![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
সরকারের ভিশন-২০২১-এর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য সামনে রেখেই ভূমি ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এখন থেকে জমির মামলার বাদী-বিবাদী যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে মোবাইল, কম্পিউটার ও ইউনিয়ন ডিজিটাল তথ্যকেন্দ্র থেকে মামলার তারিখ ও মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন। বাদী-বিবাদী বা তাদের আইনজীবীর মোবাইলে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হবে মামলার তারিখ। এতে একদিকে মামলা নিষ্পত্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে জনগণ হয়রানি, অর্থ অপচয় থেকে রক্ষা পাবে বলে অনেকে মনে করছেন। দেশের ৮০ শতাংশ মামলা ভূমি-সংক্রান্ত। ডিজিটালাইজেশনের কারণে এ ক্ষেত্রে হয়রানি, দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রতা বন্ধ হবে। ওয়েবসাইট, ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনগণ ও গ্রাহককে তথ্যসেবা দেওয়া হবে। ভূমি আপিল বোর্ডের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন চলতি জুনের মধ্যে শেষ হবে। ডিজিটালাইজেশনের কিছু কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এর সুফল হিসেবে ৩১০ টাকা ফি জমা দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে মৌজা ম্যাপ সংগ্রহ করা যাচ্ছে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর থেকে। এর আগে ৭ থেকে ১০ দিনে পাওয়া যেত একটি মৌজা ম্যাপ। ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটালাইজেশনের দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে। ডিজিটাল জরিপ, মৌজা ম্যাপ, পর্চা, খতিয়ান স্ক্যানিং করে ডাটাবেজ সার্ভার তৈরির কাজ চলছে। ভূমি-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, বিচারকাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও বাদী-বিবাদীর কাছে দ্রুত তথ্যসেবা পৌছে দিতে ভূমি আপিল বোর্ডে ডাটাবেজ সার্ভার তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভূমি তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজও অব্যাহত রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ল্যান্ড ডিজিটালাইজেশনে নানা প্রকল্প ও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এ কাজে যথেষ্ট অগ্রগতিও হয়েছে। সরকারের এ পদক্ষেপের ফলে ভুমি নিয়ে জনগণের যে সমস্যা তা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.