![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। শুধু দারিদ্র্য কমানোর ক্ষেত্রেই নয়, ধনী-দারিদ্র্যের বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। গত কয়েক বছরে দেশের যে কয়েকটি অর্জন তার মধ্যে এটি অন্যতম। কেননা যে হারে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে এটি অন্যান্য দেশের কাছে উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, দেশের দারিদ্র্যের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশে, যা ২০১০ সালে ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। এ সময়ে চরম দারিদ্র্যের হারও হ্রাস পেয়েছে অনেকটাই। চরম দারিদ্র্যের হার ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার গত মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে উন্নয়ন বাজেটে সরকারী বিনিয়োগ বৃদ্ধি করছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেট ছিল ২৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা ২০১৪ সালে এসে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৩০০ কোটি টাকায়। এটি টাকার অঙ্কে এযাবতকালের সর্ববৃহত সরকারী বিনিয়োগ। তাছাড়া দেশজ আয় ও প্রবৃদ্ধি অর্জনে সরকার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। গত পাঁচ বছর গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশের ওপরে। সার্বিক বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুটি দেশ জার্মানি ও ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেই কেবল বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় অব্যাহত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে যাচ্ছে। তাই দারিদ্র্য কমছে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার সুলভ মূল্যে খাদ্য সরবরাহের পাশাপাশি তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে নানামুখী আয়বর্ধক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। তুলনামূলকভাবে অতিদরিদ্র এলাকাসহ (উত্তরাঞ্চল, উপকূলবর্তী এলাকা ও যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরাঞ্চল ইত্যাদি) এলাকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অতি-দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করছে। এ কর্মসূচীর আওতায় প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ৮ লাখ লোকের ৮০ দিনের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। এতে গত পাঁচ বছরে দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গা উধাও হয়ে গেছে। চালের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, গত চার বছরে শ্রমিকদের মজুরি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। একদিনের মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিক প্রায় সাড়ে ৮ কোটি চাল কিনতে পারছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শ্রমিকের এক দিনের মজুরি দিয়ে ৫ দশমিক ৭ কোটি চাল কেনা যেত। সদ্যসমাপ্ত ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ায় বৈষম্যবিষয়ক বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ধনি-গরীবের বৈষম্য পরিস্থিতির উন্নতির ক্ষেত্রে ভারতকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, পেছনে আছে আরও চারটি দেশ। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থান দখল করেছে। ধনী-গরিবের বৈষম্য পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের এ অবস্থান অদুর ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে এ প্রত্যাশা সবার।
©somewhere in net ltd.