নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রহমানের আমলনামা

জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী

রিয়াদহ্যাপি০০৭

আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।

রিয়াদহ্যাপি০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকার ঢাকাকে ভিক্ষুক মুক্ত নগরী করে গড়ে তুলতে তাদের পুনর্বাসনের পদক্ষেপ নিয়েছে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৩


ভিক্ষাবৃত্তি নিঃসন্দেহে একটি প্রাচীন পেশা। তবে এর ধরন ও বিস্তৃতি কালে কালে পরিবর্তিত হয়। দেশ-কাল-পাত্র ভেদেও ভিক্ষাবৃত্তির ভিন্নতা রয়েছে। তবে ভিক্ষাবৃত্তির সাধারণ ধরন হল, উচ্ছ্বিষ্টভোগীতা। ভিক্ষুকরা অন্যের রোজগারে বেঁচে থাকে। উন্নত-অনুন্নত, অগ্রসর-অনগ্রসর, পূঁজিবাদী-সাম্যবাদী সকল শ্রেণির রাষ্ট্র ও সমাজে কোন না কোনভাবে ভিক্ষাবৃত্তি রয়েছে। সিংগাপুরের মতো কল্যাণ-রাষ্ট্রেও আমি মানুষকে ভিক্ষা করতে দেখেছি। তবে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে। আধুনিক যন্ত্র বাজিয়ে জনাকীর্ণ রাস্তায় কয়েক জনকে গান গেয়ে গেয়ে ভিক্ষা করতে দেখেছি। তবে তারা সব সময় পুলিশের ভয়ে ভীতু থাকত। আমার মতে ভিক্ষাবৃত্তি রোধকল্পে আমাদের সামাজিক ও ধর্মীয় বিষয়ে প্রচলিত ধারণার পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। দান-খয়রাত, যাকাত-ফিতরার ধরনে পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। সামান্য দানে হাজার হাজার মানুষকে ইদুরের খুদ বিতরণ না করে নির্বাচিত দানের মাধ্যমে আমরা সমাজের অসহায় বা দরিদ্র কিংবা দান গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ক্রমান্বয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারি। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে এক শ্রেণির মানুষ স্বাভাবিক কর্মধারার বাইরে কিছু কিছু অস্বাভাবিক কমর্কাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে পরের ধনে পোদ্দারী কিংবা অন্যের উচ্ছ্বিষ্টভোগী কিছু লোক থাকবেই। এসব লোক হতে পারে পেশাদার অপরাধী কিংবা পেশাদার ভিক্ষুক। ভিক্ষাবৃত্তিকে আমাদের সমাজে অপরাধ মনে করা না হলেও ভিক্ষাবৃত্তির বিরুদ্ধে নানা প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে ভিক্ষাবৃত্তি অনেকটাই শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই একটি সভ্য দেশের পক্ষে ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশায় পরিণত হতে দেয়া উচিৎ নয়। উন্নত দেশগুলোর মত এ দেশ ও মাথা উঁচু করে দাডাতে চায় বিশ্ব দরবারে,তারই পরিক্রমায় গত বছর শুরু করে ঢাকার শহরের ছয় জায়গায় ভিক্ষুকমুক্ত করার কাজ। এসব এলাকার মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর এলাকা, হোটেল রেডিশন, হোটেল সোনারগাঁও ও রূপসী বাংলা, বেইলি রোড এবং কূটনৈতিক জোন ও দূতাবাস এলাকা। শহরের আরও কয়েকটি এলাকা ভিক্ষামুক্ত হিসেবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এলাকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করা হয়েছে। ২০১১ সালে ঢাকা সিটি করপোরেশনভুক্ত ১০টি জোনে জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ১০ হাজার ব্যক্তির আর্থসামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ময়মনসিংহ জেলায় ৩৭ জন ভিক্ষুকে রিকশা, ভ্যান ও ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনার পুঁজি দেয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.