাসা। বিনোদন কেন্দ্রসহ আধুনিক নগরীর সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠবে এই শহর। নির্মাণ করা হবে একটি আন্তর্জাতিক মানের কনভেনশন সেন্টার। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলাও অনুষ্ঠিত হবে পদ্মাপাড়ে। টাউনশিপে বহু মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা যেমন হবে, আবার সৃষ্টি হবে বিপুল কর্মসংস্থানের। দ্রুত ঢাকার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হবে অত্যন্ত সহজ ও সময় সাশ্রয়ী। স্থাপিত হবে রেল যোগাযোগের ব্যবস্থাও। যোগাযোগ ক্ষেত্রে এই আমূল পরিবর্তনে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের কৃষি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জীবিকার ধারা বদলে যাবে, যা অর্থনীতিতে সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। জিডিপি ২ ডিজিট ছুঁতে পদ্মা সেতু ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।টাউনশিপের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সরকারের চলতি মেয়াদেই শুরু হবে। এতে কৃষি জমি বাঁচবে। আর এখন থেকে নগরায়ণ হবে ভার্টিক্যাল স্ট্রাকচার ভিত্তিতে।আর পদ্মাপাড়ে অসংখ্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন হবে। আলাদা আলাদা টাউনশিপ গড়ে উঠবে। নগরায়ণ ও শিল্পায়ন শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক থাকবে না। বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দেশের বিশাল অংশের জনশক্তি পদ্মাপাড়ে কাজে সম্পৃক্ত হবে। চরাঞ্চলের বহু মানুষের অনিশ্চয়তার জীবনে সঞ্চারিত হয়েছে আশার। পদ্মায় ভাঙা-গড়ার খেলায় তাদের ভাগ্য আর পেন্ডুলামের মতো দুলবে না।পদ্মাপাড়ের যে কৃষক একসময় শুধুই জমি চাষ, ফসল ফলানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন, আজ তারাই হয়ে উঠেছেন পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী। ছোটখাটো ব্যবসা নয়, কেউ কেউ ঘটা করে শুরু করেছেন পরিবহনের ব্যবসা। কেউ বা ব্যবসা করছেন স্বর্ণালঙ্কারের। যিনি দিনমজুরের কাজ করতেন, এখন ব্যবসা খুলেছেন মাওয়া ঘাটে। অনেকেরই আবার ব্যাংকে জমা পড়েছে লাখ লাখ টাকা। আর এসবই সম্ভব হয়েছে সরকারের উন্নয়নমুখী পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের ফলে।
©somewhere in net ltd.