![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি গর্বিত আমি বাঙালী।জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমাদের একটাই পরিচয় আমরা বাংলাদেশী।
জাতীয়ভাবে আমরা নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে তাদের আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে হবে। কাউকে অভুক্ত রেখে তার কাছ থেকে ভালো কাজ আশা করা যায় না। ব্যাপকভিত্তিক কর্মসংস্থানের জন্য সবার আগে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল প্রত্যেক নাগরিককে তার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা। একজন প্রশিক্ষিত মানবকর্মী কখনোই বেকার থাকতে পারে না। এছাড়া অপ্রশিক্ষিত মানুষের তুলনায় প্রশিক্ষিত মানুষের কর্মদক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বেশি থাকে। প্রশিক্ষিত জনশক্তি গড়ে তোলার অন্যতম শর্ত হচ্ছে শিক্ষার ব্যাপক বিস্তার ঘটানো। একজন শিক্ষিত মানুষ খুব সহজেই প্রশিক্ষিত হতে পারেন। কিন্তু একজন অশিক্ষিত মানুষকে প্রশিক্ষিত করা তুলনামূলকভাবে বেশি কষ্টকর। আমাদের দেশের প্রচলিত সমাজব্যবস্থায় মাদ্রাসা শিক্ষিতদের অবজ্ঞার চোখে দেখা হয়। কিন্তু যদি মাদ্রাসা শিক্ষিত ছেলেদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশী শ্রমবাজারে রফতানি করা যায়, তাহলে তারা দেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। বিদেশী শ্রমবাজারে ভাষাগত সমস্যা একটি বিরাট প্রতিবন্ধকতা। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আরবি ভাষা না জানলে কাজ পাওয়া অথবা কাজ পাওয়ার পর টিকে থাকা খুবই কষ্টকর। মাদ্রাসা শিক্ষিতদের প্রয়োজনীয় কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করা যেত, তাহলে তারা খুব সহজেই সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারত। আমাদের দেশের পারিবারিক প্যাটার্নও আগের তুলনায় অনেকটা বদলে গেছে। আগেকার দিনে বাড়ির একজন মাত্র সদস্য চাকরি বা ব্যবসা করতেন আর অন্যরা তার ওপর নির্ভর করে জীবনধারণ করতেন। এখন পরিবারের প্রতিটি সদস্যকেই রোজগারের চিন্তা করতে হচ্ছে। একজনের আয়ে বসে বসে খাওয়ার দিন শেষ হয়ে গেছে।যারা সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, তাদের প্রায় সবাই বণ্টন ব্যবস্থার অসমতাজনিত কারণে দারিদ্র্য সমস্যায় পতিত হয়েছে। ভারতের মতো দেশ অনেক দিন ধরেই মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা ভোগ করছে। কিন্তু বণ্টন ব্যবস্থার অসমতার কারণে তারা মধ্যম আয়ের সুফল সবার ক্ষেত্রে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ভোগ করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। এখনও ভারতের চরম দরিদ্র জনগণ নানা সমস্যা মোকাবেলা করে চলছে। প্রায়ই ভারতের কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করছেন। অথচ ভারতের কোনো কোনো শিল্পপতি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিত্তশালীদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বাংলাদেশের একশ্রেণীর বিত্তশালী অকাতরে টাকা ব্যয় করছেন বিলাসী জীবনযাপনের জন্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অর্জন কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হয়তো উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। কিন্তু বণ্টন ব্যবস্থার অসমতা দূরীকরণ করা না গেলে সেই অর্জনের সুফল কি সবাই ভোগ করতে পারবে? কল্যাণমূলক অর্থনীতি অনুসরণ করে সবার জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল নিশ্চিত করতে হবে।
©somewhere in net ltd.