![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ইন্টারনেট ব্যবহারকে ষষ্ঠ মৌলিক চাহিদা হিসাবে বিবেচনা করছে সরকার। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকে সহজলভ্য করার পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনেও সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরকারি সকল সেক্টরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকল সরকারি কর্মকর্তাকে যুক্ত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের প্রতিটি জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও এসি (ল্যান্ড) এবং ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তার প্রায় সবাই যুক্ত হয়েছেন ফেসবুকে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার ও অপরাধ ঠেকাতে সরকার হেল্পলাইনও চালু করেছে। অপরদিকে সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত সকল অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করতে সকল থানাকে পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকারের ‘সাইবার সিকিউরিটি ফোর্স’ নামে একটি বিভাগ রয়েছে। সেখানে যে কেউ সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত আভিযোগ করতে পারবে। অভিযোগগুলো গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে সাইবার হামলা প্রতিহত করতে আড়াই হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে তথ্যপ্রযুক্তি পদ্ধতি (আইটি সিস্টেম) সুরক্ষার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। এর বাইরে পালাক্রমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তাকে দেশে-বিদেশে সাইবার (ইন্টারনেট) নিরাপত্তা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। একই সাথে সরকারের সকল গেজেটেড কর্মকর্তাকে ফেসবুকসহ সকল সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত থাকতে বলা হয়েছে। দেশে অনলাইনভিত্তিক যোগাযোগের পরিধি বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সাইবার হামলা বা সাইবার অপরাধ। বিকাশমান আইসিটির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সাইবার অপরাধ। বিশেষ করে হ্যাকারদের আক্রমণের প্রধান টার্গেট ব্যাংকিং খাত। এসব পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সাইবার নিরাপত্তায় সবকিছুই থাকবে। সরকারের এ পদক্ষেপে সাইবার অপরাধ অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যায়।
©somewhere in net ltd.